%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, দানকর দিতে হবে ১২ কোটি টাকা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরোপিত দানকর বৈধ ঘোষণা করা রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি (লিভ টু আপিল) চেয়ে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রবিবার (২৩ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ রায়ের ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ১২ কোটি টাকা দানকর বাবদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
এর আগে, ২১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস। এরপর গত ১৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ২৩ জুলাই শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ শুনানি হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায় এনবিআর।
২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে ১ কোটি ৬০ লাখ ২১ হাজার টাকা দানকর দাবি করা হয়।
আর ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে এক কোটি ৫০ লাখ ২১ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেয় এনবিআর।
দানের বিপরীতে কর দাবি করে এনবিআরের এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ড. ইউনূস।
তার দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এ কর দাবি করতে পারে না।
এরপর ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর তার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে তিনি হাইকোর্টে ৩টি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন।
মামলাগুলোর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে ২০১৫ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে মৃত্যু ও পরিবারের সদস্যদের কল্যাণ চিন্তা করে নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত তিনটি ট্রাস্টে যে টাকা দান করেছেন, সেই দানের বিপরীতে এনবিআরের আরোপ করা দানকর বৈধ ঘোষণা করে গত ৩১ মে রায় দেন হাইকোর্ট।
৩১ মে রায়ের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ প্রতিষ্ঠানে ৭৭ কোটি টাকা দান করেছিলেন।
তিনি বলছেন, এর বিপরীতে কর দিতে হবে না। আমরা বলেছি দিতে হবে এ কারণে এনবিআর তাকে নোটিশ দিয়েছিল।
পরে তিনি হাইকোর্টে তিনটি রেফারেন্স মামলা করেছিলেন। হাইকোর্ট রেফারেন্সগুলো ঠিক বলেছেন।
আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছেন। এখন এনবিআরের দাবি করা কর দিতে হবে। এনবিআর ১৫ কোটি টাকার বেশি দাবি করেছিল।
ইতোমধ্যে তিনি ৩ কোটি টাকার মতো দিয়েছেন। এখন বাকি ১২ কোটি টাকার বেশি কর পরিশোধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের দানকর নিয়ে আপিলে শুনানি ২৩ জুলাই
গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
ঠাকুরগাঁওয়ে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার খামার হঠাৎপাড়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার যুবক আমানুল্লাহ আমান (২৮) হরিপুর উপজেলার আমগাঁও ইউনিয়নের খামার হঠাৎপাড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আবু তালেবের ছেলে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে হরিপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে দেওয়া কুরুচিপূর্ণ পোস্টে আমি সংক্ষুব্ধ হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। সে জন্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
জানা যায়, আমান ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ‘কটূক্তি’ করে আপত্তিকর কথা লেখেন। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তাপ্ত করাসহ সরকার উৎখাতের প্রচেষ্টা ও মানুষের মনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সহিদুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে করা মানহানিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করার মামলায় আমানুল্লাহ আমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঠাকুরগাঁও বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে আরসার সামরিক কমান্ডার গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় 'আল্লাহর দলের' সদস্য গ্রেপ্তার
যুবলীগ নেতা রুবেল হত্যায় জড়িত সবাই শনাক্ত: ডিবি প্রধান
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবার নাম পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
তিনি বলেন, শাজাহানপুরে যুবলীগ নেতাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে তাদের নাম, নম্বর আমরা পেয়েছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করব।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত, যারা মোটরসাইকেলে এসে পাহারা দিয়েছে এবং যারা মেরে পালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যার সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কি না- জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, দুইটি ঘটনাই শাহজানপুরের। আসামিদের গ্রেপ্তারের পরই আমরা দুটি ঘটনা খতিয়ে দেখব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ডের কোনো অপরাধী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না তা পরে জানা যাবে।
শুক্রবার ভোরে রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিম সরবরাহের ব্যবসা ছিল তার। রুবেল শাহজাহানপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি কোনো সরকারি পদ ছাড়াই স্থানীয় যুবলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির মিছিলে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগকারীদের শাস্তি হবে: ডিবি প্রধান
সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে: ডিবি প্রধান
হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় কারওয়ানবাজার পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি তালুকদার মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উদ্দিন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না: হিরো আলম
তিনি জানান, হিরো আলমকে মারধরের ঘটনায় পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম তালুকদার মাসুদ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে ধরার চেষ্টা করছি।
গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন বিকালে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোট কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় গেটের সামনে হিরো আলমের উপর হামলা করে তাকে কিলঘুষি মারতে মারতে মাটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
মারধর থেকে বাঁচতে উঠে দৌড় দেন হিরো আলম। এ সময় তাকে আবারও ধাওয়া দেওয়া দেয় বেশ কিছু সংখ্যক লোক। এরপর আহত অবস্থায় হিরো আলমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফেরেন।
আরও পড়ুন: হিরো আলমের ওপর হামলা: পূর্ণ তদন্ত চেয়ে ঢাকায় বিদেশি মিশনগুলোর যৌথ বিবৃতি
হিরো আলমের ওপর হামলা: ২ আসামির রিমান্ড, কারাগারে ৫
কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর ফাঁসি
কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কারারক্ষীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
স্ত্রী রুমা আক্তারকে হত্যার দায়ে কারারক্ষী স্বামী খাইরুল ইসলামকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
দণ্ডপ্রাপ্ত খাইরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাচাইল এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ কারাগারে কারারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের পিপি এমএ আফজাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৮ সালে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার আব্দুল মান্নানের কন্যা রুমা আক্তারের সঙ্গে কারারক্ষী খাইরুল ইসলামের বিয়ে হয়। খাইরুল ইসলাম তার স্ত্রী রুমাকে নিয়ে কারাগারের কোয়ার্টারেই থাকতেন। বিয়ের তিন মাস পর স্বামী যৌতুক দাবি করলে রুমার বাবা আব্দুল মজিদ মেয়ের সুখের কথা বিবেচনায় নিয়ে তিন লাখ টাকা দেন। এর কিছুদিন পরেই মোটরসাইকেল কেনার জন্য খাইরুল ইসলাম আবারও ২ লাখ ৮ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। কিন্তু রুমার বাবা টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় রুমাকে নিয়মিত শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২২ ডিসেম্বর আবারও যৌতুকের জন্য স্ত্রী রোমা আক্তারকে কারাগারের স্টাফ কোয়র্টারে নির্মমভাবে নির্যাতন করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে পরদিন রুমার মা ছিনু বেগম এসে তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে ভালপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ২৯ ডিসেম্বর রুমার অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান।
এ ঘটনায় রুমার মা ছিনু বেগম বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট তৌহিদুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
আদালতের আদেশ টেম্পারিং করে কক্সবাজার জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ভুল নয়, অপরাধ করেছেন বলে জানিয়েছেন উচ্চ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই)বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, ‘আপনি আদালতের আদেশ টেম্পারিং করেছেন। এতে আপনার বুক কাঁপল না? আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম (অপরাধ) করেছেন।’
শুনানিতে জেলা জজের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা আদালতকে বলেন, ‘আমরা কনটেস্ট করতে চাই না। আমরা আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। আমরা খুবই অনুতপ্ত।’
এ সময় হাইকোর্ট জেলা জজকে ডায়াসের সামনে ডেকে আদেশ টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চান। তখন জেলা জজ বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে বলেন, ভুলে এটা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, আপনি ভুল করেননি। আপনি জেনে বুঝে ক্রাইম করেছেন।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
এ সময় তার আইনজীবীরা আবারও ক্ষমা চাইলে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা ক্ষমা চাইছেন। অনুতপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু জেলা জজের মধ্যে তো কোনো অনুশোচনা নেই। তিনি অনুতপ্তও নন। মন থেকে অনুশোচনা আসতে হয়।
পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জুলাই দিন নির্ধারণের আদেশ দেন।
এর আগে গত ২১ জুন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইন ভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একই দিনে জামিন দেওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজকে তলব করেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য বলা হলে বুধবার জেলা জজ হাজির হন।
এ সময় প্রথম দিনের শুনানিতেও হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্মানজনক বিদায় চাইলে এমন কাজ করতে পারতেন না। পরে আদালত আজ বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, জমির দখল নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন খোদেস্তা বেগম নামে এক নারী। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন তিনি। এই মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। সেদিন চিফ চুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে একই দিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আদালত ৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন (ফৌজদারি রিভিশন) করেন খোদেস্তা বেগম।
আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন বলেন, ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে ৯ আসামি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন।
এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশসহ অন্য কাগজপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা প্রত্যায়িত অনুলিপির ফটোকপি দাখিল করা হয়নি। আসামির কারাগারের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়— আদেশে উল্লেখ করেছেন জেলা জজ।
অথচ ৯ আসামি এক মুহূর্তও কারাগারে ছিলেন না। শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন—এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলেন আদালত। মামলার কোনো সার্টিফাইড কপি ছাড়াই একই দিনে জেলা ও দায়রা জজ কোন আইনে, কীভাবে জামিন দিয়েছেন, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
গাইবান্ধায় 'আল্লাহর দলের' সদস্য গ্রেপ্তার
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'আল্লাহর দলের' এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার উদয় সাগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা।
আটক রুহুল আমিন (৫৩) জেলার আনসার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে বিএনপির ৩৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৫
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর উদয় সাগর এলাকায় গোপন সভা করার সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে রুহুল পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি প্রায়ই অবস্থানের পরিবর্তন করতেন বলেও জানান পুলিশ।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত বনে মাটি খননের অভিযোগে ইউনিটেক্স গ্রুপের পরিচালক গ্রেপ্তার
রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় হাইকোর্টের ৩ নির্দেশনা
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
প্রকাশিত রায়ে আদালত ৩টি নির্দেশনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরকে (বিবাদী নম্বর -২) শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা আছে কিনা তা তদন্ত করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
২. তদন্তে শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সৌন্দর্য বিকৃত করে এমন কোনো ভবন/স্থাপনা পাওয়া যায় তবে সেসব ভবন/স্থাপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
৩. শাহজাদপুর রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও পবিত্রতা রক্ষার্থে ডিজি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর নিকটস্থ জমি ও ভবনের ব্যাপারে যথাযথ ও উপযুক্ত ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে গ্রহণ করতে পারবে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেছেন।
এর আগে, গত বছরের ১৬ আগস্ট সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি এলাকার সৌন্দর্য বিকৃত করার অভিযোগ আইন অনুসারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির প্রত্নতত্ত্বের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পুরা কীর্তি সংরক্ষণ বিধি অমান্য করে ভবন নির্মাণ করার সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে হাইকোর্টের রিট করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুলজারি করে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন। ওই রুলের শুনানি শেষে এ রায় দেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন- রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে এবং অভিযোগ আছে এর সৌন্দর্য বিকৃত করা হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এ ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
আদালত নির্দেশনায় বলেন- ১৯৬৮ সালের পুরাকীর্তি আইন এবং সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির সৌন্দর্য বিকৃত করার জন্য দায়ী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে হলে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
পিরোজপুরে বিএনপির ৩৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১৫
পিরোজপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দলটির ৩৮০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হাসান জানান, মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে পিরোজপুর সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, পুলিশ এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসের সঙ্গে নসিমনের সংঘর্ষ, নিহত ৫
মামলায় পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলুসহ ৮০ জন এবং অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জন বিএনপির নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
আবির মোহাম্মদ হাসান জানান, মঙ্গলবার শহরের সার্কিট হাউজ সড়কে বিএনপির পদযাত্রার সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে এবং ইট ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়। তাদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ জেলা বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় লাঠিচার্জ করেছে। এতে তাদের ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
খুলনায় বিএনপির ৮০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মামলার উল্লেখযোগ্য অভিযুক্তরা হলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, বিএনপি নেতা মাসুদ পারভেজ বাবু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, ইবাদুল হক রুবায়েত, মো. হেলাল আহমেদ সুমন, মো. তাজিম বিশ্বাস, মো. রবি, আসাদুজ্জামান মিঠু, হেলাল হোসেন গাজী, বেলাল হোসেন গাজী, মো. নাছিম, শেখ নাদিমুজ্জামান জনি ও খায়রুজ্জামান সজিব।
মামলার বাদী খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট, পুলিশের কাজে বাধার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড