%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
বাবার আপিল খারিজ, জাপানি ২ শিশু থাকবে মায়ের জিম্মায়
জাপানি বংশোদ্ভুত দুই শিশুকে নিজের কাছে রাখতে বাংলাদেশি বাবার করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে পারিবারিক আদালতের রায় বহাল থাকলো। অর্থাৎ ওই দুই শিশু মায়ের কাছেই থাকবে।
ঢাকার জেলা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার মধ্যে সমঝোতার দায়িত্ব আইনজীবীদের
রবিবার (১৬ জুলাই) জাপানি মায়ের আইনজীবী শিশির মনির ও বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার লাভলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তবে এ আদেশে সংক্ষুদ্ধ বাবা ইমরানের শরীফের আইনজীবী নাসিমা আক্তার জানান, গত ১১ জুলাই এ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। আমরা এ আদালতে ন্যায়বিচার পাবো না জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছি।
আপিল বিভাগে এ বিষয়টির ওপর শুনানির তারিখ ধার্য রয়েছে। ওইদিন আমরা শুনানি না করে আপিল বিভাগের বিষয়টি জানিয়ে সময় আবেদন করি। তিনি সময় আবেদন নামঞ্জুর করেন।
নাসিমা আক্তার বলেন, আমরা আগে থেকেই আশঙ্কা করেছিলাম ন্যায়বিচার পাবো না। আশঙ্কায় সত্যি হলো। তিনি সেটা প্রমাণ করে দিলেন। তবে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান বাবা ইমরান শরীফের করা মামলা খারিজ করে জাপানি বংশোদ্ভুত ওই দুই শিশু মায়ের জিম্মায় থাকবে মর্মে রায় দেন। এ রায়ে সংক্ষুদ্ধ হয়ে আপিল করেন ইমরান শরীফ।
আরও পড়ুন: জাপানি মাকে নিয়ে অবমাননাকর ভিডিও অপসারণের নির্দেশ
জাপানি মায়ের রিট: ২ মেয়েসহ বাবা ও ফুপুকে ৩১ আগস্ট হাজিরের নির্দেশ
আরটিভি’র সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় আর্টিকেল নাইনটিনের উদ্বেগ
রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর সম্পর্কে প্রতিবেদন করার জন্য বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসমিন আক্তার অধরার বিরুদ্ধে দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আর্টিকেল নাইনটিন।
আর্টিকেল নাইনটিন একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
সংস্থাটি মামলা বিষয়ক পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ না নিতে এবং অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফয়সল বলেন, ‘স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাসের শুরু থেকে এই আইনের বিতর্কিত ধারাগুলোর অপব্যবহার করে যেভাবে সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করা হচ্ছে, এই মামলা সেই ধারাবাহিকতায় নতুন সংযোজন। এই ধরনের মামলা স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতাকে সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত করে।
রাজধানীর রাজারবাগ দরবার শরীফকে কেন্দ্র করে পীর দিল্লুর রহমান ও তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মামলা, সারাদেশে অসংখ্য মানুষকে হয়রানি, জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে অধরা রিপোর্ট করেছে।
পীর দিল্লুর রহমানের অন্যতম সহযোগী শাকেরুল কবির বাদী হয়ে এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৪, ২৫ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেও কারামুক্তি পাচ্ছেন না ইভ্যালির রাসেল
গত মার্চ মাসে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক সরকারকে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ অবিলম্বে স্থগিত করার’ আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এমনকি বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মার্কিন বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার নেতৃত্বে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। আমি তাদের একই কথা বলেছি যা আমি আগেও বলেছিলাম। আমি তাদের বলেছি যে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করা হবে।’
এটি কিছুকে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেন নাগরিকদের এমন একটি আইনে শাস্তি পেতে হচ্ছে, যা ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃত এবং যেটি সংশোধনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
এই ধাক্কার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল উদাহরণ হল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মামলা। তিনি এই আইনের মামলায় ১১ মাস ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এই সপ্তাহের শুরুতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়ের করা দুটি পৃথক মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করে দেওয়া হাইকোর্টের আদেশ সুপ্রিম কোর্ট আরও চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
তার পরবর্তী শুনানির তারিখে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, একই সময়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন যে আইনটির অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল, তা সংশোধন করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটক করার নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে জাহাজটির এনওসি প্রদানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা সমুদ্রবন্দরে আসে জাহাজটি।
এর পর ১২ জুলাই জাহাজটির বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৫ হাজার ১৮২ দশমিক ৬৬ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চায়নার সিসিএক্স শিপিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি মো. আবুল হাসান এ মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী জাহাজটি আটকের আদেশ দেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি পানাগিয়া কানালা’কে আটকের আদেশ দিয়েছেন। পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত জাহাজটি যাতে মোংলা বন্দর ত্যাগ করতে না পারে তাই বন্দরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্টকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ‘টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, উচ্চ আদালত জাহাজটি আটকের আদেশ দিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন একটি চিঠি দিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাহাজটির খালাস কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। কয়লাগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল ১০টায় রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩১ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বহির্নোঙ্গর হাড়বাড়িয়া-১১ তে ভিড়ে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি।
আরও পড়ুন: রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লাবোঝাই জাহাজ নদীর চরে আটকা
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস পর এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলো।
তবে রোয়াংছড়ি উপজেলায় এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় আবারও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, দুটি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে সর্বশেষ তথ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুবই দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বান্দরবানের দুর্গম রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ প্রশাসন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই তিনটি উপজেলায় বর্তমানে সেনাবাহিনী ও বিজিবির অভিযান চলমান রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিন্ধান্তকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা সংবিধান মানে না, তাদের বাংলাদেশি নাগরিক বলা ঠিক না।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা অনেক কিছুই বলবেন। আওয়মী লীগ সংবিধান মেনে চলে। কারণ লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু এ সংবিধান দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আর যারা সংবিধান মানে না, আমার মনে হয়, নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করা তাদের ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদেরকে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত 'গুলশান শপিং সেন্টার'টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টার এর হোটেল, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, গুলশান-১ শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, 'গুলশান-১ শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি খালি করে দেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
জুলকার নায়ন বলেন, 'বার বার সতর্ক করা হলেও তারা পরিত্যাক্ত ভবনটি খালি করছে না। ব্যবসায়ীরা এটি খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান এর ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।'
উক্ত মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ ও ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেট ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সীলগালা করা হয়। মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার তালায় এক নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত আকাশ হোসেন (২২) নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি এলাকার শফিয়ার রহমানের ছেলে এবং পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক।
পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, সাতক্ষীরা শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ভুক্তভোগী ওই নারী। কিছুদিন আগে তার পরিচয় হয় নগরঘাটা এলাকার আকাশের সঙ্গে। গত ৯ জুলাই বিকালে ওই নারীকে নৃত্যের অনুষ্ঠান আছে বলে মুঠোফোনে প্রস্তাব দেয় আকাশ। ঘটনাস্থলে গেলে আকাশসহ আরও দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।
তিনি বলেন, বুধবার (১২ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক বিশ্বজিৎ অধিকারী।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রাজধানীর কল্যাণপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি ১০ আগস্ট
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানির দিন ধার্যের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বছর গত ৮ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা এই রিভিউ আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম শুনানি করেন। মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এরপর বেশ কয়েকবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। বৃহস্পতিবারও কার্যতালিকায় ছিল। পরে আপিল বিভাগ ১০ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৯০৮ পৃষ্ঠার এই রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রায়ে যেসব অপ্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা এসেছে, তা বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণসংক্রান্ত আইন হওয়ার আগেই আপিলের রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এটিসহ মোট ৯৪টি যুক্তি তুলে ধরে রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। শুনানি শেষে পরের বছর ৩ জুলাই তা খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধিও ঠিক করে দেওয়া হয়।
সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণের অংশে দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।
আপিল বিভাগের রায়ে দেওয়া কিছু পর্যবেক্ষণ তখন দেশের রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ওই রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলে একটি পক্ষ। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের রিভিউর জন্য সহকর্মীদের নিয়ে ১১ সদস্যের কমিটি করেন তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারপর কেটে গেছে সাড়ে ৫ বছরেরও বেশি সময়।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
কুড়িগ্রামে মাদক জব্দ, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরের কাতলামারী সীমান্ত এলাকা থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় সাইফুল শেখ (২৪) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সাইফুলকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. রুহুল আমিন।
গ্রেপ্তার সাইফুল শেখ (২৪) ভারতের হাড়-সিংমারী জেলার শুকচর থানার বাসিন্দা।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
রুহুল আমিন জানান, তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উলিুপর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: কড়া নজরদারিতে কুড়িগ্রামের হাটে নেই ভারতীয় গরু
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
দেশ টিভির এমডির ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকবে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৪১ কোটি এক লাখ ২১ হাজার ৭৪২ টাকা ফ্রিজ না করতে হাইকোর্টের আদেশ ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
খুরশীদ আলম খান জানান, এ আদেশের ফলে আরিফ হাসানের ওই ৩৪১ কোটি টাকা ফ্রিজ থাকবে। কাজী আরিফ হাসান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হাসান টেলিকমের ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২০ সালে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরিফ হাসান হাইকোর্টে আসেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গত বছর হাইকোর্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও বলেন, শুনানি শেষে আদালত আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট