%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%A8%E0%A6%B6%E0%A7%83%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%96%E0%A6%B2%E0%A6%BE
ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
দানের বিপরীতে ধার্যকৃত কর দাবি করে এনবিআরের পাঠানো নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স আবেদন খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
এই রায়ের ফলে ড. মোহাম্মদ ইউনণূসের কাছে এনবিআরের দাবি করা দানের বিপরীতে ধার্যকৃত কর দিতে হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
এর আগে গত (২৩ মে) দানের বিপরীতে ধার্যকৃত প্রায় ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে এনবিআররের পাঠানো নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূসের করা তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলার শুনানি শেষ হয়। হাইকোর্ট শুনানি গ্রহণ শেষে ৩১ মে রায়ের দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী আজ (বুধবার) রায় দেওয়া হয়।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ১৯৯০ সালের দানকর আইন অনুযায়ী ২০১১-২০১২ করবর্ষে মোট ৬১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় ১২ কোটি ২৮ লাখ ৭৪ হাজার টাকা কর দাবি করে নোটিশ পাঠায়। একইভাবে ২০১২-২০১৩ করবর্ষে ৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৬০ লাখ টাকা দানকর দাবি করে আরেকটি নোটিশ দেয় এনবিআর।
এছাড়া ২০১৩-২০১৪ করবর্ষে ৭ কোটি ৬৫ হাজার টাকা দানের বিপরীতে প্রায় এক কোটি ৫০ লাখ টাকা কর দাবি করে নোটিশ দেওয়া হয়। দানের বিপরীতে কর দাবির এসব নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূস মামলা করেন।
ড. ইউনূসের দাবি, আইন অনুযায়ী দানের বিপরীতে এনবিআর এই কর দাবি করতে পারে না। ২০১৪ সালে তার মামলা খারিজ করে রায় দেন কর আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে পৃথক তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলা করেন হাইকোর্টে। হাইকোর্ট ২০১৫ সালে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে দানকর দাবির নোটিশের কার্যকারিতা স্থগিত করে রুল জারি করেন। এই রুলের ওপর গতকাল চূড়ান্ত শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: লালসা থেকে বেরিয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হও: ড. ইউনুস
তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন এ মতিন অ্যান্ড কোং-এর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট এ কে আব্দুল মতিন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
এরপর আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বুধবার (৩১ মে) দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় ৫৬ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
এদিন দুপুর ২টার পর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আওয়ামী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়।
এসময় বিচারক আদালতের এজলাস ছেড়ে চলে যান। হট্টগোলের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা আদালতকক্ষে গিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের ধাওয়া করে এজলাস থেকে বের করে দেন। এসময় কয়েকজন আইনজীবী আহত হন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিচারক এজলাসে উঠে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী জানান, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। আর বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা অবস্থান নেন ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে।
বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে বিএনপিপন্থী ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিকাল ৬টা পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য আদালতের সামনে অবস্থান করছিলেন। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কয়েকজন বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এরপর আদালতের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে আদালতের বাইরে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আদালতে এ অচলাবস্থা বিরাজ করছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলায় ইকবাল মান্দ বানুকে মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
বর্তমানে তারা পলাতক। গত ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিল আদালত
বিদেশে থেকে তারেক ও জোবায়দা আইনি লড়াই করতে পারবেন কিনা, আদেশ বৃহস্পতিবার
শ্রমিকদের গ্রামীণ কল্যাণের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের ওপর ছয় মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আদালত।
ড. ইউনূসের পক্ষে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
পরে অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল।
তিনি আরও বলেন, এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
শ্রমিকদের পক্ষের আইনজীবীরা জানান, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উম্মে তাবাসসুম জুঁই নামে তিন বছরের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুঁড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী থানার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ দলডাঙ্গা গ্রামের সমেদ আলীর দুই ছেলে শাহজালাল (২১) ও খয়বর হোসেন (৩২) এবং তাদের সহযোগী আশরাফুল (১৯)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ভুলতা টেকপাড়ায় টেকপাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেনের শিশুকন্যা জুঁইকে অপহরণের পরিকল্পনা করে তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজালাল, খয়বর হোসেন ও আশরাফুল।
উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সকালে বাড়ির সামনে খেলা করার সময় জুঁইকে অপহরণ করে তারা। পরে অপহরণকারীরা শিশুটির বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং টাকা নিয়ে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে যেতে বলে। তবে অপহরণের ঘটনা পুলিশকে জানালে জুঁইকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় অপহরণকারীরা।
অপহরণকারীদের সঙ্গে জুঁইয়ের পরিবারের পাঁচ লাখ টাকায় রফাদফা হয়। টাকা পেলে তারা জুঁইকে ফেরত দেবে বলে আশ্বাসও দেয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
তবে টাকা দিতে দেরি হলে রাতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জুঁইয়ের লাশ বস্তায় ভরে তাদের বাড়ির পেছনে ফেলে যায় অপহরণকারীরা। পরদিন সকালে লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করলে পুলিশ তিন আসামি জাকির হোসেন, শাহজালাল ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে।
পরে আসামিদের মধ্যে দুইজন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিব উদ্দিন জানান, আদালত এই মামলায় ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্ততর্কের পর বিচার প্রক্রিয়া শেষে রায় ঘোষণা করেছেন। বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান জানান, রায় ঘোষণার পর আদালতের নির্দেশে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কোম্পানির ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিপেশন (ডব্লিউপিপিএফ) থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা অপব্যবহারে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের মহাপরিচালক রেজানুর রহমান জানিয়েছেন, কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
মামলা স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন ড. ইউনূসের
টুকু ও আমানের সাজা বহাল হাইকোর্টে
ওয়ান ইলেভেনের সময় দায়ের করা পৃথক দুর্নীতির মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের সাজার রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রায়ে আদালত ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর ৯ বছরের কারাদণ্ড, আমান উল্লাহ আমানের ১৩ বছরের কারাদণ্ড ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক আপিল খারিজ করে এ রায় দিয়েছেন।
একইসঙ্গে রায়ের কপি হাতে পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
গত ১৭ মে দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আপিলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার (৩০ মে) দিন ধার্য করা হয়।
অন্যদিকে গত ১৪ মে দুর্নীতির মামলায় বিএনপির নেতা আমান উল্লাহ আমান ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি শেষ হয়।
আদালতে আমান ও তার স্ত্রীর আপিলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নাজমুল হুদা। টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কেসি এবং অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট সেই আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে আপিল বিভাগ সে রায় বাতিল করে হাইকোর্টকে মামলাটির আপিল পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, গত ১৭ মে দুর্নীতির মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর আপিলের রায়ের জন্য মঙ্গলবার (৩০ মে) দিন ধার্য করা হয়। চার কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা করেন। কমিশনের উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছর ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে টুকু আপিল করলে ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন কেসিসির মেয়র প্রার্থী মুশফিকুর
চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে বিএনপির সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ।
মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) চান্দগাঁও থানায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির পদযাত্রা থেকে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল বিএনপির নেতাকর্মী বিনা কারণে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬০০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার (২৮ মে) বিকেলে মহানগর বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী নগরীর বাকলিয়া এক্সেস রোড এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল বের হয়। মিছিলটি বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছালে নেতারা সমাপনী বক্তব্য দেওয়ার সময় পুলিশ বাঁশি বাজিয়ে ও লাঠি চার্জ করে নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এসময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তবে কোন পুলিশ বা নেতাকর্মী আহত হয়নি।
সে সময় বিএনপির নেতারা জানিয়েছেছিলেন পুলিশের ওপর কোন হামলা ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বিএনপির কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ, পদযাত্রা পণ্ড
পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
দুদকের করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে এক বেসরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এবি ব্যাংকের কারওয়ানবাজার শাখার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মুসা করিম, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ওবায়দুর রশিদ খান এবং কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ সাক্ষ্য দেন।
তাদের সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামীকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, বিচারক এদিন তিনজনের জবানবন্দি শুনে মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় কোনো সাক্ষীকেই জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক জহিরুল হুদার জবানবন্দি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
তারপর ২৫ মে সাক্ষ্য দেন পিরোজপুরের কাউখালীর এমরান আলী শিকদার এবং নড়াইলের লোহাগড়ার সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা দুইজনই বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকাল পত্রিকার হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দেশের বাইরে থেকে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা: চার্জ শুনানি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মুলতবি
ঢাবির বাংলা বিভাগের পরীক্ষায় কান-মুখ খোলা রাখতে হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগে সব ধরনের পরীক্ষার সময় ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তে কানসহ মুখ দৃশ্যমান রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের বিজ্ঞপ্তি স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আপিল বিভাগেও খারিজ
আদালত বলেছেন, বাংলা বিভাগের পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রীদের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু মুখমণ্ডল খোলা রাখতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের পক্ষে করা আপিল আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে সোমবার (২৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সোমবার (২৯ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যার্টনি জেনারেল মো. সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে বিচার চলবে: আপিল বিভাগ
অন্যদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার বেলায়েত হোসেন এবং তাকে সহযোগিতা করেন রিটকারী আইনজীবী ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ ও মাহমুদুল হাসান।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে জানানো যাচ্ছে যে গত ১৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলা বিভাগের একাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে: ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী বাংলা বিভাগের প্রতি ব্যাচের সংযোগ ক্লাস (টিউটোরিয়াল/ প্রেজেন্টেশন), মিডটার্ম পরীক্ষা, চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য কানসহ মুখমণ্ডল পরীক্ষা চলাকালীন দৃশ্যমান রাখতে হবে’।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ সিদ্ধান্ত প্রতিটি ক্লাসে শিক্ষকগণ ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেছেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো কোনো শিক্ষার্থী এই সিদ্ধান্ত পালনে শৈথিল্য দেখাচ্ছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়: ‘১৮ সেপ্টেম্বর গৃহীত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে যারা পালন করবে না তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এ বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, রেজিস্ট্রার ও বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: ফালুর বিরুদ্ধে ত্রাণের টিন আত্মসাতের মামলা বাতিলই থাকবে: আপিল বিভাগ
দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তজিমদ্দিন হত্যা মামলার ২৬ বছর পর তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দীর্ঘ ২৬ বছর পর দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হলো- চিরিরবন্দরের দক্ষিণ শুকদেবপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের দুই ছেলে আফজাল হোসেন ও আব্দুল লতিফ এবং উত্তর ভোলানাথপুর গ্রামের কাচুয়া শাহের ছেলে শামসুল হক।
এদিকে কাফী নামে আরেক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল জানান, ১৯৯৭ সালের ৩১ জুলাই বিকালে তজিমউদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের দুইদিন পর চিরিরবন্দরের দামুয়া পুকুরের কাচুরিপানার ভিতর থেকে তজিমুদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনার পর চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী আরজিনা। এছাড়া হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ।
২৬ বছল ধরে মামলা চলাকালে তথ্য প্রমাণাদি এবং ১৯ জনের স্বাক্ষ্য বিবেচনায় দোষী প্রমাণিত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার