আইনশৃঙ্খলা
সিটি কলেজ এলাকায় সংঘর্ষ: বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্যসহ ১৭ আসামি কারাগারে
বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালনকালে রাজধানীর সিটি কলেজ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে করা মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, ২০ নেতাকর্মীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশীদ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
এদিন রাজধানীর ধানমন্ডি ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩৭ নেতাকর্মীকে আদালতে হাজির করে।
যার মধ্যে ধানমন্ডি থানার একটি মামলায় ২৭ জন এবং নিউমার্কেট থানার একটি মামলায় ছিল ১০ জন।
ধানমন্ডি থানা পুলিশ ২৭ জনের মধ্যে ১২ জনকে তিন দিন এবং নিউমার্কেট থানা পুলিশ ১০ জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে সংঘর্ষের ঘটনায় ৯৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের ২ মামলা
আদালতে আসামি পক্ষের মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি নিয়ে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ধানমন্ডি থানার মামলায় ১২ জনের এক দিন এবং ধানমন্ডি থানার মামলায় আট জনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ১৭ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৩ মে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধানমন্ডির শংকর এলাকায় সমাবেশ করে বেলা তিনটার দিকে পদযাত্রা শুরু করে।
এ পদযাত্রা জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আর ধানমন্ডি থানায় করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকশ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস: ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মাগুরায় আরেকটি মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মাগুরা আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার জেলার আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান মাগুরা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবীরের আদালতে ডিজিটাল আইনে মামলাটি করেন। বিচারক হুমায়ুন কবির মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
শুনানি শেষে আদালত মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার প্রদান করেছেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী শাখারুল ইসলাম শাকিল জানান, আসামি চাঁদ ১৯ মে পুটিয়ায় স্কুল মাঠে জনসভায় বক্তৃতা দানকালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেন। হত্যার হুমকি দেওয়ায় তার জীবনহানী ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যার কারণে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। আসামির এই বক্তব্যে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টিসহ নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ যুবক গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী এলাকার ইউসুফ খলিফার ছেলে মুন্না হাসান (৩৬) এবং একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৭)।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৮ বছর পলাতক যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার: র্যাব
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক মুন্না হাসান ও ও নুর মোহাম্মদ নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে উপজেলার হোসেনগাঁও ইউনিয়নের সুন্দরপুর এলাকায় আদিবাসী আমিন মার্ডিকে মাদকবিক্রেতা বলে ভয় দেখায়। পরে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেন তারা।
তিনি জানান, তাদের আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশের পরিচয় দেওয়া দুই যুবককে আটক করে।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
এবি ব্যাংকে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
এবি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ওঠা নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ মে) একটি জাতীয় দৈনিকে ‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরও বড় জালিয়াতি’- শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুর ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
এই ঋণ অনুমোদেনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআিইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের আগে স্বপ্রণোদিত রুল ও নির্দেশনার বিরোধিতা করেন উপস্থিত আইনজীবী আহসানুল করিম, মাহবুব শফিক ও মইনুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম।
আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে বলেন, এ ঋণের বিষয়টি জানতে পেরে এরই মধ্যে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিএফআইইউ আটকে দিয়েছে।
যেহেতু ঋণটি আটকে দেওয়া হয়েছে, এ অবস্থায় রুল জারির প্রয়োজন দেখছি না। রুল, আদেশ হলে ব্যাংকটির আমানতকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়বে, তাদের মধ্যে ভীতি তৈরি হবে।
আদেশ হলে ব্যাংকটির শেয়ারের দাম সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যাবে। যে কারণে বলছি, স্বপ্রণোদিত রুল-আদেশ সবসময় মঙ্গলজনক নাও হতে পারে।
আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, রুলসহ আদেশ দেওয়ার আগে প্রতিবেদনটির সত্যতা যাচাই করার জন্য এক সপ্তাহ সময় নেওয়া যেতে পারে। প্রতিবেদনটির বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করা জরুরি।
দেখা যাক, এবি ব্যাংক এই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো প্রতিবাদ দেয় কি না। আদেশের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা যেতে পারে।
আইনজীবী মইনুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই ব্যাংকিং খাতের অবস্থা টালমাটাল। এ অবস্থায় রুল আদেশ দিলে এ পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। সারা বিশ্বেই ব্যাংকিং খাতে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন দেশে অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে।
এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ তার বক্তব্যে আপত্তি জানিয়ে আলোচ্য বিষয় অর্থাৎ ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকতে বলেন।
তবে আইন কর্মকর্তা রুল জারি বা অন্তবর্তী আদেশ দেওয়া না দেওয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি এরপর আদালত রুলসহ আদেশ দেন।
যে কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে এবি ব্যাংক তার মালিকানায় দুই জনের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এর সুবিধা নিতে যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন।
যিনি কিছুদিন আগে ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
যদিও জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ ফিইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলী হায়দার রতনের নামে পাঁচ ব্যাংকে বর্তমানে ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের কার্যাদেশের বিপরীতে সন্দেহজনক উপায়ে নেওয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানির নামে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ সম্প্রতি অনুমোদন করে এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গত ১০ জানুয়ারি ব্যাংকটির গুলশান শাখায় ঋণের আবেদন আসে।
আবেদনে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেখানো হয় মোহাম্মদ আতাউর রহমান ও মো. মামুন রশিদকে। তবে এর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে রতনের মালিকানাধীন ইনফ্রাটেক কনস্ট্রাকশনের, যার কার্যালয় ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে। আর আবেদনপত্রের প্যাডে যে ই-মেইল ও ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়েছে তা-ও তারই মালিকানার ব্র্যান্ডউইন নামে আরেকটি কোম্পানির।
এ কোম্পানির নামে দ্রুত ঋণ ছাড় করতে আবেদনের দিনই এবি ব্যাংকের গুলশান শাখা ব্যবস্থাপকসহ তিন কর্মকর্তা গ্রাহকের ধানমন্ডির অফিস ও বাড়ির ঠিকানা পরিদর্শন করে একটি পরিদর্শন প্রতিবেদন দেন।
গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের নামে কখনও কোনো আমদানি না হলেও ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাহক প্রচুর পরিমাণে জ্বালানি, নির্মাণসামগ্রী, রাসায়নিক পদার্থ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য আমদানি করেন।
বিএফআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমদানি তো দূরে থাক, কোম্পানিটির নিবন্ধন নেওয়া হয় গত বছরের জুনে। এরপর গত নভেম্বরে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়ে এবি ব্যাংকের গুলশান শাখায় একটি হিসাব খোলা হয়।
এর বাইরে কোনো লেনদেনও নেই। অথচ ভুয়া পরিদর্শন প্রতিবেদন দিয়ে একেবারে নতুন নিবন্ধিত কোম্পানিকে বড় কোম্পানি দেখানো হয়। পরদিন ঋণপ্রস্তাবটি শাখা থেকে প্রধান কার্যালয়ের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে পাঠানো হয়। আবেদনের এক মাস পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের ৭৫৫তম পর্ষদ সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জোর চেষ্টায় তা অনুমোদন হয়।
আবার ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে ঋণ অনুমোদন হলেও সব ধরনের ব্যাংকিং রীতিনীতি অমান্য করে ইনফ্রাটেকের অনুকূলে ১৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার গ্যারান্টি ইস্যু করে ব্যাংক।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে পাঁচ ব্যাংক থেকে নেওয়া রতনের ঋণের বেশিরভাগই এখন খেলাপি। যে কোনো খেলাপিকে নতুন করে ঋণ দিতে পারে না ব্যাংক।
যে কারণে ভিন্ন কৌশলে আলী হায়দার রতনকে ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করে এবি ব্যাংক। আগের সব ঋণই নেওয়া হয় সরকারি রাস্তার কার্যাদেশের বিপরীতে।
সরকারি কার্যাদেশের বিপরীতে নেওয়া ঋণ সরাসরি ব্যাংকের হিসাবে জমা হয়। সেখান থেকে ব্যাংক টাকা কেটে লাভের অংশ গ্রাহককে পরিশোধ করে।
তবে ন্যাশনাল, ইউসিবিএল, এসআইবিএল, জনতা ও বেসিক ব্যাংক থেকে নেওয়া ৬০৯ কোটি টাকার কোনো বিল সরাসরি ব্যাংক হিসাবে জমা হয়নি। ফলে এসব ঋণ এখন খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া আদৌ কার্যাদেশ পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ব্যাংকগুলোতে। যদিও এ নিয়ে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১ টার দিকে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে সেখানে যান র্যাব ও পুলিশের দুটি দল।
নিহতরা হলেন- ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের রুবেল এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে আসে। পথিমধ্যে সড়ক থেকে তাদের বহনকারী সিএনজি থামিয়ে একদল অপহরণকারীরা পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে নির্যাতনের ভিডিও পাঠায়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবিতে নিহত ১, উদ্ধার ১৩
ঘটনার পর থেকে পরিবারের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি সংস্থায় যোগাযোগ রক্ষা করে। কিন্তু গহীন জঙ্গল এবং অপহরণকারীরা বার বার স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার এবং কাউকে আটক করা যায়নি।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করে র্যাব। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম গভীর পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। আটককৃত অপহরণকারীর দেখানো মতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
চাঁদপুরে ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ শিশু হত্যার অভিযোগ, কিশোর গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ‘ভারতীয় সিরিয়াল দেখে’ উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুকে হত্যার অভিযোগে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) দুপুরে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিলন মাহমুদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
নিহত আদিল মোহাম্মদ সোহান (৮) পৌর এলাকার রুদ্রগাঁও তালুকদার বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। গ্রেপ্তার আবদুল আহাদ (১৭) একই এলাকার শরীফ তালুকদারের ছেলে। সে এই বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আ.লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ সুপার বলেন, আদিল গত ১৫ মে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। মসজিদ থেকে বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে পরদিন ১৬ মে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন তার বাবা। ১৯ মে সকালে প্রতিবেশি আবদুল মতিন জমি থেকে আদিলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা আনোয়ার হোসেন ফরিদগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর পুলিশের একটি টিম মামলাটির তদন্ত শুরু করে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, মঙ্গলবার (২৩ মে) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এবং জানায় ভারতীয় সিরিয়াল সিআইডি দেখে সে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য আদিলকে অপহরণ করে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সে তার মায়ের মোবাইল ব্যবহার করে আদিলের মার কাছে মুক্তিপণ আদায়ের জন্য কল দেয়। কিন্তু আদিলের মা তার সন্তানকে খুঁজতে গিয়ে মোবাইল ফোন ঘরে রেখে যান। যে কারণে ফোন রিসিভ হয়নি। এরপর সে নিজেও শিশুটির পরিবারের সঙ্গে তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এরপর গভীর রাতে প্রতিবেশি আবদুল মতিনের জমিতে আদিলের লাশ পুঁতে রাখে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচ এম আহসান উল্লাহসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকায় ৮ বছর পলাতক যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার: র্যাব
ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করার দায়ে হিন্দু যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রংপুরে ইসলাম ধর্মবিরোধী মন্তব্য করার দায়ে টিটু নামে এক হিন্দু যুবককে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত টিটু রায় রংপুরের গঙ্গাচড়া থানার হরিকলি ঠাকুরপাড়ার মৃত খগেন্দ্রনাথ রায়ের ছেলে।
পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রায় ছয় বছর আগে ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম ও নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের মামলায় রংপুরের একটি আদালত টিটু রায়কে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে কর্মরত থাকাকালীন ২৮ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে টিপু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম বিরোধী মন্তব্যের পোস্টটি আপলোড করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর রংপুরের শ্লেয়াশাহ বাজারে টিটুর শাস্তির দাবিতে স্থানীয় মুসলমানেরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঠাকুরপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। পরে এ ঘটনায় রংপুর সদর ও গঙ্গাচড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়।
রায় প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে পিপি বলেন, তারা ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং এটি ধর্মের অবমাননার একটি দৃষ্টান্ত হবে।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী প্রশান্ত কুমার রায় জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত: জিএমপি কমিশনার
গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বুধবার বলেছেন, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৩ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০-২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আমি আশা করি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে সকলের প্রচেষ্টায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হয়েছে এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম জানান, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসার সদস্যদের ৩০টি টিমের পাশাপাশি ২০ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
ইতোমধ্যে ইভিএম মেশিন ও প্রয়োজনীয় সব উপকরণ ভোটকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে এবং সব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
৫৭টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে এবং ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ১৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটকেন্দ্রে সজাগ থাকবে।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এসব কেন্দ্রে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন এবং কাউন্সিলর পদে ২৪৮ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মোট ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ, পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা ১৮ জন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বছরের বাজেটের আগে মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব ঘাটতি ও ডলার সংকট অর্থনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: সেই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মামলা
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের (৬৫) বিরুদ্ধে ফরিদপুরে মানহানি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতে এ মামলাটি করা হয়।
মামলা করেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক। তিনি জেলা শহরের দক্ষিণ আলীপুরের ওলিউল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
দুপুরে ফরিদপুর কোর্টের পরিদর্শক আবুল খায়ের মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকির ফলে তার জীবনহানি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মী বর্তমানে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
তাছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে বিএনপি নেতার বক্তব্য প্রচার হওয়ায় তা মানহানি হয়েছে। মানহানির ঘটনায় ২০ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম ১নং আমলী আদালতের বিচারক তরুণ বাছার মামলাটি আমলে নিয়ে তা এফআইআর এর জন্য কোতোয়ালি থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলাটি দায়েরের সময় জেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংঘঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির পর সারা বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিক্ষুব্ধ মানুষ হুমকিদাতার বিচার চাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, মেরে ফেলে ও কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি জাতিসহ বিশ্ব বিবেক মানে না।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমরা আইনের দারস্থ হয়ে বিচার চেয়েছি। আশা করছি আদালতে সুষ্ঠু বিচার পাবো।
তিনি দাবি করেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে বিএনপির যে এটা নীলনকশা ছিলো তা ফাঁস হয়ে গেছে। জাতি জেনে গেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, বাসে আগুন
রাজধানীর ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারের সামনে মঙ্গলবার পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি জানাতে বিকালে ধানমন্ডি এলাকায় পূর্বনির্ধারিত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।
পদযাত্রা শেষে তারা একটি মিছিল বের করে, যা সায়েন্সল্যাব মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
তারা সিটি কলেজের দিকে অগ্রসর হলে বিকাল ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ছোঁড়ে ও লাঠিচার্জ করে।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফ হোসেন জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি কর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও একটি বাসে আগুন দেয়।
ডিসি আশরাফ আরও বলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে।’
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ জন আহত
খুলনায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ