আইনশৃঙ্খলা
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের ভালুকায় ২০০৯ সালে ব্যবসায়ী সিরাজুল হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাহাদত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলাম। এদের মধ্যে শহীদুল পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে জোড়া খুনের মামলায় ২ যুবকের যাবজ্জীবন
কোর্ট ইন্সপেক্টর ঝুটন চন্দ্র বর্মণ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভালুকার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের সিরারুল ইসলাম ২০০৭ সালে জোসনা বেগমকে বিয়ে করেন। এরপর জোসনা পার্শ্ববর্তী এলাকার শহীদুলের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে গেলে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বাড়ির পাশে কাঠাল গাছে সিরাজুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সিরাজুলের ছেলে বাদি হয়ে জোসনা বেগম ও শহীদুল ইসলামকে আসামি উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ভালুকা থানায় মামলা করলে তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
আদালতে সরকারি পক্ষে আইনজীবী শেখ আবুল হাসেম মামলাটি পরিচালনা করেছেন।
বাদিপক্ষ আদালতের রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে চুরির মামলায় ইউপি সদস্য কারাগারে
পিকআপ চুরি মামলায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে ময়মনসিংহের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ড.রাশেদ হোসাইন আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার ৪নং আঠারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং মৃগালী ওয়ার্ডের সদস্য।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
বাকি আসামিরা হলেন-সুমন, শহীদ মিয়া ও রবিন মিয়া। তারা সবাই উপজেলার আঠারবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার বাদি আ. রশিদ জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনের আগে তার একটি পিকআপ গাড়ি চুরি করে নিয়ে যায় আসামিরা। এনিয়ে এলাকায় একাধিক শালিস বৈঠক হলে তারা গাড়িটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গাড়িটি ফেরত না দেওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করেন।
ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট এবিএম ফজলুল করিম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একটি চুরির মামলায় আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। এ সময় আদালতের বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু
সিলেটে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জন কারাগারে
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি দেওয়ার বিষয়ে আদালতের আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ মে সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ মে) বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
তলবের আদেশটি বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে রাজউকের চেয়ারম্যানকে পাঠানোর জন্যে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গোলাম রসূল। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার নুরুল আজিম।
আইনজীবীরা ব্যারিস্টার নুরুল আজিম জানান, ২০০৪ সালের পূর্বে ফরিদা বেগম নামে এক ব্যক্তি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি (ফরিদা বেগম) তার নামে নেওয়া প্লটটি (নিকুঞ্জ আবাসিক মডেল টাউনে ফারুক সরণির নং ১৯ প্লটে ২ কাঠা ৮ ছটাক জমি) অপর একজনের নামে (খালেদ মাহমুদ) হস্তান্তর (বিক্রি) করেন।
এরপর খালেদ মাহমুদ সব নিয়ম মেনে রাজউকের সমুদয় পাওনা অর্থ পরিশোধ করেন। তবে এ বিষয়ে রাজউক একটি চিঠি দিয়ে খালেদ মাহমুদসহ ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করে।
বাতিল করা ওই ১১ প্লটের মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল।
পরে রাজউকের প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে হাইকোর্টে রিট করেন রাজধানীর নিকুঞ্জের বাসিন্দা খালেদ মাহমুদ।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ মার্চ হাইকোর্টের ওই প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।
ওই রুলের শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথি প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সে আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আরজি জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করে আদেশ দেন।
আগামী ১৮ মে তাকে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামী জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার ভোরে শহরের আরাপপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহুরুল ইসলাম কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: যশোরের শার্শা সীমান্ত থেকে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ২
র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইশতিয়াক হোসাইন জানান, ১৩ মে ঝিনাইদহের আরাপপুরের একটি ভাড়া বাসায় যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সীমা খাতুনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা হয় জহুরুলের।
এক পর্যায়ে জহুরুল ইসলাম ইট ও হাতুড়ি দিয়ে সীমাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে সীমাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাব কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর র্যাব অভিযান শুরু করে।
জহুরুল আরাপপুর এলাকায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যৌতুক ও পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে খাদ্য কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক
নীলফামারীতে চার মাসের শিশুকে হত্যার অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার
না.গঞ্জে ৪ হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, খালাস ১১
২০ বছর আগে ২০০২ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের চার কর্মীকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ২৩ জনের মধ্যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া ১১ জনকে খালাস এবং সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজন মারা যাওয়ায় তাদের আপিল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
মঙ্গলবার (১৬ মে) ২৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর রায় দেন বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন-আইনজীবী জমির উদ্দিন সরকার, এম এম শাহজাহান, ফজলুল হক খান ফরিদ, মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, শেখ মো. শামসুজ্জামান ও ইসরাত জাহান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন-ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
যে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে তারা হলেন-জহিরুল হক ভূইয়া ওরফে জহির মেম্বার ও আব্দুল আহাদ।
২৩ আসামিদের মধ্যে যে তিন আসামি মারা গেছেন তারা হলেন-আবুল বাশার ওরফে কাশু চেয়ারম্যান, ইউনুস আলী মেম্বার ও ইদ্রিস আলী।
যাবজ্জীবন দণ্ড দেওয়া হয়েছে-মো. ফারুক, মো. খোকন, মো. ডালিম, মো. রোহেল, লিয়াকত আলী, আল আমিন ও রুহুল আমিনকে।
এছাড়া খালাস পাওয়া ১১ আসামি হলেন-সিরাজ উদ্দিন ওরফে সিরাজ, সাহাব উদ্দিন, মো. হালিম, ইয়াকুব আলী, মো. আমির হোসেন, মো. আবুল কালাম, মো. রফিক মিয়া, গোলাম আজম, আব্দুল হাই, হারুন ও তাজুদ্দিন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ।
জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ সকালে আড়াইহাজার উপজেলার জালাকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আব্দুর বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক এবং কবির হোসেনকে তৎকালীন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল বাশারের নেতৃত্বে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত বারেকের বাবা আজগর আলী বাদী হয়ে আবুল বাশারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নামোল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ২৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এর মধ্যে ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী লীগে যোগ দেন এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার।
পরবর্তীতে এ মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ১৭ মে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কামরুন নাহার ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
এরপর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আর আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্ট বেঞ্চে ‘বকশিশ’ নিষিদ্ধ, নির্দেশনা জারি
দুদকের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি ১ জুন
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে শেষ বারের মতো অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য সময় মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলাটির অভিযোগ শুনানির কথা ছিল। এজন্য সকালে সম্রাট আদালতে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
তবে তার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর আদালত শেষ বারের মতো সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ শুনানির নতুন তারিখ ১ জুন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়েক করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ৯ এপ্রিল
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
বাফুফে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
রুলে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়াসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাফুফের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদককে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাফুফের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান চেয়ে রিট
এর আগে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত রবিবার ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন হাইকোর্টে রিট করেন। আজ ওই রিটের ওপর শুনানি হয়। রিটের পক্ষে ব্যারিস্টটার সুমন নিজেই শুনানি করেন। বাফুফে কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন ও ব্যারিস্টার মারগুব কবির। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
আদেশের পর রিটকারী ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি ঐতিহাসিক আদেশ হয়েছে। মনে করা হতো, বিদেশ থেকে ফান্ড আসলে বিদেশিদের খুশি করতে পারলেই হতো। কিন্তু আজকের আদেশে প্রমাণিত হলো টাকা যে জায়গা থেকেই আসুক না কেন, বাংলাদেশের মানুষকে বঞ্চিত করা হলে তা আইনের আওতায় আসবে।
তিনি বলেন, ফিফার টাকা আত্মসাত করায় বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের ওপর দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। কিন্তু তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে অনুসন্ধানে নিষ্ক্রিয় থাকায় আমি রিট করি। হাইকোর্ট রিটের শুনানি করে ফিফা থেকে পাঠানো এবং বাংলাদেশ সরকারের যে টাকা বাফুফের ফান্ডে এসেছে হাইকোর্ট সেই ফান্ডের ব্যাপারে দুর্নীতি, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাত ও পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন। দুদককে অনুসন্ধান করে চার মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
এর আগে বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিটের প্রার্থনায় বলা হয়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, সে ব্যাপারে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অভিযোগ অনুসন্ধান করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয়। পাশাপাশি ৩ মে দুদকে করা রিট আবেদনকারীর আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে সংস্থাটির (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাফুফে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল: ১-১ গোলে ড্র শেখ জামাল-বসুন্ধরা
নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে সোবহান ফারাজী হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। অপরদিকে ওই হত্যা মামলায় অন্য ২১ আসামিকে আদালত বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আকরাম হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
নড়াইল জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এমদাদুল ইসলাম ইমদাদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িয়া গ্রামের ফায়জুর মোল্যা, ফারুক মোল্যা, কামাল খাঁন, আশিকুর রহমান, ফসিয়ার মোল্যা।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভাইকে হত্যা: ৩০ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
রায়ের সময় তিনজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকী দুইজনের মধ্যে আশিকুর রহমান পলাতক ও ফসিয়ার রহমান মারা গেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ২০১০ সালের ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৭টার সময় সাতবাড়িয়া গ্রামের সোবহান ফারাজী নিজ জমিতে পানি দেওয়ার জন্য ডিজেল কিনতে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে সোবহান ফারাজীকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত সোবহান ফারাজীর ভাই জলিল ফারাজি বাদি হয়ে ২৬ জনকে আসামি করে কালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
রবিবার বেলা ১১ টার সময় নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো.আকরাম হোসেন এ হত্যা মামলার বিচারে দোষী সাব্যস্থ করে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামীদের বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
হিন্দু নারীদের বিবাহ নিবন্ধন, বিচ্ছেদ, ভরণপোষণ ও উত্তরাধিকার বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে এসব ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া হিন্দু নারীদের অভিভাবকত্ব ও দত্তক গ্রহণে কেন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন।
রবিবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: হিন্দু নারীদের উত্তরাধিকার আইন বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত শুনবেন হাইকোর্ট
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এসব রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, শাহীনুজ্জামান, সৈয়দা নাসরিন, এসএম রেজাউল করিম।
গত (২ মে) আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), নারীপক্ষ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, অভিযান এবং উজ্জ্বল পাল, পলি ব্যানার্জি ও বিথীসা বাগচী হাইকোর্টে রিট করেন।
সে রিটে হিন্দু নারীদের বিবাহ বিচ্ছেদ, নিবন্ধন, ভরণপোষণের অধিকার, অভিভাবকত্ব, দত্তক গ্রহণ, সমান উত্তরাধিকার এবং তাদের মৌলিক অধিকার, জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যার সমাধানের আর্জি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: হাইকোর্টে দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামির জামিন
বাফুফের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান চেয়ে রিট
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফের) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ মে) সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন।
রিটে যুব ও ক্রীড়াসচিব,বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান,বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাফুফের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদককে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে ২ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী।
বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি আজ রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
ব্যারিস্টার সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন হচ্ছে না। ফুটবলকে বাঁচাতে হলে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ কারণে রিট দায়ের করেছি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে ইমরান খান