আইনশৃঙ্খলা
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানায় ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ টিকটকার গ্রেপ্তার
ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করে টিকটক ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার সদর উপজেলার শ্রী কৃষ্ণপুর কোনবাড়ি গ্রামের নিমাই বর্মন (৪৬) বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কুয়াকাটায় পর্যটকদের মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
মামলার আসামিরা হলো-সদর উপজেলার শ্রী কৃষ্ণপুর কোনপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. রিপন ইসলাম (১৭), একই গ্রামের মো. হামিদ ইসলামের ছেলে মো. সজীব ইসলাম (১৩) ও মো. সফর উদ্দিনের ছেলে মো. সোহেল ইসলাম (১৫)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার নারগুন ইউনিয়নের শ্রী কৃষ্ণপুর কোনপাড়া সুক নদীর শ্মশান ঘাট বালুর চড়ে ওই তিন কিশোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন এক টিকটক ভিডিও বানান।
পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
বিষয়টি মামলার বাদি নিমাই বর্মনের চোখে পড়লে তিনি ওই তিন যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে, ভিডিওগুলো ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা আক্রমনাত্মক কথাবার্তা বলেছেন।
পরে মামলার বাদি স্থানীয় মন্দির কমিটির লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করেন ও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন জানান, উল্লিখিত তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জেলা শাখার সাবেক কমান্ডার এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৯ মে) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
দণ্ডিত এরশাদ হোসাইন ওরফে মামুন দিনাজপুর জেলার সরকারপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবির চট্টগ্রাম জেলার কমান্ডার ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ।
তিনি জানান, একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বুলবুল আহমেদ সরকার ওরফে ফুয়াদ (২৬), মো. সুজন (২৪) ও মাহাবুবুর রহমান ওরফে খোকন (৩৫)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ থানার মীর আউলিয়ার মাজার সড়কের এনআর স্টিল মিলের সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাসা থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বইসহ এরশাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আকবর শাহ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর শাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোলায়মান ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল চারজনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন।
পরে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করে আদালত তাদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা তিনটি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
এর আগে গত ৩ মে ঢাকার পল্টন ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় দায়ের করা আরও পাঁচটি মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে আরও মামলা থাকায় তিনি আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না।
তার বিরুদ্ধে মোট ৪১টি মামলা রয়েছে। গতকাল তিনটিসহ মোট ২০টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
মামুনুলের কারামুক্তির জন্য আরও ২১টি মামলায় জামিন প্রয়োজন।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানাধীন রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণাসহ মামুনুল হককে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হলে ঝর্ণাকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন মামুনুল।
২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টকাণ্ডের পর থেকেই মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তাকে নজরদারিতে রেখেছিল।
পরে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা।
তার বিরুদ্ধে করা ৪১টি মামলার মধ্যে মতিঝিল থানায় করা চারটি, পল্টন থানায় ৯টি, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় তিনটি, সিদ্ধিরগঞ্জে তিনটি, হাটহাজারী মডেল থানায় আটটি, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় একটি, কুমিল্লার চান্দিনা থানায় একটি, রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি, মোহাম্মদপুর থানায় একটি, দারুস সালাম থানায় পাঁচটি ও মিরপুর মডেল থানায় তিনটি।
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনালেও দু’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ধর্ষণ মামলায় কারাগারে
নারায়ণগঞ্জে মুদি ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মুদি ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সোনারগাঁ উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত আনিছুর রহমানের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম জহির (৩৪) এবং আড়াইহাজার উপজেলার বারোইপাড়া গ্রামের মৃত হক সাহেবের ছেলে ইউনুস (৩০)।
আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বাবাকে হত্যার পর মাটিচাপা, ছেলে গ্রেপ্তার
র্যাব-১১ (মিডিয়া) এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কর্মকর্তা রিজওয়ান সাঈদ জিকু জানান, এলিট ফোর্স সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও মদনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান, আসামিদের সঙ্গে ভিকটিম আমির হোসেনের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আসামি আমির হোসেনকে তার বাসা থেকে ফোন করে।
পরে তাকে হত্যা করে লাশ নারায়ণগঞ্জের মাদবদী এলাকার জাকির হোসেনের ধানখেতে ফেলে দেয়।
রবিবার নিহতের স্ত্রী জাকিয়া আক্তারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া আসামি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের আড়াইহাজার থানায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামাবাদের আদালত থেকে ইমরান খান গ্রেপ্তার
মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন হত্যার ২০ বছর পর খুনি গ্রেপ্তার
মিতু হত্যা মামলা: অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ
স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর ফলে বিচারিক আদালতে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যা মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী এবং বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
বাবুল আক্তারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১৩ মার্চ মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। পরে অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বাবুল আক্তার।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন বাবুল বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।
পরে একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুলসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় জামিন পাননি বাবুল আক্তার
দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড
অস্ত্র আইনের মামলায় আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে ঢাকার মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরাভ খান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এ কে এম সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৭ মে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত। আরাভ খান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
গত ২৮ মার্চ মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। পলাতক থাকায় আরাভ খান নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করতে মগবাজারের বাসায় যান। একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় ওই দিনই আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুণ্ডু।
মামলাটি তদন্ত করে ২০১৫ সালের ১ মার্চ আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার।
একই বছরের ১০ মে আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান তিনি।
এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর আরাভের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি
'পাকিস্তান' শব্দ যুক্ত থাকা আইনের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
দেশের প্রচলিত আইনে যেগুলোর মধ্যে ‘পাকিস্তান’, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ ও ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ যুক্ত রয়েছে সেগুলোর তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা করতে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
আর ৬০ দিনের একটি তালিকা দাখিল করত নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রবিউল আলম।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, দেশ স্বাধীনের পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট এ পাকিস্তান, ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান এবং ইস্ট পাকিস্তান শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়।
এরপর কিছু আইনে বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও অনেক আইনে শব্দগুলো রয়েছে।
যেমন-দ্য ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স ১৯৫৯, দ্য ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স ১৯৬১, দ্য এগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স ১৯৬২, দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট ১৯৬২, দ্য সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট ১৯৬৩, দ্য পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯ এবং দ্য গভর্নমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।
এগুলোয় এ সব শব্দ থাকাটা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম রিট করেন।
আদালত শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
সিলেটে রাস্তার পাশ থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আপাতত স্থগিতই থাকছে
সাভারের রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) আগামী ১০ জুলাই শুনানি হবে।
এই সময় পর্যন্ত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন হাইকোর্টে স্থগিত
এর আগে এই মামলায় সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করে (রুল অ্যাবসলিউট) গত ৬ এপ্রিল রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে, যা গত ৯ এপ্রিল চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় রবিবার বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সোহেল রানার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা করেন।
২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
এ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ১ মার্চ এ হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে গত ৬ এপ্রিল সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আদেশ স্থগিত
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাত হারানো শিশুটিকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাম হাত হারানো ১১ বছরের শিশু ও তার পরিবারকে কেন চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের অবহেলা, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ওই শিশুর বাবার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
সোমবার শিশুর পক্ষে রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মিয়া সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, চার সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যুৎ সচিব, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চেয়ারম্যান ও মহাব্যবস্থাপক, ছাগলনাইয়া জোনের উপ মহাব্যবস্থাপক এবং সংশ্লিষ্ট বাড়ির মালিক শেখ আজিজুল হক নিশানকে হাইকোর্টের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিকাল ৪টায় ওই ভাড়া বাসায় রেজাউল করিম সোহাগ সরকারের ১১ বছরের ছেলে রাফি বারান্দায় খেলা করছিল। এ অবস্থায় তার হাতে থাকা ‘দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত একটি স্টিলের টেপ’ বারান্দা ঘেঁষা কাভারবিহীন বৈদ্যুতিক তারের ওপর পড়ে। বৈদ্যুতিক শকের কারণে রাফির বাম হাত, পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে গুরুতর জখম হয়।
বৈদ্যুতিক শকের পর শিশুটিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার্থে তার বাম হাতের কব্জি কেটে ফেলা হয়।
এখন তার কৃত্রিম হাত সংযোজনে ৪০ লাখ টাকা লাগবে। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ২২ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে।
বিকলাঙ্গ হওয়ায় ভবিষ্যৎ ক্ষতিপূরণ তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। সর্বমোট চার কোটি ২২ লাখ টাকা ক্ষতি দেখিয়েছে শিশুটির বাবা।
এ বিষয়টি জানিয়ে ছাগলনাইয়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক বরাবর জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার দক্ষিণ মোটুয়ার শেখ আবুল হোসেন মাস্টারের ছেলে শেখ আজিজুল হক নিশানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রেজাউল করিম সোহাগ সরকার।
আরও পড়ুন: সাবেক জিসিসি মেয়র জাহাঙ্গীরের মনোনয়ন বাতিল চ্যালেঞ্জে করা রিট খারিজ হাইকোর্টের
বঙ্গবন্ধুর দুর্নীতি বিরোধী ভাষণগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে রুল জারি হাইকোর্টের
চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৮৮ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদবিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ এ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ‘৫০০ কোটির বাড়ি’র মালিকের নামে দুদকের মামলা
দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সোমবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক সহকারী কমিশনার এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী।
ফেনীর ফুলগাজী থানার বাসিন্দা এ বি এম শাহাদাত হোসেন মজুমদার সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে অবসর নেন।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর চুনা ফ্যাক্টরী এলাকায় তার বাড়ি ও মার্কেট রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন এই দম্পতি। কিন্তু এ বি এম শাহাদাত হোসেন ১৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।
এ ছাড়া তার মালিকানাধীন মার্কেটের নির্মাণব্যয় কম দেখিয়ে ৬৮ লাখ ১৮ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন।
এছাড়া তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা চৌধুরী ২৭ লাখ এক হাজার ৮০৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি ৭৫ লাখ ২৬ হাজার ৪৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত জানান, প্রাথমিক তদন্তে সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং জ্ঞাত উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্থ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে।
তাই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় সেলিম প্রধানের ৮ বছরের কারাদণ্ড
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা