আইনশৃঙ্খলা
ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি: বাংলাদেশ র্যাবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে বলে আশা যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশা করে যে বাংলাদেশ সরকার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর বিরুদ্ধে প্রচারিত একটি তথ্যচিত্র এবং জার্মান সম্প্রচারকারী সংস্থা ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ) প্রকাশিত একটি নিবন্ধে আনা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে।
শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি এখান থেকে কোনো পদক্ষেপের লক্ষণ দেখতে যাচ্ছি না। তবে আমরা এই নিবন্ধ ও ভিডিওতে আনা অভিযোগগুলো খুব সাবধানতার সঙ্গে পরীক্ষা করব এবং আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারও তাই করবে।’
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস প্যাটেলকে উদ্ধৃত করে বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধীদের জবাবদিহি করতে হবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, র্যাব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং এটি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: র্যাব কিছু কাজ উল্টাপাল্টা করেছে, তবে এখন অনেক ম্যাচিউরড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের ওপরের মার্কিন নিষেধাজ্ঞা খুব শিগগিরই উঠে যেতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
র্যাবের সংস্কার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সাক্ষর-সিল জালিয়াতির অভিযোগে নাপিত গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সিল ও সাক্ষর জাল করার অভিযোগে এক নাপিতকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ পঞ্চগড় পৌরসভার জালাসি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার মো. মোজাম্মেল হক (৪৮) সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের মৃত ফয়জুল হকের ছেলে এবং পেশায় নাপিত।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ, ৪ যুবক গ্রেপ্তার
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম সিরাজুল হুদা নিজ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগসহ হাঁস-মুরগি, ছাগল পোড়ানোর বিচারপ্রার্থী হিসেবে আসামিদের বিরুদ্ধে শাস্তির জন্য আবেদন জানায়। ওই আবেদনগুলোর স্বপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সাক্ষর ও সিল জাল করে পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, পরে দরখাস্তগুলোতে সিল সই দেখে সন্দেহ হলে পুলিশ সুপার ও পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নেন। খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন মোজাম্মেল হকের দরখাস্তের সাক্ষর ও সিল জাল এবং ওই দুই কার্যালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। পরে তাৎক্ষণিক মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করে।
পরে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলার জেলা প্রশাসক ও এসপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় থানায় নাপিতের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
এছাড়া গ্রেপ্তার মোজাম্মেল হককে শুক্রবার রিমান্ডের আবেদনসহ পঞ্চগড় আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান এসপি সিরাজুল।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, পঞ্চগড় থানার এস আই রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৫ এপ্র্রিল জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ এনে মোজাম্মেল হককে আসামি করে এবং একই তারিখে পঞ্চগড় থানার এসআই মাসুদ রানা বাদী হয়ে মোজাম্মেল হকসহ অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
গাজীপুরে বিদেশি পিস্তল ও মাদক জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের খালি আসনের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনে প্রথম বর্ষে (সম্মান) গুচ্ছভুক্ত ভর্তিতে খালি আসনের তালিকা তৈরি ও প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মেধা তালিকায় থাকা ভর্তি বঞ্চিত তিন শিক্ষার্থীর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
এদিকে রুলে খালি আসন পূরণ না করে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী নয়: হাইকোর্ট
আদেশে হাইকোর্ট বলেছেন, এক মাসের মধ্যে ইউনিট ভিত্তিতে খালি আসনের তালিকা প্রস্তুত এবং প্রকাশ করতে হবে।
আবেদনকারীরা মেধা তালিকা অনুসারে যোগ্য হলে তাদের ভর্তি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এবি এম ওয়ালীউর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এবি এম ওয়ালীউর রহমান খান জানান, ২০২১-২০২২ সেশনে ৩০ জুলাই থেকে ২৩ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা হয়। রিট আবেদনকারীরা বিভিন্ন ইউনিটে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৫৪ দশমিক ৫০ থেকে ৫১ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন। আর ভর্তির জন্য সর্বনিম্ন স্কোর হচ্ছে ৩৫ নম্বর।
কিন্তু ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ফাইনাল তালিকা প্রকাশ না করে এবং বিভিন্ন আসন খালি থাকার পরও কর্তৃপক্ষ ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়। আসন খালি রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করা সঠিক নয়। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দণ্ডপ্রাপ্ত ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের হাইকোর্টে জামিন
এছাড়া এসব বিষয়ে উল্লেখ করে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে সাড়া না পেয়ে শিক্ষার্থীরা রিট করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারীরা হলেন-
বরিশালের ইমাম হোসেন, কুমিল্লার মো. ওয়হিদুর রহমান লিমন ও পটুয়াখালীর সাকিল হোসেন রাতুল।
বিবাদীরা হলেন-
শিক্ষা সচিব, ইসলামী, শাহজালাল, খুলনা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ, মওলানা ভাসানী, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, জাতীয় কবি কাজী নজরুল, যশোর, বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বরিশাল, রাঙামাটি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, চাঁদপুর ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব।
আরও পড়ুন: রকেটের গতিতে মামলা তদন্ত: সেই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তুলনা করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ওইসব দেশের চেয়ে ভালো।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকরা যাতে এ আইনে হয়রানির শিকার না হয়, সে জন্য আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। তবে আমেরিকার তুলনায় আমাদের আইন অনেক সহজ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ডের অনুমতি দেয়, কিন্তু আমাদের আইনে অতো কারাদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে তুলনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপরাধের জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে আমেরিকার আইনে তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। যে কারণে আমাদের আইন তাদের চেয়ে অনেক সহজ।
তিনি বলেন, মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আইনটি প্রণীত হয়েছে এবং প্রতিটি দেশেই এই ধরনের আইন রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সাইবার আইন আরও কঠোর।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে তারা আরও সজাগ রয়েছে, যাতে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হয়রানির শিকার না হয়।
তিনি বলেন, অতীতের তুলনায় এখন গণমাধ্যমকর্মীরা কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দায়িত্ব পালনকালে বাইরের কোনো হুমকি এলে সাংবাদিকদের সাহসের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রী জানান, সাংবাদিকদের সহায়তায় সরকার সচেষ্ট, সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুলতানার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
দুর্নীতি মামলায় সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
উভয়ের উপস্থিতিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী একে নূর উদ্দীন আহম্মেদ।
অ্যাডভোকেট নূর উদ্দীন বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে খাস জমি অবৈধভাবে দখল ও অর্থ আত্নসাতের অভিযোগে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে। ওই মামলা বর্তমানে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে রয়েছে। আদালতের বিচারক মেহেদী আল মাসুদ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন। পরে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য করেছেন। এর মাধ্যমে মামলার বিচার কাজ শুরু হল।
মামলার বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক আলী আকবর বাদী হয়ে মামলা করেন। তিন মামলায় পিরোজপুর ১ আসনের সাবেক এমপি আউয়াল ও তার স্ত্রীকে আসামিকে করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ নিয়ে হাইকোর্টের রুল
এর মধ্যে একটি মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীন নিজের নাম লায়লা ইরাদ উল্লেখ করে ২০১৪ সালের ২৫ অগাষ্ট নেছারাবাদ উপজেলার স্বরুপকাঠি মৌজায় সরকারী ভিপি ৫ শতাংশ জমি ইজারা নেয়। ইজারা নেয়ার আবেদন পত্রে লায়লা ইরাদের সাক্ষর ছিলো।
ইজারার চুক্তি অনুযায়ী আধা-পাকা ভবন নির্মাণের কথা থাকলেও দ্বিতল ভবন করে একেএম আউয়াল ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের নামে অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল দুদক কর্মকর্তা আলী আকবর স্বামী স্ত্রীকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
একই কর্মকর্তার করা দ্বিতীয় মামলায় অভিযোগ আনা হয়, একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পিরোজপুর সদরে রাজার পুকুরের জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের পরিবর্তে লায়লা আউয়াল উল্লেখ ৪৪ শতাংশ জমি উভয়ের নামে নেয়। পরে পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর দিয়ে দখলে নেয়। একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন।
দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়ে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাঠি পল্লী বিদ্যুতের সাব জোনাল অফিসের পাশে বৈঠাকাঠি মৌজায় ৩ শতাংশ খাস জমি স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে নিয়ে দ্বিতল ভবন করে মাসিক ১৭ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে ভাড়া দিয়েছে। এ মামলায় একই কর্মকর্তা ২০২১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির সম্পদ জব্দের আদেশ বহাল
আউয়াল দম্পতির আগাম জামিন আপিলেও বহাল
বায়ু দূষণ: ঢাকায় ৮ যানবাহন, ৬ প্রতিষ্ঠান ও ৬ ইটভাটার জরিমানা
ঢাকা জেলায় বায়ু দূষণের দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে আটটি যানবাহন, ছয়টি প্রতিষ্ঠান ও ছয়টি ইটভাটাকে ২০লাখ ৫৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে অভিযানের অংশ হিসেবে ডিওই-এর মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ, ধানমন্ডি, খিলগাঁও এবং ধামরাই এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
ঢাকার ধামরাই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ছয়টি অবৈধ ইটভাটা থেকে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এদিকে ধানমন্ডিতে কালো ধোঁয়া ছেড়ে বায়ু দূষিত করায় আটটি গাড়ির কাছ থেকে জরিমানা বাবদ ১২ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান জোরদার করার লক্ষ্যে বুধবার মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে জরুরি সমন্বিত পদক্ষেপের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের
দেশকে দূষণমুক্ত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বঙ্গবাজারে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ৩ জনের রিমান্ড
রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তিনজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদুল হাসান। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার ।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো.আতাউল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. রাজু, শাওন ও শাহাদাৎ হোসেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক ইস্রাফিল হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে আগুন নেভানোর জন্য বংশাল থানাধীন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরসহ অন্যান্য ফায়ার সার্ভিসের অনেকগুলো ইউনিট কাজ করে। একপর্যায়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটে লাগা আগুন আশপাশের মার্কেটসহ বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টাসের এনেক্সকো ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন দুষ্কৃতকারী দেশীয় অস্ত্রসহ বেআইনিভাবে জড়ো হয়ে বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেটের বিপরীত পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে হঠাৎ করেই ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তারা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সরকারি সম্পত্তির ক্ষয় ক্ষতিসহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেন।
বাদী ও তার সহযোগিরা সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে দৃষ্কৃতকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের সরকারি কাজে বাধা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে, লোহার রড ও লাটিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে।
এতে বাদী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলে থাকা এসআই (নিরস্ত্র) মো. রুবেল খানও জখম হন।
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুর রহমান দুলুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ এপ্রিল) দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে সংস্থার সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
দুদক জানায়, দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুলুর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায় তার স্থাবর অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে আওয়ামী লীগের এই নেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার। তার পারিবারিক ঋণ ও খরচ বাদ দিলে দুলুর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসেবে দুলু জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০ টাকার সম্পদ ভোগ-দখল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দুলু অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৬ এর (২) ও ২৭ এর (১) ধারায় মামলা হয়েছে।
দুলু তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য, আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (৩) (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেছেন, ‘আমার তথ্য গোপন করার কিছু নেই। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৪২ ঘন্টায় হত্যা মামলার তদন্ত: সেই এসআইয়ের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত, তদন্ত চলবে
মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের মো. রুবেল (২২) হত্যার ঘটনায় ‘মরদেহ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’র ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধানকে পুলিশ সুপারের নিচে নয়, এমন কর্মকর্তা দিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে এ ঘটনা এবং হত্যা মামলাটির পুনঃতদন্তের নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম আট সপ্তাহের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে কেস ডকেটসহ তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান আদালতে হাজির হওয়ার পর গত ৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে বরখাস্তের ওই আদেশ দিয়েছিলেন। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারকে ওই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে এ হত্যা মামলা পিবিআই প্রধানকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ সুপারের নিচে নয়-পিবিআইয়ের এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে এই হত্যা মামলাটি ৬০ দিনের মধ্যে পুনঃতদন্ত সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। আর রিট আবেদনটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত রাখতে বলা হয়েছে। হাইকোর্ট ৫জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ধার্য করেন। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’- শিরোনামে গত ২ মার্চ প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে ওই মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে আসামি সোহেল ওরফে নুরুন্নবী ও বাদী চম্পা আক্তার ওরফে অঞ্জনা গত ৫ মার্চ ওই আবেদন করেন। সোহেল ও চম্পা সম্পর্কে ভাই-বোন। আর নিহত রুবেল সোহেলের ভগ্নিপতি।
আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমানকে কেস ডকেটসহ ৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
সে অনুসারে তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে হাজির হন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ৩ এপ্রিল আদালত আদেশ দেন।
প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লাশ রাত দেড়টায় উদ্ধারের পর সুরতহাল করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এরপর মামলা, আসামি গ্রেপ্তার, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানচিত্র তৈরি, সাক্ষ্য গ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পেরিয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ মাত্র ২২ ঘণ্টায়। পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অর্থাৎ লাশ উদ্ধার থেকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র ৪২ ঘণ্টা। একটি খুনের মামলার তদন্তে এমন ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুই দিনের কম সময়ে খুনের মামলার তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেওয়ার ঘটনায় অনেকে প্রশংসা করলেও প্রশ্ন তুলেছেন আইন ও তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে রকেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে। এটা ব্যতিক্রমী ও আশ্চর্যজনক ঘটনা। পুলিশের এমন তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরাও।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল (২২)। পরদিন রুবেলের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।
পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে রুবেল খুন হন। ৪০ মিনিট পর সোহেল ওরফে নুরনবী (৩০) নামে এক যুবক থানায় গিয়ে নিজে রুবেলকে খুন করেছেন বলে দাবি করেন। পুলিশ সোহেলকে নিয়ে সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তখন দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী নেওয়া হয়।
আরও বলা হয়, ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেয় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তথ্য সংগ্রহ, ঘটনাস্থলের মানচিত্র তৈরি করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুবেলের স্ত্রী চম্পা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে সোহেল জবানবন্দি দিলে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
রানা প্লাজার সোহেল রানার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই
রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ের ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনমুন আক্তার।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম জানান, রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্ট জামিন দিয়েছেন। এর ফলে তার মুক্তিতে বাধা নেই।
এর আগে গত বছরের ১ মার্চ রানা প্লাজা ধস ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত নিয়ে আজ সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়ে সারেন পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রায় দুই হাজার শ্রমিক আহত ও পঙ্গু হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজায় আহতদের ৫৬ শতাংশের শারীরিক অবস্থার অবনতি: একশনএইড
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা, রানার বাবা আব্দুল খালেক, রানার মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কমিশনার হাজি মোহাম্মদ আলী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিন) এ টি এম মাসুদ রেজা, প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসাইন, সাভার পৌরসভার মেয়র মো. রেফাতউল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারি প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান রাসেল, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব, পৌরসভার সাবেক সচিব মর্জিনা খান, সাবেক সচিব মো. আবুল বাশার, ফ্যান্টম এপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, নিউ ওয়েব বটমস লিমিটেডের এমডি বজলুস সামাদ ও ইথার টেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান।
২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ মামলার বিচার এখনও চলমান।
আরও পড়ুন: অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার