আইনশৃঙ্খলা
পঞ্চগড়ে ৬ মাসের মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদণ্ড
পঞ্চগড়ে ৬ মাসের মেয়েশিশুকে হত্যার দায়ে বাবাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নাজিমুল হকের উপস্থিতিতে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ২০১৯ সালের একটি হত্যা মামলায় এই আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নাজিমুল হক (৩৪) পঞ্চগড় সদর উপজেলার সিংরোড জয়দরভাঙ্গা গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৯ সালের ১ এপ্রিল সকালে সদর উপজেলার জয়দরভাঙ্গা গ্রামে তার বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। তার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী রাশিদা বেগম এবং তিন মেয়ে নাজিরা (৮), রিয়ামনি (৭) ও রত্না (৬ মাস) গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ছোট মেয়ে।
এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় রাশিদার বাবা রশিদুল ইসলাম মৃত অবস্থায় রত্নাকে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় দুই মেয়ে এবং রাশিদাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে ওই দিন সন্ধ্যায় রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় নাজিমুল ও তার মা নাসিমা এবং বাবা জয়নুল হককে অসামি করে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় ১৯ জন সাক্ষীর জেরা শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব ন্যায়বিচার না পাওয়ার অভিযোগ করে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জে চার খুন: ২৩ ফাঁসির আসামির ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় ৪ এপ্রিল
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ২০০২ সালে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চার খুনের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ২৩ আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ৪ এপ্রিল রায় দেবেন হাইকোর্ট।
রবিবার বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ।
এর আগে ২০১৭ সালের ৪ মে চাঞ্চল্যকর এই চার খুন মামলায় ২৩ আসামির ফাঁসির রায় দেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-আবুল বাশার কাশু, ডালিম, ইয়াকুব আলী, রফিক, হালিম, রুহেল, শাহাবুদ্দিন, লিয়াকত আলী মাস্টার, সিরাজ উদ্দিন, ইদ্রিস আলী, মোহাম্মদ হোসেন, আবু কালাম, আহাদ আলী, ইউনুছ আলী, জহির উদ্দিন, ফারুক হোসেন, গোলাম আযম, আব্দুল হাই, খোকন, আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
আরও পড়ুন: নতুন রাষ্ট্রপতির নিয়োগ চ্যালেঞ্জের রিট শুনতে বিব্রত হাইকোর্ট
রায় ঘোষণার দিন মে এ মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার কাশুসহ ১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত।
বাকি চার পলাতক আসামি হলেন-আল-আমিন, রুহুল আমিন, তাজুল ইসলাম ও হারুন।
নিম্ন আদালতের রায়ের পর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে আসামিরা খালাস চেয়ে আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর সোমবার শুনানি শেষ হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১২ মার্চ বিলুপ্ত সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুর নির্দেশে আড়াইহাজার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই আ. বারেক, তার ফুফাতো ভাই বাদল, আওয়ামী লীগ কর্মী ফারুক ও কবির হোসেনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্যাতনের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত আ. বারেকের বাবা আজগর আলী মেম্বার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ২১ জনকে সাক্ষী এবং ২৩ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৪ মে রায় দেন নিম্ন আদালত।
চার খুনের মামলার প্রধান আসামি সদাসদি ইউনিয়নের (বর্তমান গোপালদী পৌরসভা) তৎকালীন চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল বাশার কাশুসহ মোট ১৯ জন কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জ থেকে রাজস্ব আদায় না করায় হাইকোর্টের উষ্মা প্রকাশ
ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকিকে দুদকের মামলায় জামিন দেননি হাইকোর্ট
নোয়াখালীতে ৪ লাখ টাকা চুক্তিতে সিএনজি চালককে হত্যা: গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমকে (৩৫) গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুর সংবাদ সম্মেলনে এ
তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে নৌ-পুলিশের ওপর হামলা: অর্ধশত জেলের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৮
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজলার পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মো. মমিন উল্যার ছেলে মো. মহিন (২৭), পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের রেজিয়াগো বাড়ির মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. কামাল ওরফে কামাল ডাকাত (৩৮), হারুন মোল্লা বাড়ির আনোয়ারুল হক নশুর ছেলে মো. আজাদ হোসেন (৩২), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের অজি উল্যাহ পাটোয়ারী বাড়ির শাহজাহানের ছেলে রিপু মিয়া (২১), আক্কাস সওদাগর বাড়ির আক্কাস সওদাগরের ছেলে জাহিদ হাসান (২৮), পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের মাহফুজের বাপের বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে সোহেল হোসেন ওরফে শাকিল (২৪), একই গ্রামের দোকান বাড়ির মকবুল আহমেদের ছেলে মমিন উল্যাহ (৩৭) এবং পাটোয়ারী বাড়ির অজি উল্যার ছেলে নূর আলম মিস্ত্রি (৫৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীর সঙ্গে নিহত সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আব্দুল হাকিমের শক্রতা ছিল। একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা চলমান রয়েছে। পরিকল্পনাকারী শক্রতার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য আব্দুল হাকিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অর্থের লোভ দেখিয়ে আব্দুল হাকিমের সিএনজি অটোরিকশার মালিক মহিনকে ব্যবহার করা হয়।
ঘটনার দিন রবিববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পরিকল্পনা হিসেবে মহিম তার বাড়িতে কামাল, রিপু, মোমেন, নূর আলমসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করে। মহিন আব্দুল হাকিমকে অটোরিকশা রাখার কথা বলে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নেয়।
তিনি আরও জানান, এরপর হাকিম অটোরিকশা জমা দেয়ার সময় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজন মিলে তার মুখ বেঁধে ফেলে।
পরবর্তীতে সব আসামিরা হাকিমকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চরমটুয়া গ্রামের সফিগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ রাস্তার পূর্ব পাশে ইদ্রিস মিয়ার বাড়ির পেছনের ডগির ভেতরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতের পর সব আসামিরা মিলে হাকিমের লাশ বস্তার ভেতর ঢুকিয়ে মাটি চাপা দেয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তদন্তকালে আসামি সোহেলের ভাষ্যমতে আসামি রিপুর বাড়ি থেকে হত্যঅয় ব্যবহৃত শাবল ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। মূল পরিকল্পনাকারী হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামি মহিমের সঙ্গে চার লাখ টাকা চুক্তি করেছিলেন।
এছাড়া তিনি জানান, আসামি রিপু ও সোহেল ওরফে শাকিল হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। শনিবার ও রবিবার বিকালে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দি গ্রহণ শেষ হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাদরাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১
কলাপাড়ায় ১০ বছরের শিশুকে যৌন হয়রানি, গ্রেপ্তার ১
বান্দরবানে কুকি-চিন বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত
বান্দরবানের থানচিতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা রবিবার একটি টহল দলের ওপর গুলি চালালে একজন সিনিয়র সেনা ওয়ারেন্ট অফিসার নিহত এবং অপর দুই সেনা আহত হয়।
নিহত মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার নাজিম উদ্দিন রংপুর সদর উপজেলার ঘাঘটপাড়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, আহত সেনা সদস্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে টহল দল রবিবার দুপুরে মা ও শিশুদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিতে যাওয়া একটি দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যায়।
আইএসপিআর জানায়, দুপুর ১টার দিকে সশস্ত্র কেএনএ সদস্যরা অতর্কিতভাবে একটি অ্যামবুশ ভ্যানটেজ পয়েন্ট থেকে টহল দলের ওপর গুলি চালায়, এতে ওয়ারেন্ট অফিসার ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং আরও দুজন আহত হন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
আইএসপিআর জানায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা অর্থের জন্য বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায় ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ নামক নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থানচিতে চলমান সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধের চেষ্টা করে এই সন্ত্রাসী গ্রুপ। ব্যর্থ হয়ে তারা ২০২৩ সালের ১১ মার্চ ১২জন শ্রমিককে অপহরণ করে।
তাদের মধ্যে একজন শ্রমিক বুলেটে আহত হয়েছেন এবং চারজন শ্রমিক এখনও কেএনএ-র হাতে জিম্মি রয়েছে।
বাকি সাত শ্রমিককে মুক্তিপণের জন্য ছেড়ে দেয়া হলেও তারা রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পে কাজ না করার হুমকি দেয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কেএনএ বান্দরবানের তিনটি উপজেলায় যানবাহন চলাচল বন্ধের হুমকি দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতিকে একটি নোটিশ পাঠায়।
কেএনএ সদস্যদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে সৃষ্ট নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে জেলা প্রশাসন ১২ মার্চ (রবিবার), ২০২৩ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ওই এলাকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
আরও পড়ুন: আটক জঙ্গি ও কুকি-চিনের ১০ সদস্যকে জেল হাজতে পাঠাল আদালত
খুলনায় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ, আদালতে অভিযুক্তের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিয়ে
খুলনায় আদালতের এজলাসে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে ভুক্তভোগীকে বিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম খান বিয়ের আদেশ দিলে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, ২০২০ সালে ভুক্তভোগীর সঙ্গে রাজু শেখের পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর ভুক্তভোগীর আগের ঘরের ছেলেসহ তাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বিয়ের আশ্বাসে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরী, গ্রেপ্তার ৫
এসময় বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করায় ভুক্তভোগী অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। অভিযুক্ত রাজু তাকে সন্তান নষ্ট করতে বলে এবং এরপর থেকে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ভুক্তভোগী জানতে পারে ২০২১ সালের ১৬ জুন রাজু অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। ভুক্তভোগী রাজুকে ফোন দিলে রিসিভ করতো না। একবার শুধু ফোন রিসিভ করে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলতে বলে।
এরপর ২০২১ সালের ২০ জুন ভুক্তভোগী লবণচরা থানায় মামলা করে।
সেই মামলায় আজ বিচারক ভুক্তভোগীর সঙ্গে রাজুর বিয়ের আদেশ দেন এবং কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের আশ্বাসে রোগীকে ধর্ষণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
মাগুরায় পাসপোর্ট অফিস থেকে ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
মাগুরায় পাসপোর্ট অফিস থেকে এক ভারতীয় নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার সবিতা রাণি বিশ্বাস জেলার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের শিরিশ চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ও নাগরিকত্বের সনদপত্র উপস্থাপন করেন।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জব্বারুল ইসলাম জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাটবাহিরগাছি গ্রামের অধীর ঘোষের স্ত্রী সবিতা রাণি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট তৈরির জন্য রবিবার মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওয়াগন ট্রেনকে ধাক্কা দেয়া বাসের সেই চালক গ্রেপ্তার
আবেদনের সঙ্গে তিনি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের শিরিশ চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে হিসেবে জাতীয় পরিচয় পত্র ও নাগরিকত্বের সনদপত্র সংযুক্ত করেন। কিন্তু কাগজপত্র যাচাই বাছাইকালে সবিতা রাণির ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি ধরা পড়লে তাকে মাগুরা সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
মাগুরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভিন নুপুর বলেন, তিনি যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও ওই কাগজপত্রের মধ্যে তার নামে ভারত সরকারের দেয়া ‘আধার কার্ড’ পাওয়া যায়। যা ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মাগুরা থানায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
খুলনায় সাবেক ভিসি ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. শহীদুর রহমান খান ও বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে সোনাডাঙ্গা থানায় ধর্ষণ মামালার এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস ছালাম এ আদেশ দেন।
আদালতে অভিযোগকারী নারী ২০২১ সাল থেকে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে কর্মরত রয়েছেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহম্মেদ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসের পঞ্চম তলায় আবাসিকভাবে থাকতেন সাবেক উপাচার্য।
আরও পড়ুন: পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, মামলা নিতে আদালতের নির্দেশ
সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্টার ওই নারীকে খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। ওই নারী প্রতিদিন খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে তাকে বিভিন্ন সময়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন ভিসি।
এক পর্যায়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টায় খাবার দিতে গেলে পূর্ব থেকে পরিকল্পিতভাবে রেজিস্টারের সহযোগিতায় তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে রেজিস্টার ওই নারীকে বলেন, ‘আজকের ঘটনা তুমি কাউকে বলবে না, তাহলে তোমার চাকরি থাকবে না, আর স্যারকে বলে স্যারের সঙ্গে তোমার বিবাহ করিয়ে দিব। তুমি তোমার স্বামীকে তালাক দিয়ে দাও।’
পরে ওই নারী চাকরির কথা বিবেচনা করে ও সামাজিক অবস্থান লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিজ স্বামীকে তালাক দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর থেকে ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ভিসির মেয়াদ শেষ হলে খুলনা বদলি হয়ে যান এবং নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক ভিসি খুলনাতে আসলে ওই নারী তার সঙ্গে দেখা করেন। একপর্যায়ে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বিবাহ করার আকুতি জানান। তবে ভিসি তাতে রাজি হননি।
পরে ওই নারী স্বজনদের বিষয়টি জানিয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় এসি ল্যান্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর আদেশ
৯২ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি,রাবি কর্তৃপক্ষের মামলা
স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় রবিবার ৯২ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী রাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে পুলিশ বক্সের কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯২ জন। আর চিকিৎসা নিয়েছেন আরও শতাধিক।’
রাবির চারুকলা অনুষদের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আহত শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের দুই ও আট নম্বর ওয়ার্ডে বেশি ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে আসার পরে চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করেছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক এফএম শামীম আহম্মেদ বলেন, ‘শনিবার রাতে ছাত্ররা মেডিকেলে আসেন এবং তাদের মধ্যে ৯২ জন বিভিন্নভাবে জখম আবস্থায় ছিল। আমরা শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা শনিবার রাতে আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। তবে এখন সে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে। সবমিলিয়ে বলা যায় এখন সকল শিক্ষার্থী বিপদমুক্ত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘স্থানীয় ও পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অন্যদিকে, ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে রাবি কর্তৃপক্ষ। রবিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর আব্দুস সালাম বাদি হয়ে নগরীর মতিহার থানায় মামলাটি করেন।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে ৫০০ জনকে। সব আসামি অজ্ঞাত। মামলাটি থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত করে হামলায় জড়িতদের শনাক্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ালে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনার পরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসের সিট নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে রাবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত
ডাচ বাংলা ব্যাংকের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর আদালতের
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়া।
শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনামিয়া।
আসামীপক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না।
আরও পড়ুন: বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড নিয়ে রিভিউ শুনানি পেছালো
গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর উত্তরা থেকে বেসরকারি ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি থেকে প্রায় সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। দিনের আলোতে রাস্তা থেকে নজিরবিহীন এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে মাঠপর্যায়ে অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তরা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া চার বক্সের মধ্যে তিন বক্স উদ্ধারের কথা জানায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে মানি প্ল্যান্ট লিঙ্ক প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আলমগীর হোসের বাদি হয়ে ডিএমপির তুরাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: ফারদিন হত্যা: রিমান্ড শেষ, বুশরা জেলে
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
রাজধানীর গুলিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ২৩ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই ভবন মালিকসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- ভবনের দুই মালিক ওয়াহিদুর রহমান ও মতিউর রহমান এবং ভবনের বেসম্যান্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু। এর মধ্যে ওয়াহিদুর ও মতিউর সম্পর্কে আপন দুই ভাই।
রবিবার দু’দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মাবুদ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৩
গত বৃহস্পতিবার তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম দু’দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ভবনটির নাম কুইন টাওয়ার।
গত মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিন্থানের সিদ্দিকবাজারের নর্থসাউথ রোডে সাততলা ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ: তিন দিনের রিমান্ডে গ্রেপ্তার ৩ ভবন মালিক