আইনশৃঙ্খলা
সিলেটে যুবক অপহরণ: কারাগারে সিসিকের ৪ কর্মচারী
সিলেটে এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণের অপরাধ স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেননি সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪ কর্মচারী।
দুদিনের রিমান্ড শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আদালতে হাজির করলে ফের তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বুকে ব্যথা নিয়ে কারাগার থেকে হাসপাতালে সাঈদী
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চার কর্মচারী হলেন- সিলেট উপশহর এলাকার শাহরিয়ার আহমদ, চারাদিঘীর পাড় এলাকার রাজা মিয়া, জিন্দাবাজার মিতালী ম্যানশন এলাকার সিয়াম আহমদ ও সদর উপজেলার খাদিমনগর এলাকার তারেক আহমদ।
তাদের গ্রেপ্তারের পর অপহৃত মাহফুজ আহমদকে উদ্ধার করে পুলিশ। মাহফুজের বাড়ি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সহিদাবাদ গ্রামে।
পুলিশ জানায়, ১৩ অক্টোবর বিকালে ডিবি পরিচয়ে নগরের কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন মধুবন মার্কেটের সামনে থেকে মাহফুজ আহমদকে উঠিয়ে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। তাকে নিয়ে যায় নগরের দক্ষিণ সুরমার পারাইরচক সিসিকের ডাম্পিং ইয়ার্ডে। সেখানে হাত-পা বেঁধে ময়লার ভাগাড়ে ফেলে রেখে মারধরও করে তারা। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে মাহফুজের বন্ধু ও স্বজনদের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ চায়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, অপহরণের ঘটনায় পরদিন ১৪ অক্টোবর বিকালে মাহফুজের ভাই পারভেজ আহমদ বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
তিনি আরও জানান, মামলার পর পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ কয়েদির মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
স্বাস্থ্য খাতে অবৈধসম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিতর্কিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর সব সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, 'সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। যেহেতু তার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে আদালত তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং আদালতের আদেশে তার অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান ও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে থানা হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: ২ এএসআই প্রত্যাহার
সচিব আরও বলেন, মিঠুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তদন্তের উদ্দেশ্যে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা কমিশনে তদন্তাধীন।
মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে কি না তা আমরা জানি না।’
মাহবুব আরও বলেন, কত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত দলের নেতা মশিউর রহমান ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দুদকের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দিয়েছেন।
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ১০ ও ১৪ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭ এর ১৮ ধারা অনুযায়ী ৭৪ কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও জব্দ করার জন্য মেট্রোপলিটন জজ আদালতে আবেদন করে দুদক।
স্বাস্থ্য খাতে সব ধরনের টেন্ডার ও কেনাকাটায় মিঠুর আধিপত্য ছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলায় দুদকের তদন্ত চলছে। ২০২০ সালের ৬ আগস্ট মাস্ক-পিপিই ক্রয় দুর্নীতির তদন্তে মিঠুকে তলব করা হলেও অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি হাজির হননি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো হলো- তার সিন্ডিকেট অত্যন্ত চড়া দামে নিম্নমানের পণ্য সরবরাহ করেছে। দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করেনি। কিছু ক্ষেত্রে পণ্য সরবরাহ না করে বিল উত্তোলন করেছে এবং দেশের ১২টি হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্ক্ষিত পণ্য সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরে সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফরিদপুরের মধুখালীতে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপসহকারী পরিচালক মো. ইমরান আকন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানার অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া ১ কোটি ২৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাত করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কল্লোল সাহা ও সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. বাবুল আক্তার মোল্যা। অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করেন ওই সাতটি এতিমখানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের সিন্ডিকেট প্রধান মিঠুর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়েছে দুদক
এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি এতিমখানায় ভুয়া এতিম শিক্ষার্থী দেখিয়ে বরাদ্দ দেওয়া অর্থ আত্মসাত করেন।
তাই দণ্ডবিধির ৪০৯/৮২০ ৮৬১৮৬৬/৪৭১/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর সুপারিশ করে দুদক বরাবরে অনুসন্ধান প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য দাখিল করা হয়।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ভাতা সংক্রান্ত অসত্য তথ্য সরবরাহ করে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় কল্লোল সাহা ও মো. বাবুল আক্তার মোল্যার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আপন জুয়েলার্সের দুই মালিকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুদক
অবৈধ সম্পদ গড়াসহ তথ্য গোপন করার অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের দুই মালিক আজাদ আহমেদ ও দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকাল ৩টার পর কমিশনের (দুদক) মুখপাত্র ও সচিব মো. মাহ্বুব হোসেন তাৎক্ষণিক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলা করা হবে।
তিনি বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয় প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয় ২০১৮ সালের ৬ জুনে। তিনি জুলাইয়ের ২ তারিখ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দিলদার আহমেদের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৮৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০০ টাকার সম্পদের তথ্য দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৯ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। ফলে তিনি দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৬৪ লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
আর দিলদার আহমেদ সেলিমের মোট ৮৯ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার ৮০০ টাকার সম্পদের বিপরীতে মোট আয় পাওয়া যায় ৩৩ কোটি ৯৯ হাজার ৭৮ হাজার ৫৯১ টাকা। পারিবারিক ব্যয়সহ অন্যান্য ব্যয় ৪ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ১৯৩ টাকা। ব্যয়সহ মোট সম্পদের পরিমাণ ৯৩ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯৯৩ টাকা। ফলে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৬ হাজার ৪০২ টাকা। ফলে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় একটি মামলা রুজুর সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
দিলদার আহমেদ সেলিম সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ধারা এবং ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় কমিশন ১৯ অক্টোবর একটি মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশি হেফাজতে সাবেক দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: পরিবারের অভিযোগ
অন্যদিকে আপন জুয়েলার্সের আরেক স্বত্ত্বাধিকারী আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ২০১৮ সালের ৫ জুন সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে, যা তিনি গত ১০ জুন গ্রহণ করে পরের মাসের ৭ তারিখে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৯ কোটি ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকা মূল্যমানের স্থাবর এবং ৩২ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার ২৪৬ টাকা মূল্যমানের অস্থাবর সম্পদের হিসাব রয়েছে। এ ছাড়া ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের হিসাব দাখিল করা হয়।
যাচাই শেষে আজাদ আহমেদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৬ কোটি ১৮ লাখ ৮২ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তার বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় একটি মামলা রুজুর সুপারিশ করা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জন করায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দেয় দুদক।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
দুর্গাপূজায় সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, 'পূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে সব ধরনের উদ্বেগের কথা মাথায় রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং আমরা সব ধরনের হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরান ঢাকার ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ২৪৮টি মণ্ডপের সবগুলোতেই নিরাপত্তা প্রদানের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া ঢাকায় সমাবেশ করা যাবে না: ডিএমপির নতুন কমিশনার
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বাংলাদেশ আনসারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী পর্যন্ত পুরো সময়জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাদা পোশাকে পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা পূজা আয়োজকদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছি। আমরা আশা করছি আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে পূজা উৎসব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারব।
২৪৮টি মণ্ডপকে গুরুত্বের দিক থেকে দুটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা কম গুরুত্বপূর্ণ ক্যাটাগরিতে মাত্র সাতটি পূজা মণ্ডপ রেখেছি এবং বাকি সব পূজা মণ্ডপকে নিরাপত্তার দিক থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী পূজা মণ্ডপ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যেহেতু এটি কেন্দ্রীয় পূজা মণ্ডপ এবং দুর্গাপূজার সময় প্রধানমন্ত্রী এখানে আসেন, তাই এখানে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দলে সম্পৃক্ত হবে ডিএমপি: ডিএমপি কমিশনার
প্রতিটি স্থানে আর্চওয়ে এবং বিশেষ দল থাকবে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, কিছু গোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে। এটি প্রতিরোধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করার জন্য পূজা আয়োজক কমিটিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক রমেন মণ্ডল, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জনগণ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডিএমপি কমিশনার
জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা ও আদালত অবমাননার অভিযোগের শুনানি ৬ নভেম্বর
দলের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিছিল-সমাবেশসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি আগামী ৬ নভেম্বর।
এছাড়া, জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় দলটি নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে করা আলাদা আবেদনটিরও শুনানি হবে একই দিন। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ধার্য করেন।
জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে গত জুনে পৃথক দুটি আবেদন করেন হাইকোর্টে রিটকারী মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ তিনজন।
আবেদনে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ে নিবন্ধন অবৈধ করার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক সভা, জনসভা বা মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ১০ বছর পর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করায় আদালত অবমাননার অভিযোগে আনা হয়।
আদালত অবমাননার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে জামায়াতের আমীর ডা.শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর ডা. আব্দুল্লা মোহাম্মদ তাহের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল, নায়েবে আমীর হেলাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খোন্দকার গোলাম ফারুককে।
গত ২৬ জুন আবেদন দুটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেদিন চেম্বার আদালত আবেদন দুটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আবেদন দুটি আজ আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর এবং সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাফওয়ান করিম।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জামায়াতের ১৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড জয়নাল আবেদীন তুহিন।
পরে তানিয়া আমীর বলেন, আমাদের দুটি আবেদন। একটি নিষেধাজ্ঞার, অপরটির আদালত অবমাননার। আমরা শুনানিতে দাঁড়ানোর আগে একজন আইনজীবী জামায়াতের সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর জন্য আট সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন। তখন আদালত কড়াভাবে বললেন, ‘উনি (এ জে মোহাম্মদ আলী) কী আদালত আছেন ডিজিটাল যুগে আদালতের সামনে স্ক্রিন আছে। সব জানা যায়। আমরা সময় দিতে প্রস্তুত না। তখন আমি বললাম, আগস্টেও ওনারা সময় চেয়েছেন। এরপর আমরা জামায়াতের বর্তমান নেতাদের বিবাদী করে যে আবেদন করেছিলাম। সেটি উপস্থাপন করি। আদালত সেটি মঞ্জুর করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, আদালত বলছেন যে ওনাদের হাত অনেক লম্বা। আর সময় দেবেন না। এরপর ৬ তারিখ শুনানির জন্য রেখেছেন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এই নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট আবেদন করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেওয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
পরে হাইকোর্ট দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের প্রস্তুতি নিতে দলটিকে দুই মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এই সময়ের মধ্যে জামায়াতকে আদালতে সংক্ষিপ্ত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। পরে তারা আদালতে সারসংক্ষেপ জমা দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সমিতি, সিনেমাটির নির্মাতা শ্যাম বেনেগালসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশের ব্যাপারে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সিনেমার দুটি দৃশ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য রয়েছে। যা জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারকে সমাজের কাছে হেয় করে।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিনেমার ওই অংশ বাতিল করে নোটিশ গ্রহীতাদের জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি গত ১৩ অক্টোবর দেশের ১৫৩টি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে। আর প্রতিবেশী দেশ ভারতে মুক্তি পাবে ২৭ অক্টোবর।
ভারতের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত বহুল প্রতীক্ষিত এই সিনেমায় জাতির জনকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। খন্দকার মোশতাক আহমদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। কিশোর শেখ মুজিব চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্য জ্যোতি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’: দর্শকের মনে আরও গেঁথে গেছেন বঙ্গবন্ধু
এ ছাড়া রেণু (শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব) চরিত্রে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, এ কে ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চু, টিক্কা খান চরিত্রে জায়েদ খানসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (ছোট রেনু), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান) ও এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া)। সিনেমাটিতে ভারতীয় শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন- শ্রীজা ভট্টাচার্য, রাজেন মোদি, দেবাশীষ নাহা, সোমনাথ, কৃষ্ণকলি গাঙ্গুলি, আবির সুফি, অরুণাংশু রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশের ৬০ ভাগ ও ভারতের ৪০ ভাগ ব্যয়ে নির্মিত এই বায়োপিকের শুটিং ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি ভারতের মুম্বাই ফিল্ম সিটিতে শুরু হয়ে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে শেষ হয়। আগামী ২৭ অক্টোবর সিনেমাটি ভারতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ দেখে কাঁদলেন তারকারা
সবাই দেখার অপেক্ষায় 'মুজিব: একটি জাতির রূপকার’
মা ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি জহিরুল গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রবাসীর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর মাধবদী উপজেলা টাটাপাড়ার শ্বশুরবাড়ি থেকে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জহিরুল ইসলাম নিহত জেকি আক্তারের বড় বোনের মেয়ের স্বামী। তার বাড়ি নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগীরচর গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল খালেক।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গ্রেপ্তার
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সকালে জহিরুল ইসলামকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, মা ও দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পরই ট্রিপল মার্ডারের রহস্য উদঘাটন করতে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
নিহত জেকি আক্তারের বাবা আবুল হোসেন বলেন, এই শোক সইতে পারব না। আমার মেয়ে ও নাতিদের পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে জহিরুল।
উল্লেখ্য যে, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আইয়ুবপুর ইউনিয়নের চর ছায়ানি দক্ষিণপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে জেকি আক্তার ও তার দুই ছেলের লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে বিছানায় জেকির কন্যা শিশু সন্তান নয় মাসের অজিহাকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বিচারকের সই জাল করে আসামিদের অব্যাহতি, সাবেক পেশকারসহ গ্রেপ্তার ৫
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ৩৪ জেলে গ্রেপ্তার
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: দিনাজপুর পৌর মেয়রের কারাদণ্ড
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে আপিল বিভাগের এক বিচারপতি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়রকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে সৈয়দ মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিচারককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য: দিনাজপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরকে এক মাসের কারাদণ্ড
মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ৩ আগস্ট বিএনপির কর্মসূচিতে বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় রায়ের বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য জুড়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিএনপি নেতা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তার ওই বক্তব্য ইউটিউবে প্রচার হয়েছিল।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান রোমানসহ আরও ৩ আইনজীবী। মামলায় সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম। তবে তাকে ক্ষমা করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঘোষিত ওই রায়ে মেয়রকে এক মাসের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ।
দণ্ড ভোগ করতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়ে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল মেয়রকে। রায় অনুযায়ী বুধবার ১৮ অক্টোবর দিনাজপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে কারাগারে পাঠানো হয় মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমকে।
অন্যদিকে ঘোষিত জরিমানার ১ লাখ টাকা সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান গাউসুল আযম চক্ষু হাসপাতালে গতকাল বুধবার জমা দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে তিন জেলেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড
পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন: পুলিশের মহাপরিদর্শক
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার এবং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে ও আইনানুগভাবে পালনের নির্দেশ দেন এবং মামলাগুলো সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে দুর্গাপূজা যাতে পালন করা যায়, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের সজাগ থাকতে হবে। এছাড়া কেউ যেন গুজব না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
আইজিপি মাঠ পর্যায়ে সব সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক ও সমন্বয় রেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমের চেতনায় দায়িত্ব পালন করুন: ক্যাডেট উপরিদর্শকদের উদ্দেশে আইজিপি
সম্মেলনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি (অপরাধ ও অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম ২০২৩ সালের এপ্রিল-জুন এবং জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৩ কোয়ার্টারের সামগ্রিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা তুলে ধরেন।
সভায় উপস্থাপিত বিভিন্ন মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে জানানো হয়, গত জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২২ প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের দুই প্রান্তিকে ডাকাতি, খুন ও দাঙ্গার ঘটনা কমেছে।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি