আইনশৃঙ্খলা
বনফুলের দুই কর্মী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ২ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটে মিষ্টি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বনফুলের দুই কর্মচারী খুনের মামলায় ৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরে আলম ভুঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নগরের সুবিদবাজার বনকলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ, বাগবাড়ি নরশিংটিলা এলাকার বাসিন্দা দুলাল মিয়া এবং কাজলশাহ এলাকার উজ্জ্বল মিয়া।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মহানগর আদালতের অ্যাডিশনাল পিপি জুবায়ের বখত জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শিপন মিয়াকে আরেকটি ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুজন হলেন- কাজিরবাজার এলাকার বাসিন্দা নজরুল এবং গোলাপগঞ্জের পূর্ব ফুলসাইন্দ এলাকার শাকিল আহমেদ।
রায়ে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত দুজনকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খাদিমনগর বিসিক শিল্পনগরীর বনফুলের ফ্যাক্টরি থেকে বাসায় ফেরার পথে রাজু আহমদ, এস এম তাপু মিয়া ও রাসেল আহমদকে কে বা কারা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজু ও তাপুকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত একজনের ভাই মাসুদ পারভেজ বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৮/১০ জনকে আসামি করে এসএমপির শাহপরান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তার হাত বদল হয়ে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ৬ নভেম্বর তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
আদেশের বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাইনুল হাসান নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাবিবুর রহমান হাবিব ইউটিউবে বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বেশ কিছু অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন। ওই বক্তব্য শোভনীয় ছিল না। এটা আদালতের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। পাশাপাশি তাকে তলব করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) একবার শাস্তি হলো ৫ বছরের জেল, সশ্রম কারাদণ্ড। আমি ওইদিন বলেছিলাম বিচারপতি ড. আখতারুজ্জামান সাহেব, আপনার মা বেঁচে থাকলে মাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন, মা, আমি একজন বয়স্ক মহিলাকে জেল দিয়ে আসছি, সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে আসছি তুমি কী বল? আপনার মা বলবেন, এই জায়গাতেই বলেছিলাম, আপনার মা বলবেন তুমি আমার সন্তান না, তুমি একটা কুলাঙ্গার। এতদিন তোমার জন্য গর্ববোধ করতাম, এখন আর গর্ব করি না, তুমি একটা কুলাঙ্গার সন্তান। তোমার মতো সন্তান জন্ম না দেওয়াই উচিত ছিল। এত বছর বয়স্ক একজন মানুষ নিজে চলতে পারে না।
অপর একটি ভিডিওতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি বক্তব্য রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান সম্পর্কে অবমাননাকর উক্তি করা হয়েছে।
এ বক্তব্যে হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ‘শপথ করে বলে যেতে চাই, এই সরকার যেদিন ক্ষমতায় থাকবে না, ওই বিচারপতি আখতারুজ্জামান জীবিত থাকলেও তাকে মরতে হবে, মরে গেলেও কবর থেকে লাশ ওঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট
অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
জামিনে মুক্তি পেলেন অধিকারের আদিলুর ও ইলান
জামিনে মুক্তি পেয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরউদ্দিন এলান।
সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ জানান, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪ মিনিটে তারা বের হন।
আরও পড়ুন: আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালের ৫-৬ মে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের অভিযানের ‘বিকৃত প্রতিবেদন’ প্রকাশের মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আদিলুর রহমান ও নাসিরউদ্দিনকে গত ১০ অক্টোবর জামিন দেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আদিলুর রহমান ও নাসিরকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
আইসিটি আইনে এটিই প্রথম মামলা।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৬১ জন নিহত হয়েছে দাবি করে অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান ও নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম।
২০১৪ সালে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
গত ২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও এলানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আদিলুর-নাসিরের
১০২ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে ১০২ বার পেছালো প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান আইনমন্ত্রীর
বিচার বিভাগের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত মামলাজটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেধা, দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তি দ্বারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
একই সঙ্গে তিনি বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও সহজে ন্যায়বিচার প্রদানের মাধ্যমে জাতিসংঘের এসডিজি ও সরকারের ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ দেয়নি মার্কিন প্রতিনিধিদল, শুধু জানতে চেয়েছে: আইনমন্ত্রী
রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে একটি ওরিয়েন্টেশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিচারকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যতবেশি দক্ষ হবেন, যিনি যত দ্রুত মানসম্পন্ন সেবা দিতে পারবেন, স্মার্ট বাংলাদেশে তিনি ততবেশি এগিয়ে যাবেন। সে কারণেই বিচারকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম উপায় হলো সুষম মানবসম্পদ উন্নয়ন। আর মানবসম্পদ উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হলো প্রশিক্ষণ। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দরকার প্রশিক্ষণ।
আইনমন্ত্রী বলেন, একটি উন্নত ও সুদক্ষ প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটের পক্ষেই সুদক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করা সম্ভব। ঠিক সে কারণেই আমরা বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি, এখানে একসঙ্গে ৪০ জনের বেশি বিচারককে প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত না। ৪০ জনের একটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করা হলে অন্য বিচারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেত না। আরও দেখেছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করতে না পারার কারণে অনেক সহকারী জজের চাকরি স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি পেতে বিলম্ব হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, অনেক প্রয়োজনীতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য স্তরের বিচারকদের জন্য নির্ধারিত প্রশিক্ষণ কোর্স যথাসময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে বিচারকদের মনে ছিল উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, যা নিয়ে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকেও রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের কল্যাণে এখন সেই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। আজ এখানে একসাথে প্রায় ৮০ জন বিচারককে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। একই সঙ্গে সহকারী জজদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স এবং যুগ্ম জেলা জজদের ওরিয়েন্টেশন কোর্স চালানো সম্ভব হচ্ছে।
আরও পড়ুন: খালেদার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি হয়নি: আইনমন্ত্রী
হাসিনা-বাইডেন নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার সেলফি: আইনমন্ত্রী
র্যাব হেফাজতে নওগাঁর জেসমিনের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট
নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের কমিটি যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ওই প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, প্রতিবেদনটি অস্পষ্ট। প্রতিবেদনে সুলতানা জেসমিনকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের পর আত্মীয় স্বজনকে জানানো হয়েছিল কি না— সে বিষয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এ কারণে আদালত এ প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট নয়।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পরে এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য প্রস্তুতের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল শুনানির জন্য আগামী ২৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তৌফিক সাজওয়ার পার্থ উপস্থিত ছিলেন।
পরে অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, আদালত নওগাঁর ঘটনা তদন্তে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন দেখে সন্তুষ্ট হননি। জেসমিনকে গ্রেপ্তারের পর আত্মীয় স্বজনকে জানানো হয়েছিল কিনা? থানাকে অবহিত করা হয়েছিল কিনা? এসব বিষয় স্পষ্ট করা হয়নি প্রতিবেদনে। তবে আদালত আগামী ২৯ নভেম্বর এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের সহকারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির ৩০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার শাখার সচিবের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি ৩০২ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন। গত ২২ মে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
কমিটির প্রধান করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপারের মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
জানা যায়, স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৫–এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল গত ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করে। এনামুল হককে সঙ্গে নিয়েই র্যাব ওই অভিযান চালায়।
এনামুল হকের অভিযোগ, সুলতানা জেসমিন ও আল-আমিন নামের এক ব্যক্তি তার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন বিভিন্ন ব্যক্তিকে। আটকের পর সুলতানা জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রথমে তাকে নওগাঁর হাসপাতালে ও পরে রাজশাহীতে নেওয়া হয়। ২৪ মার্চ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যুর তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করুন: হাইকোর্ট
পরিবারের অভিযোগ, র্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পর জানা যায়, তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুগ্ম সচিব এনামুল হক একটি মামলা করেছেন, যেটি রেকর্ডের সময় ২৩ মার্চ বিকেলে। এ মামলার আসামি জেসমিন ও তার কথিত সহযোগী মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট আল-আমিন।
এদিকে, র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু সংক্রান্ত প্রকাশিত খবর গত ২৭ মার্চ হাইকোর্টের নজরে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ চেয়েছিলেন আইনজীবী মনোজ কুমার ভৌমিক। পরে আদালতের নির্দেশে ২৮ মার্চ তিনি হাইকোর্টে এ বিষয়ে রিট আবেদন দায়ের করেন।
রিটে র্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ ও র্যাবের কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই দিনই রিট আবেদনের আরজি তুলে ধরে রিটকারী মনোজ কুমার আদালতে বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো বিষয়ও বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। র্যাব গঠন করা হয়েছিল দাগি চোর-ডাকাত, মাদক চোরাকারবারি ধরতে। এই নারীকে (সুলতানা জেসমিনকে) আটক করা হয় ২২ মার্চ। আর ২৪ মার্চ তার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই আইনে কাউকে গ্রেপ্তারের এখতিয়ার পুলিশের থাকলেও র্যাবের নেই।
তাছাড়া, ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৭ ধারা অনুসারে সুলতানা জেসমিনকে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করা হয়নি।'
শুনানি গ্রহণ শেষে গত ৫ এপ্রিল হইকোর্ট কোন মামলা ছাড়াই নওগাঁর সুলতানা জেসমিনকে (৪৫) র্যাবের হেফাজতে নেওয়া থেকে শুরু করে হাসপাতালে নেওয়ার আগ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া তা আইনগতভাবে কতটুকু সঠিক ছিল এবং র্যাবের কোন এখতিয়ার ছিল কিনা তা তদন্তে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কমিটিতে নওগাঁর জেলা জজ পদ মর্যাদার একজন এবং সেখানকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে রাখতে বলা হয়ে। তদন্ত সম্পন্ন করে কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
তদন্তকালীন জেসমিনকে আটকের সঙ্গে র্যাবের যেসব সদস্য জড়িত ছিলেন তাদেরকে দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে, মামলা ছাড়াই সুলতানা জেসমিনকে তুলে নেওয়া ও পরবর্তী পদক্ষেগুলো কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওই আদেশ অনুযায়ী ২২ মে ৮ সদস্যের একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরও পড়ুন: র্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ
সিরাজগঞ্জে ২ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌর এলাকার বিজ্ঞান কলেজ মোড়ে ২ শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে ১ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ৩ জন হলেন- উল্লাপাড়া পৌর এলাকার ঝিকড়া মহল্লার মো. টিপু তালকদারের ছেলে পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বাবু তালুকদার, মো. মিন্টু তালুকদারের ছেলে রিফাত ও মো. ইসরাফিল তালুকদারের ছেলে রাহাত।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম শনিবার বিকালে জানান, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ২ শিক্ষার্থী উল্লাপাড়া বিজ্ঞান কলেজের মোড়ে একটি কফি হাউজে ছিলেন। এ সময় ৬/৭ জন ব্যক্তি তাদের ঘিরে ফেলে জিম্মি করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাদের দাবির মুখে ১ লাখ টাকা দেয় শিক্ষার্থী আরিফুরের পরিবার।
তিনি আরও বলেন, এসময় ৯৯৯’র ফোন কলের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং রাতেই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় ৫ জনের নামাল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে আরিফুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
ওসি বলেন, পুলিশ এ মামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ মামলায় জড়িতরা কোনো রাজনৈতিক দলের কি না সে বিষয়ে এখন কোনো তথ্য জানা নেই।
আরও পড়ুন: যশোরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৩
পিরোজপুরে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই, ঘাতক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি গ্রেপ্তার
নাশকতার মামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
শহরের সমাজকল্যাণ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
জেলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, একাধিক মামলার আসামি জামায়াত নেতা জাহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া গত ৮ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে জাহিদুলের নেতৃত্বে জেলা শহরের নিউ ঢাকা রোডে ঝটিকা মিছিল বের করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওইদিন রাতেই জামায়াতের দুই নেতা আইনজীবী মাসুদুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি জানান, এ ঝটিকা মিছিলের পর পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে জেলা জামায়াতের দুই নেতা আইনজীবী মাসুদুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠান।
আরও পড়ুন: বেটিং অ্যাপসের মাধ্যমে ডলার পাচার, খুলনায় গ্রেপ্তার ৮
মৃত সেজে ৬ বছর আত্মগোপনে থাকা স্ত্রী হত্যার আসামি গ্রেপ্তার
নেত্রকোনায় ১৩২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ, ব্যবসায়ী আটক
নেত্রকোনা পৌর শহরের বড়বাজার সিলভার পট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৩২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় মিঠুন চৌধুরী নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাতে তাকে আটক করা হয়। এসময় শহরের বড়বাজার ক্রোকারিজ মার্কেটের মিঠুন ইলেক্ট্রনিক্স থেকে ১৩২ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেন থেকে বিদেশি সিগারেট মদ জব্দ
আটক মিঠুন চৌধুরী পৌর সদরের বলাইনগুয়া এলাকার মনোরঞ্জর চৌধুরী ছেলে। তিনি বড়বাজার এলাকায় ইলেক্ট্রনিক্স-এর ব্যবসা করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স-এর মালামাল বিক্রি করেন।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরেই ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে মিঠুন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব মদ জব্দ করে আটক করা হয় মিঠুনকে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, মিঠুন চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরেই ইলেকট্রনিক দোকানের আড়ালে মাদক ব্যবসা করে যাচ্ছে। এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে অর্থ জোগান দাতা কেউ আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদেশি মদ জব্দ, আটক ২
নাটোরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় মদ জব্দ, আটক ৩
বেটিং অ্যাপসের মাধ্যমে ডলার পাচার, খুলনায় গ্রেপ্তার ৮
খুলনায় বিভিন্ন অনলাইন বেটিং (জুয়া) অ্যাপসের মাধ্যমে অবৈধভাবে ডলার ও দেশীয় অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬।
বটিয়াঘাটা উপজেলার ধাদুয়া বাজার এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকরা হলেন- নাজমুল শেখ, রাফেজ শেখ, ইসমাইল হোসেন, মিফতাহুল শেখ, লোকমান উদ্দিন শেখ, সালাউদ্দিন শেখ, তামিম মোল্লা ও হোসেন শেখ।
এসময় তাদের কাছ থেকে ৮টি স্মার্ট মোবাইল ফোন এবং ১৬ টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে নবীকে (সা.) কটূক্তির অভিযোগে আটক ১
বৃহস্পতিবার র্যাব-৬ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অনলাইনে বেটিং (জুয়া) ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আটকরা ই-ট্রানজেকশনের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন করে আসছিলেন।
তারা বিকাশ, নগদ, রকেট, ইউপে এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ করে ওই ব্যক্তিদেও পক্ষে বেটিং করতেন।
তাদের বিরুদ্ধে বটিয়াঘাটা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরে ১.২২ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, আটক ১