আইনশৃঙ্খলা
‘আপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুরে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে নিয়ে ‘আপত্তিকর ফেসবুক পোস্ট’ দেওয়ায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেলচাপায় আদিবাসী নারী নিহত, চালক আটক
গ্রেপ্তার কাইফি শিকদার ওরফে মিমি (২৫) বরিশাল জেলার গৌরনদী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও বরিশাল জেলার আবুল শিকদারের ছেলে।
শ্রীপুর উপজেলার বড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাব-২ ও র্যাব-১৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কাইফি ১২ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলের একটি আপত্তিকর ছবি আপলোড করেন।
পোস্টটি ভাইরাল হয়ে দেশের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে বলে জানায় র্যাব।
এ ঘটনায় বরিশালের গৌরনদী থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ, যুবক আটক
দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস আইজিপি’র
আসন্ন দুর্গাপূজাকে লক্ষ্য করে কেউ যাতে গুজব ছড়াতে না পারে সেজন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
এছাড়া পূজা উপলক্ষে সারাদেশে পুলিশের টহল জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরের হল অব প্রাইডে সারাদেশে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় আইজিপি এ নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের প্রধান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন।
আইজিপি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশ সদস্যদের সজাগ থাকতে হবে।
তিনি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের পূজার আগে, পূজার সময় এবং পূজার পর স্থানীয় পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
আইজিপি বলেন, দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, অতীতে যেমন দুর্গাপূজা উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হতো, এবারও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে।
সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ব্যক্তিত্বসহ নেতারা পুলিশের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সভায় জানানো হয়, দুর্গাপূজা উপলক্ষে পুলিশ সদর দপ্তর ও অন্যান্য পুলিশ ইউনিটে মনিটরিং সেল স্থাপন করা হবে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা ২০-২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি
ফরিদপুরে দুদকের পৃথক তিন মামলায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তার ২২ বছরের কারাদণ্ড
ফরিদপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত পৃথক তিনটি মামলায় মোহাম্মদ শাহরিয়ার মতিন (৪৩) নামের এক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় দেন।
শাহরিয়ার মতিন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে থাকাকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক। সে মামলায় মঙ্গলবার কারাদণ্ড দেন আদালত।
বর্তমান তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (সাময়িক বরখাস্তকৃত)। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার দেওগাঁও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দুদকের দায়েরকৃত পৃথক তিনটি মামলার একটিতে ৫ বছর, আরেকটিতে ১০ বছর ও অপরটিতে ৭ বছর সহ মোট ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে একটিতে ৯৭ লাখ, আরেকটিতে ২১ লাখ ও অপরটিতে ৫০ লাখ টাকা সহ ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, দুদকের দায়েরকৃত পৃথক তিনটি মামলায় আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন শাহরিয়ার মতিনকে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আনসার আল ইসলামের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আনসার আল ইসলাম সাংগঠনিক সেটআপের ঢাকা অঞ্চলের দাওয়াতি ইউনিটের ইনচার্জ মেজবাহ আবু মাসরুরও রয়েছেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা, বনানী, বনশ্রী ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে র্যাব-১ ও ডিজিএফআইয়ের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ, ছয়টি মোবাইল ফোন, চরমপন্থা সমর্থনকারী লিফলেট এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম সংক্রান্ত ডায়েরি ও নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের এএসপি ইমরান খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৭
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে একজনের পরীক্ষা আরেকজন দেওয়ার অভিযোগে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ফিরোজ উদ্দিন, লোকমান হোসেন, রাশিদুল ইসলাম সুজন, আশরাফুল ইসলাম, মজিবর রহমান, হাবিবুল্লা বেলালী ও এনামুল হক।
সিরাজগঞ্জ রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির সদস্য সচিব শিমুল আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক ও নিরাপত্তা প্রহরী পদে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও ২০ তম গ্রেডের কর্মচারী নিয়োগ বাছাই কমিটির আহবায়ক মো. মোবারক হোসেনের উপস্থিতিতে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় প্রক্সি পরিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, মৌখিক পরীক্ষার সময় ওই প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইকালে তাদের হাতের লেখার সঙ্গে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের হাতের লেখায় গরমিল পাওয়া যায়। এ সময় কৌশলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে অন্যদের দিয়ে (প্রক্সি) লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার কথা নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত সদস্যদের সামনে তারা লিখিত স্বীকারোক্তি দেন। রাতেই তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার মাধ্যমে অপরের পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে সাত ভুয়া পরিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে করা মামলায় রবিবার রাতে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েচে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ১
শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সির প্রস্তুতি: বরিশালে গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: আরও ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
চট্টগ্রামে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
চারজনের মধ্যে জব্দ তালিকার দু’জন এবং সিআইডি’র ব্যালাস্টিক এক্সপার্টও রয়েছে। এর আগে এই মামলায় ১৪ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এনিয়ে মোট ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
আজকে কোনো সাক্ষীর জেরা হয়নি। এর মধ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট), ফলের দোকানদার, পুলিশ কনস্টেবল ও মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা আছেন। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জিইসি মোড়ের একটি ফল দোকানের কর্মচারি আবদুর রহিম জানান, ঘটনার দিন সকালে দোকান খুলতে গেলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও জড়ো হওয়া লোকজন দেখতে পান তিনি। তারা জানায়, এখানে একজনকে সন্ত্রাসীরা মেরে চলে গেছে। সেখান থেকে পুলিশ তিনটি গুলি, একটি গুলির খোসা ও এক জোড়া স্যান্ডেল উদ্ধার করে জব্দ তালিকা করে। আমাকে স্বাক্ষর করতে বলায় আমি স্বাক্ষর করি।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যাকাণ্ড: ৭ বছর পর আসামি গ্রেপ্তার
মিতুর একই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফরহাদ আহমেদ সুরমা আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, আমার দুই ছেলেও ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে পড়ে।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে আমার স্বামী ফোন করে আমাকে জানায়, মিতু ভাবি মারা গেছে। আমি লিফট থেকে নেমে দেখি মাহির। ও আমাকে বলে, আমার আম্মু মারা গেছে। সে তখন কান্না করছিল। তাকে ভবনের ভিতরে পাঠিয়ে আমি ওয়েল ফুডের সামনে যাই। দেখি মিতু ভাবি রাস্তায় পড়ে ছিলেন রক্তাক্ত অবস্থায়। গুলির চিহ্ন দেখি। এরপর পুলিশ সুরতহাল করে। আমি স্বাক্ষর করি।
সে সময়ের পাঁচলাইশ থানার কনস্টেবল রনিতা বড়ুয়া আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান, ঘটনার দিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া ফোন করে বলে যে জিইসি মোড়ে একটা লাশ আছে। ওখানে যেতে। আরও দুজন পুলিশ সদস্যসহ সেখানে যাই। ওখানে গিয়ে দেখি ওয়েল ফুডের সামে কালো বোরকা পরা একটি লাশ পড়ে আছে। এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া সুরতহাল করেন। তাকে সহযোগিতা করি। তিনি জব্দ তালিকাও করেন।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে সেসময় সিআইডি চট্টগ্রামে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক ব্যালাস্টিক এক্সপার্ট আবদুর রহিম জানান, ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিএমপি ডিবি’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামানের কাছ থেকে পাওয়া স্মারক মূলে সাদা কাপড়ে মোড়ানো একটি কাগজের বাক্সের ভিতর সিলগালা অবস্থায় আলামত পাই। আলামত হিসেবে ৭ পয়েন্ট ৬৫ এমএম পিস্তলের দুটি অব্যবহৃত, একটি ব্যবহৃত ও একটি মিস ফায়ার হওয়া কাতুর্জ, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি পয়েন্ট ৩২ ক্যালিবারের রিভলবার, স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি রিভলবার পাওয়ার কথা আদালতে জানা। এসব আলামতের বিষয়ে মতামত, ব্যালাস্টিক রিপোর্ট ও রাসায়নিক প্রতিবেদন তিনি পরীক্ষা শেষে জমা দেন বলে আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পিবিআই’র তদন্তে বেরিয়ে আসে, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এ অভিযোগে ২০১২ সালের ১২ মে বাবুলের দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ থানায় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই এ মামলায় বাবুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: মিতু হত্যা মামলায় বাদী মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন
মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আদিলুর-নাসিরের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করে জামিন চেয়েছেন মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলান।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করা হয়।
পাশাপাশি আদিলুর ও নাসিরের জামিন চেয়ে আবেদন দায়ের প্রস্তুতি চলছে। তাদের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভুঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এক দশক আগের ঘটনায় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারার মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসিরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রায়ের পর আদিলুর ও নাসিরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এই মামলায় আদিলুর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গ্রেপ্তার হন। পরে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
১১ আগস্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি কম্পিউটার ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। সে বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আরও পড়ুন: আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের বিষয়ে বাংলাদেশের আদালতের সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করে ফ্রান্স-জার্মানির যৌথ বিবৃতি
পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন। আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন।
পাশাপাশি তারা মুসলমানদের মনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করেন, যা তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ও (২) ধারায় অপরাধ।
একপর্যায়ে ২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর আদিলুর রহমান খান ও এ এস এম নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ আমলে নেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ২০১৪ সালের ৮ই জানুয়ারি এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন বছরের জন্য স্থগিত থাকে বিচারকাজ। পরে ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় এই মামলার শুনানি। গত ২৪ আগস্ট এ মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: অধিকারের আদিলুর ও নাসিরউদ্দিনের মুক্তি দাবি ফখরুলের
আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
মার্কিন ভিসা নীতির কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না: আইজিপি
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে পুলিশের কোনো ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে না।’
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টন এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তরে এক সেমিনারে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এই ব্যক্তিদের মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিকেরাও অন্তর্ভুক্ত।
অবৈধ অস্ত্র রাখার বিষয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই আমাদের পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারছি না।’
আইজিপি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী সাধারণ নির্বাচনের সময় পুলিশ তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারবে। কারণ নির্বাচনের আগে পুলিশ অবৈধ অস্ত্র আটকের কিছু পরিকল্পনা নিয়েছে।’
নির্বাচনের সময় তাদের ভূমিকা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান বলেন, নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এবং নির্বাচনের সময় ইসি যে দায়িত্ব দেবে পুলিশ পালন করবে।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ আইনজীবী ভুবন চন্দ্র শীলের মৃত্যুর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আপনাদের (জনগণকে) আশ্বস্ত করতে চাই, কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না। সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য হোক না কেন। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি
নির্বাচনে বাংলাদেশ পুলিশ ইসির অধীনে কাজ করবে: আইজিপি
হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১০
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় জোড়া হত্যাকাণ্ডটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চাঁদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় এ তথ্য জানান।
সুদীপ্ত রায় বলেন, এ মামলায় আমরা ১০ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে দুইজন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীসহ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় এলএসডি জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
ভয়ভীতি প্রদর্শন, চুরি ও চোরদের চিনে ফেলায় জোড়া এ হত্যাকাণ্ড, নাকি অন্য কারণ আছে -তা আমরা খতিয়ে দেখছি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণটি উদঘাটনের টেষ্টা চলছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. সোহাগ হোসেন সোহাগ মুন্সি, মিজান অরফে গোলাম আজম অরফে মো. মিজান হোসেন, মাসুদ রানা, শ্যামল চন্দ্র শীল, মো. আলমাস, মো. নেছার আহম্মেদ, মো. রাকিব হোসেন, মো. রাশেদ ওরফে রাসেল মাসুদ কামাল শাহ আলম বাবুল। এদের সবার বাড়ি এ উপজেলার বড়কুল, এন্নাতলী ও টোড়াগর এলাকায়।
আসামিদের মধ্যে সোহাগ মুন্সি ও গোলাম আজম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি স্বেচ্ছায় দিয়েছেন ও বর্তমানে সব আসামি কারাগারে রয়েছেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদ চৌধুরী, ডিআইও-১ মনিরুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি শরীফ চৌধুরী, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি আলম পলাশ, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ, চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি মোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের বড়কুল উত্তর গ্রামে উত্তম বর্মন ও তার স্ত্রী কাজলী রানীকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
রাতের কোনো এক সময়ে ওই গ্রামের পাইন্না বাড়ির (কালা শিকদার বাড়ি) দুলাল সাহার ঘরে জানালা কেটে দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটায়। পরদিন এ ঘটনায় নিহতদের মেয়ে রিনা রানীর অভিযোগের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সূত্র ধরে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৩৭৫৫ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি
চাঞ্চল্যকর মামলার তথ্য উদঘাটন করায় পিবিআই'র ভূয়সী প্রশংসা আইজিপির
দেশের বহুল আলোচিত কয়েকটি হত্যা মামলা সমাধানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাফল্যের প্রশংসা করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দপ্তর পরিদর্শন এবং মামলার তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময়কালে আইজিপি বলেন, পিবিআই মামলা তদন্তে দক্ষতার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
তিনি বলেন, পুলিশের বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যার ফলে তদন্তের মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে।
পুলিশ প্রধান বলেন, পিবিআই উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে মামলাগুলো তদন্ত করছে। আইজিপি আশা প্রকাশ করেন, পিবিআই দীর্ঘদিন ধরে তদন্তে উচ্চমান বজায় রেখে জনগণের মধ্যে যে আস্থা তৈরি করেছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।
পিবিআই প্রধান (অতিরিক্ত আইজিপি) বনজ কুমার মজুমদার মামলার তদন্ত ও সার্বিক কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
তিনি শিশু হত্যার কারণগুলো নিয়ে গবেষণার উপরও জোর দেন।
পিবিআই ২০১২ সালে ৯৭০ জন জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বিধিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে পিবিআই।
বর্তমানে পিবিআই ২ হাজার ৩১ জনের জনবল নিয়ে হত্যা, ডাকাতি, জালিয়াতি, মানবপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি আইজিপির
কেউ আইনশৃঙ্খলা ব্যাহত করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: আইজিপি