আইনশৃঙ্খলা
এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: ১৫ জনের বিচার শুরু
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের হত্যা মামলায় ২ জনের স্বীকারোক্তি
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এই তথ্য জানান।
গত ২৪ জুলাই অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন আইনজীবীরা।
গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছর ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের স্বপ্ন পূরণ নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা
বিভাগীয় কারণে আনিসুল করিমের মানসিক সমস্যা হয়নি: ডিআইজি হাবিবুর
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির উপকমিশনারের (ডিসি-অপারেশন) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে পৃথক এই তিনটি মামলা করেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তিন ভূক্তভোগী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বাদী তিনজন হলেন- দিঘলী (দত্তপুর) গ্রামের রইছ উদ্দিন (৫৫), উপজেলার বশিরপুর (উত্তর সিরাজপুর) গ্রামের জমির আলী (৪০) এবং একানিধা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল্লাহ (৫০)।
অভিযুক্ত দবির পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার ছেলে।
মামলা তিনটিরই শুনানি হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতে। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াছমিন অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আগামি ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা তিনটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তিন মামলাতেই দবির মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এনিয়ে টাকা আত্মসাতের ৫টি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটিসহ মোট ৬টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়া গভীর নলকূপের জন্য ৩০-৪০ হাজার টাকা জমা নেন।
গিয়ে চেয়রাম্যান নুনু মিয়ার নিকট টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দবিরের বাড়িতে গেলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।
মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আইনজীবী সুমন পারভেজ বলেন, মামলা তিনটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিচারক মো. আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রাবাহী ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
এদিন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন ও চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব কারেন্ট জাল জব্দ করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ
সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মেঘনা নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী ট্রলারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আনুমানিক ১৫ লাখ ১০ হাজর মিটার নতুন কারেন্ট জাল পরিবহনরত অবস্থায় জব্দ করা হয়। তবে ট্রলারে কেউ কারেন্ট জালের মালিক দাবি না করায় কাওকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম এবং কোস্টগার্ডের টহল সদস্যরা।
পরে মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
চট্টগ্রামে যুবক খুন, ৩ ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের আনোয়ারায়মাছ ধরা নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবককে খুনের মামলায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৭ম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আ স ম শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালত এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- হারুন রশিদ (৪০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)। তারা সবাই আনোয়ারা উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলাইগড়া গ্রামের মৃত আলি আহমেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী জানান, ১০ জনের সাক্ষ্যে প্রমাণে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় হারুন ছাড়া বাকি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ জুলাই মো. শাহেদের বাড়ির পাশের বিলে আসামি জাহেদ হোসেন ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে শাহেদ বাধা দেয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জাহেদ মোবাইলে কল দিয়ে তার দুই ভাই হারুন ও আনোয়ারকে ডেকে আনে। এরপর তারা একসঙ্গে ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে শাহেদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে হারুন দা দিয়ে শাহেদের মাথায় কোপ দেয়। এরপর শাহেদের চিৎকারে তার স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেদিনই তিন ভাইকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদকে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলির আদেশ জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগে এডিসি হারুনকে রমনা অপরাধ বিভাগ থেকে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলির আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন পদায়নের এ আদেশ দেওয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের জারি করা ডিএমপির বদলির আদেশে বলা হয়েছে, ‘জনস্বার্থে হারুন অর রশিদকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে পিওএম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সই করা পুলিশ সদর দপ্তরের নতুন পোস্টিং অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে, এডিসি হারুনকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার নতুন কর্মস্থল এপিবিএনে যোগদানের জন্য তার বর্তমান দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায়, বদলির আদেশ অনুসারে তাকে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য করা হবে।
মারধরের শিকার ওই দুই নেতা হলেন- আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এডিসি হারুন ও ছাত্রলীগের দুই নেতার কয়েকজন অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন।
এ ঘটনার পর কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
তারা বারডেম হাসপাতালে পৌঁছালে রাত ৯টার দিকে এডিসি হারুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।পরে হারুন শাহবাগ থানায় গিয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ফিরে এসে শরীফ ও নাঈমকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করেন।
রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হারুন তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গেলেও থানার প্রধান ফটক ভেতর থেকে তালা দেওয়ায় কিছু করতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না থাকায় অভিযুক্ত ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
নড়াইলের লোহাগড়ার পানখারচর থেকে ইয়াবা কেনাবেচার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আটকরা হলেন- মো. রুবেল সরদার (৩২) ও মো. শাহীন সরদার (৪৫)।
আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
র্যাব জানায়, লোহাগাড়া মার্কেটের পাশের একটি বাড়িতে দুই মাদক ব্যবসায়ীর মাদক বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ২ হাজার ২৮০ পিস ইয়াবা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
নড়াইল লোহগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন জানান, জব্দ করা আলামত ও গ্রেপ্তারদের নড়াইলের লোহাগড়া থানায় পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সৌদি প্রবাসী আটক
সাতক্ষীরায় ১৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮) নামে একজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ১৪টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে করারোয়া উপজেলার তলুইগাছা বিওপি’র এলাকাধীন সীমান্ত পিলার ১৩/৩-এস এর ৩ আরবি থেকে ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কেরাগাছী এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, বিমানকর্মী আটক: বিমানবন্দর এপিবিএন
আটক যুবক জাহাঙ্গীর হোসেন কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।
সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশরাফুল হক জানান, কেড়াগাছি সীমান্ত এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি। তিনি দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানগাড়িতে সীমান্তে যাচ্ছিলেন। পরে ওই ভ্যান তল্লাশি করে ১৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের বারগুলো সাতক্ষীরা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আটক জাহাঙ্গীর হোসেনকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
চুয়াডাঙ্গা মুন্সিপুর সীমান্তে ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো, যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেটা বন্ধ করা। অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা।
মন্ত্রী বলেন, বিচারে সোপর্দ করতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয় এবং এই সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের দায়িত্ব। ওইখানে যদি পুলিশের হাতটা বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না। এমন এমন জায়গা আছে, যেখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রেই কেবল ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২০০৬ সালের আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ধারার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি ছিল। আবার সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষারও প্রয়োজন ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল না- সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম বা স্বাধীন সাংবাদিকতা করার জন্য এটা একটা বাধা হয়ে দাঁড়াক। মোটেই এটা ইচ্ছা ছিল না এবং এটাও সত্য যে বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথাটা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে তা সরকার সবসময় স্বীকার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এখন আছে ৫ হাজার ৯৯৫টি মামলা। এই মামলার শতকরা ৯৫ ভাগ দায়ের করেছে বাংলাদেশের জনগণ। এর মধ্যে হয়তো রাজনীতিবিদরাও আছেন। কিন্তু যখন দেখা গেল, এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার করা হচ্ছে, তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো সম্বন্ধেও সরকার জ্ঞাত হয়েছে।
এরপর যখন দেখা গেছে আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার আলাপে সরকার এটাকে আরও সহজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে যেসব যৌক্তিক আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারও সঙ্গে আলাপ করা হয়নি, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। কেউ হয়তো বলতে পারেন তার সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি, অমুকের সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি। কিন্তু এই আইনের বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কী করতে হবে, সেসব কথা বলার জন্য কিন্তু আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরও যখনই আপত্তি উঠেছে, তখন আবারও আলাপ-আলোচনা করেছি। যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে তারা হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিএফইউজের বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তাদের যে পরামর্শ ছিল, সেটা নেওয়া হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ৪২ ধারা নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাংবাদিক নয় সর্বক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মী আছেন তাদের সবার স্ব-স্ব অবস্থানের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খুবই সিরিয়াস।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী