আইনশৃঙ্খলা
ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের জামিন মঞ্জুর
এক নারী কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ছাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুম ইসলাম জামিন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
অপর দিকে বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল কবির বাবুল জামিনে বিরোধিতা করেন। দুপক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত ৫০০০ টাকার মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ঢাকার ৬ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন মামলার বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ২৩ নভেম্বর সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা।
এরপর আদালত মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় সোহেল উদ্দীন প্রিন্সের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী একজন সরকারি কর্মকর্তা। পরিচয়ের সুবাদে এএসপি সোহেল উদ্দীনের সঙ্গে তার বিয়ের কথা হয়।
২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সোহেল উদ্দীন ওই নারীকে রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে আসতে বলেন। সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের উপস্থিতিতে কাজির মাধ্যমে বিয়ে হবে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় রমনা পুলিশ অফিসার্স মেসে উপস্থিত হয়ে সোহেল উদ্দীন ছাড়া আর কাউকে দেখতে পাননি তিনি।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে সোহেল জানান কিছুক্ষণের মধ্যে সবাই এসে যাবে। ওই নারী সরল বিশ্বাসে আসামির সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।
কথাবার্তার একপর্যায়ে সোহেল উদ্দীন তাকে খুন করার ভয় দেখিয়ে তার ওপর নির্যাতন চালান। ঘটনার পর থেকে সোহেল উদ্দিন প্রিন্স বরখাস্ত।
তিনি ৩৬তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা
করোনা পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় সিনিয়র এএসপির মৃত্যু
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আট বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় নাছির হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাছিরকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাছির জামিনে ছিলেন। গত ৩০ আগস্ট যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিনে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার রায় ঘোষণার আগে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নাছির ঝালকাঠির কোলাবানিয়ার মদিপুর গ্রামের মজনু হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ (অরেঞ্জ) এসব তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আসামি ও ভুক্তভোগীর পরিবার বাড্ডার সেকেন্দারবাগ এলাকায় একই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুক্তভোগীর মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করেন। বিভিন্ন সময় নাছির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন।
বিষয়টি পরিবারকে জানায় সেই ছাত্রী। তার পরিবার বিষয়টি বাড়ির ম্যানেজারকে জানালে তিনি নাছিরকে মৌখিকভাকে সতর্ক করেন। তারপরও নাছির ওই শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল ১১টায় ভুক্তভোগী কলপাড়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার সময় নাছির ধরে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ১৫ এপ্রিল বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাবুলসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে করা ডিএসএ মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ আদালতের
এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বদলির নির্দেশ
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জাকির, উল্লাস, রফিক, তৈয়মুর ইসলাম, পিচ্চি মনির, সাগর, তামিম ইসলাম, বিপুল ও খন্দকার।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মতিমিয়া রেল গেইট সংলগ্ন এলাকার এক বসতবাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাদী ফরিদা ইসলামসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে সবাইকে বেঁধে রেখে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে সন্দেহজনক তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারাধন কুণ্ডু মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুলের জামিন স্থগিত
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মাহমুদুল আলম। শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়ে মাহমুদুলকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকাল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালেরবার্তি গ্রামের ফাহিম ফয়সাল রিফাত, নামাপাড়া গ্রামের ননির ছেলে এমডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, আরচাকান্দির গাজী আমর আলী মেম্বার, কাগমারীপাড়া গ্রামের সাফিজল হকের ছেলে শরীফ মিয়া, মালিরচর তকিরপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে লিপন মিয়া, পূর্ব কামালেরবার্তী গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, নামাপাড়ার শেখ ফরিদ, টাঙ্গারীপাড়ার কামালের ছেলে ওমর ফারুক, বটতলী সাধুরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রুবেল মিয়া, খেতারচর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে সুরুজ মিয়া আইড়মারি শান্তি নগরের জলিলের ছেলে বাদশা মিয়া, মদনেরচরের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, আরচাকান্দির মজিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী, কুতুবের চরের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও সুর্য্যনগর গ্রামের কারিমুল মাস্টারের ছেলে আমান উল্লাহ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
চাঁদপুরে ৫০০০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ৫
চাঁদপুরে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। এসব ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাটের জাহিদ হোটেলের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- কক্সবাজার টেকনাফ এলাকার দেলোয়ার হোসেন, ফয়েজ উদ্দিন হারিস, রেদওয়ান, সোনা মিয়া ও মো. মিজান।
পুলিশ জানায়, সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় গ্রেপ্তারদের দেহ তল্লাশি করে ৫ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। ইয়াবাগুলো টেকনাফ থেকে চাঁদপুরের হরিণাঘাট হয়ে শরিয়তপুর নিয়ে যাওয়ার সময় তারা গ্রেপ্তার হন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হুমায়ুন কবির জানান, মাদকের সঙ্গে আমাদের কোনো আপস নেই। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
ডিএমপির নতুন কমিশনার হাবিবুর রহমান
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) হাবিবুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা
‘ন্যায্য মজুরি না দেওয়া ও শ্রম আইন লঙ্ঘনের’ অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুর শ্রম আদালতে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশনের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ফার্ম ম্যানেজার ফারুকুল ইসলাম বাদী হয়ে রংপুর শ্রম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী শামীম আল মামুন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে 'হাতিয়ার' হিসেবে শ্রম আইনের ব্যবহার বন্ধের আহ্বান অ্যামনেস্টির
আইনজীবী বলেন, ‘ড. ইউনূসসহ কৃষি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বাদীকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৫ টাকা মজুরি, গ্র্যাচুইটি ও উপার্জিত ছুটির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাদীর ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।’
ড. ইউনূস ও গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বাদীকে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে অবসরে যেতে বাধ্য করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিহিংসাবশত ড. ইউনূসকে কারাগারে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের আক্তারুজ্জামান হত্যা মামলায় ৩ ভাইসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
এসময় আসামি আল আমিন ও এনামুল হক ছাড়া অন্য পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুরের তিন ছেলে আসাদ মিয়া, আবুল কাশেম, ফালান মিয়া ও একই এলাকার রফিকের ছেলে আল-আমিন, এনামুল হক, সুমন মিয়া ও মাসুদ।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আল-আমিন ও এনামুল হক ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিকালে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামান কাওনা বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
এ সময় বাড়ির কাছে পথে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আসামিরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে উদ্ধার কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বাদী হয়ে ২৯ ডিসেম্বর ৭ জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে আদালকে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা জেলা সিআইডির সহকারি পুলিশ সুপার মো. আনিছুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবালের ছেলে আলী আকবর ইকবালের ৫ বছরের কারাদণ্ড আপিলেও বহাল রেখেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আপিলে রায় বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ জানান, রায় দেওয়ার তারিখ থেকে এক মাসের মধ্যে আসামি আলী আকবর ইকবালকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
আলী আকবর ইকবাল চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইকবালের ছেলে। জামিন পেয়ে সে লন্ডনে পালিয়ে যায়। জানা গেছে দণ্ডিত আলী আকবর চট্টগ্রামের আলোচিত যুবলীগ কর্মী মহিউদ্দিন হত্যা মামলার আসামি।
৩ বছর আগে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর নগরীর পতেঙ্গার আউটার রিং রোডে রেসিং করে উল্টোপথে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ জহির হোসেনের ওপর হামলা করে আলী আকবর ইকবাল ও তার সহযোগিরা। ওই ঘটনায় তাৎক্ষণিক সহযোগী আলী জিসান সহ আকবরকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটরার পরপরই বিচারক জহির উদ্দিনের গাড়িচালক রাজু শেখ বাদী হয়ে আলী আকবর ও আলী হোসেন জিসানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর আলী আকবর ও তার সহযোগী আলী হোসেন জিসানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ।
২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত আলী আকবর ইকবালকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন। অন্য আসামি আলী হোসেন জিসানকে খালাস দেন। এর আগে ২০২১ সালের ৮ মার্চ আসামী পক্ষ আলী আকবরের রায় বাতিল চেয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই আসামিকে বিভিন্ন ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৩য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মহানগরীর কোতোয়ালী থানার জয়নগর ১ নম্বর গলি আহমদ মিয়ার বাড়ির আবু ছিদ্দিকের ছেলে মো. হাছান। তিনি বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপু মৃধা পাড়া জহির সওদাগরের বাড়ির স্থায়ী বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
অপর আসামি আবু বক্কর খান রাজু ডবলমুরিং থানার হাজীপাড়া জাহাঙ্গীর কলোনীর মো. আসসাফ আলীর ছেলে। তিনি ঝালকাঠির নলছিটি থানার বারই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ রায় প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কাজল চৌধুরী হত্যা মামলায় ৩০২ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামি হাছান ও রাজুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৩৯৪ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় হাছান উপস্থিত ছিলেন।
তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি রাজু পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাজল চৌধুরী সীতাকুণ্ডে একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার ভাই উজ্জ্বল চৌধুরী চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার সিরাজদ্দৌল্লা রোডের মাছুয়া ঝর্ণা এলাকায় চৌধুরী ফার্মেসি পরিচালনা করতেন।
২০০৪ সালের ১৩ আগস্ট রাত ১২টার দিকে ফার্মেসি বন্ধ করে নগদ টাকা নিয়ে বাসায় ফেরার পথে একটি অটোরিকশায় করে এসে চার ছিনতাইকারী তাদের উপর হামলা করে। এসময় কাজলকে ছুরিকাঘাত করে হাতে থাকা ব্যাগসহ ২৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় কাজলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী।
এদিকে কাজলকে বাঁচাতে তার ভাই উজ্জ্বলকে হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। এসময় দুই ভাইয়ের চিৎকারে এলাকাবাসী এসে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজল চৌধুরী মারা যান।
এই ঘটনায় কাজলের স্ত্রী রত্না চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ২০০৬ সালের ৩০ মে মামলা তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগ পত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এই মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড