আইনশৃঙ্খলা
যশোরে অস্ত্র-মাদক জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোর থেকে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসার অভিযোগে আশরাফুল আলম ওরফে বিপুল (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
তার কাছ থেকে একটি সচল ওয়ান শুটারগান, ১০ রাউন্ড গুলি, একটি বার্মিজ চাকু ও ২৫০ ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মাদকের টাকা না দেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ!
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আশ্রম মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আশ্রম রোডের আক্তারুজ্জামানের ছেলে। তিনি অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার কথা ডিবি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা ডিবি পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি দীর্ঘদিন ধরে কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় অস্ত্র ও মাদক বিক্রি করে আসছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার সংক্রান্ত পৃথক পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা ও মাদক মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিল থেকে জামায়াতের ১৬ কর্মী আটক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ‘বিক্ষোভ’ মিছিলের সময় জামায়াতে ইসলামীর ১৬ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (শুক্রবার) জুমার নামাজ শেষে পূর্বপাড়া জামে মসজিদ এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, দলের আমিরসহ আলেম উলামাসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচির অংশ হিসেবে ওই মিছিল বের করেছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
আটকরা হলেন- জামিল হাসেন, আব্দুল মান্নান, মোজাফ্ফর রহমান, জিয়াউর রহমান, নুরুজ্জামান, ওমর ফারুক, হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম;
আক্কাস আলী, ইসমাঈল হোসেন, সামসুদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন, নাঈম ইসলাম, ছেলে তোতামিয়া।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, তারা যে ১৬ জনকে আটক করেছেন, তাদের জামায়াতের মিছিল থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা উত্তর কমিটির আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, জেলা নায়েবে আমীর আফজালুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলামসহ অন্যান্যরা। শহরের লিলিমোড় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদিক্ষণ করে বাহাদুর বাজারে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে উচ্ছেদ অভিযানে হামলায় ইউএনও-ওসিসহ আহত ১০, আটক ৩
মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র ৪টি ধারা আছে। এসব অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করার সুযোগ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার নিয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে এগুলো সাইবার নিরাপত্তা আইনের অপব্যাখ্যা।
আনিসুল হক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনে টেকনিক্যাল অপরাধ, হ্যাকিং বা কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য সাজা ১৪ বছরের।
তিনি বলেন, কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল এ গুলোর আমূল পরিবর্তন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসএ'র অধীনে দায়ের করা মামলা চলবে: সংসদে আইনমন্ত্রী
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ নেতাকর্মীর বিচার শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, শহরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় ২০১৮ সালের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজমুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, বায়েজিদ বোস্তামী থানার বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ৪৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল আজ। আদালতে শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে দুই মামলায় আসামি একই ৪৪ জন বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীরা হলেন- মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তরসম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী, সাবেক সহ-সম্পাদক জিএম আইয়ুব খান, বায়েজীদ বোস্তামী থানার বিএনপির সভাপতি আবদুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, বায়েজীদ বোস্তামী থানার জামায়ায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ইসমাইল হোসেন সিরাজী, জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল ও নগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল ইসলামসহ বিএনপি জামাতের প্রচলনের জন্য নেতা কর্মী রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ বিএনপি-জামায়াতের ৪১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে পুলিশ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
মৌলভীবাজারে জামায়াত আমির-সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৫
আইসিটি মামলায় ‘অধিকারের’ আদিলুর ও নাসিরের ২ বছরের কারাদণ্ড
২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগের আদেশ দেওয়া হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে দায়ের করা এটিই প্রথম মামলা।
২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে ৬১ জন নিহত হয় দাবি করে অধিকার তাদের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ওই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ডিবির পরিদর্শক আশরাফুল আলম আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৪ সালে আদালত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
২৪ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হওয়ার পর চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা ছিল।
রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ওই দিন রায় ঘোষণার তারিখ ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এর আগে এ মামলায় জামিন পান আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দিন।
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বিবৃতি
ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস মানবাধিকার সংগঠন 'অধিকারের' সম্পাদক আদিলুর রহমান খান এবং পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আজকের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং মনে করছে এটি মানবাধিকারকর্মী ও সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক ভূমিকা পালনের সদিচ্ছাকে আরও দুর্বল করে দিতে পারে।
যেই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অধিকার কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গণতন্ত্রের অপরিহার্য অংশ হিসেবে আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং প্রাণবন্ত নাগরিক সমাজকে অব্যাহতভাবে সমর্থন করি এবং মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টার বিরোধিতা করি।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় তারেকের ৯ বছর, জোবাইদার ৩ বছরের কারাদণ্ড
গোয়ালন্দে সাড়ে ৫ লাখ টাকার চায়না জাল ধ্বংস, ৫ জেলেকে জরিমানা
গোয়ালন্দের পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ চায়না দুয়ারি, ঘন বেড় জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের জন্য পাঁচ জেলেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সাড়ে ৫ লাখ টাকার ধ্বংস করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের পদ্মা নদীর কুশাহাটা, অন্তরমোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান চালানো হয়।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, বুধবার অভিযান চালিয়ে মাছ শিকারের জন্য অবৈধভাবে পেতে রাখা ৫০টি চায়না দুয়ারি, একটি বড় ঘন বেড় জাল, একটি ১ হাজার মিটার কারেন্ট জাল এবং ২৫ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ জব্দ করা হয়। পরে দৌলতদিয়া ১ নম্বর ফেরিঘাটে জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দ করা মাছগুলো একটি এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। ধ্বংস করা জালগুলোর আনুমানিক মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে এক বাঘাইর বিক্রি হলো অর্ধলাখ টাকায়
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, বুধবার সকাল থেকে আমরা পদ্মা নদীতে অবৈধ চায়না দুয়ারী, কারেন্ট জাল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করে আগুনে পোড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫ জন জেলেকে ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি এই চায়না দুয়ারি জাল। এ জালে সব ধরনের মাছ ও জলজ প্রাণী ধরা পড়ে। অবৈধ এই জাল ব্যবহারের ফলে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
তিনি আরও বলেন, এসব জাল ব্যবহারের ফলে খাল, বিলের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে অভিযান: ৪ হাজার মিটার ঘেরা জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে মালিক পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন: ভূমিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত জমি ৬০ বিঘার বেশি হলে ভূমির মালিক তার পছন্দ অনুযায়ী জমি বেছে নিতে পারবেন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমির মালিক হওয়া যাবে না- এমন বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ভূমি সংস্কার আইন পাস হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ আইনে ব্যক্তিগতভাবে ৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমির মালিক কেউ হতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে এটা ১০০ বিঘা ছিল। এরশাদ এসে ৬০ বিঘা করেছেন। কিন্তু অনুমতি নিয়ে কোনো কোম্পানি ৫০০ কিংবা ১ হাজার বিঘা জমি নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রতি বরাবরই দুর্বলতা আছে পুলিশের: ভূমিমন্ত্রী
তিনি বলেন, আইনের পাঁচ নম্বরে বলা আছে- উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জিত জমি ৬০ বিঘার বেশি হলে ভূমির মালিক তার পছন্দ অনুসারে ৬০ বিঘা জমি রাখতে পারবেন। অবশিষ্ট জমি সরকারি বিধির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে খাস করতে পারবেন। এ ছাড়া ৬০ বিঘার বেশি থাকলে সেটি কেউ বিক্রিও করে দিতে পারেন বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।
কার কার ৬০ বিঘার বেশি জমি আছে, তা সরকার কীভাবে জানবে, সে বিষয়টিও খোলাসা করেন ভূমিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত ডাটাবেজ আসছে। তখন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। দেশের যেকোনো জায়গায় জমি থাক না কেন, তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডাটাবেজ দেখে বলা যাবে আপনার নামে কতটুকু জমি আছে।
তিনি আরও বলেন, আপনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। কিন্তু যখন এ ভূমি দান করতে যাবেন, তখন নতুন করে রেকর্ড করতে হবে। এখন কেউ যদি কাউকে জমি দান করেন, যাকে দান করা হচ্ছে, তার যদি এরই মধ্যে ৬০ বিঘা জমি থাকে, সেই দান তিনি নিতে পারবেন না। যদি সেক্ষেত্রে ৬০ বিঘার কম জমি থাকে, তাহলে যতটুকু কম ততটুকু নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানো হবে: আইনমন্ত্রী
চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে নির্বাচনের টাকা ভাগভাটোয়ারা দ্বন্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মান্না (৪৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ কর্মী জসিম ও তার ছেলে মামলার ৩ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এলাকা হতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব হতে পাহাড়তলী থানার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মান্নার হত্যাকারী প্রধান আসামি জসীম ও সহযোগী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাহাড়তলীর সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী রোড মাদ্রাসা পাশে (লাকি হোটেল গলি) রাস্তার উপর মোহাম্মদ হোসেন মান্নাকে প্রকাশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
নিহত মান্না পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়ার হাজী আব্দুস সালাম দফাদার বাড়ীর মৃত নূর মিয়ার পুত্র এবং ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়তলী ডবলমুরিং সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণার টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসিম ও মান্নার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল আমিন শালিশ করে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জসিমের দাবী মান্না নির্বাচনী কর্মীদের জন্য আনা ৮ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছিল মান্না।
রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তদন্তে এলে দুই জনের মধ্যে আমার ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে ছুরিকাঘাতে মারা যায় মান্না।
এ ব্যাপারে মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের ফাঁসির রায়
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রায়টি ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত। তবে হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: অধিকারের সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলার রায় পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের জেলা সদরের আমরই গ্রামে জমি সংক্রান্ত ভাগবাটোয়াকে কেন্দ্র করে বাবা বঙ্কিম চন্দ্র রায় বনরামকে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টম্বর লাঠিপেটায় হত্যা করে ছেলে বাঞ্জারাম চন্দ্র রায়। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত ছেলের স্ত্রী উমুকি রানী রায়।
আদালতে সরকার পক্ষের কৌশুলি এপিপি হাসানে ইমাম নয়ন জানান, জমির বাটোয়ারা বিরোধে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথমে ছোটভাই পঞ্চারাম রায়কে মারছিলেন অভিযুক্ত বড় ভাই বাঞ্জারাম রায়। এ সময় তাকে থামাতে বাবা এগিয়ে গেলে তাকে লাঠিপেটা করে সে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সে।
আদালতে ১৪ জনের স্বাক্ষ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দোষী প্রমাণিত ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক। তবে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণ অথবা ধরা পড়ার পর হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: ১৫ জনের বিচার শুরু
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের হত্যা মামলায় ২ জনের স্বীকারোক্তি
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এই তথ্য জানান।
গত ২৪ জুলাই অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন আইনজীবীরা।
গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছর ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের স্বপ্ন পূরণ নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা
বিভাগীয় কারণে আনিসুল করিমের মানসিক সমস্যা হয়নি: ডিআইজি হাবিবুর