আইনশৃঙ্খলা
চট্টগ্রামে আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রামে নির্বাচনের টাকা ভাগভাটোয়ারা দ্বন্ধে আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোসেন মান্না (৪৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি যুবলীগ কর্মী জসিম ও তার ছেলে মামলার ৩ নম্বর আসামি মোহাম্মদ রাহাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এলাকা হতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বিকালে গণমাধ্যমকে বলেন, টানা ৪৮ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব হতে পাহাড়তলী থানার আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মান্নার হত্যাকারী প্রধান আসামি জসীম ও সহযোগী আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য গত রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাহাড়তলীর সরাইপাড়া হাজী আশরাফ আলী রোড মাদ্রাসা পাশে (লাকি হোটেল গলি) রাস্তার উপর মোহাম্মদ হোসেন মান্নাকে প্রকাশে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
নিহত মান্না পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়ার হাজী আব্দুস সালাম দফাদার বাড়ীর মৃত নূর মিয়ার পুত্র এবং ১২ নং সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়তলী ডবলমুরিং সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী প্রচারণার টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জসিম ও মান্নার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুল আমিন শালিশ করে বিরোধ মিটানোর চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। জসিমের দাবী মান্না নির্বাচনী কর্মীদের জন্য আনা ৮ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাৎ করেন। বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। এনিয়ে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেছিল মান্না।
রবিবার দুপুরে পুলিশ মামলার বিষয়ে তদন্তে এলে দুই জনের মধ্যে আমার ঝগড়ার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে ছুরিকাঘাতে মারা যায় মান্না।
এ ব্যাপারে মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে পাহাড়তলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের ফাঁসির রায়
দিনাজপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রায়টি ঘোষণা করেন অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায়। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত। তবে হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: অধিকারের সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলার রায় পিছিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরের জেলা সদরের আমরই গ্রামে জমি সংক্রান্ত ভাগবাটোয়াকে কেন্দ্র করে বাবা বঙ্কিম চন্দ্র রায় বনরামকে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টম্বর লাঠিপেটায় হত্যা করে ছেলে বাঞ্জারাম চন্দ্র রায়। এ ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন অভিযুক্ত ছেলের স্ত্রী উমুকি রানী রায়।
আদালতে সরকার পক্ষের কৌশুলি এপিপি হাসানে ইমাম নয়ন জানান, জমির বাটোয়ারা বিরোধে ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথমে ছোটভাই পঞ্চারাম রায়কে মারছিলেন অভিযুক্ত বড় ভাই বাঞ্জারাম রায়। এ সময় তাকে থামাতে বাবা এগিয়ে গেলে তাকে লাঠিপেটা করে সে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে সে।
আদালতে ১৪ জনের স্বাক্ষ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দোষী প্রমাণিত ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন বিচারক। তবে আসামি পলাতক থাকায় আত্মসমর্পণ অথবা ধরা পড়ার পর হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রায় কার্যকরের তাগিদ দিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ভাই হত্যা মামলায় ৫ ভাই-বোনসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
এএসপি আনিসুল করিম হত্যা: ১৫ জনের বিচার শুরু
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ৯ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের হত্যা মামলায় ২ জনের স্বীকারোক্তি
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল-আমিন।
আসামিদের মধ্যে অসীম কুমার পাল কারাগারে আছেন। শাখাওয়াত হোসেন পলাতক রয়েছেন। অপর ১৩ আসামি জামিনে আছেন।
অভিযোগ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন হাওলাদার এই তথ্য জানান।
গত ২৪ জুলাই অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি শেষ করেন আইনজীবীরা।
গত বছর ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গত বছর ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।
আরও পড়ুন: এএসপি আনিসুল করিমের স্বপ্ন পূরণ নিয়ে স্ত্রীর শঙ্কা
বিভাগীয় কারণে আনিসুল করিমের মানসিক সমস্যা হয়নি: ডিআইজি হাবিবুর
ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত
থানার ভেতরে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাময়িক বরখাস্তের সময় তিনি পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়ম অনুযায়ী জীবিকা ভাতা পাবেন।
এর আগে সোমবার বিকালে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ডিএমপি। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছিল।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহবাগ থানায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকালে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির উপকমিশনারের (ডিসি-অপারেশন) নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাবিতে হলের ছাত্রকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমসহ কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে সরে গেলেও কিছুক্ষণ পর আরও পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এরপর নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন। রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর এডিসি হারুনকে ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করেছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আরও ৩ মামলা
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে আরও তিনটি মামলা করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সিলেটের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম প্রথম আদালতে পৃথক এই তিনটি মামলা করেন উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের তিন ভূক্তভোগী।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বাদী তিনজন হলেন- দিঘলী (দত্তপুর) গ্রামের রইছ উদ্দিন (৫৫), উপজেলার বশিরপুর (উত্তর সিরাজপুর) গ্রামের জমির আলী (৪০) এবং একানিধা গ্রামের মোতাওয়াল্লী মো. আব্দুল্লাহ (৫০)।
অভিযুক্ত দবির পৌরসভার মিয়াজানেরগাঁও গ্রামের মৃত সাজিদ মিয়ার ছেলে।
মামলা তিনটিরই শুনানি হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৃতীয় আদালতে। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক দিলরুবা ইয়াছমিন অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্যে সিলেটের গোয়েন্দা (সিআইডি) পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
একই সঙ্গে আগামি ২৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা তিনটিতেই উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়াকে আসামি করা হয়েছে। তিন মামলাতেই দবির মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এনিয়ে টাকা আত্মসাতের ৫টি ও সাইবার ট্রাইব্যুনালের একটিসহ মোট ৬টি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
মামলাগুলোর এজাহারে বলা হয়েছে, উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়া গভীর নলকূপের জন্য ৩০-৪০ হাজার টাকা জমা নেন।
গিয়ে চেয়রাম্যান নুনু মিয়ার নিকট টাকা চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর দবিরের বাড়িতে গেলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে দবির টাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তবে এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, সুবিধা না পেয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলা করাচ্ছে।
মামলার সত্যতা জানিয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আইনজীবী সুমন পারভেজ বলেন, মামলা তিনটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিচারক মো. আলমগীর হোসেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান কারাগারে
চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী ট্রলার থেকে ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুরে যাত্রাবাহী ট্রলারে অভিযান চালিয়ে ১৫ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
এদিন, দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশন ও চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব কারেন্ট জাল জব্দ করে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ১০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ
সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড এবং সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তার দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় মেঘনা নদীর মোহনায় যাত্রীবাহী ট্রলারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আনুমানিক ১৫ লাখ ১০ হাজর মিটার নতুন কারেন্ট জাল পরিবহনরত অবস্থায় জব্দ করা হয়। তবে ট্রলারে কেউ কারেন্ট জালের মালিক দাবি না করায় কাওকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী মো. জামিল হোসেন, কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনের চিফ পেটি অফিসার এম শফিকুল ইসলাম এবং কোস্টগার্ডের টহল সদস্যরা।
পরে মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
লক্ষ্মীপুরে ৫ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
চট্টগ্রামে যুবক খুন, ৩ ভাইয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড
চট্টগ্রামের আনোয়ারায়মাছ ধরা নিয়ে প্রতিবেশী এক যুবককে খুনের মামলায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম ৭ম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আ স ম শহিদুল্লাহ কায়সারের আদালত এই রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- হারুন রশিদ (৪০), জাহেদ হোসেন টুন্টু (৩২) ও আনোয়ার হোসেন (৩৬)। তারা সবাই আনোয়ারা উপজেলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের শিলাইগড়া গ্রামের মৃত আলি আহমেদের ছেলে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আখতার কবির চৌধুরী জানান, ১০ জনের সাক্ষ্যে প্রমাণে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন ভাইকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় হারুন ছাড়া বাকি দুইজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আর পলাতক হারুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ জুলাই মো. শাহেদের বাড়ির পাশের বিলে আসামি জাহেদ হোসেন ভাসা জাল বসিয়ে মাছ ধরতে গেলে তাকে শাহেদ বাধা দেয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে জাহেদ মোবাইলে কল দিয়ে তার দুই ভাই হারুন ও আনোয়ারকে ডেকে আনে। এরপর তারা একসঙ্গে ধারালো কিরিচ, দা ও লোহার রড দিয়ে শাহেদের উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে হারুন দা দিয়ে শাহেদের মাথায় কোপ দেয়। এরপর শাহেদের চিৎকারে তার স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠান। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সেদিনই তিন ভাইকে আসামি করে আনোয়ারা থানায় শাহেদের চাচা মো. ইউনুছ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এইচএসসি পরীক্ষা: চাঁদপুরে নকল সরবরাহের অভিযোগে কলেজ কর্মচারীকে কারাদণ্ড
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় এডিসি হারুনকে এপিবিএনে বদলি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (রমনা জোন) হারুন অর রশিদকে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলির আদেশ জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের অভিযোগে এডিসি হারুনকে রমনা অপরাধ বিভাগ থেকে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগে বদলির আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পর নতুন পদায়নের এ আদেশ দেওয়া হয়।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের জারি করা ডিএমপির বদলির আদেশে বলা হয়েছে, ‘জনস্বার্থে হারুন অর রশিদকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে পিওএম বিভাগে বদলি করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের সই করা পুলিশ সদর দপ্তরের নতুন পোস্টিং অর্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে, এডিসি হারুনকে ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার নতুন কর্মস্থল এপিবিএনে যোগদানের জন্য তার বর্তমান দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায়, বদলির আদেশ অনুসারে তাকে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ হিসেবে গণ্য করা হবে।
মারধরের শিকার ওই দুই নেতা হলেন- আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম ও বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এডিসি হারুন ও ছাত্রলীগের দুই নেতার কয়েকজন অনুসারীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
তবে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঈম ও শরীফকে শাহবাগ থানায় নিয়ে মারধর করেন।
এ ঘটনার পর কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বারডেম হাসপাতালে ৩৩তম বিসিএসের এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলছিলেন এডিসি হারুন। নারী কর্মকর্তার স্বামী বিষয়টি জানতে পেরে নাঈম ও মুনিমকে নিয়ে সেখানে যান। ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা এবং তারা সবাই গাজীপুরের বাসিন্দা।
তারা বারডেম হাসপাতালে পৌঁছালে রাত ৯টার দিকে এডিসি হারুনের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।পরে হারুন শাহবাগ থানায় গিয়ে পুলিশ বাহিনী নিয়ে ফিরে এসে শরীফ ও নাঈমকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করেন।
রাত ১টার দিকে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
হারুন তাদের থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গেলেও থানার প্রধান ফটক ভেতর থেকে তালা দেওয়ায় কিছু করতে পারেননি।
এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ না থাকায় অভিযুক্ত ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতারা এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি।
নড়াইলে ২২৮০ ইয়াবাজব্দ, গ্রেপ্তার ২
নড়াইলের লোহাগড়ার পানখারচর থেকে ইয়াবা কেনাবেচার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ হাজার ২৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আটকরা হলেন- মো. রুবেল সরদার (৩২) ও মো. শাহীন সরদার (৪৫)।
আরও পড়ুন: টেকনাফ সীমান্তে লক্ষাধিক ইয়াবা জব্দ, আটক ৩
র্যাব জানায়, লোহাগাড়া মার্কেটের পাশের একটি বাড়িতে দুই মাদক ব্যবসায়ীর মাদক বিক্রির খবর পেয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ২ হাজার ২৮০ পিস ইয়াবা ও দুটি মোবাইল ফোনসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
নড়াইল লোহগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাছির উদ্দিন জানান, জব্দ করা আলামত ও গ্রেপ্তারদের নড়াইলের লোহাগড়া থানায় পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
ঢাকা বিমানবন্দরে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ সৌদি প্রবাসী আটক