আইনশৃঙ্খলা
নাশকতার মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জনের বিচার শুরু
১১ বছর আগে রাজধানীর পল্টন মডেল থানার দায়ের করা নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
এর মধ্য দিয়ে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। একইসঙ্গে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: নেত্রকোণা আদালতে আরও ১টি মামলা
মামলার অপর আসামিরা হলেন- যুবদলের নেতা আজিজুল বারি হেলাল, সাইফুল ইসলাম নিরব, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে বাবু, কাজী রেজাউল হক বাবু ওরফে জিম বাবু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেসবাহ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামিদের বিরুদ্ধে অগঠনের আবেদন জানান। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের চালক মো. আয়নাল প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইস্কাটনের মিন্টো রোড থেকে ময়লার গাড়ি নিয়ে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে যাচ্ছিলেন। কাকরাইল থেকে বিজয়নগরের দিকে আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কবীর রিজভীর নেতৃত্বে ২০০ থেকে ২৫০ জন গাড়ি থামিয়ে হেলপারকে মারধর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। তারা গাড়িও ভাঙচুর করেন। এতে ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ওই দিনই পল্টন থানায় মামলা করেন আয়নাল।
মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল জোনাল টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মারা গেছেন শফিউল বারী বাবু।
আরও পড়ুন: সুজনের হাফিজ-বদিউলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার আবেদন
আদালত পরিবর্তন চেয়ে জাপানি দুই শিশুর বাবার আবেদন খারিজ
পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ এবং সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’র নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ এর সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছেন। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
সীমানা পুনর্নির্ধারণের আগে পিরোজপুর-১ আসনটি পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল। আর পিরোজপুর-২ আসনটি কাউখালি, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানি উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল।
তবে নির্বাচন কমিশন গত ৩ জুন সংসদীয় আসন দু’টির সীমানা পুনর্র্নিধারণ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয় পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলাকে। আর পিরোজপুর-২ সঙ্গে যুক্ত করা হয় পিরোজপুর-১ আসনে থাকা নেছারাবাদ উপজেলাকে ।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
নির্বাচন কমিশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ ও মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান এবং নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
রিটের শুনানি নিয়ে সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা প্রশ্নে গত ৩০ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর ) রুল খারিজ করে রায় দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ।
আরও পড়ুন: মশা নিয়ন্ত্রণে রিসার্চ সেন্টার করতে বললেন হাইকোর্ট
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
আগস্ট মাসে ২১৫.২৯ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আগস্ট মাসে ২১৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী, অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক জব্দ করেছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি।
আরও পড়ুন: টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৪ লাখ ৩৪ হাজার ইয়াবা জব্দ
জব্দকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে-
২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৫টি ইয়াবা, ৮ দশমিক ৪২০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ, ১০ হাজার ৪২৮ বোতল ফেনসিডিল, ২৪ হাজার ৭১৭ বোতল বিদেশি মদ, ৯৮৫ লিটার দেশি মদ, ৪ হাজার ৬৪৪টি বিয়ারের ক্যান, ১ দশমিক ২১৫ কেজি গাজা, ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৫টি সিগারেটের প্যাকেট, ৬৫ হাজার ৩৪৭টি ইনজেকশন, ৭ হাজার ৫০৫টি এসকুফ সিরাপ, ২ দশমিক ৫০০ কেজি কোকেন, ২ হাজার ৭৪২টি এমকেডিল/কফিডিলের বোতল, ২৬ হাজার ৫০৫টি সেনেগ্রা ট্যাবলেটের টুকরা এবং ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৫৬টি বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট।
জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
৫টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ১৮ রাউন্ড গুলি।
অন্যান্য চোরাচালান সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে-
৩৩.৩৪ কেজি স্বর্ণ, ৩৫ দশমিক ৭৫৮ কেজি রূপা, ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯২টি প্রসাধনী, ১৮ হাজার ৩২১টি ইমিটেশন গয়না, ১৯ হাজার ৮৫৭টি শাড়ি, ৭ হাজার ৩২৩টি থ্রি পিস, শার্ট পিস, বিছানার চাদর ও কম্বল, ১ হাজার ৬২৮টি সিএফটি কাঠ, ৯ হাজার ৯৩২ কেজি চা পাতা, ৫১ হাজার ৮৯০ কেজি কয়লা, ৪টি কাভার্ড ভ্যান, ৫টি পিক আপ, ২টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ২টি কষ্টিপাথরের মূর্তি, ৬৪টি মোটরসাইকেল এবং ২৭টি সিএনজি/ব্যাটারি/চান্দেরগাড়ি অটোরিকশা।
এদিকে, বিজিবি অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের চেষ্টাকারী ২৭৩ জন চোরাকারবারী, ২৮ বাংলাদেশি, ১২৪ মিয়ানমারের নাগরিক এবং ৪ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
চুয়াডাঙ্গায় কোমরের বেল্ট থেকে ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার: বিজিবি
বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী কারাগারে
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাবেরা আমান। এরপর শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক।
জানা যায়, আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।
গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।
উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে।
গত ২৭ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-১ এ পৌঁছে রায়ের অনুলিপি।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
পাইলটের মৃত্যুর ঘটনায় গালফ এয়ারের বিরুদ্ধে পিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
বাহরাইনের জাতীয় পতাকাবাহী গালফ এয়ারের কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে উড্ডয়নের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া এক পাইলটের মৃত্যুর তদন্তে বাধা সৃষ্টিকরার অভিযোগ উঠেছে।
২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর ইউনাইটেড হাসপাতাল ও গালফ এয়ারের কথিত অবহেলার কারণে জর্ডান-আমেরিকান পাইলট ক্যাপ্টেন মোহান্নাদ ইউসুফ হাসান আল হিন্দি মারা যান।
নিহত পাইলটের বোন মার্কিন নাগরিক তালা এলহেনডি জোসেফানো শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, গালফ এয়ারের বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ইশা শাহ তার ভাইয়ের মৃত্যুর তদন্তে বাধা দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রতিমন্ত্রী
ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তালা এলহেন্দি দাবি করেন, কান্ট্রি ম্যানেজার ইশা শাহ মামলার প্রধান সাক্ষী হলেও সহযোগিতা করছেন না, যা পিবিআই তদন্তের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করছে।
প্রয়াত পাইলটের বোন জানিয়েছেন, মোহান্নাদ ইউসুফ হাসান আল হিন্দির অবহেলাজনিত মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আটকে রাখা এবং গালফ এয়ারের প্রধান সাক্ষীদের বক্তব্য আটকে দেওয়ার কারণে ন্যায়বিচার বিলম্বিত হয়েছে।
এই মামলায় ইশা শাহকে 'প্রধান সাক্ষী' উল্লেখ করে তালা আরও বলেন, তিনি জানতে পেরেছিলেন যে ঈসা শাহ ২৫ জুন একটি কোম্পানির অনুষ্ঠানে ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু কেন তিনি পিবিআইয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি, জবানবন্দি দিতে পারেননি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী হাজির করতে পারেননি তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলস্বরূপ, আমাদের পরিবার ন্যায়বিচারে বাধা দেওয়ার জন্য ইশা শাহ এবং গালফ এয়ারের বিরুদ্ধে নিজ দেশ জর্ডান ও আন্তর্জাতিক আদালতে জুরিসডিকসনে দেওয়ানি এবং ফৌজদারি আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।’
বিবৃতিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের পিবিআই তদন্তে সহযোগিতা করতে বাধা দিতে গালফ এয়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: ড্রিমলাইনারে বিদেশি পাইলটদের 'লাইন ট্রেনিং' দিচ্ছে বিমান
তালা আরও বলেন, ‘এই ইচ্ছাকৃত অসহযোগিতা ছাড়াও তারা গণমাধ্যমে মিথ্যা বিবৃতিও দিয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় ফ্লাইট চালুর জন্য ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গালফ এয়ার। এছাড়া তারা ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইসিএও) অডিট সদ্য শেষ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এমন পরিস্থিতিতে গালফ এয়ার আমার ভাইয়ের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছে না। জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ও ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) কাছে গালফ এয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি।’
তালা বলেন, এই বিশেষ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলের মান ও কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো এফএএ ও আইএটিএকে গালফ এয়ারের কথিত অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিত করা, যা আমার পাইলট ভাইয়ের মৃত্যুর প্রধান কারণ।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এই গুরুতর অভিযোগগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে।’
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
গাইবান্ধায় বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির ৩৬জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ মোট ৩০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ব্যবহার ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. ময়নুল হাসান সাদিক জানায়, সারাদেশের মতো গাইবান্ধায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নেয়। সকাল থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালে গাইবান্ধা শহরের জেলা বিএনপি অফিস থেকে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পৌর শহীদ মিনার এলাকায় পুলিশ তাদের মিছিল করতে বাধা দেয়। এতে দুপক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও শটগানের গুলি বর্ষণ করে।
এসময় গাইবান্ধা জেলা বিএনপির অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হলেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস, কাঁদানে গ্যাস, শটগানের গুলিসহ মোট ২৮ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা চালানোর রাখার নির্দেশ
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
মাগুরায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলায় বের হওয়া মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান-উল-ইসলাম জানান, পুলিশকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাদের একজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং বাকিদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শুক্রবার বিকালে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা সদরে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। হাসপাতাল রোডের জামে মসজিদ এলাকা থেকে মধ্যম বাজারে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের অগ্রসর হতে বাধা দেয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
বিএনপি সমর্থকরা পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান, তিনটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালালে পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়।
ওসি বোরহান জানান, সংঘর্ষের সময় তারা ২ জনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি বিএনপির
নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সংসদ অধিবেশন উপলক্ষে আশপাশে জমায়েত ও অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করেছে ডিএমপি
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশনকে সামনে রেখে শনিবার মধ্যরাত থেকে জাতীয় সংসদ ও সংলগ্ন এলাকায় সব ধরনের অস্ত্র, বিস্ফোরক, অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বহন এবং সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামীকাল (রবিবার)।
শনিবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংসদ অধিবেশন চলাকালে নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ডিএমপি এই বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
বিধিনিষেধের অধীনে সড়ক ও এলাকাগুলো হলো: ময়মনসিংহ রোডের মহাখালী ক্রসিং থেকে পুরাতন বিমানবন্দর হয়ে বাংলামোটর ক্রসিং, বাংলামোটর লিংক রোডের পশ্চিম কোণ থেকে হোটেল সোনারগাঁও রোড হয়ে সার্ক ফাউন্টেন, পান্থপথের পূর্ব প্রান্ত থেকে গ্রিন রোড লিংক রোড হয়ে ফার্মগেট, শ্যামলী ক্রসিং থেকে ধানমন্ডি-১৬ (পুরাতন-২৭) সড়কের মোড়, রোকেয়া সরণি লিংক রোড থেকে পুরাতন ৯ম ডিভিশন ক্রসিং হয়ে বিজয় সরণি পর্যটন ক্রসিং, ইন্দিরা রোডের পূর্ব প্রান্ত থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্ত, জাতীয় সংসদের সীমাবদ্ধ এলাকা এবং উক্ত এলাকার সকল সড়ক ও গলি।
সংসদ অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।
আরও পড়ুন: ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
বাগেরহাটে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
বাগেরহাট থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই ও সংগঠনের নোট বই উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে র্যাব খুলনা-৬ এর সদস্যরা বাগেরহাট জেলার মোল্লাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তাররা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের বাগেরহাট, খুলনা ও গোপালগঞ্জ অঞ্চলের দাওয়াতী শাখার সদস্য বলে র্যাব সূত্র জানায়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পিরোজপুর জেলার কামাল গাজীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৩), গোপালগঞ্জ জেলার গাউছ মোল্যার ছেলে মো. আকাশ ওরফে আব্দুল্লাহ (২৩), একই জেলার মোহাম্মদ জাকির ফকিরের ছেলে তাজিম উদ্দিন ওরফে জসীম উদ্দিন (২১), একই জেলার সৈয়দ আহাদুজ্জামানের ছেলে মো. রিপন (২০) এবং মাদারীপুর জেলার মতিউর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন অনিক (২০)।
আরও পড়ুন: 'অপারেশন হিলসাইড': নতুন জঙ্গি সংগঠন 'ইমাম মাহমুদের কাফেলা'র ১০ সদস্য আটক
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এদের মধ্যে তরিকুল গোপালগঞ্জে একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। আব্দুল্লাহা বাগেরহাটে একটি মাদ্রাসায় পড়তেন। তাজিমুদ্দিন গোপালগঞ্জের একটি স্থানীয় মাদরাসায় ইমামতী করতেন। ইসমাইল গোপালগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় পড়তেন এবং রিপন ২০২২ সালে আব্দুল্লাহার মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করেন।
গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন।
তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্ধুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামে যোগ দেয়।
এরপর থেকে তারা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি বলে র্যাব জানায়।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন হিলসাইড’ চালাচ্ছে সিটিটিসি
জঙ্গি সংগঠন ‘জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নিষিদ্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জিমে গোপন ভিডিও ধারনের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি ব্যায়ামাগারে গোপনে ভিডিও ধারণের প্রতিবাদ করায় এক নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ৯৯৯-এ কল করলে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস ক্লাব নামে একটি জিমে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব, জিমের ফিটনেস ট্রেইনার মিতু আক্তার ও সাইমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় রাতেই গ্রেপ্তার তিনজনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন ওই নারীর ভাসুর।
লিখিত অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও তার বোন শহরের মৌলভীপাড়ায় বিএস ফিটনেস সেন্টারে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। সেখানে মেয়েদের ব্যায়াম করার আলাদা ব্যবস্থা থাকায় দুই বোন সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে জিমের ট্রেইনার মিতু আক্তার গোপনে ভিডিও ধারণ করেন বলে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা নিশ্চিত হন ট্রেইনার মিতু গোপনে তাদের ভিডিও ধারণ করেছে। বুধবার বিকালে তারা দুই বোন ট্রেইনার মিতুকে ভিডিও করার কথা জিজ্ঞেস করলে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ট্রেইনার মিতু জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবকে জানায়।
এই খবর পেয়ে বিপ্লব তাদের দুই বোনের কাছে যান মিতুকে নিয়ে। সেখানে মিতু ওই নারীকে মারধর শুরু করেন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
একপর্যায়ে জিমে থাকা শহরের উত্তর পৈরতলার সোহেল মিয়া তাদের বাঁচাতে এলে বিপ্লবসহ তার সহযোগীরা তাদের সবাইকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে। আশপাশের সড়কে উৎসুক মানুষ জমায়েত হয়ে ভিডিও করে ঘটনাটি ফেসবুকে দেয়।
শেষে ৯৯৯- এ কল পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। গুরুতর আহত হওয়ায় ওই নারী ও সহায়তা করতে আসা সোহেলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর জিমের পরিচালক বিপ্লব, ট্রেইনার মিতু ও সাইমকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভিডিও ধারণের বিষয়ে একজন নারীর ফোন পেয়ে ব্যায়ামাগারে যাওয়ার সময় সোহেল নামে একজন ফোন করে গালিগালাজ করে। কয়েকজন লোক নিয়ে ব্যায়ামাগারে আসেন। ব্যায়ামাগারে ভাঙচুর দেখে সোহেলকে আটক করা হয়। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নেওয়ার সময় পেছন থেকে আমাকে ছুরিকাঘাত করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসাইন জানান, জিমে দুই বোনের ছবি উঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ওই জিমের মালিক ও ট্রেইনার পক্ষের লোকজনদের সঙ্গে ওই দুই নারীর পরিবারের লোকজনদের ঝগড়া হয়। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জিমের পরিচালক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাবিবুল্লাহ ভূঁইয়া বিপ্লবসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে জখম