আইনশৃঙ্খলা
চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০০ জামায়াত-শিবির কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ চৌমুহনী এলাকায় জামায়াত- শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনকে আসামি দেখানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ জুলাই) বাদী হয়ে সিএমপির ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকজন পুলিশকে আহত করে।
ঘটনাস্থল থেকে আটক ২১ জনের মধ্যে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় ৫ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর আগ্রাবাদ বাদামতলী মোড় থেকে কয়েক হাজার জামায়াত-শিবির কর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে।
মিছিলটি চৌমুহনী মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দিলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে সামনে পেয়ে তারা পুলিশের একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় গাড়ির ভেতর থেকে পুলিশের ডবলমুরিং জোনের সহকারী কমিশনার মুকুর চাকমা বের হলে তাকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
এতে তিনিসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ওদিন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ২১ জনকে আটক করে।
তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়, পুলিশ জামায়াতের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সহযোগিতায় হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রী ও দুই শ্যালকের বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুক দাবির মামলা!
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
আ. লীগ ও বিএনপির কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি ডিএমপি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনদুর্ভোগের গোয়েন্দা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে শনিবার রাজধানীর সব প্রবেশপথে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেয়নি ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডিএমপি কমিশনার এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর সব প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলগুলো এই কর্মসূচি পালনের জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও জনদুর্ভোগের গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ডিএমপি সব রাজনৈতিক দলকে আগামীকালের অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার পরামর্শ ডিএমপির
পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামীকাল উভয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৮ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযানের ১৮ দিনে মোট ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ১৮তম দিনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১০টি মামলায় মোট ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির ছয়টি এলাকায় একযোগে অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা-বাড়ি, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ৪টি মামলায় মোট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম।
অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন রায়ের বাজার এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে ২টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন করা হয় ও সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: ১৬ দিনে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন কল্যাণপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ১০৫টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। একটি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন ০৭ নং ওয়ার্ডের মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন সাঈদনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১টি গ্যারেজে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ডিএনসিসি'র সহকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
উল্লেখ্য, মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন অভিযান তদারকির জন্য সকল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। দশটি টিম প্রতিদিন চলমান অভিযান তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশকনিধন অভিযান: ১৩ মামলায় ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা
রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এস তাহের আহমেদকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসির আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং অধ্যাপক এস তাহেরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রাত ১০টা ০১ মিনিটে তাদের একযোগে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ, জিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক, উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল রকিব প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: রাবির অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল আবেদন খারিজ
ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে গ্রেপ্তার বাবা জামিন পেয়েছেন
রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত মেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে হাতাহাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার বাবা হাবিবুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমামের আদালত।এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মান্নান আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বাচ্চা মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন হাবিবুর। এ কারণে হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন।
আসামির পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন মোরাদুল আরিফিন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছে, হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংকট
তিনি বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে রোগীর বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বাদী। আসামি আসলে ভুক্তভোগী। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। মামলার ধারাগুলো জামিনযোগ্য। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত তার শিশু মেয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে জামিন না দিলে শিশুটি অযত্নে ও চিকিৎসার অভাবে মারা যেতে পারে। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। যেকোনো শর্তে তার জামিনের প্রার্থনা করছি।
এসময় মামলার বাদী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিনে কোনো আপত্তি নেই বলে আদালতকে জানান তিনি।
শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিনের আদেশ দেন।
মুগদা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই সেলিম খান জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নাজিয়া সুলতানার মৃত্যু
বিএনপি ও আ. লীগকে শর্ত সাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি
বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে ২৩ শর্ত জুড়ে দিয়ে শুক্রবার কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
শর্ত মেনে বিএনপি নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের শান্তি সমাবেশ করবে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএমপি সদর দপ্তরে দলগুলোর অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ ঘোষণা দেন।
উভয় রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে তারা (আ.লীগ ও বিএনপি) তাদের সমাবেশ বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের নির্দেশনা মেনে বিএনপির নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার নয়াপল্টন ছেড়েছেন
তিনি বলেন, বিএনপিকে তাদের মহাসমাবেশ কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল ক্রসিং থেকে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে সীমিত রাখতে বলা হয়েছে এবং আওয়ামী লীগকে তাদের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে মুক্তাঙ্গনে সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
উভয় দলের সমর্থকদের সমাবেশে কোনো লাঠি, বাঁশ ও ব্যাগ বহন না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এর আগে বুধবার রাতে বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয় বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার। পুলিশ কর্তৃপক্ষের পরামর্শে গোলাপবাগ মাঠে করতে রাজি না হওয়ায় ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ঘোষণা দেন।
বিএনপির পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের তিনটি সহযোগী সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগও বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শুক্রবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে তাদের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছিলেন, পুলিশ বিএনপিকে নয়াপল্টন বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়নি। ‘বৃহস্পতিবার কর্ম দিবস হওয়ায় আমরা তাদের গোলাপবাগ মাঠ বা অন্য কোনো মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।’
ডিএমপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিনটি ফ্রন্ট- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের পরিবর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বা মহানগর নাট্যমঞ্চে তাদের নির্ধারিত সমাবেশ করার পরামর্শ দিয়েছিল।
গত শনিবার, ‘নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য তাদের এক দফা দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আগামীকাল উভয় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
তারেক-জোবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলায় রায় ২ আগস্ট
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় রায়ের তারিখ আগামী ২ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকালে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এ তারিখ ঠিক করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান।
এদিন দুদকের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন মোশাররফ হোসেন কাজল। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন।
তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপনের সুযোগ ছিল না। তারা আইনি লড়াই করতে পারেননি।
এর আগে গত ২৪ জুলাই মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সাক্ষ্য
গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত।
এর আগে গত ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর পর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য
দুর্নীতি মামলায় তারেক ও জোবায়দার বিচার শুরু
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন কক্সবাজারের দায়রা জজ
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের আইনভঙ্গ করে আদেশে মিথ্যা তথ্য লিখে একইদিনে জামিন দেওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলকে অব্যাহতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আইন লঙ্ঘন করো জামিন দেওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) এ আদেশ দেন।
আদেশের আগে কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ‘বিচারে কেন তাড়াহুড়া করবেন? বিচার তাড়াহুড়া করার বিষয় নয়। যা হয়ে গেল, তা কারও জন্যই কাম্য নয়।’
আরও পড়ুন: আপনি ভুল করেননি, ক্রাইম করেছেন: জেলা জজকে হাইকোর্ট
আজও হাইকোর্টে হাজির হন জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন; সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কাশেম ও আরিফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
জমি দখল নিয়ে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে কক্সবাজারের মিঠাছড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ ভুট্টোসহ নয়জনের বিরুদ্ধে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুত বিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন।
এ মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলে হাইকোর্ট ১১ এপ্রিল তাদের ৬ সপ্তাহের জামিন দিয়ে কক্সবাজারের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের সেই আদেশ মোতাবেক গত ২১ মে আসামিরা আত্মসমর্পণ করে হাকিম আদালতে জামিন চান। আদালত ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু একই দিন আসামিরা কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তখন জেলা ও দায়রা জজ তাদের জামিন দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন রিনা।
এই আবেদনের শুনানিকালে গত ২১ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ ব্যাখ্যা জানাতে কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ার আলোচিত সেই জজের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত
আইনজীবী বলেন, ২১ মে দুপুর ১২টার দিকে ৯ আসামি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন। এর আগেই মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন।
এক্ষেত্রে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন নামঞ্জুরের আদেশসহ অন্য কাগজপত্রের প্রত্যায়িত অনুলিপি বা প্রত্যায়িত অনুলিপির ফটোকপি দাখিল করা হয়নি। আসামির হাজতবাসের মেয়াদসহ সার্বিক বিবেচনায় তাদের জামিন মঞ্জুর করা হয়- আদেশে উল্লেখ করেছেন জেলা জজ।
অথচ ৯ আসামি এক মুহূর্তও হাজতে ছিলেন না। শুনানিতে বিষয়গুলো তুলে ধরা হলে জেলা ও দায়রা জজ আসামিদের কীভাবে জামিন দিলেন- এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে আসতে বলেন আদালত।
পরে গত ২০ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে নিঃর্শত ক্ষমা প্রার্থনা করেন কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। শুনানি নিয়ে আদালত আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ তাকে ক্ষমা করে জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল জারির এ আদেশ হয়।
আদেশের পর আইনজীবী আলতাফ হোসেন বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর কক্সবাজারের দায়রা জজকে অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় দায়রা জজের দেওয়া জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন। প্রতিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, দায়রা জজ মন থেকে ক্ষমা চেয়েছেন কি না, তা জানতে চান আদালত। তখন দায়রা জজ বলেন, তিনি মন থেকেই ক্ষমা চেয়েছেন। যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সবার জন্য লজ্জার বলে শুনানিতে মন্তব্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরের জেলা জজকে স্ট্যান্ড রিলিজ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
আ.লীগ ও বিএনপির জন্য শর্ত একই: শুক্রবারের সমাবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকায় সমাবেশ করতে হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একই শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় কোনো ঝামেলা ও জনসাধারণের কোনো অসুবিধা করতে পারবেন না।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সচিবালয়ে মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিতএক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সমাবেশ না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। সমাবেশ কোথায় হবে তার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি।’
বায়তুল মোকাররম ও নয়া পল্টনে যথাক্রমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশের ঘোষণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুনেছি। ওইসব স্থানে সমাবেশ করার বিষয়ে তারা অনড় থাকলে আমরা উভয় দলের জন্য কিছু শর্ত রাখব।
তিনি বলেন, ‘অনুমতির দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন কী করবেন।’
আরও পড়ুন: একদিন পিছিয়ে শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ
আগামীকাল সমাবেশে সহিংসতার কোনো হুমকি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি পালনে সরকারের কোনো বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘তবে তাদের উচিত নিয়ম-কানুন এবং দেশের আইন-কানুন মেনে চলা। আমরা তাদের কাছে আবেদন জানাবো জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করার জন্য। আমি তাদের জনদুর্ভোগের কারণ না হওয়ার জন্য অনুরোধ করব।’
উভয় পক্ষকে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ না করার এবং ভাঙচুর না করারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা রিজভীর
বরগুনায় মিথ্যা মামলা করায় নারীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে রায় দিয়েছেন বিচারক। দণ্ডিত অর্থ আদায় করে বাদী আকরামকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার(২৬ জুলাই) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের শশাতলা গ্রামের জামাল মল্লিকের স্ত্রী মোছাম্মাৎ রুমা আক্তার (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আশরাফুল আলম। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত রুমা আক্তার ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ওই ট্রাইব্যুনালে একই গ্রামের মৃত নুরু সরদারের ছেলে মো. আকরামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী বাড়িতে প্রায়ই থাকে না। এ সুযোগে আকরাম প্রায়শই রুমা আক্তারকে উত্যক্ত করত।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার সময় একই গ্রামের লুৎফার বাড়ি হতে বিলের মধ্য দিয়ে নিজ বাড়িতে আসতেছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি আসলে আকরাম অসৎ উদ্দেশ্য রুমা আকতারকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুমার সঙ্গে থাকা তার স্বামী জামাল মল্লিক রুমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে আকরাম তাকে পিটিয়ে আহত করে।
ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বরগুনা থানায় এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ মে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (মিথ্যা) দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, আকরাম নির্দোষ এবং বাদী রুমা আকতার মিথ্যা মামলা করেছেন। বাদী রুমা আকতার ওই ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি আবেদন করলে তাও ট্রাইব্যুনাল নাকচ করে দেয়।
আসামি আকরাম বলেন, আমার মান সম্মান রুমা আক্তার শেষ করে দিয়েছে। তিনি রুমা আক্তারের বিরুদ্ধ ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল ওই ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা করার প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন। তিনি তার মামলায় অভিযোগ করেন,‘রুমা আমার চেয়ে বয়সে বড়। তার স্বামীর সঙ্গে আমার জমাজমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে আমার বিরুদ্ধে রুমা জঘন্য ও মিথ্যা মামলা করেছিল।
রুমা আকতার কোর্ট প্রাঙ্গণে বলেন, আমি প্রথমে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন এনেছিলাম। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি আবার হাইকোর্টে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফুল আলম বলেন, আকরাম ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এই ম্যাসেসটি জনগণের কাছে পৌঁছালে এভাবে আর কেউ মিথ্যা মামলা করবে না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড