আইনশৃঙ্খলা
বরগুনায় মিথ্যা মামলা করায় নারীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড
মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে এক নারীকে দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে রায় দিয়েছেন বিচারক। দণ্ডিত অর্থ আদায় করে বাদী আকরামকে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার(২৬ জুলাই) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের শশাতলা গ্রামের জামাল মল্লিকের স্ত্রী মোছাম্মাৎ রুমা আক্তার (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আশরাফুল আলম। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত রুমা আক্তার ২০১৭ সালের ১০ মার্চ ওই ট্রাইব্যুনালে একই গ্রামের মৃত নুরু সরদারের ছেলে মো. আকরামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার স্বামী বাড়িতে প্রায়ই থাকে না। এ সুযোগে আকরাম প্রায়শই রুমা আক্তারকে উত্যক্ত করত।
ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টার সময় একই গ্রামের লুৎফার বাড়ি হতে বিলের মধ্য দিয়ে নিজ বাড়িতে আসতেছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি আসলে আকরাম অসৎ উদ্দেশ্য রুমা আকতারকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুমার সঙ্গে থাকা তার স্বামী জামাল মল্লিক রুমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে আকরাম তাকে পিটিয়ে আহত করে।
ট্রাইব্যুনাল মামলাটি বরগুনা থানায় এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ মে চুড়ান্ত প্রতিবেদন (মিথ্যা) দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, আকরাম নির্দোষ এবং বাদী রুমা আকতার মিথ্যা মামলা করেছেন। বাদী রুমা আকতার ওই ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে না রাজি আবেদন করলে তাও ট্রাইব্যুনাল নাকচ করে দেয়।
আসামি আকরাম বলেন, আমার মান সম্মান রুমা আক্তার শেষ করে দিয়েছে। তিনি রুমা আক্তারের বিরুদ্ধ ২০১৮ সালের ১৮ এপ্রিল ওই ট্রাইব্যুনালে মিথ্যা মামলা করার প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন। তিনি তার মামলায় অভিযোগ করেন,‘রুমা আমার চেয়ে বয়সে বড়। তার স্বামীর সঙ্গে আমার জমাজমি নিয়ে বিরোধ থাকার কারণে আমার বিরুদ্ধে রুমা জঘন্য ও মিথ্যা মামলা করেছিল।
রুমা আকতার কোর্ট প্রাঙ্গণে বলেন, আমি প্রথমে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন এনেছিলাম। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমি আবার হাইকোর্টে আপিল করব।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফুল আলম বলেন, আকরাম ন্যায় বিচার পেয়েছেন। এই ম্যাসেসটি জনগণের কাছে পৌঁছালে এভাবে আর কেউ মিথ্যা মামলা করবে না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাতে ও বুধবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছে থাকা ৭টি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানায় গ্রেপ্তাররা হলেন-আলমডাঙ্গা উপজেলার বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান বকুল (৫৩), সহসভাপতি ফারুক হোসেন (৪০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আতাউল হুদা (৪৫), বাড়াদী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ওবাইদুল ইসলাম ঝন্টু (৪৩), লুৎফর রহমান টিটু (৫০), ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও চিকিৎসক এ কে এম নাজমুস সালেহীন লিপন (৪১), জেহালা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সমসের আলী ছমে (৪৭), জামজামি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মজিবর রহমান (৫৫), খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফতে আলী (৬০), ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য বাদশা আলম (৬০), আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের সদস্য জনি (২৮)।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নাশকতা পরিকল্পনার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনায়েতপুর স্কুল মাঠ থেকে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
দর্শনা থানায় গ্রেপ্তাররা হলেন- দর্শনা পৌর এলাকার দক্ষিণচাদপুর গ্রামের জামায়াতের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন, জামায়াত নেতা তানজিল হোসেন, তিতুদহ গ্রামের নাজমুল হক ও হাফিজুল ইসলাম, নেহালপুর গ্রামের লোকমান হোসেন ও আরাফাত রহমান এবং বেগমপুর ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা মোশারফ হোসেন।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৭টি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে, যা নাশকতার কাজে লাগানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া দামুড়হুদা থানায় আব্দুল গফুর (৪৯) নামে আরও এক জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার এসব জামায়াত-বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৯ নেতাকর্মীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
নাটোরে যুবলীগ নেতার কবজি বিচ্ছিন্নের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় স্ত্রীসহ ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পী (৩৩) হত্যা মামলায় স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৭) ও হুমায়ুন রশিদ (২৮) নামে দুইজনেক ফাঁসি এবং অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আসামি জাকির হোসেন ওরফে মোল্লা জাকিরকে (৩৫) খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী রাশেদা বেগম কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মণ্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে এবং হুমায়ুন রশিদ পটিয়া থানার শোভনদণ্ডী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।
রায় ঘোষণার আগে আসামি আল আমিন ও পারভেজকে কারাগার থেকে আদালত হাজির করানো হয়। রায় ঘোষণা শেষে তাদেরকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। বাকি আসামিরা জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত তিন আসামি হলেন- আল আমিন (২৮), আকবর হোসেন ওরফে রুবেল ওরফে সাদ্দাম (২৩) এবং মো. পারভেজ ওরফে আলী।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ বলেন, পাঁচজন আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন ও আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে।
রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন রশিদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী এবং খালাস পাওয়া জাকির মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
পরে হুমায়ুন রশিদ ও মো.পারভেজ আলীকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দুলাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, রায়ে দুই আসামিকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। বাকি আসামি তিন আসামিকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাপ্পী ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম বারের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলার চৌমুহনী এলাকায়। তার বাবার নাম আলী আহমেদ। মায়ের নাম মনোয়ারা বেগম। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন বাপ্পী। হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত তিনি অবিবাহিত ছিলেন বলে জানতেন আত্মীয়-স্বজনরা।
২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরের চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং স্পর্শকাতর অঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনার পর বাপ্পীর বাবা আলী আহমেদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-অগ্নিসংযোগ: ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। আইনজীবীদের আন্দোলনের মুখে টানা অভিযান চালিয়ে ঘটনার দুদিন পর ২৭ নভেম্বর কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে রাশেদা বেগমসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে মামলাটি পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট অধিগ্রহণ করে পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমাকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। এরপর তিনি তদন্ত করে বের করেন হত্যার নেপথ্যের কাহিনি।
যে বাড়ি থেকে বাপ্পীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সে বাড়ির কেয়ারটেকার ওই সময়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার কয়েকদিন আগে ওই নারী (রাশেদা) তার স্বামীসহ থাকবেন বলে বাসা ভাড়া নেন। ঘটনার রাতে ওই বাসায় থাকতে যান বাপ্পি। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানান, দেলোয়ার নামে এক ইয়াবা পাচারকারীর স্ত্রী ছিলেন রাশেদা বেগম। স্বামীর মামলার সূত্র ধরে আইনজীবী বাপ্পীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এক পর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ বলেন, বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। আদালত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ
ফুলপরীকে নির্যাতন: ইবির পাঁচ ছাত্রীকে নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ হাইকোর্টের
শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনে ঘটনায় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীর এক বছরের বহিষ্কার আদেশ বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন করে শাস্তি আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় বুধবার এ আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতে বিশ্বিবিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি এক বছরের জন্য পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস কোড অব কন্ডাক্ট-১৯৮৭ এর বিধান অনুসারে শাস্তির বিষয়ে প্রথম সিদ্ধান্ত নিবেন উপাচার্য। উপাচার্যের শাস্তি যথাযথ হয়েছে কিনা সে ব্যাখ্য-বিশ্লেষণের পর চূড়ান্তভাবে শাস্তি বা সাজা আরোপ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটি। শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্তে শাস্তি কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু এই পাঁচ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উপাচার্য কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। বিশ্বিবিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটি সরাসরি শাস্তি আরোপ করেছেন। পাঁচজনকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছেন। কিন্তু এই বহিষ্কার আদেশটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় তা বাতিল করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নতুন করে শাস্তি বা সাজা আরোপ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।’
এক বছরের বহিষ্কারাদেশের বিষয়ে আদালতের বক্তব্য তুলে ধরে এই আইনজীবী বলেন, ‘হাইকোর্ট বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুসারে সাজা বা শাস্তি আরো বেশি দেওয়ার সুযোগ আছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষই বলেছে জঘণ্য অপরাধ (ফুরপরীকে নির্যাতন) ঘটেছে, তাই আদালত বলেছেন, সে হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে সাজা আরো বেশি দিতে পারে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিবেদনে বলেছে, এক বছরের বহিষ্কারাদেশ সর্বোচ্চ সাজা।’ রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসীন বলেন, ‘আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান হচ্ছে ছাত্রত্ব বাতিল মানে স্থায়ী বহিষ্কার।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কোড অব কন্ডাক্ট অব স্টুডেন্ট,- ১৯৮৭’র প্রথম অধ্যায়ের ৪, ৫ ও ৭ ধারা এবং দ্বিতীয় অধ্যায়ের ৮ ধারা সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, তারা সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু এক বছরের জন্য বহিষ্কারাদেশ তো সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন প্রতিবেদনে আদালত বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে চারঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন ফিন্যান্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুন। ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য, সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তার অনুসারীরা তাকে নির্যাতন করেন। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগী ফুলপরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে নির্যাতনের সত্যতা মিললে অভিযুক্তদের হল এবং শাখা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয় নির্যাতনকারীদের।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেত্রী সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ শিক্ষার্থীকে গত ১৫ জুলাই এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনো কিছুতেই অংশ নিতে পারবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে এটা সর্বোচ্চ শাস্তি বলে জানান প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
পাঁচ শিক্ষার্থীর এই বহিষ্কার আদেশ আদালতকে জানাতে প্রতিবেদন দাখিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যে প্রতিবেদনটি ১৯ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। রিটকারী আইনজীবী সেদিন বহিষ্কারাদেশ ও শাস্তি বিধিসম্মত হয়নি বলে প্রশ্ন তোলেন। শুনানির পর আদালত কোন প্রক্রিয়ায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে তা জানতে চান। সে ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আদালতে উঠলে শুনানির পর আদেশ দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৫ জন বহিষ্কার
নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরের লালপুর থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ফসিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যশোর র্যাবকে সঙ্গে নিয়ে নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের সরদারপাড়া পানঘাটা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছদ্মবেশে থাকা ফসিয়ারকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ফসিয়ার রহমানের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া থানার ছোট খুদরি গ্রামে।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সরকার জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যশোরের বাঘাপাড়া এলাকায় খুন,অপহরণ,নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় চলতি বছরের ২৫ জুন রাজাকার ফসিয়ার রহমানসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর থেকে পলাতক ছিলো ফসিয়ার।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে র্যাব-৬এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৪ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে, যাবজ্জীবন প্রাপ্তদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় দেন।
নিহত মামুনুর রশিদ চন্দ্রগঞ্জের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের আবু তৈয়ব খানের ছেলে এবং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মধু, মো. মামুন, বাবু ওরফে গলাকাটা বাবু, মো. শামীম ও কাউছার ওরফে ছোট কাউছার।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, নেহাল, মো. বোরহান, মো. তুহিন, জাকির হোসেন, সোহরাব হোসেন, বাছির আহাম্মদ, মো. মিজান, আলমগীর হোসেন, কছির আহম্মেদ, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, তারেক আজিজ সুজন, মো. টিপন ওরফে জাহাঙ্গীর আলম।
রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মধু ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত টিপন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে। তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় অপরাধী সোলায়মান উদ্দিন জিসানের সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদের শত্রুতা ছিল।
‘জিসান বাহিনী’ মামুনকে তাদের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিত।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জিসানের মৃত্যু হয়। জিসানের মৃত্যুর পর জিসানের ছোট ভাই তুহিন ‘জিসান বাহিনীর’ নেতৃত্ব দিতেন।
জিসান বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশকে সহযোগিতা করেন মামুন।
শত্রুতার জেরে ২০১৮ সালের ১৮ কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামুনের ভাই ফখরুল ইসলাম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
নথিপত্র ও সাক্ষী যাচাই-বাছাই করে আদালত দুইজনকে বেকসুর খালাস দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বাসচালককে সাভারের আশুলিয়া থেকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার চালকের নাম মোহন খান (৪০)।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন জানান, র্যাব-৮ এর একটি দল আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে গভীর রাতে মোহনকে গ্রেপ্তার করে।
মঈন বলেন যে হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও মোহন ভারী যানবাহন চালাতেন।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে পুকুরে বাস পড়ে ১৭ জনের মৃত্যু, আহত ৩৫
এর আগে সোমবার সকালে ঝালকাঠির রাজাপুর এলাকা থেকে বাসের সুপারভাইজার ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই পিরোজপুর থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দায় স্মৃতি পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুশংকর বাদী হয়ে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারকে আসামি করে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত, আরোহী আহত
গাড়ি চালানো অবস্থায় চালক হৃদরোগে আক্রান্ত, দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে ইয়াবা জব্দ: মামলায় ট্রাকচালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে ইয়াবা পাচার মামলায় ট্রাকচালক ও তার সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সরওয়ার আলমের আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চালক মো. মাসুম মিয়া ও সহকারী মো. আলম হোসেন।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ জুলাই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হয়।
সে সময় ট্রাকের কেবিনের সিলিং থেকে লুকিয়ে রাখা ২৪টি প্যাকেট থেকে মোট ৪৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় পটিয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে মামলা করেন।
চট্টগ্রাম জেলা পিপি অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, ৪৮ হাজার ইয়াবা জব্দের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাদের ২ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন যে পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হিরো আলমকে হত্যার হুমকি: সিলেট থেকে যুবক গ্রেপ্তার
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সিলেট থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকালে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার যুবক আবু আহমেদ (২৫) উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ (তিরাঙ্গা) এলাকার ফয়সাল বারীর ছেলে।
আরও পড়ুন: হিরো আলমকে মারধর: পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি গ্রেপ্তার
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের সহকারী মিডিয়া অফিসার শ্যামল বণিক বলেন, হিরো আলমের হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে তিনি অভিযোগ করেন, তাকে কেউ একজন ফোনে কল করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
শ্যামল বণিক বলেন, পরে সেই মামলায় আবু আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবু হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, আবু আহমেদের মোবাইল ফোন জব্দ করে তাকে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: হত্যার হুমকি পেয়ে হিরো আলমের জিডি
ঢাকা-১৭ আসনে পুনঃনির্বাচনের দাবি হিরো আলমের
সাতক্ষীরায় বিএনপি নেতা চাঁদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির মামলায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন সাতক্ষীরার আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জিয়ারুল ইসলাম দীর্ঘ শুনানি শেষে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা চাঁদের ওপর হামলা, পুলিশ আহত
এর আগে বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির নেতা আবু সাঈদকে আদালতে আনা হয়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট তামিম আহমেদ সোহাগ।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম আকবর আলী ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান ভুট্টো।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ বলেন, আসামি চাঁদ পূর্বে গ্রেপ্তার থাকায় ২৩ জুলাই রবিবার তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট (দৃশ্যত গ্রেপ্তার) দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। মঙ্গলবার আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইদুজ্জামান জিকো জানান, গত ১৯ মে তারিখে রাজশাহীর পুঠিয়ায় বিএনপি নেতা আবু সাইদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা হবার পর ২৫ মে তারিখে সাতক্ষীরায় একটি মামলা করেন তিনি।
এই মামলায় মঙ্গলবার আবু সাইদ চাঁদকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: আরও ৩ দিনের রিমান্ডে বিএনপি নেতা চাঁদ
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা