আইনশৃঙ্খলা
সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণা শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ফিরোজ কবিরকে রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা দিতে না পারলে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী তা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন।
তাদের ব্যাংক হিসাবে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় অভিযোগ দাখিল করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
গ্রামীণ কল্যাণ নিয়ে ড. ইউনূসের রিট নিষ্পত্তির নির্দেশ আপিল বিভাগের
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণের চাকরিচ্যুত ১০৬ জন কর্মচারীকে লভ্যাংশ দিতে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে করা রিট দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
একই সঙ্গে গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত রাখা হয়েছে।
আদালতে শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে তিনি জানান, রিট মামলাটি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা আদালত স্থগিত রেখেছেন।
জানা যায়, ১০৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থ বছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়।
শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা শ্রম আদালতে মামলা করেন। গত ৩ এপ্রিল চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি করে গত ৩০ মে গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করা হয়।
গত ২২ জুন শ্রমিকদের আবেদনের শুনানি করে শ্রমিকদের লভ্যাংশ দিতে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের ওপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে হাইকোর্টের আদেশের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর আদালত এই স্থগিতাদেশ দিয়ে শ্রমিকদের আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে অনুযায়ী আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি: সোহেল রানার জামিন আদেশ আরও ৬ মাস স্থগিত
সাভারের রানা প্লাজা ধসে মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবনটির মালিক সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ৬ মাসের জন্য স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রেখেছেন আপিল বিভাগ। এই ৬ মাস তার জামিন স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সোহেল রানার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: অবশেষে রানা প্লাজা ধস মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
গত ৬ এপ্রিল এ মামলায় সোহেল রানাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা।
পরে রাষ্ট্রপক্ষ এই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। ফলে রানার মুক্তিও স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর গত ৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ সোহেল রানাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ১০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফের তার জামিনের বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি ৬ মাস স্ট্যান্ডওভার (মূলতবি) রাখেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের জামিন আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রাখেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
যাদের প্রায় সবাই ছিলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক। এ ঘটনায় হওয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি ভবনের মালিক সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: রানা প্লাজা ধসের ৯ বছর আজ
রানা প্লাজা ধস : ৮ বছরে কেমন আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের ৩ পরিবার
জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন ৪ মাসের জন্য স্থগিত
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন শুনানি আরও চার মাসের জন্য মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে খাদিজার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার কমিশন গৃহকর্মী খাদিজার মানবাধিকার রক্ষায় ব্যর্থ: হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি মামলায় খাদিজাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। জামিন চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
শুনানির সময়, খাদিজার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া যুক্তি দেন যে তার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে অতিথিদের মতামতের জন্য তিনি দায়ী নন।
এর জবাবে আপিল বিভাগ বলেন, যে খাদিজা একজন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে তার টক শো প্রোগ্রামে প্রচারিত মতামতের জন্য তিনি।
২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে কলাবাগান এবং নিউমার্কেট থানায় সরকারবিরোধী প্রচারণা এবং বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে দায়ের করা দুটি মামলায় অভিযোগ ছিল একই রকম।
এ ছাড়া পুলিশ খাদিজাকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ এ গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, দেশের বৈধ প্রশাসনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও মানহানিকর প্রচারণার ষড়যন্ত্র করেছিলেন খাদিজা ও দেলোয়ার।
বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ ও বিভাজন তৈরি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে ছিল তাদের।
২০২০ সালে যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল তখন খাদিজার বয়স ছিল ১৭। কিন্তু মামলা দায়েরের পর তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।
আইনজীবী বলেন, কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও খাদিজার জামিনের আবেদন ঢাকার একটি আদালত বারবার খারিজ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাগলের সাথে বসবাস আম্পানে বিধ্বস্ত খাদিজার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজার মুক্তির দাবিতে ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনই একমাত্র সমাধান এবং কোনো অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সরাসরি বলেছেন তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন
নির্বাচন কমিশনের আরপিও ('জনপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩' সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ইসির ক্ষমতা খর্ব হয়নি বরং আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার সংরক্ষিত হয়েছে।
দুই মাসের মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির জন্য সরকার বিচার ও পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বলে বিএনপির উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ নিয়ে তারা (বিএনপি) কোনো চিঠি দেখালে আলোচনা হবে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) অন্য কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে মিথ্যা ইস্যু তৈরিতে তৎপর। আমি দৃঢ়ভাবে বলেছি, এ বিষয়ে কোনো চিঠিও দেওয়া হয়নি বা কোনো মৌখিক আদেশও দেওয়া হয়নি।’
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
ন্যায়বিচার পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার: আইনমন্ত্রী
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
এনআইডি’র তথ্য ফাঁস নিয়ে কাজ করছে সাইবার দল: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস নিয়ে সাইবার ইউনিটের দল কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘সাইবার ইউনিটের দলগুলো এটি নিয়ে কাজ করছে,কারণ এনআইডি পরিষেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে নয় এবং এটি এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে এবং পরিষেবাটি শিগগিরই সমস্ত সমস্যা সমাধানের পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারের অধীনে থাকবে এবং তারপরে আমরা এনআইডির সঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ স্কেলে কাজ করতে পারি।’
রবিবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
উচ্চ প্রযুক্তি এবং স্টার্টআপগুলোর ওপর নজর রাখা একটি আমেরিকান অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম টেকক্রাঞ্চের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, নাম, ফোন নম্বর, ইমেল ঠিকানা এবং এনআইডি সহ সরকারের ওয়েবসাইট থেকে কিছু নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হবে এবং তারপর তারা যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কারণ তারা কোনো তথ্য মনগড়া দিয়ে দেবে না।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশনা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
তিনি বলেন, ‘আমাদের এটি যাচাই করতে হবে - কত তথ্য ফাঁস হয়েছে এবং যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে হবে।’
তথ্য সুরক্ষার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আগস্টে সরকার উৎখাতে বিএনপির এক দফা আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও ষড়যন্ত্রকারীরাসহ স্বার্থান্বেষী মহল আগস্ট মাসকে তাদের প্রিয় মাস হিসেবে বেছে নিয়েছে। আমি মনে করি তারা (বিএনপি) তারা জানে যে তারা এমন সংকেত দিচ্ছে কিনা।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ তারা (জনগণ) বিএনপির আন্দোলনকে সমর্থন করেনি, সহায়তাও করেনি।
তিনি বলেন, ‘যখন কোনো আন্দোলনে জনসম্পৃক্ততা থাকে না এবং যখন জনগণ আন্দোলনে যোগ দেয় না, তখন এটি মোটেই আন্দোলন নয়।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে বা মানুষ হত্যার কোনো পরিকল্পনা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা দেখবে।
আরও পড়ুন: এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি সার্ভার নিরাপদ: ডিজি
এনআইডি মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম হুমায়ুন কবির বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভার নিরাপদ।
রবিবার (৯ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের বিষয়ে তিনি বলেন যে তারা তাদের সার্ভারের সঙ্গে জড়িত কোনো হুমকি দেখেননি।
তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করা ১৭১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: এনআইডি নিবন্ধন ইসি থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের খসড়া বিল মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মহাপরিচালক বলেন, ১৭১টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে সেবা নেয়, আমাদের কাছ থেকে যারা সেবা নেয় তাদের কেউ হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত করব এবং যে ওয়েবসাইটগুলো থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে তাদের চিহ্নিত করব।’
তিনি আরও বলেন, দোষী প্রমাণিত হলে দায়ীরা চুক্তি হারাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, এনআইডির সার্ভার হ্যাক হয়নি। সার্ভিস প্রোভাইডারদের সার্ভার হ্যাক হয়ে থাকতে পারে।
এনআইডি সার্ভারের বিরুদ্ধে কোনো হুমকি নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও সিইআরটি নির্দেশা না মানায় সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য ফাঁস: পলক
অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
কাজের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শিশু অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় ও মানবপাচারকারি চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন।
একই সঙ্গে অপহৃত ৩ রোহিঙ্গা শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আর এখনো নিখোঁজ রয়েছে আরও ৬ শিশু।
এপিবিএন জানিয়েছে, অপহৃতদের উদ্ধার ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার (০৮ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ।
উদ্ধার রোহিঙ্গা শিশুরা হলো- ক্যাম্প-১৩ এর ইলিয়াসের ছেলে সৈয়দ নুর (১২), একই ক্যাম্পের সোনা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হাসান (১৪) ও মো. তাহেরের ছেলে আনিসুর রহমান (১৩)।
আটকরা হলো- নুরুল আমিন (৩২), মো. ফয়সাল (১৮), শফিকুল (১৮), সাইফুল ইসলাম (২২), মিজানুর রহমান (১৮), আব্দুর রহমান (১৭), মোহাম্মদ পারভেজ (১৪)।
আরও পড়ুন: টেকনাফে পাহাড় থেকে অপহরণকারী ও ডাকাতদলের প্রধানসহ গ্রেপ্তার ৬
তারা সবাই টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দা। আর মো. মোবারক (১৭) ও মো. আমিন (১৭)। তারা উখিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা।
আর এখনো হদিস মেলেনি নুর আলম (১৫), সৈয়দুল মোস্তফা (১১), ওসমান (১৩), রিমন (১৫), কামাল মোস্তফা (১৪) ও হারেছ (১২)।
উখিয়াস্থ ৮ এপিবিএনের সহকারি পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ বলেন, গত ২ জুলাই বেলা ১১টার দিকে একটি অপরাধী চক্র টেকনাফে সুপারি পাড়া ও গাড়িতে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ক্যাম্প-১৩ থেকে মোহাম্মদ হাসান (১৪), আনিসুর রহমান (১৩ ও নুর আলম (১৫) কের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
তাদেরকে আটকে রেখে তাদের স্বজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। এরপর গত ৬ জুলাই বেলা ১২টার দিকে একই অপরাধী চক্র একই কায়দায় ক্যাম্প-১৩ ও আশপাশের এলাকা থেকে সৈয়দ নূর (১২), সৈয়দুল মোস্তফা (১১), ওসমান (১৩), রিমন (১৫), কামাল মোস্তফা (১৪) ও হারেছ (১২) কে অপহরণ করে টেকনাফ নিয়ে যায়।
মো. ফারুক আহমেদ বলেন, অপহরণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ৮ এপিবিএন বিভিন্ন উৎস ও স্থান গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে বের করা হয়।
এরপর শুক্রবার অভিযান চালিয়ে টেকনাফের দক্ষিণ লম্বরি পাড়া দুর্গম স্থানের সুপারি বাগানের ভেতর থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা ৩ শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
একইসঙ্গে উখিয়ার কুতুপালং এবং টেকনাফ থানাধীন দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বিভিন্ন দুর্গম স্থানে অভিযান চালিয়ে এই অপহরণ চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়।
এই ৯ জনের স্থানীয় বাসিন্দা ৭ জন ও রোহিঙ্গা রয়েছে ২ জন।
আরও পড়ুন: অপহরণ করে ঢাকা কলেজের হলে বন্দি, দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, এ চক্রের সদস্যরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা হতে সুপারির কাজ/অন্য কোন কাজের প্রলোভনে টেকনাফ এলাকায় বিশেষ করে দক্ষিণ লম্বরি এলাকায় সুপারি বাগানের ভিতরে নির্জন স্থানে বিশেষ কৌশলে আটক রাখে। অত:পর ভিকটিমদের চোরাপথে নৌকাযোগে মিয়ানমারের শামিলা এলাকায় পাঠিয়ে আটক রাখে।
তারপর অপহৃতদের স্বজনদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা আদায় করে মুক্তি দেয়। অনেক সময় এই অপরাধ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে।
আটকদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও আরও তদন্তের মাধ্যমে অপহৃত অন্যান্য ভিকটিমদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানায় এপিবিএন কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের দুইদিন পর ৩ শ্রমিক উদ্ধার
বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলবে: আপিল বিভাগ
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারির আদেশও বহাল রেখেছেন আদালত।
এছাড়া এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বাফুফেসহ আন্যদের করা আবেদন নিষ্পিত্তি করে রবিবার (৯ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী।
রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: বাফুফে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ
গত ২৫ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখেন চেম্বার আদালত।
তবে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগে আজ শুনানি হয়।
এর আগে ২৩ জুন ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।
কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী এ আবেদন করেন। তবে ২৫ জুন সকালে আবেদন প্রত্যাহার করেন কাজী সালাউদ্দিন।
এছাড়া অন্যদের আবেদন শুনে আদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি।
এর আগে ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বাফুফে’র দুর্নীতি, অর্থ পাচারের বিষয়ে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো মতামত প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চার মাসের মধ্যে দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
একইসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফিফা থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে যে অনুদান দেওয়া হয়েছিল সেই টাকাসহ সরকার থেকে ফুটবল ফেডারেশনের বরাদ্ধ পাওয়া সব টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে, কোনো দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সব বিষয়ে অনুসন্ধান করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ১৪ মে কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, ক্রীড়া সচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, ফুটবল ফেডারেশনসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
আরও পড়ুন: বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি