আইনশৃঙ্খলা
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, আড়াই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার গুটিয়া গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা কবরী লিমাকে নিয়মিত নির্যাতন করে আসছিলো শশুড়বাড়ির লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ২ অক্টোবর লিমাকে হত্যা করে বাড়ির বারান্দায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সবাই।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, ‘বর’ ও ঘটককে কারাদণ্ড
এ ঘটনায় লিমার বাবা মামলা করলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রামাণের ভিত্তিতে বিচারক স্বামী সানিউল (২২), শাশুড়ি সাবিনা (৪০) ও ননদ রিভাকে (২৪) ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শাকিবের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিচার শুরু
চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বুধবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়েদা হাফসা ঝুমার আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই
একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন অভিযোগ গঠনের সময় রহমত উল্লাহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
একইসঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া আসামি রহমত উল্লাহর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন শাকিবের আইনজীবী।
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এর ফলে আদালতের অনুমতি ছাড়া রহমত উল্লাহ বিদেশ যেতে পারবেন না।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে, ২৩ মার্চ আদালতে শাকিব খান বাদী হয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি রহমত উল্লাহকে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
পরে গত ২৬ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ মার্চ টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এন এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শাকিবের
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বয়োবৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
তিনি কক্সবাজার জেলা মহেশখালী থানাধীন গুলগুলিয়াপাড়ার মৃত আলী রেজার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানায় র্যাব কর্মকর্তারা।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে যুদ্ধাপরাধী বৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে কক্সবাজারের রুমানিয়াছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়ায় আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে আট বছর ধরে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর আব্দুস শুক্কুরের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ২১ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে।
র্যাব-৭ জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা সদর থানার রুমানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি আব্দুস শুক্কুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আব্দুস শুক্কুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহেশখালীতে গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুট ও নির্যাতন করেছে।
আব্দুস শুক্কুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
সর্বশেষ কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকায় বসবাস শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বাসচাপায় পা হারানো শিশুকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো ৫ বছরের শিশু অগ্ররাজ সিকদারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
অগ্ররাজের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, এস আলম পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট তুষার রায়। পরে তিনি রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল তার ছেলে অগ্ররাজ সিকদার। সে সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী এস আলম পরিবহনের বাসটি একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গেলে তার ছেলের পায়ের ওপর উঠে যায়। এই অবস্থায় বাসটি তাকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয় এবং ডান পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্ররাজের মা পূর্ণিমা দে বলেন, বাসচাপায় তার ছেলের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে। ছেলের চিকিৎসায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তারা আর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। শিশু অগ্ররাজের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। পরে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
জানা যায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে গত ১০ জুন বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা
ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ঢাকা ছিনতাইমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ছিনতাইবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) নগরীর পঙ্গু হাসপাতালে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের আহত সাংবাদিককে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, রাজধানীকে ছিনতাইকারীদের কবল থেকে মুক্ত করতে যত কাজই হোক না কেন পুলিশ যা যা করা দরকার তা করবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে এবং পুলিশ এখন ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ফার্মগেটে পুলিশ কনস্টেবল হত্যা মামলায় জড়িত সব ছিনতাইকারীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপি প্রধান।
এছাড়া সাংবাদিক রকিবুল হাসান ছিনতাই মামলার দুই আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও একটি মোটরবাইকও জব্দ করেছে পুলিশ।
মামলার আরেক আসামি পুলিশের নজরদারিতে থাকায় যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ফারুক।
তিনি আরও বলেন, রকিবুল তার জবানবন্দিতে বলেন যে ছিনতাইকারীদের মধ্যে একজন পাঠাও রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালক এবং আরেকজন ইলেকট্রিশিয়ান।
আরও পড়ুন: ঈদে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ডিএমপি কমিশনার
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বন্দী নির্যাতনের ঘটনায় পাপিয়াকে কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তর
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর কাছ থেকে টাকা আদায় ও অন্য বন্দীকে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী কারাবন্দী শামীমা নুর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুলাই) বিকাল ৫টায় তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান।
আরও পড়ুন: পরিচয় নয়, অপরাধ অনুযায়ী পাপিয়ার বিচার হবে: কাদের
এর আগে ওই ঘটনায় কারাগারের তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সাবেক বন্দী রুনা লায়লা জানান, সিসি ক্যামেরা নেই এমন স্থানে নিয়ে গিয়ে তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা ছিল। সেই টাকা কেড়ে নেয়ার জন্য কারাগারের হাজতি যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর পাপিয়াসহ তার সহযোগীরা।
টাকা চাইলে দিতে অস্বীকার করলে তারা জোর করে সেই টাকা নিয়ে যায়। পরে পাপিয়া ও তার সহযোগীরা শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে অমানবিকভাবে আমাকে মারধর করে। ওই বন্দী তার হাতে-পায়ে ধরলেও তিনি ছাড়েনি, নির্যাতন করে।
জানা গেছে, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী থাকার সময় পাপিয়া ও তার অপর সহযোগীর বিরুদ্ধে কারাগারের এক হাজতি শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে নির্যাতন এবং টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার কড়িহাতা গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে এবং মৃত এ কে এম মাহমুদুল হকের স্ত্রী।
তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। গত ১৬ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন রুনা লায়লা।
আরও পড়ুন: পাপিয়া লবিং করে ঢাকা থেকে পদ বাগিয়ে নিয়েছেন: এমপি হিরু
তিনি গত ২৭ জুন জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
রুনা লায়লার ভাই আব্দুল করিম গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে গত ২৫ জুন লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আব্দুল করিম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে বলেন, তার বোন রুনা লায়লার কাছ থেকে ৭ হাজার ৪০০ টাকা কেড়ে নিতে কারাগারে দায়িত্বে থাকা হাবিলদার ফাতেমা বেগম ও নাসিমা আক্তার এবং হাজতি ও কয়েদিসহ শামীমা নুর পাপিয়া, সোনালী, আনন্দিকা, অবন্তিকা ও নাজমা তাকে নির্যাতন করে।
একপর্যায়ে তিনি রক্তবমি করেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। জ্ঞান ফেরার পর আবার তাকে পেটানো হয়। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সেই নির্যাতনের জেরে পাপিয়াকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কারাকর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়।
কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর রুনার দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে ৭ হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগীরা ১৯ জুন রুনাকে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
একপর্যায়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রুনাকে মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। এ নিয়ে কারাগারের ভেতরে কেস টেবিল বা সালিস বসে। সেখানে ত্রিমুখী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বন্দী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।
তবে পাপিয়ার ভয়ে সাধারণ কয়েদিরা রুনা লায়লার ওপর অমানুষিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে পারেননি।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) ওবায়দুর রহমান জানান, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার কারণে কারাগার অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বন্দী শামীমা নুর পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে।
শোকজ করা তিনজন হলেন- কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার, ডেপুটি জেলার জান্নাতুল তায়েবা ও মেট্রন হাবিলদার ফাতেমা।
আরও পড়ুন: পাপিয়া-সুমন: নরসিংদীর নেতাদের মাঝে চলছে দোষারোপের খেলা
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে এবং তাতে দোষ পাওয়া গেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়া কারাগারের ভেতরে এমন ঘটনা যাতে আর না হয়, সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলেনও জানান তিনি।
জুন মাসে ১৮৪.৩৬ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে: বিজিবি
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে।
গত ১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চোলাচালান জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চামড়া পাচার ঠেকাতে হিলি সীমান্তে কঠোর নজরদারি বিজিবির
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১১ কেজি ২২৮ গ্রাম স্বর্ণ, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম রূপা, ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৯৯টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৭ হাজার ১৬৮টি ইমিটেশন গহনা, ২২ হাজার ৩২০টি শাড়ি, ২ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/লেহেঙ্গা/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১ হাজার ৭৯৩টি তৈরী পোশাক, ২ হাজার ৫২৬ ঘনফুট কাঠ, ৮ হাজার ৮২৯ কেজি চা পাতা, ২২ হাজার ৫০ কেজি কয়লা, ১ হাজার ৯১৭ কেজি কারেন্ট/সুতার জাল, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৬০ কেজি কচ্ছপের হাড়, ৭২৫ কেজি গ্যামাক্সিন পাউডার, ৬টি ট্রাক, ১৪টি পিকআপ/ট্রাক্টর/ট্রলি, ২টি বাস, ৩টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৮টি সিএনজি/ইজিবাইক এবং ৮৬টি মোটরসাইকেল।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে-
১টি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১টি মর্টার শেল, ১৬ রাউন্ড গুলি এবং ১০ কেজি পেট্রোল বোমা তৈরীর পাউডার।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাটখোলা সীমান্তে সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-
১৪ লাখ ৬১ হাজার ১৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৭ কেজি ৩৯০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ২৬ কেজি ০৩ গ্রাম হেরোইন, ১৫ হাজার ৩৭৪ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৭৯৩ বোতল বিদেশি মদ, ৩ হাজার ৫৩৯ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৭৫৮ কেজি গাঁজা, ৮ লাখ ৫ হাজার ৫৩৬ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪ বোতল লাইসার্জিক এসিড ডাইইথাইলঅ্যামাইড (এলএসডি), ৪৯ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন/ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৪৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ২ হাজার ১০২টি ইস্কাফ সিরাপ, ১ হাজার ৫১০ বোতল এমকেডিল/কফিডিল, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ এবং ১ লাখ ২৯ হাজার ৪১৭টি অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮৩ জন চোরাচালানীকে এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক, ৫ জন ভারতীয় নাগরিক এবং ৩৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ঈদ সম্প্রীতির বন্ধনে বিজিবি-বিএসএফ
ফার্মগেটে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জন গ্রেপ্তার
ঢাকার ফার্মগেটে পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি পুলিশের (তেজগাঁও বিভাগ) উপ-কমিশনার মো. গোলাম সবুর বলেন, আমরা চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং তাদের একজন হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে এবং পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ভুয়া নির্বাচন কমিশনার গ্রেপ্তার
শনিবার ভোরে ঢাকার ফার্মগেট এলাকার ইন্দিরা রোডে দুর্বৃত্তরা একাধিক ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদার (৪৫)।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ঈদুল আজহা: বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার বলেছেন, পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির সাইবার ক্রাইম প্রিভেনশন ইউনিটও সক্রিয় থাকবে।
আজ বুধবার রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদগাঁ মাঠ বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ও ডগ ইউনিটের স্কোয়াডে ছেয়ে যায় এবং সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি ইউনিফর্মধারীদের মোতায়েন করা হবে।’
আরও পড়ুন: আসুন সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করি: প্রধানমন্ত্রী
কমিশনার বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো মাঠ এবং এর আশেপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন যে মুসল্লিদের মাঠে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া আর কিছু না আনতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সদস্যরা জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর যেকোনো হুমকি শনাক্তে সজাগ থাকবে। এছাড়া, সাইবার ইউনিট অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে নিবিড়ভাবে কাজ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা যে কোনো সময় জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত এবং এখন কোনো জঙ্গি হামলার সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই।’
বুধবার ডিএমপি কমিশনারের পরিদর্শনকালে ডিএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহার বাংলাদেশি সিনেমা ২০২৩: ওটিটি ও হলে মুক্তি পাচ্ছে যে সিনেমাগুলো