আইনশৃঙ্খলা
ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারে এক পুলিশ কনস্টেবলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় তার লাশ পাওয়া যায়।
বারিধারায় সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিটের সদর দপ্তরে কর্মরত মাজহারুল ইসলামের (২৩) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শফিউল্লাহ ভূইয়ার ছেলে মাজহারুল নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দিঘলদী গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাকসুদুর রহমান জানান, আজ দুপুরে কোয়ার্টারের নিচতলায় ভাড়া বাসা থেকে মাজহারুলের লাশ উদ্ধার করা হয়।
যথাযথ প্রক্রিয়া শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে লাশ ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মাজহারুল হয়তো আত্মহত্যা করেছে জানিয়ে এসআই বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: পাবর্তীপুরে কাউন্সিলরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
মামলাজট কমাতে সংসদে অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল পাস
জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব (সংশোধন) বিল, ২০২৩ পাস করা হয়েছে। এতে মামলাজট কমাতে বিদ্যমান আইনে একটি কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
আইনে ট্রাইব্যুনালের বিধান রয়েছে। জেলা পর্যায়ে সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজকে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে।
খসড়া আইন অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিক ট্রাইব্যুনাল গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলা জজ আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করতে পারেন।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, এ ধরনের বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার প্রতিটি জেলায় একজন যুগ্ম জেলা জজকে জেলার ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতায়ন করতে পারে।
আরও পড়ুন: রংপুরের শেখ রাসেল পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল পাস
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, ক্ষমতাপ্রাপ্ত যুগ্ম জেলা জজ উপ-ধারার অধীনে নিযুক্ত ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে গণ্য হবেন।
এতে বলা হয়েছে, সরকার প্রয়োজনে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের নিয়োগপ্রাপ্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত বিচারক কর্তৃক স্থানান্তরিত মামলা নিষ্পত্তির জন্য এক বা একাধিক সিনিয়র সহকারী জজ বা সহকারী জজকে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
জেলা জজ ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সরকার ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ করবে।
এই ধরনের বিচারক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত সরকার জেলা জজকে জেলার ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতা দিতে পারে।
ভূমি জরিপ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত জেলা জজকে নিয়োগ করা যেতে পারে।
সরকার প্রয়োজনে এই ধারার অধীনে নিযুক্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কর্তৃক স্থানান্তরিত আপিলের শুনানির জন্য এক বা একাধিক অতিরিক্ত জেলা জজকে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
প্রস্তাবিত আইনের উদ্দেশ্য অনুযায়ী মামলার জট দূরীকরণ এবং গণমানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এ সংশোধনী আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিদায়ী অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
নওগাঁয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সংসদে বিল পাস
আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে ৩০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আরিফ সাদিক ইউএনবিকে জানান, সহকারী পরিচালক নেয়ামুল আহসান গাজী ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদক তদন্তে তার স্থাবর সম্পদের ২২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, অস্থাবর সম্পদ ৫২ কোটি ৪৭ লাখ এবং পারিবারিক ও ৮ কোটি ২৬ লাখ টাকার অন্যান্য খরচসহ ৮৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসিকে দুদকে তলব
কমিশন ৩০ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের আয়ের আইনী উৎস খুঁজে পায়নি এবং তার দায় ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
গুলজার আহমেদের কথিত অপরাধগুলো দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ধারা ২৬(২) এবং ২৭(১) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য, কমিশন তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করতে প্ররোচিত করে।
এর আগে ২০১৭ সালে গুলজার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের সাবেক এমডিসহ ৩ জনের নামে দুদকে মামলা
দেশের ১০ জেলায় নতুন ডিসি
দেশের ১০ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।
ঢাকা, গাজীপুর, কুমিল্লা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, টাঙ্গাইল, পাবনা, শরিয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন। এর আগে গত ১২ মার্চ ৮ জেলায় ডিসি পদে রদবদল এনেছিল সরকার।
গাজীপুরের ডিসি আনিসুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানকে রাঙ্গামাটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব (উপসচিব) শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনকে বান্দরবান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব (উপসচিব) মো. কায়ছারুল ইসলামকে টাঙ্গাইল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) মু. আসাদুজ্জামানকে পাবনার ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
পানি সম্পদ উপমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) আরিফুজ্জামানকে শরীয়তপুর, অর্থ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব সুরাইয়া জাহানকে লক্ষ্মীপুর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে কুমিল্লা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারকে ফেনী এবং বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলামকে গাজীপুর জেলার ডিসি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসানকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব, লক্ষ্মীপুরের ডিসি মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব, রাঙ্গামাটির ডিসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, বান্দরবানের ডিসি ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিকে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব এবং পাবনার ডিসি বিশ্বাস রাসেল হোসেনকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
সরকারের উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে ডিসি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা বন্ধ: সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ডিসিদের নির্দেশ
সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ডিসিদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
রাজশাহীর নতুন বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর
রাজশাহীর নতুন বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই-৩) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
তাকে এ নিয়োগ দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব চালিয়ে আসা জিএসএম জাফরউল্লাহকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুলাই বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার পদে রদবদল আনে সরকার।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসনের উপসচিব বাধ্যতামূলক অবসরে
নতুন অফিস সূচি ‘স্থায়ী নয়’: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’ প্রদান
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরের সিংড়ায় গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান জানান, আড়াই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার গুটিয়া গ্রামের গৃহবধূ খাদিজা কবরী লিমাকে নিয়মিত নির্যাতন করে আসছিলো শশুড়বাড়ির লোকজন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ২ অক্টোবর লিমাকে হত্যা করে বাড়ির বারান্দায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায় সবাই।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্কুলছাত্রীকে জোর করে বিয়ে, ‘বর’ ও ঘটককে কারাদণ্ড
এ ঘটনায় লিমার বাবা মামলা করলে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রামাণের ভিত্তিতে বিচারক স্বামী সানিউল (২২), শাশুড়ি সাবিনা (৪০) ও ননদ রিভাকে (২৪) ওই দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শাকিবের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিচার শুরু
চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির অভিযোগে চিত্রনায়ক শাকিব খানের মামলায় প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বুধবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সৈয়েদা হাফসা ঝুমার আদালত আসামির অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির শিক্ষক রহমত উল্লাহর একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই
একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৯ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
এদিন অভিযোগ গঠনের সময় রহমত উল্লাহ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন।
একইসঙ্গে আদালতের অনুমতি ছাড়া আসামি রহমত উল্লাহর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন শাকিবের আইনজীবী।
আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এর ফলে আদালতের অনুমতি ছাড়া রহমত উল্লাহ বিদেশ যেতে পারবেন না।
শাকিব খানের আইনজীবী খায়রুল হাসান এসব তথ্য জানান।
এর আগে, ২৩ মার্চ আদালতে শাকিব খান বাদী হয়ে রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আসামি রহমত উল্লাহকে ২৬ এপ্রিল আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
পরে গত ২৬ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ মার্চ টেলিভিশনে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে চিত্রনায়ক শাকিব খান আরও একটি মামলা করেন।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এন এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: শাকিব খানের মামলায় জামিন পেলেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ
রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা শাকিবের
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধ: ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি বয়োবৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে (৭৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
তিনি কক্সবাজার জেলা মহেশখালী থানাধীন গুলগুলিয়াপাড়ার মৃত আলী রেজার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন বলে জানায় র্যাব কর্মকর্তারা।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ত্রিশালের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এর আগে যুদ্ধাপরাধী বৃদ্ধ আব্দুস শুক্কুরকে কক্সবাজারের রুমানিয়াছড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কক্সবাজার জেলার মহেশখালী এলাকায় গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পাওয়ায় আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে আট বছর ধরে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি একাত্তরে পাক বাহিনীর দোসর আব্দুস শুক্কুরের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ আব্দুস শুক্কুরের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে ২১ মে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর আগে তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করে আদালতে।
র্যাব-৭ জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গত ৩ জুলাই কক্সবাজার জেলা সদর থানার রুমানিয়াছড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি আব্দুস শুক্কুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
আব্দুস শুক্কুর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়া এলাকায় বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যাসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, নির্যাতন, মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে মহেশখালীতে গণহত্যা, লুটপাট, ঘরবাড়ি লুট ও নির্যাতন করেছে।
আব্দুস শুক্কুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- আইনশৃংখলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে ছদ্মনাম ধারণ করে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দীর্ঘ আট বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল।
সর্বশেষ কক্সবাজার জেলার সদর থানা এলাকায় বসবাস শুরু করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: কেরানীগঞ্জে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
বাসচাপায় পা হারানো শিশুকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বাসচাপায় পা হারানো ৫ বছরের শিশু অগ্ররাজ সিকদারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
অগ্ররাজের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, এস আলম পরিবহন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শীর্ষ মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- অ্যাডভোকেট তুষার রায়। পরে তিনি রুল জারির বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালীর নাপোড়া বাজার এলাকায় স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে ছিল তার ছেলে অগ্ররাজ সিকদার। সে সময় চট্টগ্রাম অভিমুখী এস আলম পরিবহনের বাসটি একটি অটোরিকশাকে ওভারটেক করতে গেলে তার ছেলের পায়ের ওপর উঠে যায়। এই অবস্থায় বাসটি তাকে কিছুদূর টেনেও নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয় এবং ডান পায়ে প্লাস্টার করা হয়।
গত ১২ এপ্রিল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অগ্ররাজের মা পূর্ণিমা দে বলেন, বাসচাপায় তার ছেলের এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে। ছেলের চিকিৎসায় সাত লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তারা আর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না। শিশু অগ্ররাজের বাবা একজন কাঠমিস্ত্রি। পরে এ ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চিকিৎসক বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলিকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘অবহেলায়’ মারা যাওয়া নবজাতকের মায়ের মৃত্যু
এর আগে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
জানা যায়, সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালে ছিলেন না। পরে তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরে গত ১০ জুন বিকালে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমন্ডি থানায় অবহেলা জনিত মৃত্যুর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।
ওই মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালে নবজাতকের মৃত্যু: অপারেশন থিয়েটার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর জন্য সেন্ট্রাল হাসপাতাল দায়ী: ডা. সংযুক্তা সাহা