আইনশৃঙ্খলা
জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নুর ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত স্ত্রী পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী ডলি বেগম, মৃত নিগমা উড়াওয়ের ছেলে সুরেন উড়াও, ধলু মণ্ডলের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান এবং দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ফিরাজ উদ্দীনের ছেলে কাফা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলার মঠপাড়া গ্রামের ফয়েজের ছেলে আবুল হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার কুটাহারা গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে ডলির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আবুল হোসেন তার শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। সেসময় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিল।
অন্যদিকে, ডলি মামলার তিন আসামির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই অবৈধ সম্পর্ক দেখে পরিকল্পনা মোতাবেক ২০০১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে আসামীরা শ্বাসরোধে আবুলকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় (২৯ সেপ্টেম্বর) নিহতের বাবা বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় মামলার পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ল্যাবএইডের ৬ চিকিৎসকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
ভুল চিকিৎসায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাহসিন হোসাইনের মৃত্যুর অভিযোগে ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছয় চিকিৎসকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ্ দিবা ছন্দার আদালতে তাহসিনের বাবা মনির হোসেন মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ধানমন্ডি থানা পুলিশকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিডফোর্ড হাসপাতাল এবং সার্জ ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশারফ, ডা. কনক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ. এম. শামীম ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহান।
আরও পড়ুন: বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফয়সাল বিন আসাদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থবোধ করায় গত ২৭ মার্চ ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখান। তিনি তাৎক্ষণিক তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, তার অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাঁট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা এবং সে মলত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ।
দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন ভিকটিমের মৃত্যু হয়। তিন মাসে তাকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়।
চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিল করে। এর মধ্যে দশ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন বলেন, আমি ডা. সাইফুল্লাহকে অনেকবার জিজ্ঞাসা করেছি আমার ছেলের সমস্যা কী? কিন্তু উনি কোনোবারই সঠিক করে কিছুই বলতে পারেননি। অথচ তার দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি যে আমার ছেলের ভুল চিকিৎসা করেছেন, তা একশ ভাগ নিশ্চিত।
এ সময়ে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও দেননি।
আরও পড়ুন: সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
সকলের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রেখে সবার ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তার বাহিনী দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে ২৪ ঘণ্টা রাস্তায় ডিউটি করছেন।
সোমবার (২৬ জুন) নগরীর গাবতলী বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট (অস্থায়ী হাট) পরিদর্শন শেষে আইজিপি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে: আইজিপি
এসময় তিনি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং হাটে কোরবানির পশুর নিরাপত্তার বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজখবর নেন। আইজিপি বাস টার্মিনালে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, রিভার পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র্যাবসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এবং অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিট গৃহমুখী মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে একযোগে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রশাসন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকরাও আমাদের সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণের গন্তব্যে নিরাপদে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে আমরা সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
তিনি যাত্রীদের নিকটবর্তী থানায় বা ৯৯৯ নম্বরে যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
জাল মুদ্রার প্রচলন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, কোরবানির পশুর হাটগুলোতে কেউ জাল টাকা প্রচার করে প্রতারণার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাল টাকা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ছিনতাইকারী, ‘ওগিয়ান পার্টি’, ‘মলম পার্টি’র বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হচ্ছে।
আইজিপি বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় থাকবে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আমরা পুলিশকে সব ধরনের নির্দেশনা দিয়েছি।
ঈদের ছুটিতে খালি বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য একজন পরিচিত ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি নিয়োগের অনুরোধ জানান তিনি।
পরে আইজিপি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেন এবং লঞ্চ মালিক, চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
অবশেষে আইজিপি কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শন করে যাত্রীদের খোঁজখবর নেন এবং রেলওয়ে স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও পর্যবেক্ষণ করেন।
আইজিপির গাবতলী, সদরঘাট নদীবন্দর ও কমলাপুর রেলস্টেশন পরিদর্শনকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গবাদিপশু বহনকারী যানবাহন থামানোর বিষয়ে সতর্ক করেছেন আইজিপি
সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে: আইজিপির প্রতি রাষ্ট্রপতি
অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ৫৬ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদলত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
এই মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান। একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এছাড়া কর্মচারী অংশীদারত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির ৫ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এস এম আরিফুজ্জামান বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়ম অনুসন্ধানে আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারি
ফুটবলের বৈশ্বিক কর্তৃপক্ষ ফিফা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে)কে দেওয়া অর্থের দুর্নীতি, পাচার, আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
এর মধ্যে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রবিবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর করা আবেদনটি আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
এই আদেশ স্থগিত চেয়ে গত ২২ জুন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন।
আজ আবেদনটি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
শুনানিতে কাজী সালাউদ্দিনের নাম আবেদন থেকে প্রত্যাহারের করে নেওয়ার আরজি জানান তার আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন।
আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করেন।
আদালতে সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আবদুল্লাহ আল মামুন খান।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, বাফুফেতে ফিফার দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হাইকোর্ট যে আদেশ দিয়েছিলেন, এই অংশে আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থিতাবস্থা দিয়েছেন চেম্বার আদালত।
তবে সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে অনিয়মের অনুসন্ধান চলবে। এতে আইনগত বাধা নেই।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক।
এই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ মে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
রুলে কাজী সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম মুর্শেদী, আবু নাঈমসহ বাফুফের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
হাইকোর্ট বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে ফিফা ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। চার মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২৭ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব
রাজধানীর কাফরুল এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের এক পলাতক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
গ্রেপ্তার মো. শাকির খান (৪২) রাজধানীর আদাবর এলাকার মৃত এছান খানের ছেলে এবং জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি ও অর্থ বিভাগের সদস্য।
র্যাব-২ এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী আদালত শাকিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ৯ বছর ধরে পলাতক ছিলেন তিনি এবং গত শনিবার বিকালে কাফরুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের একটি দল।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ী থেকে ১১ বছর পলাতক ‘হিযবুত তাহরীর সদস্য’ গ্রেপ্তার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা দুটি মামলার আসামি শাকির দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাকিরকে মোহাম্মদপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ৮ বছর পলাতক হিজবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জে হিজবুত তাহরীর সদস্য আটক
মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।
রবিবার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।
আরও পড়ুন: মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম।
রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।
এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।
আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসে মো. আমজাদ ও তার সহযোগীরা বাঘেরপাড়া এলাকার মো. মঈনুদ্দিনকে অপহরণ করে প্রেমছড়া রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় যেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার জন্য ড. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাস, সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
আরও পড়ুন: না.গঞ্জে অপহরণের পর শিশুহত্যা, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা ও তার স্ত্রী রিমান্ডে
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজের চার দিন এবং তার স্ত্রী নাজনীন সুলতানার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ডেমরা থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে মামলার তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে শামিন ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসি। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য জব্দ করা হয়।
আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটা মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে জামাতুল আনসারের প্রশিক্ষক কমান্ডারসহ ৮ জঙ্গি গ্রেপ্তার: র্যাব
‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া’-এর ২৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আহত, গ্রেপ্তার ৩
ফেনীতে কিশোর গ্যাংয়ের একটি মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের মা পারভিন আক্তারের দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ জুন) সকালে শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন কিশোরের নাম- শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৬ বছর।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এফসিবি’ নামের কিশোর গ্যাং হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় মারামারির একটি দৃশ্য ভাইরাল হয়। ভিডিও ফুটেজে ফেনী মডেল হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিনকে (১৪) পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় স্কুলব্যাগে ধারালো অস্ত্র, কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক
ভিডিওটি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। রাতে ভুক্তভোগী কিশোরের মা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
আমিরুল হুদা ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে সে ফেনীর পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বৌবাজারে ভাড়া বাসায় থাকে।
মামলার আসামিরা হলো- শহরের ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬), আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জয় (১৫), প্রিয়ম (১৫), ইফাত (১৫), পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পিছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)। তারা শহরের ফালাহিয়া কামিল মাদরাসা, শাহীন একাডেমি স্কুল, হলি ক্রিসেন্ট স্কুল, সেন্ট্রাল হাই স্কুল ও ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্র হত্যা: কিশোর গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ এজহার নামীয় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স অবস্থায় রয়েছে। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর। যেসব ঘটনায় মামলা হয় সে মামলায় এজহার নামীয় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলকে আন্তরিক হতে আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ‘কিশোর গ্যাং’র ছুরিকাঘাতে আহত ২
মতিঝিলে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে দুদক কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মিষ্টির প্যাকেটের ভেতরে রাখা দেড় লাখ টাকাভর্তি চারটি প্যাকেট, চারটি মোবাইল ফোন, দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত একটি বাদামি রঙের খাম এবং দুদকের একটি নোটিশও উদ্ধার করেছে গোয়েন্দারা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দুদকের মহাপরিচালকের (মানিলন্ডারিং) ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম ভট্টাচার্য, বরখাস্ত পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমান, পরিতোষ মণ্ডল ও মো. এসকেন আলী খান।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে ডিবির লালবাগ বিভাগের বিশেষ অভিযানিক দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির (লালবাগ বিভাগ) বিশেষ অভিযানিক দল শুক্রবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: মাথা ঠাণ্ডা রাখুন এবং আপনার কমান্ডারের নির্দেশ মেনে চলুন: অধস্তনদের প্রতি ডিএমপি কমিশনার
ব্রিফিংকালে ডিবি প্রধান বলেন, আশিকুজ্জামান রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকার ব্যবসায়ী। একজন ব্যক্তি নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০শে জুন সকালে দুদকের মনোগ্রাম সম্বলিত খাকি রঙের খামে নোটিশ নিয়ে আশিকুজ্জামানের উত্তরার বাসায় যান। ওই ব্যক্তি বলেন যে কার্পেট ব্যবসার আড়ালে আশিকুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাচালান ও অর্থ পাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ শুনে আশিকুজ্জামান ভয় পেয়ে যান। এরপর দুদক কর্মকর্তা তার প্রতি সহানুভূতি দেখানোর ভান করে মোবাইল বন্ধ করে আত্মগোপনে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ডিবি, সিআইডি, বাংলাদেশ ব্যাংক, দুদক ও এনএসআই দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে খুঁজছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। দুদক ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিয়েছে।
ডিবি ওসি বলেন, ওই চক্রটি ভিকটিম আশিকুজ্জামানকে মিষ্টির প্যাকেটে টাকা নিয়ে মতিঝিলের একটি হোটেলে আসতে বলে। এ বিষয়ে ডিবি (লালবাগ বিভাগ) আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি চালাচ্ছিল। পরে তারা দাবিকৃত টাকা নিতে হোটেলে আসলে ডিবির স্পেশাল অপারেশন টিম তাদের গ্রেপ্তার করে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
রাজধানীতে ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনায় ৭ জন গ্রেপ্তার: ডিএমপি