আইনশৃঙ্খলা
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জামুকা'র চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে পদাধিকার বলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান এবং সচিবকে সদস্য পদে নিযোগ সংক্রান্ত আইনের বিধান কেন বাতিল নয় তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রিট আবেদনকারী নওয়াব আলী মণ্ডলের মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি স্থগিত করেন। তার ভাতা অব্যাহত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম। তাকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট অনিক হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সেলিম আজাদ।
আরও পড়ুন:হিন্দু নারীদের অধিকার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
উল্লেখ্য, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী মণ্ডল ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান পুলিশে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি অস্ত্র লুট করে সম্মুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর গৌরবগাঁথা হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের প্রকাশিত বইয়েও স্থান পায়।
বীরত্বের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার গত ২০০৫ সালে তাকে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেন এবং ওই বছরেই তার নাম গেজেটভুক্ত হয়। তিনি নিয়মিত সম্মানী ভাতাও পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে জামুকা'র ৮১ তম সভায় তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়।
ওই সুপারিশ অনুসারে মন্ত্রণালয় এবছর ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখে তার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তিনি তার গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপন, ভাতা বন্ধ ও জামুকা'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে মন্ত্রী ও সচিবের নিয়োগ সংক্রান্ত আইনের সংশ্লিষ্ট বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলাটি করেন।
ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম আদালতে বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ২০২২ সালের আইন দ্বারা গঠিত একটি পৃথক সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এই আইনের ৫(১) (ক) ও ৫(১)(খ) ধারা অনুসারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব পদাধিকার বলে যথাক্রমে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)'র চেয়ারম্যান ও সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং মন্ত্রণালয়ে যদি প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকেন, সেক্ষেত্রে তারা পদাধিকার বলে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: প্লট বরাদ্দ বাতিলের নথি না দেওয়ায় রাজউক চেয়ারম্যানকে হাইকোর্টে তলব
জামুকা আইন ২০২২ এর ৬ ধারা অনুসারে জামুকা'র অন্যতম প্রধান কাজ হলো- গেজেটভুক্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় মর্মে তদন্তে আসলে তার গেজেটটি বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে 'সুপারিশ' করা এবং নতুন মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশ করা।
যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং সচিব একইসঙ্গে জামুকা'র সর্বোচ্চ পদে আসীন, ফলে তারা জামুকা'র নির্বাহী প্রধান হিসেবে যে সুপারিশ করেন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব হিসেবে সেটাই ‘মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত’- হিসেবে প্রকাশ করেন।
তাছাড়া, জামুকা যখন একজন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয় বরাবরে সুপারিশ করে, মন্ত্রণালয় কিন্তু গেজেট বাতিলের আগে তাকে কোনো ধরনের অভিযোগ খন্ডানোর বা শুনানির সুযোগও দেয় না; শুধুমাত্র জামুকা'র সুপারিশ মোতাবেক গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। জামুকা আইনের ৮ ধারা অনুসারে জামুকা'র চেয়ারম্যান অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জামুকা'র সকল নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী, অন্যদিকে মন্ত্রণালয়েরও প্রধান তিনি।
সে কারণে প্রকৃত অর্থে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় একই প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে তদন্তকারী এবং বিচারক একই ব্যক্তি। এটা প্রতিষ্ঠিত ন্যায়বিচার নীতির পরিপন্থী। ফলশ্রুতিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি, মর্যাদা ও সম্মানী মন্ত্রীর একক ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্ত্রী ও সচিবকে বাদ দিয়ে জামুকা'র বাকি সদস্যদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগের বিধান রাখা জরুরি।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির’ অভিযোগে মির্জা ফখরুল ও রাজশাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বাদী হয়ে নাটোর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আবু সাঈদ চাঁদকে এ মামলার প্রধান আসামি এবং বিএনপি মহাসচিবকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
এ সময় জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ মামলাটি গ্রহণ করেছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রাজশাহী বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে মামলার বাদী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রধান আসামির 'হুমকিমূলক বক্তব্য' দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
মামলার এজাহারে বলা হয়, এ ধরনের মন্তব্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
এর আগে শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহানগর ও জেলা বিএনপির জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন আবু সাঈদ চাঁদ।
তিনি বলেন, ‘আর ২৭ বা ১০ দফা দাবি নয়, এখন শুধু একটাই দফা, আর তা হলো- শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাও! শেখ হাসিনার পদত্যাগের জন্য যা যা করা দরকার আমরা করব।’
এদিকে এই হুমকির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এ ঘটনায় আবু সাঈদ চাঁদের বিরুদ্ধে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এটা সরকারের সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল
মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী নোবেল
প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারের তিনদিন পর মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
সোমবার (২২ মে) ঢাকার মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালত আপসের শর্তে গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির এক দিনের রিমান্ড শেষে আসামি নোবেলকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: কলকাতায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বাংলাদেশি শিল্পী নোবেল!
নোবেলকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।
নোবেলের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
নোবেলের আইনজীবী আদালতে বলেন, আসামি বাদীর সঙ্গে আপস করে সকল টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাদী সকল টাকা বুঝে পেয়েছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় অভিযোগপত্র দাখিল পর্যন্ত নোবেলের জামিনের আদেশ দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর মতিঝিল থানায় ১৬ মে নোবেলের নামে মামলাটি করেন।
এ মামলায় গত ২০ মে নোবেলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার অভিযোগে বলা হয় যে ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ সর্বমোট এক লাখ ৭২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন নোবেল।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ও জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, গায়ক নোবেলকে আইনি নোটিশ
সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার
৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
৯৮ বারের মতো পিছিয়েছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।
এদিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২২ জুন দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ মে) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: ৯৭ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এদিকে মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
অপর আসামিরা হলেন-বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো সেই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের এক জঙ্গল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত চঞ্চল ইলিয়াস ওরফে ইমরান (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম ওরফে আফজালের ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় হাতকড়াসহ পালানো সেই আসামি ৫ দিন পর গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার (২১ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে গাবতলী থানা পুলিশ গাড়িতে পাঁচজন আসামি নিয়ে আদালতে পৌঁছায়। আসামিদের গাড়ি থেকে নামানোর পর ইমরান হাতকড়া রেখে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আদালত চত্বর থেকে পলাতক আসামিকে আজ সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তার বিরুদ্ধে গাবলতলী মডেল থানায় মোটরসাইকেল চুরির মামলা রয়েছে।
এর আগে, শনিবার জেলার গাবতলী উপজেলার চকবোচাই এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গেলো আসামি!
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে এক যুবককে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা মামলায় ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন-শৈলকূপার দক্ষিণ মনোহরপুর গ্রামের ছানাউল্লাহ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম পাভেল; ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা শেখপাড়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে আলো; খাজুরা জোয়ার্দ্দার পাড়ার জয়নাল আবেদিনের ছেলে আসলাম;আব্দুল মজিদ মন্ডলের ছেলে ইমরান; হাবিবুর রহমানের ছেলে সাদ্দাম এবং পবহাটি এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে রাসেল।
এ মামলার অপর আসামি মাসুম, রিহাদ ও জামানকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিতদের মধ্যে পাভেল, আলো ও রাসেল বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া ফিরোজ নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল খালেক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০১০ সালের ১৬ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বেড়বিন্নি গ্রামের যুবক রহমত উল্যাহ ওরফে খোকনকে জনৈক ব্যক্তি মোবাইলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের চাচা আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতার নামে মামলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দেওয়ায় রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
রবিবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন জানান, এই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামি আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ মে) বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে মহানগর এবং জেলা বিএনপির জনসমাবেশে আবু সাঈদ চাঁদ প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন।
তিনি বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।’
এদিকে, হুমকির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় হুমকির চিঠি দিয়েছে: র্যাবের মহাপরিচালক
ঢাকায় ৮ বছর পলাতক যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার: র্যাব
ঢাকার আশুলিয়া থেকে আট বছর পলাতক থাকার পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে পরোয়ানাভুক্ত এক আসামিকে রবিবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার মো. আজহার আলী শিকদার (৬৮) বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মৃত হাজী আহমেদ আলী শিকদারের ছেলে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাগেরহাটের কচুয়া ও মোরেলগঞ্জ এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে আজহার আলী শিকদার ও তার সহযোগীরা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।
২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল উক্ত যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি দল রবিবার ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তি অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা জামাল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ৩ আসামি গ্রেপ্তার: র্যাব
উখিয়ায় ১২০ কোটি টাকা মূল্যের ‘আইস’ জব্দ, আটক ৪: র্যাব
সিরাজগঞ্জে ৭ জেলার ৩১৫ জন চরমপন্থীর আত্মসমর্পণ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় রবিবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কাছে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ৩১৫ জন সদস্য স্বেচ্ছায় অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আত্মসমর্পণকারীরা পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি (লাল পতাকা), পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি (এমবিআরএম) এবং পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টি’র (জনযুদ্ধ)। সদস্য।
র্যাব-১২ সদর দপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও টাঙ্গাইল- এই ৭ জেলার জঙ্গিরা ২১৬টি অস্ত্র হস্তান্তর করে।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আশ্বস্ত করেন, বর্তমান সরকার আত্মসমর্পণকারী চরমপন্থীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করছে। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আইনগত সহযোগীতাসহ স্বাভাবিক জীবনযাপন করার প্রয়োজনীয় সহযোগীতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে স্বামীকে খুন, ৯৯৯-এ ফোন করে স্ত্রীর আত্মসমর্পণ!
তিনি আরও বলেন, এ অনুষ্ঠানে আসার আগে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন, আপনারা যারা অন্ধকার পথ ছেড়ে আত্মসমর্পণ করে আজ আলোর পথে ফিরে আসছেন, তাদের আর্থিক সহযোগিতাসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, আপনারা জানেন ৮০'র দশক থেকে এই এলাকার কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় সর্বহারা ও চরমপন্থীরা ঘাঁটি তৈরি করে। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সন্ত্রাসের জীবন ছাড়ি, আলোকিত জীবন গড়ি’ স্লোগানে অনেক সর্বহারা চরমপন্থী আলোর পথে ফিরে আসে। কেউ যদি মনে করেন আমরা দেশের চরাঞ্চল বা দুর্গম এলাকায় বসে অপরাধ করবো। আমাদের কেউ ধরতে পারবে না। তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তাদের আলোর পথে ফেরাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবনকেও দস্যু মুক্ত ঘোষণা করেছেন। র্যাব নানাবিধ ভালো কাজ করে আস্থা অর্জন করেছে। এ জন্যই চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণের জন্য র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। র্যাব আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি মাদক ও সন্ত্রাস নির্মুলে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, পুলিশ মহা-পরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ডিআইজি (রাজশাহী রেঞ্জ) মো. আব্দুল বাতেন, র্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মসমর্পণ
ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে খুনের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মসমর্পণ!
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বা গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এটি করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হচ্ছে না।
তিনি জানান, এই আইনের অপব্যবহার রোধে তিনি বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে একটি টেকসই সমাধান দরকার। এই সমাধানের অংশ হিসেবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিছু সংশোধনী আনা হবে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন সংশোধনে জোরালোভাবে কাজ করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
রবিবার (২১ মে) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংলাপ ও আলোচনা একটি গণতান্ত্রিক সমাজের চাবিকাঠি। তাই সরকার সমাজের বিভিন্ন অংশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত বোধ করে।
তিনি জানান, সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছে, তাদের কিছু ইনপুট পেয়েছে এবং এটি পর্যালোচনা করছে।
আনিসুল হক বলেন, অনলাইনে নারীদের প্রায়ই হয়রানি করা হচ্ছে, যার সুরাহা হওয়া দরকার। ডিজিটাল স্পেসের যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে দেশ, সরকার বা কোনো ব্যক্তির মানহানি করতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, সময়ের প্রয়োজনে বর্তমানে সমস্ত দেশ ডিজিটাল স্পেসে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং যারা ডিজিটাল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ও আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ তাদের রক্ষা করা দরকার।
এজন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দরকার। তাই এ আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না। তবে আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এছাড়া এটি অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।
আরও পড়ুন: মানুষ যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়: আইনমন্ত্রী
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে না: আইনমন্ত্রী