������������������������������
হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান জোরদার করার নির্দেশ আইজিপির
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সারাদেশে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারে তাদের অভিযান জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. আতিকুল ইসলাম।
এছাড়া যেসব স্থানে চুরি হওয়া মোবাইল ফোন সেট বিক্রি হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে পুলিশ সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম তার বক্তব্যে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারের পাশাপাশি চুরি হওয়া মোবাইল বিক্রি হয় এমন স্থানে অভিযান চালানোর জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
মোবাইল সেট ছিনতাই ও চুরি রোধে টহল জোরদার করারও নির্দেশ দেন তিনি।
অতিরিক্ত আইজিপি সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি কিশোর অপরাধ দমনের উপরও জোর দেন।
সভায় অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, চুরি, ডাকাতি, চুরি, খুন, মৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রেঞ্জের ডিআইজি এবং জেলা পুলিশ সুপাররা, ডিআইজি (অপারেশনস) মো. আনোয়ার হোসেন, ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) জয়দেব কুমার ভদ্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে বাসে আগুন: ছাত্রদলের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিএনপি- জামায়াতের চলমান অবরোধে চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন দামপাড়া এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোসা. সাদিরা খাতুন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গ্রেপ্তারেরা হলেন- মো. হৃদয় (২২), মো. নাজির শরীফ (২১) ও মো. রায়হান।
উপপুলিশ কমিশনার জানান, গত ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নূর আলম সোহাগের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারেরাসহ আরও ১০/১২ জন খুলশী থানার দামপাড়ার সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করে।
তিনি জানান, এসময় পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেট সংলগ্ন রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত একটি বাস ভাঙচুর করে এবং বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসটির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেয়; নাজির শরীফ ও রায়হানসহ অন্যান্য আসামি মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাঙচুর করে।
তবে পুলিশ তাদের কোন দলীয় পদ পদবী উল্লেখ করেনি।
গ্রেপ্তার হৃদয় জানায়, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তার বাম হাত আগুনে পুড়ে যায়। তার হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, তাদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশনায় বাসচালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের চলাচল বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার দিকে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপি ও ছাত্রদলের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে ২টি অটোরিকশায় আগুন
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ফরমান আলী (৩৮), একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মোকদম দপ্তরী (৪৫) এবং দুর্গানগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি নুর মোহাম্মদ (২৫)।
উল্লাপাড়া মডেল থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উল্লাপাড়ার নবগ্রাম এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে হঠাৎ কুরিয়ার সার্ভিসের চলন্ত কাভার্ডভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে কাভার্ডভ্যানটির সামনের অংশ ও ভেতরে থাকা কিছু মালামাল পুড়ে যায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি শাহ আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এ মামলায় রাতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মধ্যরাতে বাসে আগুন
সিরাজগঞ্জে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে দুর্বৃত্তদের আগুন
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ১ শতাংশ ভোটারের সই করা তালিকা দাখিলের বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে হলে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সই থাকার বিধান চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী রায়হান কাওসার বাদী হয়ে এ রিট করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) তার পক্ষে আইনজীবী ইউসুফ আলী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও আইন সচিবকে এ রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
রিট দায়েরের বিষয়ে আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সই থাকার বিধান সরাসরি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘষির্ষক।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ভোট হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। কিন্তু সেই ভোটের আগেই এক শতাংশ ভোটারকে সই করে বলতে হবে আমি সংশ্লিষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেব।
তিনি বলেন, এক শতাংশ ভোটোরের সইয়ের বিধান থাকার কারণে অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এই বিধানটা তুলে দিলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ঝামেলামুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এ কারণে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি দায়ের করেছি।
উল্লেখ্য, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এর ১২ (২) (৩এ) (এ) ধারায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিজ নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন সংবলিত সইযুক্ত তালিকা থাকতে হতে হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। আর এই ভোটারদের সইয়ের তথ্যের গরমিলের কারণে অধিকাংশ স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তপসিল অনুযায়ী ভোট গ্রহণ হবে আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি।
মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনী প্রচার চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তপসিল অনুযায়ী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে।
প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতা পেয়েছেন ১৯৮৫ জন প্রার্থী, অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ জন প্রার্থীকে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি পরানো নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে যশোরের বেনাপোলের বিজিবি’র দায়ের করা মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মামলাটি বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
রুলে এ মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে সাংবাদিক কাজলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেছিল। হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছেন।
২০২০ সালের ১১ মার্চ রাজধানীর চকবাজারের বাসা থেকে বের হয়ে ‘নিখোঁজ’ হন সাংবাদিক কাজল। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলে সীমান্তের সাদিপুর মাঠ থেকে তাকে আটক করে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পরে ২০২০ সালের ৩ মে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নামে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে একটি মামলা করে বিজিবি।
এই মামলায় তাকে যশোরের আদালতে পাঠায় বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশ। বেনাপোলের রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্প তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করা হয়।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান সেসময় বলেছিলেন, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক এবং অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করে।
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের আদেশ ১০ ডিসেম্বর
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
রিট শুনানির এক পর্যায়ে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলাম। রাতে ভোট হয়েছে।
তখন আদালত বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে, এ বিষয়ে কি মামলা হয়েছে? কোন তথ্য প্রমাণ বা সাক্ষী আছে? এসব বক্তব্য পাবলিক প্লেসে দেবেন?
তখন ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, রাতে যে ভোট হয়েছে সাক্ষী আমি ও ১৮ কোটি জনগণ।
এর আগে বর্তমানে একটি সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয় রিট আবেদনে। গত মঙ্গলবার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন এ আইনজীবী।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে নোটিশে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তাছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।
এ অবস্থায় নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: 'আওয়ামী নিপীড়নের শেষ ঘাঁটি আদালত': তারেকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের আদেশের তীব্র নিন্দা বিএনপির
ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল নয়: হাইকোর্ট
আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
আট বছর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
এদিকে রুহুল কবির রিজভী পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় এএসপি সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে আগামী ৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন — বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সাইফুল আলম নীরব, ইসহাক সরকার।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি রাতে মোহাম্মদপুর থানাধীন বেড়িবাঁধ এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা হয়।
এতে ৬/৭ জন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরদিন মামলাটি দায়ের করেন। একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল কৃষ্ণ সাহা মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের সুযোগ নেই: আইনমন্ত্রী
দুই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় ডিআরইউয়ের উদ্বেগ
যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি অসুস্থ আমিনুর রহমানকে চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) কারাবন্দি যশোর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি অসুস্থ মো. আমিনুর রহমানকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
আমিনুর রহমানের স্ত্রী রাহাত আরা খানের করা রিটের শুনানি করে আদেশের দিন ধার্য করেন।
রবিবার রাহাত আরা খানের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রিটে ওই যুবদল নেতার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
গত ২৯ নভেম্বর ‘ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে যুবদল নেতাকে’- শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে এনে উপস্থাপন করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবী। এসময় স্বপ্রণোদিত আদেশ চাইলে আদেশ দেননি হাইকোর্ট। আদালত বিষয়টি রিট আবেদন হিসেবে দায়ের করতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রিটটি করা হয়েছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালের মেঝেতে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন এক ব্যক্তি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দুই পা ভাঁজ করে শুয়ে আছেন। ডান্ডাবেড়ি থাকায় দুই পা সোজা করতে পারছেন না। এক হাতে ঝুলছে হাতকড়া। অন্য হাতে ইনজেকশনের ক্যানোলা। দুই পায়ের মাঝখানে ঝুলছে ক্যাথেটার। রক্তমিশ্রিত প্রস্রাব সেখানে জমা হচ্ছে। ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগার থেকে নিয়ে এসে জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে।
তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। ছবির ওই ব্যক্তির নাম আমিনুর রহমান মধু। তিনি যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি। এ ছাড়া তিনি সদর উপজেলার আমদাবাদ ডিগ্রি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ কলেজশিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অসুস্থ আমিনুরের পরিপূর্ণ চিকিৎসায় বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আর কারা পুলিশের এমন অমানবিক কাণ্ডে মর্মাহত তার পরিবার ও স্বজনরা। এরূপ আচরণ সমীচীন নয় বলে অভিমত জানান আইনজীবীরা।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাতে যশোর-নড়াইল মহাসড়কে দুটি বাস থেকে ককটেল, লাঠি ও পেট্রোল জব্দের ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ ৮৭ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় আসামি যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধু। এরপর হরতাল–অবরোধে নাশকতার আরও দুই মামলার আসামি হন তিনি। গ্রেপ্তার আতঙ্কে আত্মগোপনে যান। কিন্তু ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১২ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা অবস্থায় আমিনুর রহমান মধু হৃদরোগে আক্রান্ত হন। কারাগার থেকে তার দুই পায়ে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া লাগিয়ে প্রথমে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ওই রাতেই তাকে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
অবসরের ৩ বছরের আগে সরকারি কর্মকর্তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না: হাইকোর্ট
অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না- মর্মে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তারা অবসরের তিন বছর পার না হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন না।
পৃথক রিটের উপর সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
অবসরে যাওয়া সামরিক কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম কামালের দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও লালমনিরহাট জেলা প্রশাসককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অবসরের তিন বছর পার না হওয়া পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক সরকারি কর্মকর্তাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়ার বিধান চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি রিট দায়ের করা হয়।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনো চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর গ্রহণ করেছেন এবং উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গ্রহণের পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন না।
এ বিধান চ্যালেঞ্জ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এছাড়া, ইস্যুতে অবসরে যাওয়া আরও অনেক সরকারি কর্মকর্তা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের শুনানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আদালত রুল জারি করেন। একত্রে সবগুলো রুলের ওপর গত ৭ নভেম্বর চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: যুবদল নেতাকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুর মামলা: ফখরুলের জামিন আবেদনের শুনানি ৭ ডিসেম্বর
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জামিন আবেদন করলে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২২ নভেম্বর একই মামলায় বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে ফখরুলের জামিন আবেদন
২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে ২৯ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়।
এ মামলায় ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী