������������������������������
তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের ৫ কর্মকর্তার জামিন
ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার আত্মসাৎ, সম্পত্তি দখল ও শেয়ার হস্তান্তরের পৃথক তিন মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ কর্মকর্তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শান্তা আক্তার প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল) ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন, কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
এর আগে মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই গ্রেপ্তারদের আদালতে হাজির করে আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড ও বাকি চারজনের প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড দাবি করে।
আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রান্সকম গ্রুপের দুই পরিচালকসহ পাঁচ শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহানুর রহমান জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত লতিফুর রহমানের মেয়ে শাহজরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: রাতেই চিনির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করল সরকার
১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি ও কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তিনি তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের সিই্ও তার মা শাহনাজ রহমান এবং ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান সিমিন রহমানের ছেলে ট্রান্সকম গ্রুপের হেড অব ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা কাজের মাধ্যমে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
শাহজরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তাকে ও তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
তবে বাদী দাবি করেন, তিনি বা তার ভাই কখনো হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি।
এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তাতে কর্ণপাত করেননি।
শাহজরেহ আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা এই সমস্ত নথি জাল করেছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইউএনবির পক্ষ থেকে আসামিদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
মিয়ানমার সীমান্তে আগের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক ও ধারালো অস্ত্রসহ 'কিশোর গ্যাংয়ের' ৩৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোস্তাক আহমদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব -১ এর একটি দল রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বিমানবন্দর, টঙ্গী ও গাজীপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলো- রাসেল (১৭), আরাফাত (১৭), রবিন (১৫), আল-আমিন (২৪), ইসলাম (২৯), জুয়েল (২২), রবিউল (১৬), মুরাদ (১৭), মাহবুব (১৯), সাদ (২২), রোহান (২২), মনা (২৮), হৃদয় (২০), ওবায়েদ (১৮), মো. জিসান (১৯), মো. আকাশ (৩০), মো. ইমন (২০), মো. রমজান (২১), মো. সজিব (১৮), মো. সাকিব (২২), মো. রাজীব (১৯), মো. আমির হোসেন (৩৬)। শাহজাহান সাজু ওরফে রাসেল (৪৫), মো. জিলাদ মিয়া (২০), মো. হৃদয় (১৯), এ রায়হান (১৫), মো. বাবু মিয়া (২২), মো. শাহজাহান (২১), মো. জালাল মিয়া (২৮), লামিম মিয়া (১৫), মো. রাকিব (১৬), মো. হীরা মিয়া (১৭), ইমরুল হাসান (১৭), মো. সাকিন সরকার রাব্বি (১৮), মো. সুজন মিয়া (১৯), মো. খায়রুল (১৯) ও রাহাত (১৯)।
তারা নিজেদের কিশোর গ্যাং-০০৭ গ্রুপ, বাবা গ্রুপ, জাউরা গ্রুপ, ডি কোম্পানি, জাহাঙ্গীর গ্রুপসহ বিভিন্ন গ্রুপের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ২৪টি মোবাইল, একটি ব্লেড, একটি কুড়াল, একটি পাওয়ার ব্যাংক, পাঁচটি রড, ১৬টি ছুরি, তিনটি লোহার চেইন, একটি হাতুড়ি, একটি মোটরসাইকেল ও নগদ ২৪ হাজার ২৫০ টাকা জব্দ করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
বেনাপোল কাস্টমস পেরিয়ে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি (এক কেজি) স্বর্ণের বার জব্দসহ তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের ১৪৫ ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ তাদের আটক করে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের রাজ্জাক মুন্সীর ছেলে আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার রুস্তম শেখের মেয়ে পারভীন আক্তার ও মানিকগঞ্জের সদর এলাকার তারা গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল ইমগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েছি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
পেট্রাপাল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, এই তিনজন বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশ কাস্টমস পার হয়ে পেট্রাপোল চেকপোস্টে আসে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের ব্যাগ ও শরীর তল্লাশি করা হয়। এক পর্যায়ে মেশিনে স্ক্যানিং করে তাদের পেটের মধ্যে স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে পায়ুপথ থেকে ১০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬৫ লাখ রুপি।
আটক ব্যক্তিরা তাদের পায়ু পথে স্বর্ণের চালানটি বহন করছিল। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে ভারতের বনগাঁ থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবির আইসিপি ক্যাম্পের কামান্ডার মিজানুর রহমান বলেন, পেট্রাপোল সীমান্তে স্বর্ণ জব্দসহ তিনজন আটকের বিষয়টি আমরাও শুনেছি।
আরও পড়ুন: শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলা বিচারিক আদালতে চলবে
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলা বাতিল চেয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনির আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
এ রায়ের ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আদালতে পরিমণির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না।
আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, অ্যালকোহলের লাইসেন্স থাকায় এবং জব্দ করা অ্যালকোহল যথাযথ মাত্রায় থাকায় অ্যালকোহলের বিষয়টিতে বিচার হবে না। তবে এলএসডি ও আইস নামক দুটি মাদকের বিষয়ে বিচার চলবে।
আরও পড়ুন: পরীমনির মামলায় নাসির-অমি ৫ দিনের রিমান্ডে
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দাবি করা হয়, সেসময় বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। একই বছরের ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদেশ দেন বিচারিক আদালত।
অভিযোগ গঠনের পর মামলা বাতিল চেয়ে পরীমনি হাইকোর্টে আবেদন করেন।
২০২২ সালের ১ মার্চ হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম পরীমনির ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। রুলে পরীমনির ক্ষেত্রে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ৮ মার্চ চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করে।
শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ জানুয়ারি আপিল বিভাগ আদেশ দেন। আদেশে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। এ সময় মামলার কার্যক্রম পরিচালনা না করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে রুল নিষ্পত্তি না হলে বিচারিক আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলবে বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের আদেশের পর হাইকোর্টে মামলা বাতিলের প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট একই বছরের ১৯ অক্টোবর রায়ের জন্য দিন করেন। অবশ্য বেঞ্চ পুনর্গঠন হওয়ায় ধার্য তারিখ রায় হয়নি। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের ছাপা কার্যতালিকায় পরীমনির করা আবেদনটি ২২ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য আসে। সে অনুযায়ী আজ রায় দিলেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পরীমনি: নাসির উদ্দিন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মাদক মামলা
খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
রাজধানীর মালিবাগের একটি ডায়াগনস্টিক ও চেক আপ সেন্টারে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিন আইহামের সুন্নতে খতনা চলাকালে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার চিকিৎসকরা হলেন- এস এম মুক্তাদির ও মাহবুব।
হাসপাতালে খৎনা করার সময় জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার অভিযোগে গত রাতে আহনাফ তাহমিন আয়মান মারা যান।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওলাদ হোসেন জানান, নিহতের বাবা ফখরুল আলমের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন চিকিৎসকসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
এদিকে দুর্ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল ও মেডিকেল চেকআপ সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাত ৮টার দিকে চিকিৎসকরা আহনাফকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। তাকে জেনারেল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার পরে তার আর জ্ঞান ফেরেনি।
রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: গৃহকর্মীর মৃত্যু: জামিন পাননি সাংবাদিক আশফাক ও তার স্ত্রী
গৃহকর্মীর মৃত্যু: জামিন পাননি সাংবাদিক আশফাক ও তার স্ত্রী
গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পাননি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকার।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা আসামিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন।
আসামিপক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন- সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী ও আশরাফ উল আলম।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এ জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-খসরুর জামিন
এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাদের তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত।
গত ৭ জানুয়ারি ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলাটির দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লোকেশ উরাং। মামলায় ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে এক কিশোরী গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। প্রীতি উরাং নামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ওই ভবনে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর
ফখরুল-খসরু জামিনে মুক্ত
গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক সৈকত হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় এ কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে সৈকত হোসেন ডিউটি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি তার মোবাইল ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি তার ফোনটি জব্দ করেন।
পরে তার ফোনের ভেতরে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেখতে পান। ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, তার ফোনে ছবি ও উত্তরপত্র পাওয়া যায়। এর দায়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার: র্যাব ডিজি
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এম খুরশীদ হোসেন কঠোর নিরাপত্তা প্রটোকল বাস্তবায়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: শাল্লার ঘটনার সাথে জড়িতদের ছাড় নয়: র্যাব ডিজি
নিরাপত্তার বিষয়ে সাতটি সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ৩৬০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে এগুলো কাজ করবে।
সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে র্যাব মহাপরিচালক জনগণকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘আমাদের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে শহীদ দিবস সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রযুক্তিগত অগ্রগতির পাশাপাশি র্যাব অরক্ষিত জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় নজরদারি জোরদার করেছে। নারী ও শিশুদের সুরক্ষার প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাদের সুরক্ষায় এলিট ফোর্স উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
মিথ্যা তথ্য ছড়ানো ও উসকানি রোধে অনলাইন স্পেস মনিটরিংয়ের দায়িত্বেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে র্যাবের সাইবার ইউনিট। এই ডিজিটাল নজরদারি স্মরণীয় ইভেন্টগুলোর সময় শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার বৃহত্তর কৌশলের অংশ।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৫ জনের কারাদণ্ড
এছাড়া যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা সামাল দিতে ২৪ ঘণ্টা স্ট্যান্ডবাই হেলিকপ্টার মোতায়েনসহ দ্রুত পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে র্যাব।
সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন সড়কে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই র্যাব সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে সুরক্ষিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বয় প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ভাষা শহীদ দিবস নিশ্চিত করতে নিবেদিত সার্বিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে র্যাবের পাশাপাশি বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও ক্যানাইন স্কোয়াডসহ বিশেষায়িত ইউনিট মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: মুরাদনগরে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন, আটক আরও ৭
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
১৬ বছর আত্মগোপনে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর এলাকার একাধিক মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি মো. মোস্তফা মিয়ার।
অবশেষে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে র্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। মোস্তফা মিয়া ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার উত্তর মাদ্রাজ গ্রামের মৃত আবু বক্কর মুন্সীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্ততিতে এ তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব-৭) সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নুরুল আবছার।
তিনি জানান, ২০০৮ সালে হত্যার হুমকিসহ আঘাতের অভিযোগে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলার বিচার কার্যক্রম চলাকালে বিজ্ঞ আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
মো. নুরুল আবছার জানান, ১৬ বছর ধরে পলাতক থাকা পরোয়ানাভুক্ত আসামি মোস্তফা মিয়া নগরীর হালিশহরে অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনের ৩২(২)/৪০ ধারায় একটি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। তাকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাসের ধাক্কায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত: চালক-হেলপার-সুপারভাইজার গ্রেপ্তার