%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
গবেষণা দক্ষতায় ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ শিক্ষক
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্কুল অব এপ্লাইড সাইন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির আয়োজনে চারটি ক্যাটাগরিতে চারজন শিক্ষককে ডিনস অ্যাওয়ার্ড ফর রিসার্চ এক্সিলেন্স-২০২১ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গবেষণায় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা ও গবেষণায় উত্তরোত্তর উন্নতি এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু করে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় যেমন বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে, তেমনি গবেষকদের পুরস্কারের মাধ্যমে স্বীকৃতিও দেয়া হচ্ছে। আজকের এই আয়োজন এরই ধারাবাহিকতার অংশ।
এতে সিভিল, আর্কিটেকচার ও ইনভাইরনমেন্ট ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হাওলাদার; কেমিক্যাল, ফুড ও পেট্রোলিয়াম ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. ওয়াহিদুজ্জামান; মেক্যানিক্যাল, ম্যানুফেকচারিং ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাটাগরিতে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান এবং কম্পিউটার-ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরিতে সহযোগী অধ্যাপক ড. সাদিয়া সুলতানা আওয়ার্ড অর্জন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. মো. আরিফুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. চৌধুরী আবুল আনাম রাশেদ।
পরে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
শাবিপ্রবিতে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী চাকরি মেলা
প্রলয় গ্যাং: অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিস্কার
শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড, অসদাচরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিস্কার করেছে।
বহিস্কৃতরা হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সাকিব ফেরদৌস। দু’জনই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য পরিচিত 'প্রলয়' গ্যাংয়ের ঢাবির সদস্য।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বহিস্কার হওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে না।'
আরও পড়ুন: ঢাবি শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় 'প্রলয় গ্যাংয়ের' দুই সদস্য গ্রেপ্তার
গত ২৫ মার্চ কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত জোবায়েরের মা সাদিয়া আফরোজ খান ২৬ মার্চ শাহাবাগ থানায় ২৪ শিক্ষার্থীকে (প্রলয় গ্যাং সদস্য) আসামি করে মামলা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিমউদ্দিন হলের সামনে ডাকাতদলের সদস্যরা জোবায়েরকে মারধর করে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের কান-মুখ খোলা রাখতে দেয়া নোটিশের কার্যকারিতা হাইকোর্টে স্থগিত
চুয়েটে আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে হুয়াওয়ে
শীর্ষস্থানীয় আইসিটি অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞান লাভের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে শিগগিরই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) এর ৬ষ্ঠ আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করবে।
এই লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) চুয়েট ক্যাম্পাসে একটি সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে এর দক্ষিণ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক ঝাং চেং (জাস্টিন), দক্ষিণ এশিয়া জনসংযোগ বিভাগের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার নাজিয়া সামান্থা ইসলাম এবং চুয়েট থেকে এর রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ও প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্টের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য অনুষদ সদস্যরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম পর্যায়ে চুয়েটের অনুষদ সদস্যদের সার্টিফাইড ইন্সট্রাক্টর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই আইসিটি অ্যাকাডেমির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
পরবর্তীতে, এই অনুষদ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
চুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে একটি আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশে হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান বিশ্বের সঙ্গে তাল রেখে সঠিক দক্ষতাসম্পন্ন জনবল তৈরি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: বুধবার ‘চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া আমি আশা করি যে, এই অ্যাকাডেমি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ পার্টনার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ঝাং চেং (জাস্টিন) বলেন, ডিজিটালাইজেশনের কারণে পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে এই পরিবর্তন সম্পর্কে অবগত এবং এই কারণে আমরা তরুণ প্রজন্মকে এমনভাবে প্রস্তুত করতে চাই যেন তারা ভবিষ্যতের বিশ্বে উন্নতি করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য যথাযথ আইসিটি দক্ষতা সম্পূর্ণ জনবল এবং একটি শক্তিশালী আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ। এই আইসিটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে হুয়াওয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।
এছাড়া এই প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় আমরা চুয়েটে আমাদের ৬ষ্ঠ অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি।
উল্লেখ্য, হুয়াওয়ে ২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া কো-অপারেশন প্রকল্প হিসেবে আইসিটি অ্যাকাডেমি চালু করে।
বর্তমানে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইনসহ বিশ্বজুড়ে ৯০টির বেশি দেশে হুয়াওয়ের পরিচালনায় ১৫০০ আইসিটি অ্যাকাডেমির কার্যক্রম চলছে।
এ উদ্যোগের সঙ্গে সব মিলিয়ে ৯২৭টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্পৃক্ত।
এছাড়াও, বিশ্বের হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হচ্ছেন। হুয়াওয়ে দক্ষিণ এশিয়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছে।
আরও পড়ুন: সংঘর্ষের জেরে চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ত্যাগের নির্দেশ
শাবিপ্রবিতে ৩০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) কয়েকটি বিভাগের ৩০জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
শাস্তির আওতায় একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার, ১৬ শিক্ষার্থীকে হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে একজনকে একবছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে এবং সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী জীবন চন্দ্র সেনকে সিএসই বিভাগে আনিত সকল অপরাধের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে।
এছাড়াও র্যাগিংয়ের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের ১৬ শিক্ষার্থীকে স্ব স্ব আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কারের পাশাপাশি সকল হলেই প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তও গ্রহণ করা হয়েছে।
শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. পাপন মিয়া, মো. রিয়াজ হোসেন, পায়েল আহমদ, মো. খালেদ সাইফুল্লাহ, রামীম আহমদ, মো. রাকিব হোসেন, অশেষ চাকমা, সৌরভ নাথ, শরীফুল ইসলাম, অনিক দাশ, মো. ফাহিম মিয়া, নয়ন চন্দ্র দে, মো. তোহা মিয়া, মো. আশিক হোসেন, মো. আল আমিন ও মো. আপন মিয়া। এদের মধ্যে র্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিস্কারও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৬ শিক্ষার্থীর কেউ যেকোনো শৃঙ্খলা বিরোধী কাজে জড়িত হলে কঠোর শাস্তি প্রদানে মর্মে নোটিশ প্রদান করা হবে।
এদিকে, যৌন হয়রানির অভিযোগে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের তাসফিকুল হক নামের এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিস্কার এবং পরীক্ষায় অসদুপায়ের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বিভিন্ন বিভাগের ১২ শিক্ষার্থীকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিহত বুলবুলের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা দিচ্ছে শাবিপ্রবি প্রশাসন
শাবিপ্রবিতে নিহত শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন
প্রাথমিক বিদ্যালয় ৭ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকবে
দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ৭ এপ্রিল (১৫ রমজান) পর্যন্ত খোলা থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে মহানগর, ডবল সিফট ও সিঙ্গেল সিফট সকল স্কুলের সময়সূচি সকাল ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, রমজান মাসে মোট ৯ কার্যদিবস স্কুল খোলা থাকবে।
সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এ সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বই ছাপানোর পরিকল্পনা
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইউজিসি
জগন্নাথ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে দ্রুত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লাস শুরুর নির্দেশনা দিয়েছে ইউজিসি।
ভর্তি পরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করা এবং এবারের গুচ্ছ ভর্তি যেন অনন্য হয় সে বিষয়ে আয়োজকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।
গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা ক্রটিমুক্ত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে সোমবার ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ- এর সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, গুচ্ছভুক্ত ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
সভায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির বিদ্যমান সংকট ও সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভর্তিতে বিগত বছরের জটিলতাগুলো কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় এবং ভর্তি কীভাবে আরও সহজ ও শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করায় দেশবাসী আমাদেরকে উষ্ণ অভিবাদন জানিয়েছে। তারা বলেছে এটি একটি ভালো পরীক্ষা পদ্ধতি। নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাই বলে এখান থেকে পিছুহটার বা বের হয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ভালো ও সর্বজন স্বীকৃত পদ্ধতি হয় সেজন্য উপাচার্য ও ভর্তি সংশ্লিষ্টদের তিনি আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
ইউজিসি চেয়ারম্যান গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংবেদনশীল হওয়ার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি সদস্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ৮০ ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণ করছে। আগামী বছর থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি ইউনিক পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সংশ্লিষ্টদের অল্প সময়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ ও ক্লাস শুরু করার আহ্বান জানান।
এছাড়া, ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করে দেশবাসীকে চমৎকার একটি ভর্তি পরীক্ষা উপহার দেয়ারও আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
দেশে প্রথমবারের মতো ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু
চমেকে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় ৭ ছাত্র বহিস্কার
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে(চমেক) ছাত্র নির্যাতনের ঘটনায় সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে চমেকের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন-সাধারণ ছাত্রদের হলরুমে অবৈধ অনুপ্রবেশ, নির্যাতন, ছাত্রাবাসে সংঘাত সৃষ্টি এবং আগের মুচলেকার শর্ত ভঙ্গের দায়সহ তাদের বিরুদ্ধে আনা বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চমেকের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: চমেকে জোনায়েদ সাকির ওপর ছাত্রলীগের হামলা
বহিষ্কৃতরা হলেন- ৫৯তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী অভিজিৎ দাশ, একই ব্যাচের মো. রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী, ৬২তম এমবিবিএসের শিক্ষার্থী সাজু দাশ, একই ব্যাচের সৌরভ দেবনাথ, মাহিন আহমেদ, জাকির হোসেন সায়েল, মো. ইব্রাহিম খলিল সাকিব।
বহিস্কৃতদের মধ্যে একজনকে তিন বছরের জন্য, তিনজনকে দুই বছরের জন্য এবং বাকি তিনজনকে দেড় বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে
বহিষ্কারাদেশ ছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও হোস্টেলগুলোতে একজন হোস্টেল সুপারের পরিবর্তে একাধিক হোস্টেল সুপার নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
জানা গেছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্র শিবিরের কর্মী আখ্যা দিয়ে চমেকের ছাত্রাবাস থেকে তুলে নিয়ে চার শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। পরে হল থেকে উদ্ধার করে তাদের দুজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করে চমেক কর্তৃপক্ষ।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে জানানো হয়, এ শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নন। তারা পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন।
আরও পড়ুন: চমেকে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ: গ্রেপ্তার মোস্তাকিম জামিন পেলেন
১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের দেশে কারিগরি শিক্ষার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু বার বার বলেছেন ও এশিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাই করছেন। ২০০৯ সালে কারিগরি শিক্ষার হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী মেধা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের স্মার্ট ক্লাস রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃতে আমরা ১২ বছরে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১৭ শতাংশ উন্নীত করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সঠিক নেতৃত্বের কারণে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আজকে যারা টেকনিক্যাল এবং ভোকেশনালে শিক্ষায় পড়ছে, অনেক সময় সমাজের আশপাশে দেখবেন অনেকে বলে ‘তুমি ভোকেশনালে পড়ছ? ’ তার মানে ভোকেশনালে যারা পড়ে তাদের মেধা কম বলে মনে করে। আবার মনে করে তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল না।কথাটা একেবারে সঠিক নয়। সারা পৃথিবীতে যে দেশ যত বেশি উন্নত হয়েছে, সে দেশ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পারদর্শী হয়েছেন। আমাদের পিছিয়ে থাকার কোন উপায় নেই। তাই আমাদের কারিগরি বিদ্যায় আরও জোর দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সারাবিশ্ব এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশ্ব। এখন শিখতে হবে। তাই আমরা এই শিক্ষা কারিকুলাম চালু করেছি। আমাদের আরও অনেক সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের সব স্কুলগুলো ডিজিটাল করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নত প্রযুক্তির শিক্ষা দিতে চাই। যেন তারা উন্নত বিশ্বে সমান তালে চলতে পারে। বর্তমান সরকার প্রধান শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান ও চাঁদপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান।
হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের ম্যানেজার ও জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজিয়া শামান্তা ইসলাম এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন হুয়াওয়েই টেকনোলজিস্ট বাংলাদেশের সিইও পেন জুনপেং।
পরে মন্ত্রী অতিথিদেরকে নিয়ে ফিতা কেটে ক্লাস রুমের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
সম্প্রতি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘ জরুরি শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) এর এক যৌথ জরিপে করোনাকালে বাংলাদেশের শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রকাশিত ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে বিশ্বের যেসব দেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ ছিল, তাদের একটি হলো বাংলাদেশ। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময়ে প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজনেরও কম (১৮ দশমিক ৭ শতাংশ) দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
জরিপে দেখা যায়, করোনার সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুরা। যাদের ইন্টারনেট ও টেলিভিশন ব্যবহারের সুযোগ সীমিত এবং যাদের বাড়িতে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মত সহায়ক ডিভাইসের অভাব রয়েছে।
তাছাড়া, শহর এলাকার শিশুদের (২৮ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় কম সংখ্যক শিশু (১৫ দশমিক ৯ শতাংশ) দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণ করে।
এই জরিপে বড় ধরনের ভৌগোলিক বৈষম্যের বিষয়টিও জরিপে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি স্কুলে যায় না, উদ্বেগ ইউনিসেফের
যেখানে দেখা গেছে, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের হার সবচেয়ে বেশি ছিল খুলনা ও ঢাকায় (যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২৩ দশমিক ১ শতাংশ) এবং সবচেয়ে কম ছিল ময়মনসিংহে (৫ দশমিক ৭ শতাংশ)।
সবচেয়ে কম বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
দূরশিক্ষণ ক্লাসে অংশগ্রহণের হার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের (নিম্ন মাধ্যমিকে ২০ দশমিক ৩ শতাংশ ও উচ্চ মাধ্যমিকে ২৩ দশমিক ৭ শতাংশ) তুলনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের ক্ষেত্রে (১৩ দশমিক ১ শতাংশ) ছিল কম।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি মি. শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের ওপর মহামারির প্রভাব দেশজুড়ে এখনও একই রকম। শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও বেশি মাত্রায় অভিঘাত সহনশীল করতে ডিজিটাল-বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।’
উদ্ভাবনী প্রতিকারমূলক শিক্ষাসহ পড়াশোনার ক্ষতি দূর করতে ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপটি কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘস্থায়ী স্কুল বন্ধের কারণে শিশুদের স্কুলে উপস্থিতি, স্কুলের বাইরে থাকা, ঝরে পড়া ও শেখার ক্ষতিসহ শিক্ষার অনান্য ফলাফলের ওপর প্রভাব বুঝতে সাহায্য করবে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকারকে পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।’
জরিপে বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত মহামারি-পরবর্তী প্রাথমিক উপাত্তও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। জরিপটি এক্ষেত্রে নিম্নমুখী প্রবণতা নির্দেশ করে, যা আশা জাগিয়েছে।
শিশুদের পরিস্থিতির ওপর দেশের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জরিপ ২০১৯ সালের বাংলাদেশ মাল্টিপল ইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস) অনুসারে, ৫১ দশমিক ৪ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে।
২০২৪ সালে হতে যাওয়া পরবর্তী এমআইসিএস নিশ্চিত করবে যে, ‘ন্যাশনাল সার্ভে অন চিলড্রেন’স এডুকেশন ইন বাংলাদেশ ২০২১’- জরিপে নির্দেশিত বাল্যবিয়ের ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা টিকে আছে কিনা।
আরও পড়ুন: সার্বজনীন জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা ইউনিসেফের
ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ১১ সাংবাদিক
আগামী বছর জাতীয় মেধাক্রম তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী বছর থেকে একটি মাত্র পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় মেধাক্রম তৈরির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হবে।
বুধবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর কলেজ মাঠে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বিজ্ঞান মেলা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন পাঠ্যপুস্তক নিয়ে গুজবে কান দিবেন না: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা ছিল। আগামীতে এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, র্যাগিং সামাজিক সমস্যা। সমম্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এর বিরুদ্ধে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।
এজন্য তিনি গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বক্তব্য দেন।
এছাড়া বিজ্ঞান মেলায় ১৮টি কলেজ অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনেক নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস নেই: দীপু মনি
তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুটাকে পচিয়ে ফেলেছে বিএনপি: দীপু মনি