%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
মাউশির মহাপরিচালক হলেন নেহাল আহমেদ
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তার চলতি দায়িত্বের কারণে তিনি পদোন্নতির দাবি করতে পারবেন না ।
তবে নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে কোনো কর্মকর্তাকে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দিলে চলতি দায়িত্বের আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউশির উপপরিচালকের স্বামী হত্যার ঘটনায় মামলা, আটক ৫
জাবিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সশরীরে পরীক্ষা
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ব্যবহারিক ও তত্ত্বীয় পরীক্ষা সশরীরে শুরু হবে। তবে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ক্লাস অনলাইনে চলমান থাকবে।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সকল ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা (তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক, অনুশীলনী পরীক্ষা ও উইকেন্ড) যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে নেয়া যাবে। এতে বিভাগসমূহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এর আগে ২২ জানুয়ারি সারাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
আরও পড়ুন: জাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে স্কুল খোলা রাখুন: ইউনিসেফ
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে বিশ্বের সব সরকারের প্রতি স্কুল খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংস্থাটি এ আহ্বান জানায়।
সংস্থাটি বলছে, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। আমরা সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এটি শিশুদের শিক্ষা যেন আর ব্যাহত করতে না পারে সে জন্য তাদের ক্ষমতায় যা আছে সব করার।’
‘শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপর্যয় এড়াতে এবং শিশুদের শেখার পথে ফিরিয়ে আনতে ইউনিসেফ স্কুল খোলা রাখার সুপারিশ করে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারে স্কুলে কর্মী নিয়োগ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্কুল খোলা রাখুন। আংশিক বা সম্পূর্ণ স্কুল বন্ধ রাখায় আনুমানিক ৬১ কোটি ৬০ লাখ শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জানি প্রশমন ব্যবস্থা স্কুল খোলা রাখতে সহায়তা করে। আমরা এও জানি, ডিজিটাল সংযুক্ততায় বিনিয়োগ কোনো শিশু যেন বাদ না পড়ে তা নিশ্চিতে আমাদের সহযোগিতা করতে পারে।’
‘প্রত্যেক শিশুকে স্কুলে ফিরে আসায় সক্ষম করতে আমাদের সাহসী পদক্ষেপের প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে- প্রতিটি সম্প্রদায়ের প্রান্তিক শিশুদের প্রতি বিশেষ নজরসসহ ব্যাপক সহায়তা প্রদান। যেমন অতিরিক্ত ক্লাস নেয়া, মানসিক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সহায়তা, নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রধান সেবা।’
এছাড়া স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারীদের জরুরি ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন জাতিসংঘের সংস্থাটি। সংস্থাটি বলছে, ‘সম্মুখ সারির স্বাস্থ্যকর্মী ও উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হলে শিক্ষক ও স্কুলকর্মীদের সম্পূর্ণরূপে করোনার টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
গেস্টরুমে নির্যাতন বন্ধের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এক প্রতিবাদ মানববন্ধন কর্মসূচিতে তারা এ দাবি জানান।
এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে আখতারুল ইসলাম নামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রকে নির্যাতনের বিচারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র হাসান এনাম বলেন, ‘গেস্টরুমে প্রথম বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা সিনিয়র শিক্ষার্থীদের দ্বারা লাঞ্ছনা, অপমান ও হয়রানির শিকার হন। এ সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।’
দর্শন বিভাগের ছাত্রী নাফিসা ইসলাম সাকাফি বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী আখতারকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক। আমরা চাই প্রশাসন গেস্টরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধে যেন ব্যবস্থা নেয়।’
আরও পড়ুন: ঢাবি অধ্যাপক হত্যা: রাজমিস্ত্রি আনারুল তিন দিনের রিমান্ডে
ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের গেস্টরুমে এক শিক্ষার্থী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আখতারুল ইসলাম নামে ওই শিক্ষার্থী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত ১০টার দিকে দ্বিতীয় বর্ষের পাঁচ-ছয় জন শিক্ষার্থী আখতারুল ইসলামকে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে যায়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আখতারের বাবা কয়েকদিন আগে হার্ট স্ট্রোক করেছেন। তিনি অসুস্থ ছিলেন। যখন তাকে গেস্টরুমে ডাকা হয়েছিল, তখন অসুস্থতার জন্য তিনি গেস্টরুমে আসতে পারেননি।
তিনি বলেন, পরে তাকে ডেকে এনে গেস্টরুমে ১০ মিনিট লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকার সাজা দেন। এসময় আখতার আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইসিজি পরীক্ষা করা হয়।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে বলেন, অভিযুক্তরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী।
অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট ও প্রভোস্ট স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল বশির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং আজকের মধ্যে এ ঘটনার তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন সদস্য আবু ইউনুস বলেন, ‘আমাদের সংগঠন এ ধরনের কোনো অমানবিক কাজ সমর্থন করে না। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সমস্যা শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে তিনি বলেছেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ বা অপসারণ ভিন্ন বিষয়।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডে গভর্নমেন্ট হাউসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একজন ভিসি চলে গেলে আরেকজন ভিসি আসবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সমস্যা থেকে গেলে তাদের কোনো লাভ হবে না। তাই সমস্যার সমাধান করা দরকার।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবির এই পুরো বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকটা দিন তাদের সঙ্গে নানাভাবে আমরা সম্পৃক্ত থেকেছি। নানা ভাবে আলাপ আলোচনা হয়েছে। অনশন যারা করছিলেন এবং যারা আন্দোলন করছিলেন সবাই মিলে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি- আমাদের যে শিক্ষার্থীরা যারা এই অবরোধ কর্মসূচিতে রয়েছে সেটি তারা তুলে নিবেন এবং আন্দোলনের ইতি এখানেই টানবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই অর্থে এখন আর আন্দোলন করবেন না শিক্ষার্থীরা। তবে তারা যে অর্থে আন্দোলন করেছেন সেই কারণগুলো আমরা অ্যাড্রেস করব এবং সমাধান করব। পুরো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সরকার সবাই একপক্ষ। এখানে দুই পক্ষ বলে কিছু নেই। আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছেন। তারা একটু গুছিয়ে উঠুক। যারা আন্দোলনের কারণে অসুস্থ হয়েছে তারা সুস্থ হয়ে উঠুক। কিছুদিন পর আমরা সেখানে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা চাইলে আমরা যে কোনো সময় আলোচনায় বসতে পারি। ’
এসময় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘শাবিপ্রবিতে যে সমস্যাগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে তা যৌক্তক।কিন্তু এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। একটি দুঃখজনক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সকল সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান করবো। তারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, আমরাও তাদের আস্থার প্রতিদান দিব। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আন্দোলন ভাঙচূরসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এখানে তেমন কিছু ঘটেনি। তারা শান্তিপূর্ণভাবে গত সাত-আটদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেছে। এ জন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের কারণ ও সমস্যা সকল বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। এতে যেই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মাধ্যমে কিছু সমস্যা আমাদের সামনে উঠে এসেছে। আমরা তা খুঁজে বের করে সমাধান করার সুযোগ পেলাম। সবাই মিলে সেসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
যে সমস্যাগুলো নিয়ে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে, সে সমস্যা কিন্তু শুধু শাবিপ্রবির একার নয় বলে মন্তব্য করেন
শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও একই সমস্যা রয়েছে। আমাদেরকেই মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা খুব জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন সুষ্ঠুভাবে চলে, যেন সেখানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে, শিক্ষার্থীরা যেন সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে সেটি আমাদের জন্য জরুরি। শুধু শাবিতে নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনসহ নানা ধরনের সংকট রয়েছে সেগুলোও সমাধান করা হবে। আমরা চাই সকল সমস্যা সমাধান করে সামনে এগিয়ে যেতে। শিক্ষার্থীরা আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। আমরাও তাদের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে যাব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি শুনেছি শাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর নামে মামলা হয়েছে। তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনো যদি কেউ আটক থাকে তবে সেটি আমরা খোঁজখবর নিয়ে সমাধান করবো। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সমস্যা সমাধান করা হবে।’
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রীদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য: ক্ষমা চাইলেন শাবিপ্রবি উপাচার্য
উপাচার্যকে সরানো হবে কী না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একজন উপাচার্যকে সরালে আরেকজন উপাচার্য আসেন। রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উপাচার্য নিয়োগ পান। তাই তাকে সরাতে হলে একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। তাকে রাখা হবে না সরানো হবে সেটি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সকলের প্রচেষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানো হয়েছে। আমরা আশা করি তারা তাদের অবরোধ তুলে নিয়ে ক্লাসে ফিরে যাবেন। এ জন্য বর্তমান সকল সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধান করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যৌক্তিক। এখানে পুলিশি অ্যাকশন হয়েছে। একটি দুঃখজনক। অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনশনের অষ্টম দিন আজ সকালে অনশন ভেঙেছেন। তারা অনশন ভেঙেছেন, এ কারণে তাদের সাধুবাদ জানাই।যারা আন্দোলন করছেন তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা তাদের সকল দাবি বাস্তবায়ন করব। যে বা যারাই অপরাধী হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
‘যে কারণে আন্দোলন করেছে সে সকল দাবির পক্ষে আমরা সমস্যার সমাধান করব। আমরা আনন্দিত সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে চাই, তাতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কাজ করবেন’ তিনি আরও যোগ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে যেতে পারি। শিক্ষার্থীরা যখন চাইবে আমার সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারবে। তারা চাইলে আমি সিলেটে যেতে পারি। অনশন ভেঙেছে। এখন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের দাবি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্দোলন শেষ করা হবে। শুধু শাবিপ্রবিতে নয়, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসন হলসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের সময় কিছু মামলা হয়েছে, পেছনে যা কিছু ঘটেছে থাকবে না। তাদের কোনো কিছুতেই এর কোনো প্রভাব থাকবে না। মামলা থাকবে না। সমস্যার যখন সমাধান হচ্ছে, যারা এগুলো করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা আলোচনা করবো।
উপাচার্য থাকলেন কি থাকলেন না এতে তাদের সমস্যা সমাধান হবে না। আমরা সমস্যা সমাধান করবো। এটার তো অন্য পদ্ধতি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করেছেন। এ ব্যাপারে আমরা দেখবো আমাদের পক্ষে কি করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে অবস্থান কর্মসূচি করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বুধবার বেলা ১২টায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সভাপতি রাহুল দাস, সাধারণ সম্পাদক সাকিবুল ইসলাম সাকিন, সদস্য নুসরাত জাহান মীম, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সুজয় শুভ, ছাত্র ইউনিয়ন জেলা কমিটির সদস্য জয়দেব সাহ প্রমুখ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন উপচার্য নির্বিচারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তার পদত্যাগের জন্য আজ শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে যা বললেন জাফর ইকবাল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, তখন শিক্ষকদের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত ছিল যে, খবরদার! তোমরা এটা করতে পারবা না। একজন শিক্ষকও সেটা করেননি। একজন শিক্ষকের এরকম মেরুদণ্ডহীন হওয়ার কোনো কারণ নাই।’
আরও পড়ুন: অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরাশিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের সমস্ত তরুণ প্রজন্ম তোমাদের পেছনে। সমস্ত মানুষজন তোমাদের পেছনে। তোমরা সুস্থ হও। উদাহরণ তৈরি করো। যে উদাহরণ বাংলাদেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করবে।’শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘দানব’ বলেছেন। সেই ‘দানবের’ কাছে আপনারা শিক্ষার্থীদের রেখে যাচ্ছেন। এই বিষয়টাকে কিভাবে দেখছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘শুনেন, ছাত্রদেরকে আন্ডারএস্টিমেট করবেন না। কে, কাকে, কার কাছে রেখে যাচ্ছি, সেটা সময়েই বলে দেবে।’উপাচার্যের অপসারণ সংক্রান্ত দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন দাবিদাওয়া মেনে নেবেন বলেছেন, তখন দাবির মধ্যে এই দাবিটাও তো পড়ে। কিন্তু সরকারেরও তো নিজস্ব টেকনিক্যাল ব্যাপার থাকে, রাজনৈতিক ব্যাপার থাকে, সেটার জন্য তাদের হয়তো একটা প্রসেস থাকে। গোপালগঞ্জের ভাইস চ্যান্সেলরকে তারা একভাবে সরিয়েছে, অন্য ভাইস চ্যান্সেলরকে অন্যভাবে সরিয়েছে। কাজেই সেটা তাদের ব্যাপার। আমার প্রাইমারি কনসার্ন ছিল, ওদেরকে অনশন থেকে বের করতে পারি কিনা।’আন্দোলনে বহিরাগতদের কোনো ইন্ধন ছিল বা আছে কিনা, এরকম এক প্রশ্নের জবাবে জাফর ইকবাল বলেন, আমি দেখেছি যে, এরা সাধারণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে কোনো উচ্চভিলাষ নাই। পুলিশ ওদের গায়ে এরকম নির্মমভাবে হাত তুলেছে, কাজেই ওদের মনের ভেতর একটা ক্ষোভ হয়েছে, সংঘত কারণেই। সেজন্যই তারা এই আন্দোলনটা করছে। এর মধ্যে বিন্দুমাত্র বাড়াবাড়ি নাই, অহেতুক কোনো দাবি নাই। ওদের দাবি শতভাগ যৌক্তিক দাবি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিউপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি তিন বছর আগে যখন নাকি অবসরে চলে যাই, তখন একটা চিঠি লিখে উনাকে দিয়ে যাই। সেই চিঠিতে আমি বলে দিয়েছিলাম অনেকগুলো। আমি সেখানে লিখেছিলাম স্পষ্ট করে, আপনি যদি এগুলো না করেন, ছাত্রদের এখন যে ক্ষোভ আছে, তা বিক্ষোভে রূপ নেবে। একদম অক্ষরে অক্ষরে আমার কথাটা ফলেছে।’‘মুক্তবুদ্ধির চর্চা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে’ অভিহিত করে শিক্ষার্থীরা একে ‘তালেবানি সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন। এ বিষয়ে জাফর ইকবাল বলেন, ‘এটা তো অবিশ্বাস্য একটা ব্যাপার যে, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কাজগুলো বন্ধ হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্রেংথ ছিল, আমাদের এমন কোনো সংগঠন নাই যেটা নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল না। সেটা যখন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তখনই বোঝা গেছে, এই মানুষটা আর যাই হোক, উনি একাডেমি বুঝেন না।’শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোর চারটায় ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।গত ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে টানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।এর অংশ হিসেবে গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) অনশন শুরু করেছিলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
অনশন ভাঙলেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অনশন ভেঙেছেন। বুধবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পানি খাইয়ে তাদের অনশন ভাঙান। টানা সাতদিন ধরে অনশন করছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এর আগে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ক্যাম্পাসে আসেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। আন্দোলনরত ২৬ জন শিক্ষার্থীকে মুখে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙানো হয়।বুধবার ভোর ৪টার দিকে ড. জাফর ইকবাল দম্পতি ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপিক্যাম্পাসে এসে তারা শিক্ষার্থীদের বলেন, আজ উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমার বাসায় আলোচনা হয়েছে। তারা বাসায় এসেছিল। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তোমরা যা চাইছো, যে দাবি তোমাদের, সেটা পূরণ হবে। তোমাদের ওসিলায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঠিক হবে।গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।গত ১৬ জানুয়ারি বিকালে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
‘১০ হাজার টাকা দিলাম, আমাকে অ্যারেস্ট করুক’
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ায় সাবেক শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক অনশনরত শিক্ষার্থীদের দেখতে আসেন।
এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি আবেগি মানুষ। চোখের জল আটকাতে পারি না। আমি বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী স্মারকে লিখে ১০ হাজার টাকা পেয়েছি। এটা এখন তোমাদের দিচ্ছি। এখন সিআইডি দেখি আমারে অ্যারেস্ট করে কি না। আমারে অ্যারেস্ট করে নিয়ে যাক।’
পুলিশের উদ্দেশ্যে জাফর ইকবাল বলেন, ‘ছাত্রদের গায়ে হাত তুলবেন না। অলরেডি হাত তুলে আপনারা অনেক বড় ক্ষতি করে ফেলেছেন। আর করবেন না। তাদের হয়রানি করবেন না।’
শিক্ষার্থীদের সব অভিযোগ ও দাবি শোনার পর ড. জাফর ইকবাল বলেন, ‘তোমরা আমাকে গণমাধ্যমের সামনে কথা দিয়েছ, এ অনশন ভাঙবে। তোমাদের জীবন অনেক মূল্যবান। একজন মানুষের জন্য তোমরা জীবন দিয়ে দেবে, এটা মানা যায় না। গ্রেপ্তার সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিষয়ে কথা হয়েছে। যেহেতু মামলা করা হয়ে গেছে, তাদের তো আদালতে তোলা হবে। আশ্বাস পেয়েছি ছাত্রদের জামিন দেয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে ঢাকা থেকে বুধবার ভোররাতে ক্যাম্পাসে যান অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরতদের দেখতে ক্যাম্পাসে এমপি
সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
শাবিপ্রবির ছাত্র আন্দোলনে টাকা পাঠানোর অভিযোগে আটক পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জালালাবাদ থানায় ওই মামলা করা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
এর আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শাবিপ্রবি'র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে সিআইডি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অঅরও পড়ুন: ‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।