%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE
শাবিপ্রবিতে অনশনরত ১০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, মধ্যরাতে মশাল মিছিল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন এবং উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যে অনশন চালিয়ে যাওয়ায় অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকের রক্তচাপ কমে শারিরীক অবস্থার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। অসুস্থ্ হয়ে পড়ায় ইতোমধ্যে নয়জনের শরীরে স্যালাইন দেয়া হয়েছে।
৪৩তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ, ১৫ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ
৪৩তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবারে সর্বমোট ১৫ হাজার ২২৯ জন পরীক্ষার্র্থী পরবর্তী ধাপের লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিসিএসে বিস্তারিত ফলাফল পিএসসির ওয়েবসাইট : www.bpsc.gov.bd. এ পাওয়া যাবে। এছাড়া মোবাইলে পিএসসি<স্পেস<৪৩>স্পেস>রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ নাম্বারে পাঠিয়ে এসএমএসের মাধ্যমেও ফলাফল জানা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৪৩তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় মোট ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি আবেদন জমা পড়েছিল। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী।
আরও পড়ুন: বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ৮৪ জনকে নিয়োগ দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
৪১তম বিসিএস প্রিলির ফল প্রকাশ
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার সকালে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ সমাবেশ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
সমাবেশে বিএনপিপন্থী অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক তাজমেরী ইসলামকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন বলেন, ‘তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও জাতীয়তাবাদী আদর্শ ধারণ করার অপরাধে অধ্যাপক মোরশেদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
শাবিপ্রবির উপাচার্য পদত্যাগ না করলে শিক্ষার্থীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ছাত্রদল সভাপতি।
আরও পড়ুন: আমরণ অনশনে বসলেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
শাবিপ্রবিতে অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থী হাসপাতালে
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তার শরীর নিস্তেজ হয়ে যাওয়ায় তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীর নাম কাজল দাশ।
এর আগে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে বুধবার ৩টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী।
অনশনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা পানিসহ কোনো ধরনের তরল খাদ্য গ্রহণ করছেন না। যার ফলে অনেকেই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছেন। তবে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত কেউ অনশন ভাঙবেন না। বুধবার বিকেল ৩টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত ২২ ঘণ্টার মত চলছে অনশন। শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির পদত্যাগ হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অনশনের পাশাপাশি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: আমরণ অনশনে বসলেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
এদিকে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে বুধবার রাত পৌনে ৯টায় প্রায় দুই শতাধিকের বেশি শিক্ষকের একটি প্রতিনিধি দল কর্মসূচিস্থলে উপস্থিত হন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এসেছিলাম আমাদের শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙাতে। তাদের কাছে সে সময়টুকু চেয়েছি যেন এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেটা খুঁজে বের করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা বলছে উপাচার্যের নির্দেশে হামলা হয়েছে। তদন্তে যে দোষী হবে সে দায় নেবে। আমরা চাই উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। সরকার ও সিলেটের নেতৃবৃন্দ এখানে সম্পৃক্ত। যার নির্দেশে হামলা হয়েছে সেখানে উপাচার্যসহ যেই জড়িত থাকুক তাকে দায় নিতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমাদের ওই সুযোগটা দেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাদের বুঝাতে আবার চেষ্টা করব। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
আমরণ অনশনে বসলেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসলেন ২৪ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ১৫ জন ছাত্র ও ৯ জন ছাত্রী রয়েছেন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে তারা উপাচার্যের বাসভবনে প্রবশের মূল ফটকের সামনে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। অন্যথায় আমরণ অনশনে যাওয়ার কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের করা নানা মন্তব্যকে ‘অশালীন’ দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
বুধবার সকাল ১১টা থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদে অংশ নেয়া কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে তারা এ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
কুমিল্লার লাকসামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ৮ শিক্ষকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা শিক্ষা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্কুলটি বন্ধ ঘোষাণা করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকসহ সবাই লাকসামের পশ্চিমগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ পর্যায়ক্রমে সবাই করোনা পরীক্ষা করলে তাদের পজিটিভ আসে।
লাকসাম উপলেজলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত শিক্ষকরা হলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক সম্পা রানী শাহা, সহকারী শিক্ষক মো. শাহ আলম, মো. একরামুল হক খন্দকার, মন্টু চন্দ্র ঘোষ, উম্মে কুলসুম, বিলকিছ নাসরিন, কামরুন্নাহার ও রুবিনা ইসলাম।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
প্রধান শিক্ষক সম্পা রানী সাহা বলেন, শনিবার আমি ও আমার এক সহকারী জ্বরের কারণে ছুটি কাটিয়েছি। রবিবার আমি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হলেও পরদিন আরও দুই শিক্ষককে অসুস্থতা অনুভব করতে দেখি। মঙ্গলবার স্কুলে আসার আগেই আমি এবং আমার স্বামী লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করতে যাই। দুই জনেরই ফল পজিটিভ আসে। পরে স্কুলে এসে অন্যান্য শিক্ষকদের নমুনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। তাদের সবার করোনা পজিটিভ আসায় বিষয়টি লাকসাম উপলেজলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনকে আবগত করি। পরবর্তীতে তিনি স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেন।
লাকসাম উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে আমরা দুপুর ১২টায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।
পশ্চিমগাঁও সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
কোনো শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ 'বিজয়' ও সিএফসির সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে বিজয়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছিলেন। আর সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলে। দুই উপপক্ষের কাছেই রামদা ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিজয়ের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাত ১২ টার দিকে বিনা উসকানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাঁদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। পরে তাঁরা প্রতিহত করেছেন। অন্যদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কয়েক দিন ধরে হুমকি ধমকি, উস্কানি দিয়ে আসছিল। আজকে তাদের জবাব দিয়েছে তারা।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে গেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে তাঁদের মূল ফটকে আটকে দেন নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৮ জন বিজয় গ্রুপ ও ৪ জন সিএফসি গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গুরুতর আহত ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝামেলা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি তৎপর রয়েছে। পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘আমরা বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এই সময়ের মধ্যে উপাচার্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।’
তারা আরও বলেন, ‘উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত অনশনে চালিয়ে যাব।’
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসসিটি ভবনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নাম উল্লেখ না করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এদিকে, শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণের দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে অস্বীকৃতি জানানোয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফিরিয়ে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মস্তাবুর রহমান।
এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবির সঙ্গে শিক্ষকরা যেন সংহতি জানান। কিন্তু শিক্ষক সমিতির নেতারা তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের ফিরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে রবিবার (১৬ জানুয়ারি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে হলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে এদিন সন্ধ্যা থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত ২০০ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জালালাবাদ থানায় পুলিশ একটি মামলা করেছে। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশকে দায়িত্বরত অবস্থায় বাধা দেয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, গুলিবর্ষণ ও পুলিশকে হত্যার উদ্দেশে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল হান্নান পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটে। গত রবিবার বেলা সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশকে দায়িত্বরত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০০ থেকে ৩০০ উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী হঠাৎ কর্তব্যরত পুলিশের কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের ওপর চড়াও হন। কর্তব্যরত পুলিশের সরকারি আগ্নেয়াস্ত্র ধরে টানাটানি করে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তাঁরা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করাসহ পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এরপর পুলিশ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ৩১টি শটগানের গুলি এবং ২১টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু খালেদ মামুন মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য থানার এসআই মো. আসাদুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এ খোলা চিঠি পাঠ করেন এক শিক্ষার্থী।
চিঠিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক প্রতিনিধিস্বরূপ উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। দেশের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নে নিবেদিত আছেন।
এতে আরও বলা হয়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে ও সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
'জনগণের টাকায় ক্রয়কৃত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শিকার হন নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ এর অধিক। এর মধ্যে কারও মাথা ফেটেছে, কারও রাবার বুলেট বা সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত হয়েছে। ছাত্রীদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছে,' চিঠিতে বলা হয়।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। দাবি না মেনে পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলায় শাবিপ্রবি উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন, তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ।'
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা