শিক্ষা
ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
ভুক্তভোগী শরিফুজ্জামান শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চেয়ে শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এম মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলা বিভাগের তৌহিদ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সজিবসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী শোভন সাড়ে ১০টার দিকে তার ক্লাশ শেষ করে ইবির ডায়না চত্বরে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবাই ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বির সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা শোভনকে লাঞ্ছিত করে এবং ঘটনাস্থলেই তাকে আহত করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে শোভনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
তারা নির্যাতিতাকে হত্যার হুমকিও দেয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিকটিমকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী শোভন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসুদসহ অন্যরা তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
ঘটনার কথা স্বীকার করে মাসুদ বলেন, শোভনকে গালিগালাজ করায় তারা তাকে মারধর করে।
ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বি বলেন, শোভনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিং ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এবং যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।, তারা যোগ করেছে।
ইবি প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।
তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
আগামী বছর থেকে পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে পূর্ণ সিলেবাসে না হলেও সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আগামী বছরের পরীক্ষার্থীরা এ বছর পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ক্লাস পাচ্ছে না। তাই যারা পুরোপুরি ক্লাস পাচ্ছে না তাদের জন্য পরবর্তী সময়ে পূর্ণাঙ্গ না হলেও কিছুটা সংক্ষিপ্তভাবে সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করে পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান, পৌর প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিাছ, ১৩ নং ওয়ারডের কাউন্সিলর মো. আলমগীর গাজী, যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদিকা রুমা পাটোয়ারি প্রমুখ।
পরে তিনি যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা ও ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর গাজীর মায়ের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন হাঁকডাকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
সরকার বছরে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫.৩৪ লাখ টাকা খরচ করে: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার বলেছেন, সরকার প্রতিবছর ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীপ্রতি ৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয় করে।
সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে ক্যাডেট কলেজগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল ১৯৭ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বর্তমানে, ৩ হাজার ৭০০ শিক্ষার্থী ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা করে। সে অনুযায়ী ক্যাডেট কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু বার্ষিক সরকারি ব্যয় ৫ লাখ ৩৪ হাজার ০৪৩ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয়ের বরাদ্দ সমন্বিতভাবে করা হয়, তাই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাব্যয় আলাদাভাবে দেখানো হয় না।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় ৫০ হাজার ৫১২ টাকা।
২০২১-২২ অর্থবছরে, এই পর্যায়ের ৩৩ লাখ ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১৬ কোটি ১৬৭ লাখ টাকা।
মাধ্যমিক-পরবর্তী স্তরের ৩ লাখ ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে সরকারি বরাদ্দ ৭০৭ কোটি টাকা। প্রতি শিক্ষার্থীর বার্ষিক খরচ ২০ হাজার ৪৮৯ টাকা।
তৃতীয় পর্যায়ে, ৩৮ লাখ ১২ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ৮০৭ কোটি টাকা। সে হিসেবে শিক্ষার্থীপ্রতি সরকারের বার্ষিক ব্যয় ২০ হাজার ৪৭৮ টাকা।
মন্ত্রী বলেন, বাজেট ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও গতিশীলতা এবং শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির কারণে সরকারি, বেসরকারি ও ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের ব্যবধান ক্রমশ কমছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: মন্ত্রী
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ গবেষক
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি)৫১ জন গবেষক। গত ৩০ জুন প্রকাশিত হয়েছে ‘এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ২০২৩’ এর রিপোর্ট।
এ বছর বিশ্বের ২১৮ টি দেশের ২১ হাজার ৯৯৪ প্রতিষ্ঠানকে ১০টি অঞ্চলে বিভক্ত করে মোট ১১টি বিষয়ের ওপর ১৩ লাখ ৫২ হাজার ২৮১ জন গবেষকের নাম প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইটভাটায় কাজ করে জিপিএ-৫ পাওয়া রাজুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা
উল্লেখ্য, প্রফেসর মুরাট অ্যালপার ও প্রফেসর শিহান ডগারের তত্ত্বাবধানে গুগল স্কলার প্রোফাইলের সকল গবেষণাপত্রের এইচ-ইনডেক্স, আই-টেন ইনডেক্স এবং সাইটেশনের ওপর পর্যালোচনা করে ২০২১ সাল থেকে এ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়ে আসছে।
চলতি বছরে বাংলাদেশের ১৯৬ টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯ হাজার ২৬৮ জন বিজ্ঞানীর নাম স্থান পেয়েছে রিপোর্টটিতে।
এর মধ্যে খুকৃবি’র কৃষি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ জন, ভেটেরিনারি, এনিম্যাল এন্ড বায়োমেডিকেল সাইন্সেস অনুষদের ১৭ জন, ফিশারিজ এন্ড ওশান সাইন্স অনুষদ থেকে ৭ জন, এগ্রিকালচারাল ইকোনমিকস এন্ড এগ্রিবিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ৫ জন এবং এগ্রিকালচারাল ইন্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদ থেকে ৪ জন, মোট ৫১ জন শিক্ষকের নাম স্থান পেয়েছে রিপোর্টে।
যারা সবাই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ও পাঠদানের মাধ্যমে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
নতুন প্রতিষ্ঠিত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠতম দিকে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজগুলোর রবিবারের পরীক্ষা স্থগিত
গুচ্ছ ভর্তিতে থাকছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ইউজিসি
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘বহিরাগতদের’ হামলা, শিক্ষার্থী আহত
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ‘বহিরাগতদের’ হামলায় এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাত ১১টার দিকে এমসি কলেজের পঞ্চম ছাত্রাবাসের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম একিউএম শামসুল হুদা ইমরান। তিনি ওই কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, রাত ১১টার দিকে তিনি ঘটনাস্থলের পাশেই নিজের রুমে ছিলেন। এসময় উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনে তিনি এগিয়ে এসে দেখেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি (বহিরাগত) মাহিন তালুকদার কলেজের মাস্টার্স ফিজিক্স বিভাগের ছাত্র রাফসানের ওপর চড়াও হয়েছেন।
এসময় তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করলে বহিরাগত মাহিন তালুকদার তার ওপর লোহার কিছু একটা দিয়ে হামলা চালান। এতে শামসুল হুদা ইমরানের মাথা ফেটে যায়। ঠোঁটেও আঘাতপ্রাপ্ত হন ইমরান। এ অবস্থায় তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে তার মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান আহত একিউএম শামসুল হুদা ইমরান।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজ ৬ মাস ধরে বন্ধ, খোলা ছিল ছাত্রাবাস
এ ব্যাপারে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ আবু এনাম রিয়াজ জানান, ‘এটা তেমন বড় কোন ঘটনা নয়। গায়ে সাইকেল লাগা নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। শামসুল হুদা ইমরান কিছুটা আহত হয়েছে।’
বহিরাগত কিভাবে এখানে থাকে; এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,‘ তারা সবসময় থাকে না, সিলেট আসলে মাঝে-মধ্যে থাকে। পুলিশকে বলেছি, কিন্তু তারাও ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, ‘হামলার কোনো অভিযোগ তিনি পাননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বহিরাগত আছে কি না সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ দেখবে। বহিরাগতদের তাড়াতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা চাইলে পুলিশ সহায়তা করবে।’
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, এমসি কলেজের পঞ্চম ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রলীগ পরিচয়ে বিপুলসংখ্যক বহিরাগত নিয়মিত বসবাস করছে। ছাত্রাবাসের ৫০৩, ৫০৪ ও ৫০৫ নং কক্ষে বসবাস করছেন সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি (বহিরাগত) মাহিন তালুকদার।
মাহিন তালুকদার এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও সভাপতি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন রাহীর বন্ধু।
অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগ নেতা রাহী বঙ্গবন্ধু হল তত্ত্বাবধায়কের কক্ষ দখল করে বসবাস করছে। সে আবার, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেনের অনুসারী।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেন, নেতৃত্বে থাকায় কেউ অনুসারী হতেই পারে। তবে এমসি কলেজ ছাত্রলীগ এখন অনেক সুশৃঙ্খল। বৃহস্পতিবার রাতে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে ছাত্রলীগ এরকম ঘটনা সমর্থন করে না।
এদিকে বহিরাগতদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেবেন; জানতে চাইলে অধ্যক্ষ আবু এনাম রিয়াজ বলেন, আমি তাদের (বহিরাগত) সঙ্গে কথা বলবো। কথা না শুনলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবো।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। তখন থেকেই দেশব্যপী সমালোচনার মুখে পড়ে এমসি কলেজ ও ছাত্রলীগ। সে সময় নানাবিধ চাপের মুখে বহিরাগতরা সাময়িক সরে গেলেও ফের কলেজ হোস্টেলে আস্তানা গেড়েছে তারা।
আরও পড়ুন: সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আত্মহত্যার নেপথ্যে ‘ব্ল্যাকমেইল’
প্রাইভেটকার উল্টে সিলেট এমসি কলেজের ২ ছাত্র নিহত
চট্টগ্রামে এক স্কুলের ১৭ শিক্ষককে একযোগে বদলি!
শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির বিরোধের জেরে জেলার পটিয়া পৌর সদরের শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষককে (১৭ জন) একযোগে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
আদেশ পেয়ে বদলিকৃত শিক্ষকরা গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিভিন্ন বিদ্যালয়ে যোগদান করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের ৩৭,৯২৬টি পদ শূন্য: প্রতিমন্ত্রী
এর আগের দিন বুধবার (২১ জুন) তাদের বদলির এ আদেশ পায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, গত এক বছর পটিয়া পৌরসদরের শশাংকমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও সহকারী শিক্ষিকা উম্মে হাবিবা চৌধুরী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির এমপি মনোনীত সহ-সভাপতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মক বিঘ্নিত হয়। এই প্রেক্ষিতে গত ১৩ জুন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাসরিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই ১৭ শিক্ষকের বদলির আদেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ১৭ শিক্ষককে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বদলি করে সেখান থেকে একজন করে শিক্ষককে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন ক্রমে প্রশাসনিক কারণে তাদেরকে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: শিক্ষামন্ত্রী
চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) একজন শিক্ষানবীশ সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বহিষ্কারাদেশ চলাকালীন কোনো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বা অন্য কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।
বহিষ্কৃতরা হলেন- চবি ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ এবং শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত রায়হান।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
বিষয়টি নিশ্চিত করে চবি প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, বুধবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় দোষীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কারাদেশ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হবে।
তবে প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ চবি সাংবাদিক সমিতি।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু বলেন, ‘বিচারের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রহসন করছে। আমরা এ রকম বিচার চাইনি। এটা জাস্ট লোক দেখানো। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপরাধীদের কাছে জিম্মি মনে হচ্ছে। অপরাধীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়ে ক্ষমতাশালী প্রমাণ করলো তদন্ত কমিট। আমরা এ রায়ে কোনোভাবেই সন্তুষ্ট না। আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।’
এর আগে গত ১৯ জুন রাতে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে চবি সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও একটি অনলাইন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি দোস্ত মোহাম্মদকে মারধর করে ছাত্রলীগের ১০-১২ জন নেতাকর্মী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনা তদন্তে ২০ জুন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
ঢাবি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৯১৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেছে।
গবেষণার জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা বা মোট বাজেটের ১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য খাতে মাত্র ৭০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বেতন-ভাতা ও পেনশন বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭২৪ কোটি ১২ লাখ টাকা বা ৬৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার জন্য রাখা হয়েছে ২০৮ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
বুধবার বিকাল ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে এ বাজেট ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ঢাবির ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে অধিবেশনের উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সিনেট সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, দীপঙ্কর তালুকদার (সংসদ সদস্য), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ৭ কলেজের অধ্যক্ষরা সেশনে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেবে ৭৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আসবে ৮৫ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, ২০২০-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি হবে ৬০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক লুৎফর রহমানের ছাত্র ডরমেটরির গেস্টরুমে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে যে বক্তৃতা দিয়েছেন তা বাদ দেওয়ায় বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকরা আলোচনাসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষক সমিতির সাদা প্যানেলের আহ্বায়ক।
ওয়াকআউটের পর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঢাবি ভিসি প্রধান অভিভাবক হলেও তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন না। তিনি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। তিনি তার সব শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করেন না।’
আরও পড়ুন: ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাকে নির্যাতন ও অপমান করেছে।
মঙ্গলবার ভোরে তাকে এই নির্যাতন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতরেন শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইয়াশ রোহান এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভর্তির পর থেকে রোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ‘গণরুমে’ অবস্থান করছিলেন।
রোহান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফিফ হাসান ও তন্ময় বিশ্বাসসহ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল কর্মী তাকে হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। তারা সকলেই ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে আফিফ, তন্ময় ও অন্যরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বলে রোহান জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী র্যাগিং ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
রোহান অবশ্য বুধবার আইইউ প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় জানান, তিনি তার সমর্থক ও রোহানের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। পরে তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান জয়।
অনেক শিক্ষার্থী জানান, প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
আইইউ প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছিল।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত এবং তার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় ভিকটিম তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আইইউ-এর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
২০০৯ সাল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬-১২ শ্রেণিতে ভর্তি বেড়েছে ৫২.৫%: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি মঙ্গলবার সংসদে বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন তিন মেয়াদের সরকারের সময় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রশংসনীয়ভাবে ৫২ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাধারণত, বাংলাদেশ ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলোকে এই শ্রেণিগুলোতে শিক্ষার্থীদের ধরে রাখতে লড়াই করতে হয়। শিক্ষার্থীরা পঞ্চম শ্রেণি পাস করার পরে দরিদ্র বাবা-মা প্রায়শই তাদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কাজে লাগায়, বা কাজের সন্ধান করে।
শিক্ষামন্ত্রী এই সাফল্যের জন্য সরকারের 'দরিদ্রবান্ধব' উদ্যোগকে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৬ সালে নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সরকারি দলের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
দীপু মনি বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) আওতায় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৭০১টি সরকারি কলেজ আছে, যেখানে মোট ২৫ লাখ ৫৮ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১২ লাখ ৯৭ হাজার এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১২ লাখ ৬১ হাজার।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য: দীপু মনি