শিক্ষা
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা: মন্ত্রী
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে রয়েছে তাদেরকে পিএইচডি ডিগ্রি করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখন এসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ভেবে দেখতে পারে।
সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দিনব্যাপী দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ মন্তব্য করেছেন। এই শিক্ষামেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। আমি সবগুলো নিয়ে বলছি না। অনেকগুলো নিয়ে অনেক কথা আছে। কিন্তু মানের দিক থেকে অনেক ভালো করছে এরকম ৫, ৬, ৭ কিংবা তার অধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তাদের সক্ষমতা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। তাদের পিএইচডি ডিগ্রি করার অনুমতির দেওয়ার বিষয়টি এখন ইউজিসির ভেবে দেখার সঠিক সময়। তা না হলে আমরা গবেষণাকে উৎসাহিত করতে পারবো না। কাজেই এটি করা খুব দরকার।
ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান প্রমুখ।
শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে এডুকেশন এক্সপো-২০২৩ এর জন্য ইরাবের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রধান হাতিয়ার শিক্ষা। তাই আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের গবেষণাসহ সকল খাতে জোর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে শিক্ষার উন্নয়নের জন্য শুধু অবকাঠামো বা বিল্ডিং বানালেই হবে না, আমাদের একাডেমিক কার্যক্রমের গতি বাড়াতে হবে। আমাদের একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান ঠিক করে দিবে আমাদের শিক্ষার মান কেমন হবে। একই সঙ্গে আমাদের বাড়াতে হবে গবেষণার সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষাখাতে প্রতিবছরই বরাদ্দ বাড়াচ্ছে সরকার। জিডিপির হিসেবে এ হার কম হলেও সামগ্রিক হিসেবে এটি বাড়ছে। এখন আমাদের গবেষণায়ও বরাদ্দ বেড়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের ভালো মানুষ হয়ে ওঠার আহ্বান জানিয়ে দেশ গড়ার কাজে শিক্ষার্থীদের আত্মনিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের কর্মজগতে প্রবেশের জন্য নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি ভাষাজ্ঞান, সফটস্কিল, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগ দক্ষতাসহ সবখাতেই আমাদের তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। নিয়োগকর্তা এবং প্রার্থীর দক্ষতার সমন্বয় করতে হবে। তাহলে কর্মজগতে আমাদের তরুণরা পিছিয়ে থাকবে না। শুধু চাকরি খুঁজলে হবে না—তরুণদের তাদের দক্ষতাও বাড়াতে হবে। সেজন্য আগামী প্রজন্মকে আমরা প্রাথমিক-মাধ্যমিক থেকেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছি। এর সুফল এখন না পাওয়া গেলেও ২০৪১ সালের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে ২০২৫ সালের মতো সময় লাগবে। এর সুফল তার পরবর্তী ৭ অথবা ৮ বছর পর পাওয়া যাবে এবং সেজন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দেশের উচ্চশিক্ষায় ইন্ড্রাস্ট্রির সঙ্গে একাডেমি ইয়ারের সমন্বয় করতে।
এ সময় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে মেলার স্টলগুলো ঘুরে দেখেন তিনি। অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিরাও তার সঙ্গে মেলা ঘুরে দেখেন।
প্রসঙ্গত, মেলায় ৬০টির বেশি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তাদের গবেষণা, প্রকাশনা ও উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া মেলা রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। এটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
তাপপ্রবাহের কারণে ৫-৮ জুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে
গত কয়েকদিন ধরে দেশে তাপপ্রবাহের কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে সরকার ৫ থেকে ৮ জুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রবিবার (৪ জুন) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজশাহী, নওগাঁ, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সকালের বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগ, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বাকি অংশ এবং মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের
স্থগিত এসএসসি পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে অনুষ্ঠিত হবে
আগামীতে শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাজেট বরাদ্দ প্রতিবছরই বাড়ছে। এ বছরও গত বছরের তুলনায় বাজেট বরাদ্দ অনেক বেড়েছে। একইসঙ্গে আমাদের জিডিপির আকার তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে হিসেবে হয়তো শিক্ষায় বাজেট কিছুটা কমেছে।
আমি বার বার বলছি, আমাদের যে মেগা প্রজেক্টগুলো চলছে, এগুলো সম্পন্ন হয়ে গেলে আমি আশা করি শিক্ষাই হবে আমাদের মেগা প্রজেক্ট।
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর আল-আমিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের এখন চ্যালেঞ্জ হলো- আমাদের যে বরাদ্দ, সেটাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। আর যেটি দরকার সেটি হচ্ছে গবেষণা। গবেষণায় এবারও বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছরে এবং বিগত দিনে তাদের বরাদ্দ কাজে লাগাতে পারেনি। এ বছর তারা এ বরাদ্দ কাজে লাগাবে বলে আমরা আশা করছি এবং আমরা গবেষণা ও উদ্ভাবনে এগিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি পক্ষ সবসময় কাজ করছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাজেটে শিক্ষা উপকরণের ক্ষেত্রে বল পেনের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাব রয়েছে। এই বিষয়ে আলোচনা হবে। আমি আশা করি সেই আলোচনায় আমাদের প্রস্তাব থাকবে সেটির যেন দাম না বাড়ানো হয়।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষায় আমাদের যে লক্ষ্য, বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের যেটি ঠিক করে দিয়েছেন সেটা ‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ।’ আমরা দক্ষ, যোগ্য, সৃজনশীল মানুষ তৈরি করব, যারা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। আমরা নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি, যুৎসই প্রযুক্তি ব্যবহার করছি, আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছি এবং সবচাইতে জরুরি যেটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ, সেটি আমরা ব্যাপকভাবে করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিদ্বয়- যথাক্রমে মো. ইউসুফ গাজী,ও ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী
অপর্যাপ্ত শিক্ষা বাজেট প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে, বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি শিক্ষার্থীদের
২০২৩-২৪ অর্থবছর যতই ঘনিয়ে আসছে, শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। এবারের বাজেট বরাদ্দ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবি), কারিগরি প্রতিষ্ঠান এবং মাদরাসার ছাত্রদের সঙ্গে কথা হয়।
বাজেট প্রসঙ্গে কথা হয় ঢাবি’র একাউন্টিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইমন ইসলামের সঙ্গে।
তিনি বলেন, “গত বছরের পরিসংখ্যানের তুলনায় শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়লেও প্রস্তাবিত বাজেটে তা জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের তুলনায় আর্থিক মূল্য বৃদ্ধি পেলেও প্রকৃত অর্থে তা বাড়েনি। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির আশংকাজনক ঊর্ধগতির সময়ে শিক্ষাখাতে মোট জিডিপির ওপর বাজেটের পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিত।”
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক রিয়াদ বলেন, “বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে শিক্ষাখাতকে আরও ভালো করে সাজাতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তাই অন্যান্য খাতের পাশাপাশি এই খাতকে আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। বাড়াতে হবে বাজেট বরাদ্দ।”
ঢাবি’র তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী সিদ্দিক ফারুক জানান, “একটি দেশের মোট বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা উচিত। বিপরীতে আমাদের দেশের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ মাত্র ১০ শতাংশ। এটিকে আরও বাড়ানো উচিত। আমাদের দেশের যে অর্থনীতি তাতে মোট বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা অসম্ভব। তবে ধীরে ধীরে এটি বাড়বে বলে আশা করা যায়।”
তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য বরাদ্দ অনেক কম। শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করলে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আরও বেশি গবেষণা হবে। সামনের দিনের অর্থনীতি হবে 'নলেজ ইকোনমি' অর্থাৎ ‘জ্ঞানভিত্তিক’। আর জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে রাখতে হলে আমাদের শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ শুধু সাধারণ শিক্ষাকেই প্রভাবিত করে না, কারিগরি শিক্ষাকেও বাধাগ্রস্ত করে।”
চট্টগ্রাম পলিট্যাকনিকাল ইন্সটিটিউট থেকে সদ্য ডিপ্লোমা শেষ করা কাজী শাহাদাত হোসেন সাকিব বলেন, “বর্তমান সময়ে যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে হলে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারে এই খাতটি।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা তথা বাস্তবমুখি করার জন্য এই কারিগরি সেক্টরে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়ানো ও বিভিন্ন প্রণোদনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা অবশ্যক।”
তিনি আরও বলেন, “বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রযুক্তিগত ও কারিগরি দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। অথচ আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক যন্ত্রপাতি অনেক পুরানো আমলের। এছাড়া অর্থ সংকটের কারণে সেগুলা নতুন করে কেনা সম্ভব হয় না অধিকাংশ সময়েই। আর এজন্য আরও বেশি বাজেটের প্রয়োজন এই খাতে।”
আরও পড়ুন: গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
ঈদুল আজহায় যশোর মাতাবে ‘ভাইজান’
খুবি অ্যালামনাইয়ের 'খুরশীদ-আক্তার' প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইশতেহার ঘোষণা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন খুলনা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (কুয়া) নির্বাচন আগামী শুক্রবার (৯ জুন) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২ জুন) রাতে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘খুরশীদ-আক্তার’ প্যানেলের পরিচিত সভা ও ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে।
আসন্ন এই নির্বাচনে ‘কেইউ গ্রাজুয়েটস’ সমর্থিত খুরশীদ-আক্তার প্যানেল এবং ‘আমরা খুবিয়ান’ প্যানেল ছাড়াও বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন
খুরশীদ-আক্তার প্যানেলের সভাপতি পদে আর্কিটেকচার ডিসিপ্লিনের ৯২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী খুরশীদ আলমেহের তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক পদে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের ৯৬ ব্যাচের মো. আকতার হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়াও ৯ জন শিক্ষক প্রতিনিধিসহ মোট ৫০ জন বিভিন্ন পদে নির্বাচন অংশ নিচ্ছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সভাপতি প্রার্থী তার বক্তব্য তুলে ধরেন এবং পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নির্বাচনি ইশতেহার উপস্থাপন করেন তিনি। একই সময় এর ওপরে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
খুরশীদ আক্তার প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী খুরশীদ আলমেহের তন্ময় বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় চারটি ডিসিপ্লিন নিয়ে, এখন সে সংখ্যা ২৯ এ পৌঁছেছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনের প্রায় ২৫ হাজার এ্যালামনাই রয়েছে, যারা বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর দেশে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছেন৷ তাদের সবাইকে নিয়ে একটি যথার্থ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, কার্যকরী, স্বচ্ছ, শক্তিশালী ও গতিশীল এ্যলামনাই এ্যসোসিয়েশন গঠন করার জন্য ২০২৩ নির্বাচনে খুরশীদ-আকতার (গ্রাজুয়েটস প্লাটফর্মের) প্যানেলের পক্ষ থেকে আপনাদের সমর্থন ও দোয়া প্রার্থী।
তিনি তাদের প্যানেলের সক্ষমতা এবং ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবদানের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
প্রক্টর জানান, গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমকে আহ্বায়ক এবং আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার শাহা ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ জালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলম।
একই দিন দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনায় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার আরেকটি ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে খাবার হোটেলে বসা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।
সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এছাড়া উভয় ঘটনায় প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। একইদিন দুপুরে চাকরি চেয়ে প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রলীগের একাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চবি কর্তৃপক্ষ ও হাটহাজারী পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
গণরুম বিলুপ্তির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীর অনশন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলে গণরুম বিলুপ্তসহ ৩ দফা দাবিতে অনশনে বসেছেন মীর মশাররফ হোসেন হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী।অনশনকারী শিক্ষার্থী হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রিতম।
বুধবার(৩১মে)সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের খেলার মাঠে অবস্থা নিয়ে 'অনশন' শুরু করেন ওই শিক্ষার্থী। যা প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান ছিল।অনশনরত শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো- গণরুমের বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের অবিলম্বে হল ত্যাগ ও গণরুম মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের সিট সুনিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক শামসের মুক্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ জাবির প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের
অনশনকারী শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রিতম বলেন, আমি গত বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যা থেকে এখানে অনশনে আছি।আমার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমি আমরা অনশন চালিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমি গত বুধবার থেকে অনশনে থাকলেও প্রশাসনের কেউ এখনো দায়িত্ব নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.সাব্বির আলমকে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: জাবি’র হল থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) গত দুই দিনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউল্যাবে ‘ইয়ুথ ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যাল’ আয়োজন করবে ঢাকা ফ্লো
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) –এ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে ধারাবাহিক ইয়থ ওয়েলনেস ফেস্টিভ্যালের প্রথম আয়োজন করতে যাচ্ছে ঢাকা ফ্লো।
উৎসবটি মানসিক, শারীরিক, আধ্যাত্মিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিস্তৃত থিম কভার করবে।
বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইভেন্টটি ২০০ জন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে দিনব্যাপী অন্বেষণে অংশ নিতে গবেষণা হলরুমে আকৃষ্ট করবে।
ঢাকা ফ্লো হলো একটি প্ল্যাটফর্ম যে কেউ এবং প্রত্যেকের জন্য যারা সুস্থতাকে তাদের জীবনধারা বা তাদের জীবিকা বানিয়েছেন। ওয়েবসাইটটিতে মানুষকে এবং সংস্থাগুলোকে সুস্থতা পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর প্রস্তাব করে এমন একটি সুস্থতা ডিরেক্টরি রয়েছে৷
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমের জন্য নতুন এআই রোডম্যাপ প্রকাশ করল ইউনেস্কো
আসন্ন ক্লাস, ওয়ার্কশপ এবং রিট্রিটসহ একটি সুস্থতা ক্যালেন্ডার এবং এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান এবং জ্ঞানসহ একটি সুস্থতা ব্লগ রয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুস্থতা আন্দোলনে যোগ দিতে এবং ‘ফ্লো-তে আত্মসমর্পণ’ করতে, ঢাকা ফ্লো-এর ওয়েবসাইট দেখুন এবং ঢাকা ফ্লো ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম পেজগুলো অনুসরণ করুন।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় এডুকেশন এক্সপো সোমবার
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলগের বিবাদমান দুইপক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসময় দুই পক্ষকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্রহাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
পরে র্যাব-৭ এর একটি টিম ক্যাপাসে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এর আগে গতকাল বুধবার কথা কাটাকাটির মত তুচ্ছ ঘটনায় চবি শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য, একজন সহকারী প্রক্টরসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশ ও প্রক্টর আহত
সংঘর্ষের সময় চবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইন প্রতিপক্ষের রামদার কোপে গুরুতর আহত হয়। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শাটল ট্রেনভিত্তিক ছাত্রলীগের গ্রুপ সিএফসি ওসিক্সটি নাইনের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা গেছে।
দুপুর সাড়ে তিনটায় পর্যন্ত শাহ আমানত হল ও শাহ জালাল হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা গেছে। হলগুলোতে ছাত্রলীগকে বাঁশের লাঠি ও লোহার রড নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
চবির সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম মুরাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে। পরে র্যাব টিম ক্যাম্পাসে পৌঁছলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনের ছাদে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
প্রশাসনিক পদ থেকে আরও ৩ চবি শিক্ষকের পদত্যাগ