শিক্ষা
প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী
২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সারাদেশে মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এদের মধ্যে ৩৩ হাজার জন ট্যালেন্টপুলে এবং ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পাওয়া ৮২ হাজার ৪২২ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ
ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্তরা প্রতিমাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা করে পাবে।
এছাড়া উভয় গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্তরা বই কেনার জন্য ২২৫ টাকা পাবেন।
ফলাফল প্রত্যাশীরা www.dpe.gov.bd এবং www.mopme.gov.bd ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পারবে।
এছাড়া বিভাগীয় উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা বা থানা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে বৃত্তি পাচ্ছে ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী
চবিতে সাবেক ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ক্যাম্পাসে অবস্থানরত সাবেক ও বহিষ্কৃত সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। একই সঙ্গে মাদক বিক্রি ও সেবন বন্ধের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস এলাকায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: চবি যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃত্বে শিমুল ও নুর
সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যন্ড ডিসিপ্লিন সভার সদস্যদের সম্মতিতে ৯/১/২০২৩ তারিখে প্রদত্ত সুপারিশ-১ ও সুপারিশ-২ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সুপারিশের আলোকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অবস্থানকারী মাদকাসক্ত, ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন সম্ভাব্য মাদক বিক্রির স্থান ও মাদক সেবনের চিহ্নিত জায়গায় নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, হল ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় অবস্থানকারী ছাত্রত্ববিহীন (সাবেক/বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী) ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, এমন ব্যক্তিদের আগামী ১৫ মার্চ তারিখের মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া নির্ধারিত ১৫ মার্চের পর ক্যাম্পাস এলাকায় ছাত্রত্ববিহীন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কাউকে পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
আগামীকাল প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
আগামীকাল (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।
সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে দুপুর সাড়ে ১২ টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে বক্তব্য রাখবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধদিপ্তরের ওযবেসাইট www.dpe.gov.bd এবং মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে।
২০২০ ও ২০২১ সালে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তি দেয়া সম্ভব হয়নি।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় চার লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল ২ ঘন্টা।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় স্থায়ীভাবে অভিযুক্ত পাঁচজনের আবাসিকতা (হলের বরাদ্দকৃত সিট) বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এতে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন উর্মি, ইশরাত জাহাম মীম ও মোয়াবিয়ার সিট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি বিভাগ থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গ্রিন, ক্লিন, সেইফ এবং স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে স্মার্ট ক্যাম্পাস চ্যালেঞ্জ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান দিয়ে স্মার্ট ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রদের প্রতি আহ্বান জানান।
রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক মনোনীত আটটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল নথি সিস্টেম (ডি-নথি) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, দেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির দিকে এগিয়ে গেছে। এখন আমরা নলেজ বেইজড ইকোনমির দিকে এগিয়ে যেতে চাই। ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে যেকোন সময় ও স্থান থেকে ইলেকট্রনিকেলি অফিসের কার্যক্রম সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যই ২০১৬ সালে ই-নথি চালু করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১ হাজার দপ্তরে লক্ষাধিক কর্মকর্তা ই-নথি ব্যবহার করেছে, যার সংখ্যা ২ কোটির অধিক।
তিনি আরও বলেন, ই-নথি ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ ও সময় সাশ্রয় এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দ্রুততা নিশ্চিত করা গেছে।
এছাড়া কাগজ ব্যবহারের মাধ্যমে এ ফাইল সম্পাদন করা হলে পরিবেশের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ নিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে কাজ করতে চাই: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইনোনমি এবং স্মার্ট গভর্নমেন্ট এ চারটি এরিয়া ঠিক করে দিয়েছেন।
ইনোভেটিভ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকার, একাডেমিয়া ও ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্টনারশিপ দরকার। এ লক্ষ্যে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ডি-নথি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এগুলো হচ্ছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় ও শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যত বিনোদন হবে ইন্টারনেট প্রযুক্তি নির্ভর: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক
গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিতে সেবা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: পলক
ঋণ খেলাপির জন্য সাধারণ মানুষ নয়, বড় ব্যবসায়ীরা দায়ী: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ব্যাংকের খেলাপি ঋণের এক শতাংশের জন্যও সাধারণ মানুষ দায়ী নয়। বরং বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা স্বেচ্ছায় ফেরত না দেয়ার অভিপ্রায়েই ঋণ নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ঋণ নেয় (ইচ্ছা করে) পরিশোধ না করার জন্য। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু ব্যাংকারও জড়িত।’
শনিবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তনে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও অন্যান্য ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ রয়েছে এক লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ কোটি টাকা।
শিক্ষার্থীরাই দেশের ভবিষ্যৎ উল্লেখ করে হামিদ বলেন, কেউ হবে রাজনীতিবিদ, কেউ হবে ব্যবসায়ী বা শিল্পপতি, কেউ হবে আমলা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মনে রাখবেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও আমলাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। তা করতে ব্যর্থ হলে দেশ ও জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনে।’
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়
সার্কভুক্ত একটি দেশের অর্থনীতির দেউলিয়া অবস্থার সংবাদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই অর্থনৈতিক দেউলিয়াপনার জন্য আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়েছে। এই সিন্ডিকেটের অশুভ সম্পর্ক যেকোনো দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।’ তবে তিনি কোনও দেশের নাম বলেননি।
প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে এসব শিক্ষার মূল ক্ষেত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আজকের রাজনীতিতে ক্ষমতা এবং অর্থ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণকারী শক্তির ভূমিকা পালন করে। ছাত্র রাজনীতিতে এসব অশুভ ছায়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণ ও চাঁদাবাজির কারণে ছাত্র রাজনীতিকে এখন আগের মতো সম্মানের পরিবর্তে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভালো নয়।’
ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করে হামিদ বলেন, তারা নৈতিকতা বাদ দিয়ে ব্যবসা শুরু করে কীভাবে রাতারাতি ধনী হওয়া যায় তা চিন্তা করেন।
হামিদ বলেন, একই কথা সরকারি কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। চাকরি করার পর কীভাবে দ্রুত গাড়ি ও বাড়ির মালিক হবেন তা নিয়েই তারা চিন্তিত।
তিনি বলেন, ‘তারা ভুলে যায় যে তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী এবং জনগণের সেবক। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থে তারা মাঝে মাঝে দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করতে দ্বিধা করে না।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে দুর্নীতি অন্যতম বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি মুক্ত রাখতে হবে।
হামিদ বলেন, কিছু উপাচার্য ও শিক্ষক আইনের অপব্যবহার করে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজস্ব পরিচয় তৈরি করুন: এনডিসি স্নাতকদের রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে, আইনের অপব্যবহার করে এমন একটি বিভাগ তাদের সুযোগ-সুবিধা পেতে খুব ব্যস্ত। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ছাত্রদের ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।’
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না এবং শিক্ষার্থীরা একাডেমিক সব কার্যক্রম ঠিক রেখে রাজনীতি, সমাজসেবা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সঙ্গে আপস করে অ-একাডেমিক কর্মকাণ্ডে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে। যে কারণে বিশ্বের প্রথম এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু সার্টিফিকেটভিত্তিক শিক্ষা দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম থেকে ৪৭তম ব্যাচের ৩১ হাজার ৭১৬ জন যোগ্য স্নাতকের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ২১৯জন অনার্স, মাস্টার্স, এম ফিল, পিএইচডি, এমবিএ ডিগ্রি এবং উইকএন্ড কোর্সের অধীনে নিবন্ধন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে ১৫ জন স্নাতককে আসাদুল কবির স্বর্ণপদক এবং শরাফুদ্দিন স্বর্ণপদক দেয়া হয় তাদের অসাধারণ একাডেমিক ফলাফলের জন্য।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন ১৯৯৭ সালে, দ্বিতীয়টি ২০০১ সালে, তৃতীয়টি ২০০৬ সালে, চতুর্থটি ২০১০ সালে এবং পঞ্চম সমাবর্তন ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ে সময়োপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছেন ড. হাছান
রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও নিজ এলাকায় উন্নয়নের দায়িত্ব পালনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া অব্যাহত রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।
বেলজিয়ামের লিম্বুর্গ ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাম থেকে পরিবেশ রসায়নে ডক্টরেট এবং বিশ্ব পরিবেশ আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য ২০১৫ সালে গ্রিন ক্রস ইন্টারন্যাশনাল সম্মাননায় ভূষিত হাছান মাহমুদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগে খন্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে এখন সম্মান শ্রেণিতে বৈশ্বিক জলবায়ু বিষয়ে ক্লাস নিচ্ছেন।
করোনা মহামারির মধ্যেও তিনি অনলাইনে পাঠদান করেছেন, মহামারির প্রকোপ কমে এলে আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন, দিনে দিনে বেড়ে যাওয়া ব্যস্ততার মধ্যেও অধ্যাপনা অব্যাহত রেখেছেন। কৌতুহল উদ্দীপক আঙ্গিকে পাঠদানের জন্য শিক্ষক হিসেবে জনপ্রিয় ড. হাছান জানান, অনলাইনের চেয়ে সরাসরি ক্লাস নেয়াই তার বেশি পছন্দ।।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান এর আগেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ও কর্নেল ইউনিভার্সিটি, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, দেশের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজসহ (এনডিসি) দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ লেকচার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভাষা ও সংস্কৃতি বিকৃতিকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকুন: তথ্যমন্ত্রী
উৎসবে দেশেও নিত্যপণ্যের দাম কমানোর সংস্কৃতি চালু করুন: তথ্যমন্ত্রী
৭ম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স শুরু
সপ্তম বাংলাদেশ স্কুল অব ইন্টারনেট গভর্নেন্স (বিডিএসআইজি) ২০২৩ বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে।
সাভারের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, এআর এবং ভিআর-এর মতো উদীয়মান প্রযুক্তির সেশনের মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের (বিআইজিএফ) মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক আনু অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান।
ডিআইইউর প্রভাষক আরিদ হাসান ‘প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’, মুসাব্বির হাসান ‘ডেটা সায়েন্স’ এবং সহকারী অধ্যাপক অপূর্ব ঘোষ ‘অগমেন্টেড রিয়েলিটি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি’ সেশন পরিচালনা করেন।
দিনের শেষ অধিবেশনে বক্তব্য দেন ডিআইইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক এম লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক ফর রেডিও অ্যান্ড কমিউনিটি (বিএনএনআরসি) এর সিইও এএইচএম বজলুর রহমান ও আনু।
শুক্রবার মোহাম্মদপুরের ওয়াইডব্লিউসিএ গেস্ট হাউস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বজলুর গভর্নেন্স, ইন্টারনেট গভর্নেন্স এবং ডিজিটাল গভর্নেন্স নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ইয়ুথ গ্লোবালের পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির ১৪ প্লাটফর্ম
বিজিডি ই-গভ সার্ট -এর মান নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থাপক রেজাউল ইসলাম সাইবার নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন। ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বাংলা ভাষা’ সেশনটি পরিচালনা করেন এনহ্যান্সমেন্ট অব বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজের পরামর্শক মামুনুর রশীদ।
এছাড়াও, অনু বিআইজিএফ এবং এর সম্প্রদায়ের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বিডিএসআইজি এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত স্কুলের সেশন সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের অবহিত করেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ আইজিএফ-এর মহাসচিব ফয়সাল আহমেদ ভুবন গত দুই বছরে তার প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন।
বিডিএসআইজির ভাইস-চেয়ার নাজমুল হাসান মজুমদার বিগত তিন বছরে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। বিডিএসআইজির মহাসচিব আশরাফুর রহমান পিয়াস অংশগ্রহণকারীদের জন্য আন্তর্জাতিক ফেলোশিপের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৯ পেলেন সাংবাদিক-লেখক শাহনাজ মুন্নী
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে ‘বিজয়’ গ্রুপ। এদের এক পক্ষ আলাওল ও এএফ রহমান হল এবং আরেকটি পক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল মাঠে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে উভয় পক্ষের ইট পাটকেল নিক্ষেপে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী হলের আটটি কক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ আলাওল হল ও এএফ রহমান হল থাকে। অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করে। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। সেই রাতের সংঘর্ষের জের ধরেই আজ আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেদিন ঘটনার মীমাংসা না হওয়ায় কয়েকদিন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস: ব্যক্তিগত সহকারীকে অব্যাহতি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য এবং একজন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে কথোপকথনের বেশ কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ( পিএসকে) অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান।
জানা যায়, বুধবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালাম পিএস আইয়ূব আলীকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান বলেন, ‘ভিসি স্যার গতরাতে (বুধবার) আমাকে ডেকেছিলেন। কিন্তু শরীর খারাপ থাকায় যেতে পারিনি। তাই সকালে এসে অব্যাহিতর আদেশপত্র প্রস্তুত করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভিসি স্যার শুধু তাকে অব্যাহত দেওয়ার কথা বলেছেন। কোন কারণ জানাননি।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ার পর ইবির তিনটি বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া মোট পাঁচটি অডিও ক্লিপের মধ্যে তিনটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন চাকরিপ্রার্থী অলিউর ও উপাচার্যের মধ্যে হওয়া কথোপকথন এবং বাদি দুটি উপাচার্যের সঙ্গে একটি মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার কথোপকথন।
অডিও ক্লিপগুলোতে, কথিত উপাচার্য অলিউরকে বিভাগের নিয়োগ বোর্ডের শর্ত অনুসারে আরও দু'জন প্রার্থী যোগাড় করতে বলেছিলেন।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
নির্দিষ্ট সময়ে মেগা প্রকল্পে নির্মাণ কাজ শেষ করতে ব্যর্থ ইবি