শিক্ষা
জাবিতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সেমিনার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ সিওয়াইএআরকে-এর সহযোগিতায় বাংলাদেশে 'ভবিষ্যত' সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সুরক্ষা ও ব্যবস্থাপনার জন্য 'অতীত'কে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষা সচিব ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক ড. নজরুল ইসলাম খান বলেন, যেখানে ইতিহাসের যাত্রা শেষ, সেখানে প্রত্নতত্ত্বের যাত্রা শুরু হয়। অতীতের অনেক কিছুই আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা দেখেছি যে উপসাগরীয় যুদ্ধে সুমেরীয় সভ্যতার অনেক নিদর্শন হারিয়ে গেছে। আমরা চাই না আমাদের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো কোনো ঘটনায় হারিয়ে যাক।
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। আমাদের এ অঞ্চলে ইউরোপের অনেক আগেই মানুষ এসেছে। ইউরোপে যেখানে ৪০ হাজার বছর আগে মানুষ এসেছে, এ অঞ্চলে সেখানে ৬০ হাজার আগে মানুষের বসতি ছিল। ইতিহাসবিদদের পাশ্চাত্যকে প্রাধান্য দেয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. নুরুল কবির ভুঁইয়া বলেন, আমরা এখন আমাদের মধ্যে 3D ফটোগ্রামেট্রি এবং রিলেলিটি ক্যাপচার প্রযুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের নিজস্ব সম্পদে তা করি। আমাদের কাজ বিশ্ব স্বীকৃত। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমাদের ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সংরক্ষণ করতে পারি। এটিই একমাত্র আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের বর্তমান যুগে যুগোপযোগী পন্থা যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে হয়ে আসছে।আমরাই বাংলাদেশে প্রথম যারা এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করেছি।
সিওয়াইএআরকে-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার কেসি হ্যারি বলেন, আমি তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে এসেছি এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমি তাদের আগ্রহ এবং কাজের স্প্রীহা দেখে আনন্দিত। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া ডিজিটালাইজেশন সম্ভব ছিল না। আমরা ছাত্রদের ফটোগ্রামমেট্রি এবং বাস্তবতা ক্যাপচার ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত করার চেষ্টা করেছি যা থেকে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপত্যের সাম্যক ধারণা পাওয়া যেতে পারে। কম ত্রুটিসহ ঐতিহ্যগত দৃশ্যের একটি থ্রিডি ভিউ পাওয়া যাবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে সময়ে ভিডিও এবং ছবির নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি থেকে আমরা কম ত্রুটিসহ সম্পূর্ণ ভিউ পাই।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. মোজাম্মল হক বলেন, আমরা সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সিওয়াইএআরকে-এর ড্রোন এবং থ্রিডি স্ক্যানার দিয়ে কাজ করি। সিওয়াইএআরকে তাদের উন্নত প্রযুক্তিতে আমাদের সাহায্য করে। আমরা আমাদের ছাত্রদের প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও থ্রিডি ম্যাপিংয়ে বিশেষজ্ঞ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা সরকারের কাছে আমাদের উত্তরাধিকারী হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে শিক্ষার্থীরা৷ আমাদের কাজ এখন বিশ্বমানের৷ আমাদের বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনার প্রয়োজন নেই৷
আরও পড়ুন: জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে জাবি শিক্ষার্থীর ৭ বছরের কারাদণ্ড
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ -২০২০ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সর্বমোট ৩৭,৫৭৪ (সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশত চুয়াত্তর) জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনপূর্বক ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে, নিয়োগ জুলাইতে
নির্বাচিত প্রার্থীরা মোবাইল নাম্বারে ফলাফলের এসএমএস পাবেন।
এছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্বাচিত প্রার্থীগণকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখের মধ্যে সকল সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ০৩ কপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত স্বাস্থ্যগত উপযুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সশরীরে উপস্থিত হবার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪৭১ শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬
জাবির সাবেক ভিসি আলাউদ্দিন আহমেদ আর নেই
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য আলাউদ্দিন আহমেদ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আহমেদ বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ১৯৯৮ সালের ১৮ জুলাই থেকে ১৯৯৯ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাবিতে ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ছিলেন।
এছাড়াও তিনি কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আলাউদ্দিন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
১৯৪৭ সালে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণকারী আলাউদ্দিন আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে ১৯৭১ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন।
তিনি ১৯৭৩-১৯৭৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলাউদ্দিন আহমেদ ১৯৭৫ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জাবি’র ভিসি ড. মোহাম্মদ নুরুল আলম।
পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ডা. এস এ মালেকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাবেক মন্ত্রী গোলাম মোস্তফা আর নেই
সরকারি মাধ্যমিকে ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ
২০২৩ শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার (১২ ডিসেম্বর) ‘আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলায়তনে এ উদ্বোধন করেন তিনি। বিকাল ৫টা থেকে ওয়েবসাইটে এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তি সংক্রান্ত লটারির ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম হাবিবুর রহমানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও টেলিটক উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের জন্য একটি ডায়নামিক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করা হয়।
এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির জন্য ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়া চাহিদা মোতাবেক ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়েছে।
ওই প্রক্রিয়ায় সর্বমোট তিন হাজার ৩৯২ প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৪০টি সরকারি এবং দুই হাজার ৮৫২টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
ডিজিটাল লটারির এই প্রক্রিয়ায় নয় লাখ ১২ হাজার ৬৪৪টি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।
দুটি পদ্ধতিতে ভর্তি সংক্রান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে।
প্রথম পদ্ধতি:
যেকোনো টেলিটক মোবাইল নাম্বার থেকে GSA<space> RESULT <space> USERID এসএমএ করতে হবে ১৬২২২ নাম্বারে।
ফিরতি ম্যাসেজে উত্তর পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
অনলাইনে ফলাফল পেতে ওয়েব সাইটে (https://gsa.teletalk.com.bd) ব্রাউজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি’র ষড়যন্ত্র রুখতে আওয়ামী লীগের শক্তি জনগণ ও সংগঠনের ঐক্য: দীপু মনি
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
মহামারিকালীন অনলাইনে ক্লাস নেয়ায় প্রাইভেটের চেয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন সরকার যখন অনলাইনে ক্লাস চালুর চেষ্টা করেছিল, সেসময় বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভার্চুয়াল বা অনলাইন ক্লাস চালুতে পিছিয়ে ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাকে দুঃখজনক কিছু কথা শেয়ার করতে দিন। আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহামারি চলাকালীন শিক্ষায় ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে কিছুটা ধীরগতির ছিল। তারা অনেক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়)পিছিয়ে ছিল।’
সোমবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা: বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী, প্রয়োজন ২৩০ বিলিয়ন ডলার
আইসিটি বিভাগ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারির সময়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাসে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্রুত তা (অনলাইন ক্লাস) শুরু করেছে। কিন্তু আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যাল তা পারেনি। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও (তাৎক্ষণিকভাবে শুরু হয়নি)।’
তিনি বলেন, বারবার অনুরোধের পর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইন ক্লাস চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘যখন একটি ব্যবস্থা আমাদের জন্য উপকারী,আমরা কেন তা গ্রহণ করব না?’
তিনি জানান যে তিনি শুধু ভাবছিলেন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ না থাকলে কোভিড-১৯ মহামারির সময় কী হতো! ‘সবকিছু স্থবির হয়ে যেত।’
আরও পড়ুন: অভিযোজন গ্লোবাল হাব উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
কলেজে ভর্তির চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখার মান নিশ্চিত করা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, ‘আমাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষিত ও যোগ্য শিক্ষক রয়েছে। তাই ভর্তি প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কলেজগুলোতে অনেক আসন রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলাম, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ঠিকমতো করলো কি না। তারা যেনো খারাপ ভুল পথে চলে না যায়, মা-বাবা সেদিকে সঠিকভাবে নজর রাখেন। আমরা সবাই যদি আমাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে তারা তাদের ভবিষ্যত গড়তে পারবে।’
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে আয়োজিত মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা-২০২২ এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘এ বছর যে পরিমাণ শিক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়েছে, তার চেয়ে ৭ লাখের বেশি আসন (সিট) রয়েছে এইচএসসির জন্য। এইচএসসির ভর্তি পরীক্ষা সুনির্দিষ্ট নিয়মে বরাবরের মতো অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাদের ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো এ দেশের একেবারে সেরা মেধাবীদের ছেঁকে নিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে। মেধাবী শিক্ষার্থীগুলো যখন সবাই এক জায়গায় যায়, তখন তাদের প্রচেষ্টায়, বাবা-মায়ের প্রচেষ্টায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় আরও ভালো ফলাফল করে। সে ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের খুব মহত্ব রয়েছে বলে আমি মনে করি না।’
এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ অকৃতকার্য ৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তিনি বলেন, কি কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে এমন খারাপ ফলাফল হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সহযোগিতা করা হবে। যাতে করে ভবিষ্যতে তারা ব্যর্থ না হয় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
দীপু মনি বলেন, আমাদের এই বিজয়ের মাসে দেশে নানান রকম রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বীর বাঙালি স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে, গণতন্ত্র ছিনিয়ে এনেছে। এখন আমরা বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে আছি। দেশবাসী চায় সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক। সেখানে যেন কোন প্রকার অস্থিরতা, অরাজকতা সৃষ্টি না হয়। ২০১৩-১৪ সালের মত কোন ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস আবার দেখতে চাই না। জনগণ শান্তি চায়, সমৃদ্ধি চায়, সামনে এগিয়ে যেতে চায়। যারা দেশে অস্থিতরা চালানোর চেষ্টা করছে, আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এম এ ওয়াদুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউসুফ গাজী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ।
এর আগে তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
জাবিতে বর্ণিল আয়োজনে প্রজাপতি মেলা
‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগান সামনে রেখে ‘প্রজাপতি মেলা-২০২২’ এর আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সম্মুখে প্রজাপতি মেলার উদ্বোধন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক।
প্রজাপতি সংরক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে দিনব্যাপী এ মেলার নানা আয়োজনের মধ্যে ছিল নৃত্য, শিশু কিশোরদের জন্য প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি হাট দর্শন, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, অরিগামি প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক, প্রজাপতি চেনার প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
এ বছর প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য তরুপল্লব সংগঠনকে ‘বাটার ফ্লাই অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত বিশ্বাসকে ‘বাটার ফ্লাই ইয়াং ইনথুসিয়াস্ট অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।
এদিকে মেলা উপলক্ষে ক্যাম্পাসে প্রজাপতিপ্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। মেলা দেখতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রজাপতিপ্রেমীরা ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন। বিশেষ করে বাহারি রঙের প্রজাপতি দেখে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকার ধানমন্ডি থেকে বাবার সঙ্গে প্রজাপতি মেলা দেখতে আসেন আইমান। ছোট্ট শিশু আইমান বলেন, ‘মেলায় এসে লাল-নীল প্রজাপতি দেখে ভালো লাগছে। ছবি আঁকা ও ঘুড়ি উড়িয়েছি, খুবই ভালো লেগেছে। আমি প্রজাপতির ওপর দুইটা বই কিনেছি।’
আরও পড়ুন: জাবিতে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য বলেন, ‘প্রজাপতির সৌন্দর্য আমাদের মনকে আপ্লুত করে। প্রজাপতি না থাকলে পরাগায়ন হবে না। তাই প্রকৃতিতে প্রজাপতিকে টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশ-প্রকৃতি আমাদের নিত্য অনুষঙ্গ। প্রকৃতি ভালো থাকলে মানুষ ভালো থাকবে। সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।’
মেলার আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা গত এক যুগ ধরে প্রজাপতি মেলার আয়োজন করে আসছি।জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হলে প্রকৃতিও বিরূপ আচরণ করে। ছোট্ট কীটপতঙ্গ আমাদেরকে কীভাবে আলোড়িত করতে পারে, প্রজাপতি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। সুষ্ঠু পরিবেশের অভাবে প্রজাতির সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে বাংলাদেশে সাড়ে চারশ’ প্রজাতির প্রজাপতি লক্ষ করা যেত। সেই সংখ্যা এখন কমে এসেছে। আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১০ প্রজাতির প্রজাপতি লক্ষ্য করা যেত। এখন এই সংখ্যা ৫২ তে নেমে এসেছে। প্রজাপতিকে রক্ষায় পরিবেশকে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপভোগ করলেন ‘মিশন এক্সট্রিম’
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, বন অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, কিউট প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মাতলুব আক্তার, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান প্রমূখ।
উল্লেখ্য, প্রজাপতির প্রতি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ২০১০ সালে প্রথম ক্যাম্পাসে প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে প্রতিবছর নানান আয়োজনে প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাবির নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আফসার আহমদের ৬৩তম জন্মজয়ন্তী
শতভাগ ফেল করায় সিরাজগঞ্জের ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শোকজ
সিরাজগঞ্জে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি। এ কারণে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে ওই তিন প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে।
এ শোকজ নোটিশ পাওয়া এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান তিনটি হলো-উল্লাপাড়া উপজেলার কালিকাপুর দাখিল মাদরাসা, ইসলামপুর ধরইল দাখিল মাদরাসা ও খন্দকার নূরুন নাহার জয়নাল আবেদিন দাখিল মাদরাসা।
আরও পড়ুন: ‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ওই তিন প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থী পাস করেনি। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে এবং সেই সঙ্গে বিশিষ্টজনেরা বলছেন, পাসের হার প্রায় ১০০% হলেও ওই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। এ বিষয়টি নিয়ে ওই তিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ঘিরে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরেও পড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম শামসুল হকের স্বাক্ষর করা ওই নোটিশে তিন কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ শোকজ নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি ওই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. উজ্জল হোসেন জানান, ওই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষার্থী পাস না করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে এবং কেন পাস করে নাই সে বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্তের নির্দেশও আসতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারকে শোকজ, ৫ জনের বদলি
নালিয়ার দোলায় হচ্ছে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণ প্রান্তে কুড়িগ্রাম-উলিপুর- চিলমারী সড়কের কেতার মোড় সংলগ্ন নালিয়ার দোলায় কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনে একটি পত্রও পাঠানো হয়েছে। ইউজিসি’র পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া ও কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম শহরের দক্ষিণে সদরের মোঘলবাসা ও বেলগাছা ইউনিয়নে নালিয়ার দোলা অবস্থিত। এই স্থানে সরকারের ৮৫ দশমিক ৩৪ একর খাস জমি রয়েছে। দোলাটি এক ফসলি এবং এর কাছ দিয়ে কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথ ও সড়ক পথ চলে গেছে। নালিয়ার দোলা স্থানটির পশ্চিমে কুড়িগ্রাম বিসিক শিল্প নগরীর অবস্থান।
এছাড়াও এই দোলার পূর্বে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরত্বে ধরলা নদী প্রবাহিত। ফলে স্থানটি নৌ যোগাযোগ ও গবেষণার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইউজিসি পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রাথমিকভাবে আমরা নালিয়ার দোলাকে প্রথম পছন্দের স্থান হিসেবে জানিয়েছি। সরকারি খাস জমির বাইরে ওই স্থানে জমি অধিগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা ২৬০ একর জমির প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছি।’
আরও পড়ুন: জাবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জায়গা নির্ধারণের যৌক্তিকতা তুলে ধরে ইউজিসি পরিচালক বলেন, ‘ওই স্থানটি শহর থেকে কাছে। এক ফসলি জমি, সড়ক-রেল ও নৌ যোগাযোগ সুবিধা, নিরাপত্তা, থানা থেকে দূরত্ব ইত্যাদি সার্বিক দিক বিবেচনায় ওই স্থানটি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট। প্রথম ফেজে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জন্য তাই আমরা ওই স্থানটি বরাদ্দের সুপারিশ করেছি।’
নিজের গবেষণা ও বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে ইউজিসি পরিচালক আরও বলেন, ‘কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচনের জন্য আমরা দুইবার কুড়িগ্রামে গিয়েছি। নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রিসার্স পার্সন সকলের জন্য সুবিধা হবে।
এছাড়াও স্থানটি নদী ভাঙন মুক্ত কিন্তু নদী থেকে কাছে। আমাদের অভিজ্ঞতা ও সার্বিক দিক চিন্তা করেই আমরা নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্বাচন করেছি।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আমাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ইউজিসি’র যে টেকনিক্যাল মতামত, সেই আলোকে নালিয়ার দোলায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে। ইউজিসি এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই স্থানটি চূড়ান্ত হয়েছে।’
কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এ.কে.এম জাকির হোসেন বলেন, ‘ইউজিসি ও মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বিষয়ে যে চিঠি পেয়েছি তা জেলা প্রশাসকের কাছে অগ্রগামী করেছি। জমি নির্ধারণের বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবে। আমরা জায়গা চাই, আপনারা যেখানে জায়গা দেবেন আমরা সেখানে কার্যক্রম শুরু করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে ভিসি বলেন, ‘আমি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি। সে অনুযায়ী ইউজিসি বরাবর পরিকল্পনা জমা দিয়েছি। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে দুটি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করে ক্লাস শুরু করা হবে। প্রত্যেক বিভাগে ৩০ জন করে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো।’ অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে কয়েক দশক ধরে বন্ধ থাকা কুড়িগ্রাম টেক্সটাইল মিল চত্বরকে ব্যবহারের বিষয়ে প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান ভিসি।
তবে সেটা সম্ভব না হলে ভবন ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার কমেছে
পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি ও ভুল: এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে ফের তলব
৪৫তম বিসিএসের সার্কুলার প্রকাশ
বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) বুধবার ৪৫তম বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে দুই হাজার ৩০৯টি ক্যাডার পদ এবং এক হাজার ২২ নন-ক্যাডার পদের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনন্দ কুমার বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায়, আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় আবেদনের সময় শেষ হবে। সার্কুলারটি পিএসসি’র ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রথমবারের মতো প্রার্থীরা নন-ক্যাডার পদের জন্য ক্যাডার পদের মতো পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন।
আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত তথ্য পিএসসি’র ওয়েবসাইট এবং টেলিটকের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: পিএসসির সামনে ৪০তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মানববন্ধন
৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
সিলেটে ৮ কেন্দ্রে হবে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা