শিক্ষা
‘এইচএসসির বিতর্কিত প্রশ্ন তৈরিতে জড়িত যশোর বোর্ডের শিক্ষকদের শোকজ করা হবে’
যশোর শিক্ষা বোর্ডের যেসব শিক্ষক ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা ১ম পত্র প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উপাদান রাখার বিষয়ে জড়িত ছিলেন প্রথমেই তাদেরকে শোকজ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
মঙ্গলবার অধ্যাপক তপন কুমার ইউএনবিকে জানান, নিয়ম অনুযায়ী যশোর বোর্ডের আওতাধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হবে।
এরপর ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এরপর মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তপন কুমার সরকার।
রবিবার থেকে বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সারাদেশে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
উদ্ভট ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে একটি অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে নেপাল ও গোপাল দুই ভাই (নামগুলি সাধারণত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যবহার করে)। তাদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। তার বড় ভাইকে শাস্তি দিতে নেপাল বিতর্কিত জমিটি আব্দুল নামে এক মুসলিম ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। নতুন মালিক ঈদুল আজহার সময় ওই জমিতে একটি গরু কোরবানি দিলে নেপালের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এবং তিনি ভারতে চলে যান।
এই প্রশ্নটিতে ভয়াবহভাবে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহারের জন্য দেশের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষাবিদেরা এ কর্মকাণ্ডের ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে গত বারের চেয়ে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানির মতো কিছু থাকবে তা খুবই দুঃখজনক ও একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্রের দেশ।
সোমবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িকতার উসকানি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাও যেন না থাকে সেটিও নির্দেশনায় আছে। খুবই দুঃখজনক কোনো একজন প্রশ্নকর্তা হয়তো প্রশ্নটি করেছেন এবং যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও হয়তো কোনোভাবে বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন অথবা তিনি স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করছি এ প্রশ্ন কোন মডারেটর করেছেন। একই সঙ্গে সে অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছি।
আমাদের শিক্ষার্থীদের মনে যারা সাম্প্রদায়িক উসকানির বীজ বপন করতে চায় তাদের ভবিষ্যতে এসব কাজের সঙ্গে (প্রশ্নপত্র সেটিং-মডারেটিং) আর সম্পৃক্ত করা হবে না। একই সঙ্গে যারা প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশ্ন সেটিং বা প্রশ্ন মোডারেটিং এমনভাবে হয় যে যিনি প্রশ্ন সেট করে যান তিনি আর সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করে যান তিনিও আর পুনরায় তা দেখতে পারেন না। একই সঙ্গে মডারেটরের বাইরে ওই প্রশ্নের একটি অক্ষরও কারো দেখার সুযোগ থাকে না। আমাদের একদম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা দেয়া থাকে- কী কী বিষয় মাথায় রেখে এ প্রশ্নগুলো তারা করবেন।
শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’ এর আয়োজনে ১০ দিনব্যাপী বই উৎসব শুরু হয়েছে।
রবিবার(০৬ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় এ বই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত, খ্যাতিমান লেখক, অনুবাদক ও সাহিত্য বিশ্লেষক সুরেশ রঞ্জন বসাক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত (শুক্রবার ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত) বইমেলা চলবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সেমিনার
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক আমিনা পারভীন, প্রক্টর মো. ইশরাত ইবনে ইসমাইল, কিনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, অধ্যাপক হিমাদ্রি শেখর রায়, অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন, অধ্যাপক ড. নারায়ণ সাহা, অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা, সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম ও বই উৎসবের আহ্বায়ক মাধুর্য চাকমাসহ সংগঠনের অন্য সদস্যরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদের শিশু সন্তান আহমেদ হুসাইন আল মোস্তফা ‘বাইল্যাটারাল প্রোফাউন্ড হিয়ারিং লস’ রোগে আক্রান্ত।
তার দুই কানের শ্রবণশক্তি শূন্য হওয়ায় বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ের সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। মূলত তার চিকিৎসায় সহযোগিতা করার লক্ষ্যে এ বইমেলার আয়োজন করা হয়।
বইমেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি ইফরাতুল হাসান রাহিম।
এবারের বই উৎসব ভাষা সৈনিক ও শিক্ষাবিদ প্রতিভা মুৎসুদ্দিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বইমেলায় দেশের জনপ্রিয় অন্যপ্রকাশ, আগামী পাবলিকেশন, অন্বেষা পাবলিকেশন, বাতিঘর ও অনলাইন প্রকাশনী রকমারি ডটকমসহ ২০টি প্রকাশনী অংশগ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে গত বারের চেয়ে ৬ হাজার পরীক্ষার্থী কমেছে
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ জেলায় ৮৯টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন ৬৩ হাজার ১৫১জন শিক্ষার্থী। এরমধ্যে নিয়মিত শিক্ষার্থী ৬০ হাজার ৬৩৭জন।
অনিয়মিত দুই হাজার ৫১৪ শিক্ষার্থী। গত বছর পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৬৯ হাজার ২১৭ জন। গত বছরের তুলনায় এবছর কমেছে ছয় হাজার ৬৬ জন পরীক্ষার্থী।
শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, চার জেলার ৬৩ হাজার ১৫১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে শেরপুর জেলার সাতটি কেন্দ্রে সাত হাজার ৩০জন, নেত্রকোনার ২১টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৪৩৭ জন, জামালপুরের ২২টি কেন্দ্রে ১২ হাজার ৯৭৭জন এবং ময়মনসিংহ জেলার ৩৯টি কেন্দ্রে ৩৯ হাজার ৯২০জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা
গত বছরের চেয়ে এবছর ৬ হাজার শিক্ষার্থী কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল জানান, বিগত দুটি পরীক্ষা অটোপাশ ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হওয়ায় পাশের হার ছিল। স্বাভাবিক নিয়মে পরীক্ষা হলে কিছু পরীক্ষার্থী ফেল করে। তারা কিন্তু পরবর্তী বছরের সঙ্গে যুক্ত হয়। এবার কিন্তু সেটা হয়নি। ফলে এবার কিছু শিক্ষার্থী কমেছে।
বোর্ড চেয়ারম্যান আরও জানান, এবারের পরীক্ষায় বোর্ডের একাধিক ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বোর্ডে কন্ট্রোলরুম চালু থাকবে। আর পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হলেও খুশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
নকল মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক এনামুল হক ও শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের চলাচল নিষিদ্ধ
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী
প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নফাঁসের অপচেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো আবু বকর ছিদ্দীক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ,ঢাকা বোর্ডের চেয়ার ও আন্তঃবোর্ড সমন্বয়ক অধ্যাপক তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অভিনব কায়দায় প্রশ্নফাঁসের চেষ্টা হয়েছিল। ওই পরীক্ষায় যেসব ছোটখাটো ঘটনা ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কেউ যদি কোথাও প্রশ্ন ফাসের অপচেষ্টা করে তাহলে আমরা সবাই মিলে তা প্রতিরোধ করব। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।'
পরীক্ষার কেন্দ্রের বাহিরে ভিড় প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম বাইরে অভিভাবকদের অনেক ভিড়। যারা আগে এসেছেন তারা সন্তানকে ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। তাদের এতো ভিড় যে, বাকি পরীক্ষার্থীদের ঢুকতে সমস্যা হচ্ছে। অভিভাবকদের আমি অনুরোধ জানাব, সন্তানকে কেন্দ্রে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র ত্যাগ করবেন। তাহলে কোনও পরীক্ষার্থীর কেন্দ্রে ঢুকতে সমস্যা হবে না।'
কোচিং সেন্টার বন্ধ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, 'কোচিং বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। আর একই কোচিং সেন্টারে অনেক ধরনের কোচিং চলে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা শিক্ষা বোর্ডের পক্ষে একা বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় প্রশাসনেরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোচিংয়ের প্রয়োজন আছে। ক্লাসে এত শিক্ষার্থী, সকলের প্রতি শিক্ষকদের আলাদা নজর দেয়া সম্ভব নয়। তবে নতুন যে শিক্ষাক্রম,তাতে কোচিংয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না বলে আশা করি। '
২০২৩ সালের পরীক্ষা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছরের পরীক্ষা এগিয়ে আনা হবে। এবার আমরা চেষ্টা করেছিলাম জুলাই-আগস্টে পরীক্ষা নিয়ে আসতে। কিন্তু দেশের একটি অঞ্চলে বন্যার কারণে পরীক্ষা নিতে দেরি হয়ে গেল। আগামী বছর আরও এগিয়ে আনার চেষ্টা করবো। আর আগামীতে যদি কোনও অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তাহলে সেই বোর্ডের পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ রেখে অন্য বোর্ডের পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করব। যত দ্রুত সম্ভব ঐ বোর্ডের পরীক্ষাও নেব।'
আরও পড়ুন: জানুয়ারির ১ তারিখেই নতুন বই পাবে শিক্ষার্থীরা: দীপু মনি
৩ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে: দীপু মনি
দেশজুড়ে শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা রবিবার শুরু হয়েছে।
সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বছর মোট ১২ লাখ তিন হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসছে। এর মধ্যে ছয় লাখ ২২ হাজার ৭৬৯ জন ছেলে ও পাঁচ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ জন মেয়ে।
এইচএসসি পরীক্ষাকে সামনে রেখে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে যানজটের খবর পাওয়া গেছে।
ইউএনবি সংবাদদাতারা ঢাকার বেইলী রোডের কাকরাইল থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখতে পান। এতে অনেক পরীক্ষার্থীকে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৮১টি প্রতিষ্ঠানে।
পরীক্ষার্থীদের মোবাইল বা অন্য কোনো ডিভাইস বহন করতে দেয়া হবে না।
৫২ ঘন্টা পর অবমুক্ত হয়েছেন ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মো. ফরহাদ হোসেন দীর্ঘ ৫২ ঘন্টা পর অবমুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নিজ কার্যালয় থেকে অবমুক্ত হন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ২২ জন কর্মচারী তাদের চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৯টা থেকে ভিসিকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে কার্যালয়ে গিয়ে ভিসিকে মুক্ত করেন।
বিকালে ভিসি মো. ফরহাদ হোসেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এএসএম সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক প্রক্টর মাসুদার রহমান ও সাবেক সভাপতি শাহীন উদ্দিনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনার সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন।
ভিসি মো. ফরহাদ হোসেন জানান, ২০১৯ সালে তৎকালীন ভিসি ২২ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীকে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশন থেকে দুই দফায় ১৫টি পদের অনুমোদন পাওয়া গেছে। ওই ১৫ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবাহিত ছাত্রীদের হল ছাড়ার নোটিশ স্থগিত
এ সময় তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে কিছু দাবি উত্থাপন করা হয়। তারা ১৫ পদের বিপরীতে ২২ জনকে নিয়োগ দেয়ার দাবি তুলেন। তারা কোন লিখিত পরীক্ষা ছাড়া শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবি করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তাদের সঙ্গে কয়েক দফা কথা বলেছেন। কিন্তু তারা তাদের দাবিতে অনড়।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে ভিসির কার্যালয়ে আসেন। তারা দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি ভিসির কার্যালয়ে সামনে এলে সেখানে অবস্থান ধর্মঘটে থাকা কর্মচারীরা চলে যান। তারপর শিক্ষার্থীরা তালা খুলে ভিসির ভিতরে গিয়ে ভিসিকে বাইরে আসার অনুরোধ করেন। তখন ভিসি তাদের সাথে বাইরে না এলেও দুপুরে ছাত্রদের সাথে নিয়ে মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে ভিসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি গর্বিত, আমি এমন কিছু সন্তান পেয়েছি, যারা সত্য, ন্যায় ও বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে। তোমাদের মত সন্তানরা থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দুর এগিয়ে যাবে।
মিছিলে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, অযৌক্তিক কিছু দাবি আদায়ের জন্য তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা ভিসি স্যারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। এটা খুবই দুঃজনক। যারা এটা করেছে আমরা তাদের শাস্তির দাবি করছি।
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম মাহফুজুর রহমান জানান, ভিসিকে কার্যালয় থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় তারা কোন বাধার সৃষ্টি করেননি। অবস্থান ধর্মঘট শুরুর পরেই ভিসিকে তারা জানিয়েছিলেন সকালে হাটা বা বিশেষ কোন প্রয়োজনে তিনি কার্যালয়ের বাইরে বের হতে পারবেন। তবে তাদের কর্মবিরতি এখনো অব্যহত আছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে পিস্তল উদ্ধারের দাবি
২২ দফা দাবিতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন
২২ দফা দাবি আদায়ের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। চবির আবাসিক হল ও পাঠাগার সংস্কারসহ ২২ দফা দাবিগুলো পূরণের দাবিতে ক্লাস বর্জনের ডাক দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে চারুকলা অনুষদের সামনে গ্যালারিতে অবস্থান নেয় দেড়শোরও বেশি শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-শিক্ষার্থীদের নিজস্ব বাস চালু, ডাইনিং ও ক্যান্টিন তৈরি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা, বেসিনের সুব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত ওয়াশরুম নির্মাণ, আর্ট ম্যাটেরিয়ালসের ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পাঠাগার সংস্কার, জেনারেটরের ব্যবস্থা, মেডিকেল ব্যাকআপ, খেলাধুলার পর্যাপ্ত ইন্সট্রুমেন্ট এর ব্যবস্থা, মেয়েদের থাকার হলের ব্যবস্থা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নির্মূল, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে বৈদ্যুতিক সংকট নিরসন, ছাত্র ও ছাত্রী মিলনায়তনের ব্যবস্থা, সেমিনারের পরিধি বাড়ানো, ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিতকরণ, ওজুখানা ও নামাজ পড়ার সুব্যবস্থা, সন্ধ্যার পর পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য লকার এর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরন এবং ছাত্রদের হলের ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: শনিবার দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি
এ বিষয়ে আন্দোলনকারী চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম বলেন, এর আগেও অনেকবার এ অভিযোগগুলো আমরা জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সমাধান আসেনি। তাই ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছি।
সায়েদ কবির নামে মাস্টার্সের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউট বছরের পর বছর ধরে নানান সমস্যায় জর্জরিত। আমরা বিভিন্ন সময় কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও, তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমাদের চারুকলা ইন্সটিটিউটটি শহরে অবস্থিত হওয়ায় তেমন কারো নজরেও পড়ছে না। তাই, আমরা আগামীকাল থেকে ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়েছিল বিভিন্ন বিষয়ে। আমরা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি।’
তিনি আরও বলেন, আমরা কাল ছাত্রদের সঙ্গেও কথা বলবো। আশা করি সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসবে।’
আরও পড়ুন: ১৮তম দ্বি-বার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর উদ্বোধন
মানসিক রোগ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫% শিক্ষার্থী সচেতন: শাবিপ্রবির গবেষণা
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ৬২ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন। বাকি ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। তবে মানসিক রোগ সম্পর্কে সচেতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল তরুণ গবেষকের গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।চলতি বছরের ১৭
অক্টোবর ‘হেলিয়ন’ নামের একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান ও সচেতনতা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। শাবির পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে এ গবেষণা দলে ছিলেন একই বিভাগের চার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হলেন মো. আবু বকর সিদ্দীক, মোসাদ্দিকুর রহমান অভি, তানভীর আহাম্মেদ ও মুহাম্মদ আব্দুল বাকের চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারকে যেভাবে সহযোগিতা করবে শাবিপ্রবি
অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘সাস্ট রিসার্চ সেন্টার’ এর অর্থায়নে দেশের ৯৬টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর ওপর অনলাইনে এই জরিপ চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য অবনতির কারণ হিসেবে গবেষকেরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে অস্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা, অবাধ ও সমস্যাগ্রস্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার, পড়াশুনার চাপ, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ ইত্যাদি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণা কম, কিন্তু সচেতনতা বেশি। ২২ বছরের অধিক বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে সচেতনতা রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে দেড় গুণ বেশি জানেন। আবার ব্যক্তিগত আয় ও পরিবার থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা পাচ্ছেন এমন শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান বেশি।
অন্যদিকে, শুধুমাত্র পরিবারের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে পড়াশোনাসহ যাবতীয় খরচ নির্বাহ করছেন এমন ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান সবচেয়ে কম।
গবেষণা প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রায় ৭৪ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিক সমস্যাকে ও ৫২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পরিবেশ দূষণকে (শব্দ দূষণ, উৎকট দুর্গন্ধ ইত্যাদি) মানসিক সমস্যার জন্য দায়ী করেছেন।
অন্যদিকে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ছাত্র-ছাত্রী মনে করেন, মানসিক অসুস্থতার জন্য দায়ী মানুষের ভাগ্য কিংবা কালো যাদু। ৪০ শতাংশেরও বেশি শিক্ষার্থী মনে করেন, আধুনিক মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও ধর্মীয় অনুশাসন মানসিক সমস্যার প্রতিকার করতে পারে।
আবার, ৯০ শতাংশেরও অধিক শিক্ষার্থীর মতে, পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি প্রদর্শন ও নিবিড় পর্যবেক্ষণ মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানসিক সুরক্ষার জন্য প্রথম বর্ষ থেকে ক্যাম্পেইন, ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জ্ঞান প্রদান করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাইকোলজিস্ট নিয়োগ করা ও কুসংস্কারে বিশ্বাস না করে মানসিক রোগের জন্য মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন বলে গবেষণায় মতামত দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ‘সি’ ইউনিটের গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে শাবিপ্রবিতে সপ্তাহে ১ দিন অনলাইন ক্লাস
পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বই আমরা দিতে চাই সময় মতো। তার মানটাও ঠিক রাখতে চাই। এখন যদি কাগজের পাল্প পাওয়াই না গেলো, তখনতো সেকেন্ডারি পাল্প দিয়ে হলেও কাগজ তো আমার দিতে হবে। সেখানে যদি কিছুটা হেরফের হয় কিন্তু সেখানে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় তো হতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, এমনিতেও তো আপনারা প্রত্যেকবার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আমাদের ৩৫ কোটি বই সবগুলো তো আসলে চেক করা সম্ভব হয় না। কিন্তু আমরা চাই এটাকে মানে রাখতে। যতটুকু পর্যন্ত মানের রাখার সম্পূর্ন চেষ্টা আমাদের থাকে। এবারও সেই চেষ্টা থাকবে। বিভিন্ন ধরনের যে বাস্তবতা থাকে সেগুলোকেও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, কাল থেকে ছাপা শুরু হবে। যে মানের আমরা চাই, সেটা তারা দিতে পারবে বলে জানিয়েছে।
প্রতি বছরের শুরু দিনটিই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে বই উৎসব পালন করে আসছে সরকার। তবে করোনার কারনে গত দুই বছর এই উৎসব হয়নি। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় পুরোনো সেই ধারায় ফিরতে চায় সরকার।
সে হিসেবে বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেয়ার কথা আগেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
গত ১৯ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার বইয়ের কাজগুলো একটু পিছিয়ে আছে। তবে আশা করছি বছরের প্রথম দিনই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে বই পৌঁছাতে পারব। প্রেসগুলোর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে, তারা যেভাবে বলেছে, তাতে ১ জানুয়ারি বই দিতে পারার কথা।’
দীপু মনি বলেন, ‘বৈশ্বিক কারণে আমাদের পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে। সে রকম যদি অপ্রত্যাশিত কোনো বিপর্যয়কর পরিস্থিতির তৈরি না হয়, তবে আমরা বিশ্বাস করি, সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই দিতে পারব।’