শিক্ষা
রমজানে সশরীরে ক্লাস চলবে স্কুল-কলেজে: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
পবিত্র রমজান মাসে স্কুল ও কলেজে সশরীরে ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানায়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই শিখন ঘাটতি পুষিয়ে নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস আগামী ১৫ মার্চ থেকে
এছাড়া এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করা হয়েছে।
চমেকের সেই আলোচিত ছাত্র আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত কলেজটির শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবের মাথার হাড় প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এ অপারেশন চলে। সফলভাবে অস্ত্রপচার সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী।
অস্ত্রোপচার শেষে ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সফলভাবে অপারেশন শেষ করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময় লেগেছে। আকিব ভালো আছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।
আরও পড়ুন: চমেকের আলোচিত সেই আকিব হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন
এর আগে গতকাল রবিবার বিকালে চমেক এমবিবিএস ৬২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিবকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তির করা হয়।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন শিক্ষার্থী মাহাদি জে আকিব। এতে তার মাথার হাড় ও ব্রেইনে মারাত্মক জখম হয়। থেঁতলে দেয়া হয় তার মাথার হাড়। সে সময় পুরো মাথায় লাগানো সাদা ব্যান্ডেজে চিকিৎসকরা লিখে দেন ‘হাড় নেই, চাপ দিবেন না।’
পরে জটিল অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ১৯ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আকিব। কিন্তু সেই সময়ে তার মাথায় খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। প্রথম অস্ত্রোপচারের পর মাথার হাড়ের একটি অংশ খুলে পেটের ভেতর রাখা হয়েছিল। ওই হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল আকিবের মাথার ডান পাশ।
আরও পড়ুন: জ্ঞান ফিরেছে চমেক ছাত্র আকিবের
চবিতে শিক্ষার্থীকে মারধর: বিচারের দাবিতে মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের হামলায় আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনার বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, গতকাল রবিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সামনে আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী কফিল উদ্দিন সামিকে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা মারধর করেন। এসময় রড ও ইটের আঘাতে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয় কফিল উদ্দিনের। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে চবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কফিল উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চবির দুই হলে তল্লাশি, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমাদেরকে তারা কোনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও খোঁজখবর নিচ্ছি। কিন্তু তারা না বুঝেই ফটকে তালা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা বিচারের আশ্বাস দিয়েছি।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
ঢাবির দুই ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক দুই ছাত্রকে ১০-১২ জন মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার সকালে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার এক শিক্ষার্থী আখলাকুজ্জামান অনিক ইউএনবিকে বলেন, হামলাকারীরা সবাই বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজিবের অনুসারী। তারা সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের ঘরে ঢুকে প্রচণ্ড মারধর করে।
পরে আহত অবস্থায় অনিককে অন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেন।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে ঢাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, এসবি সদস্য বরখাস্ত
অনিক আরও বলেন, ‘আমার দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষা আজ সন্ধ্যায় হওয়ার কথা।’
হামলার অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, হামলাকারীদের একজন তিন দিন আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার একজন বান্ধবীর সঙ্গে এসেছিল। ওই ছেলের অভিযোগ, আমি তাদের অপদস্থ করেছি।
এ বিষয়ে সজিবুর রহমান জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করব।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আব্দুল বাছির বলেন, ‘আমি হামলার কথা শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভুক্ভোগীদের কোনো্ লিখিত অভিযোগ পাইনি।
আরও পড়ুন: গেস্টরুমে ঢাবি ছাত্রকে জোর করে ধূমপান করানোর অভিযোগ
ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ঢাবি ছাত্র আহত
ইবিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের হাতাহাতি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ভাংচুর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শনিবার সকালে তিন দফায় শিক্ষকদের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শ্রদ্ধাঞ্জলি বেদি ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকলেও সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে মানববন্ধন করে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিট।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
আরও পড়ুন: ইবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ২১ মার্চ
পরে শিক্ষক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন, হলসমূহ, বিভাগসমূহ একে একে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। শ্রদ্ধা নিবেদনের একপর্যায়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের নাম ঘোষণা না করায় তারা বেদিতে উঠতে চেষ্টা করে। এ সময় সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম তাদের বাধা দেন। এতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শহিদুল ইসলামের সঙ্গে সহকারী প্রক্টরের বাগ্ বিতণ্ডা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক ড. কাজী আখতার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারসহ অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান, হাফিজুল ইসলামসহ প্রায় ২৫ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বাগ্বিতণ্ডার পরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদিতে ওঠার চেষ্টা করলে অপর পক্ষ তাদের বাধার সৃষ্টি করলে অন্য গ্রুপের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। এতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, অধ্যাপক দেবাশীষ শর্মা, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক বাকি বিল্লাহ বিকুল, সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষক তাদের ওপরে চড়াও হন।
একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের ফুলের তোড়া ভেঙে ফেলে তারা। এরপর দুই গ্রুপের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক মূল বেদিতে সবার সামনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ২০ মিনিটের এ ঘটনায় তিন দফায় হাতাহাতি করেন শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে ফের বাধা দেয় অপর পক্ষ। পরে তাদের সামনে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকদের বেদি থেকে নামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে তারা। এ সময় প্রক্টর পরিবেশ শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকেরা বেদি থেকে নেমে যায়।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, আহত ২০
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত অংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাহবুবুল আরফিন বলেন, তাদের জুনিয়র শিক্ষকরা আমাদের সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি।
এ ঘটনার পর মানববন্ধনে বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অধিকার সবার আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী হয়ে আমাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে না দিয়ে বিএনপির লোকদের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনাটি আমরা ভিসিকে জানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভিসি ফোন রিসিভ না করায় আমরা বেদিতেই উপস্থিত প্রো ভিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য গিয়েছিলাম। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। ’
এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা মুখেই বলি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী। স্মৃতিসৌধের বেদিতে যে ঘটনা ঘটেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সহকারী প্রক্টরের ভূমিকায় তিনি বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে এ বিষয়ে আমি বলতে পারব। ’
আরও পড়ুন: ইবিতে বিএড ও এমএড ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
বেকারত্ব কমাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, ‘যে দেশ কারিগরি শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষায় বেশি মনোযোগ দিয়েছে, সেই দেশ তত সমৃদ্ধ ও উন্নত হয়েছে। জার্মানির মত উন্নত দেশে শতকরা ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। তাই কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তারা (উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান) কারিকুলাম ঠিক করুক।’
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার ভাটের চর দেওয়ান এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন শুরু করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে কারিকুলাম পরিবর্তন সরকার করলেও, উচ্চশিক্ষা কারিকুলাম পরিবর্তন করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের মাধ্যমে পরিচালিত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রয়োগিক শিক্ষা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের কারিকুলাম নিয়ে ভাবুক। তারা ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ তৈরি করুক। কাজের জগতের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে তাদের কারিকুলাম ঠিক করুক। সেই কাজের জগতে ইন্টার্নি করার ব্যবস্থা করুক। আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্ম-উপযোগী হয়ে বের হোক।’
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে মডিউলার এডুকেশন ব্যবস্থা রাখার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সবার আস্ত একটা বড় ডিগ্রি করার দরকার নেই। শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট করে নতুন নতুন দক্ষতা শিখে নেবে। ছোট ছোট ডিপ্লোমা করবে, কিছু সার্টিফিকেট কোর্স করবে, বড় ডিপ্লোমা করবে যার যেমন সুবিধা। শেখার জন্য সবাই কাজের জায়গা ছেড়ে আসতে পারবে না। সে কারণে অনলাইন-অফ লাইন মিলিয়ে ব্লেন্ডেড এডুকেশনে যুক্ত হবে। আমরা সেই ব্যবস্থায় নিয়ে আসতে চাইছি।’
দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বড় প্রবণতা আছে, সব শিক্ষার্থী চায় অনার্স-মাস্টার্স পড়তে। পৃথিবীর কোথাও এতো অনার্স মাস্টার্স পড়ে না। একটি পর্যায়ের পর অনেক শিক্ষার্থী বৃত্তিমূলক, কারিগরি শিক্ষায় চলে যাবে। জার্মানির মতো উন্নত দেশে শতকরা ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় পড়ে। যে দেশ অনেক বেশি উন্নতি করেছে, সেই দেশের অনেক বেশি কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশ করেছে। আর তা দিয়েই, তারা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়েছে। আমাদের সেই পথে হাঁটতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার তিন-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পড়াশোনা করে। আমরা চাইছি-যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি, বি-কম পড়বে, বা ডিগ্রি কোর্স করবে তারা আইসিটি, ভাষা, উদ্যোক্ত হওয়ার মত কোর্স যেন পড়ে। তাছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট নানা বিষয়ে দেশে বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেবে তেমন বিষয়ে ডিপ্লোমা তারা করতে পারে।
আরও পড়ুন: নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
১৫ মার্চ থেকে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা তৈলাক্ত বাঁশ আরোহণের মতো: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বানরের উঠা নামার গল্পের মতো চলছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে এ দেশের শিক্ষার মান ভালো ছিল। পরবর্তীতে অন্যান্য সরকারের শাসনামলে শিক্ষার মান নিচে নেমে এসেছে। তারপর আবার যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো তখন শিক্ষার মান আবার বাড়তে শুরু হলো।’
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শ নগর এলাকায় শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন ।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, দেশ গড়ার প্রথম হাতিয়ার হলো শিক্ষা। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ।
তিনি বলেন, আগামীর শিক্ষায় নতুন কারিকুলাম আসবে। মুখস্থ বিদ্যা পড়িয়ে কেরানি বানানোর শিক্ষা ব্যবস্থা আর থাকবে না। মুখস্থ শিখে বাংলাদেশে এত বেশি অনার্স, মাস্টার্স হয়েছে যা বিশ্বের অন্য কোথায়ও নেই। এমন শিক্ষা খুব একটা জীবনমুখী শিক্ষা নয়। শিক্ষা কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হবে। আগামী দিনে আসবে বিজ্ঞান ও কর্মমূখী উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা।
মন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় পরীক্ষার চাপ কমিয়ে দেয়া হবে। প্রতিদিনের শিক্ষায় প্রতিদিনই সহজ পদ্ধতির মূল্যায়ন থাকবে। শিক্ষা হবে শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দময়।
আরও পড়ুন: ২২ ফেব্রুয়ারি খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসরাফ আলী খান খসরু এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য রেবেকা মমিন, সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান খান শেফালী, শেখ হাসিনা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকউল্লাহ খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ও কলেজ অধ্যক্ষ জীবন চন্দ্র সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার বরাদ্দ ব্যয় নয়, বিনিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষার জন্য বরাদ্দকে সরকার ব্যয় মনে করে না বরং একে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ মনে করে।
তিনি বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশকে সম্পদে ও সুনামে ভরিয়ে দেবে। আর প্রাথমিক শিক্ষা যেহেতু জাতীর ভিত নির্মাণ করে, তাই মানসম্পন্ন প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সম্ভব সব কিছু করবে।’
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ইন্টারনেট সেবা শিক্ষা সেক্টরে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করবে, এর মাধ্যমে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পাবে। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠ্যবই ও অন্যান্য বই পড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা বিভিন্ন কনটেন্ট ডেভেলপ করে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করতে পারবেন। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ব্লেন্ডেড এডুকেশন, ফরমেটিভ এসেসমেন্ট ইত্যাদি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের জ্ঞান, দক্ষতা, মননশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, সরকার গ্রামীনফোনের সহায়তায় বর্তমানে ৪১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ পর্যায়ে ইন্টারনেট কানেকশন প্রদান করছে। ক্রমান্বয়ে ইন্টারনেট সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ সেবা চালু করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীনফোন লিমিটেডের সিইও ইয়াছির আজমান ও সিবিও মো. নাসার ইউসুফ, অধিদপ্তরের পরিচালক বদিয়ার রহমান প্রমুখ।
পড়ুন: ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
জবিতে ১৬ জন সাময়িক বহিষ্কার, ৪ জনের পরীক্ষা বাতিল
জবিতে ১৬ জন সাময়িক বহিষ্কার, ৪ জনের পরীক্ষা বাতিল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৬ জনকে নানা মেয়াদে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। কারো এক সেমিস্টার, কারো দুই সেমিস্টার, কারো তিন সেমিস্টার মেয়াদে এ বহিস্কার করা হয়। এছাড়া চারজনের সেমিস্টার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ৫৮তম সভায় বহিস্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে।
জানা যায়, গত ৯ মার্চ শৃঙ্খলা বোর্ডের আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালসহ কমিটির ৯ জন সদস্যের উপস্থিতিতে ৫৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে ১৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি পাশ হয়।
আরও পড়ুন: জবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৮ মার্চ
সাময়িক বহিস্কারপ্রাপ্ত ১৬ জনের মধ্যে নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন, সঙ্গীত বিভাগের একজন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের চারজন, ইংরেজি বিভাগে একজন, ইতিহাস বিভাগে একজন (তিন সেমিস্টার বহিস্কার), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন, পরিসংখ্যান চারজন, রসায়ন বিভাগের তিনজন।
এদিকে মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই জনের এক সেমিস্টার শাস্তি মওকুফ করা হলেও তাদের এক সেমিস্টারের সকল তত্ত্বীয় পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের একজন ও পরিসংখ্যান বিভাগের একজনের অসাধু উপায় অবলম্বন করায় সংশ্লিষ্ট কোর্স পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
এছাড়া ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু মুসা আনসারীর বিরুদ্ধে থাকা সাময়িক বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে জানানো হয়, এই শিক্ষার্থীর আদালত থেকে জামিনে থাকায় ও বাদীর সঙ্গে আপোষনামা করায়, বাদীর অভিযোগ না থাকায় এবং তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তার আবেদনটি বিবেচনা করে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বহিস্কারসহ এ সকল আদেশের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান বলেন, বহিস্কার সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের নোটিশ পেয়েছি। এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদেরকে বলা হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নোটিশ পাঠানো হবে। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে সবার নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
২০ রমজান পর্যন্ত সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তোমরা এ দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ। তোমরা সুশিক্ষা অর্জন করে কেউ সচিব, কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ রাজনীতিবিদ, আবার কেউ হবে এদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই লেখাপড়া ভালো করে করতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প কিছু নেই।
শনিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার খনজনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১ মার্চ থেকে
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এলাকার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্টের উন্নয়নসহ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের বছরের শুরুতে নতুন বই ও উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা উপপরিচালক মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীতের রায় বহাল