শিক্ষা
জবিতে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ৮ মার্চ
আগামী ৮ মার্চ (মঙ্গলবার) থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবির লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের নতুন ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) ও বিবিএ ১ম বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ৮মার্চ থেকে শুরু হবে। উপর্যুক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ৮ মার্চ থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগেই ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সম্পন্ন করা হবে।
আরও পড়ুন: জবিতে ক্লাস-পরীক্ষা সশরীরে
প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য গত বছরের ১৫ নভেম্বর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফলাফলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু হয়। অনলাইনে আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ৯টি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সুযোগের দাবিতে নীলক্ষেত অবরোধ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো বসতে দেয়ার দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিক্ষোভ শুরু করে এবং দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের দিকে রওনা দেয়।
দাবি আদায়ে তারা রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
সমাবেশে যোগদানকারী ছাত্রদের একজন তানভীর আহমেদ বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি পরীক্ষার সময় অসুস্থ ছিলাম এবং সেজন্য ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় সুযোগ চাই।
সোহান আহমেদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তারা শুধু শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বলছেন। ‘মেডিকেল কলেজের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় বসতে দিতে পারে, তাহলে ঢাবি কেন আমাদের অনুমতি দেবে না?’
আরও পড়ুন: বাদ দেয়া হচ্ছে না ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিট
ঢাবিতে সব বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ববিতে মশাল মিছিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কেও ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলসা মুনতাজ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। স্বাধীন দেশে আমাদের নিরাপত্তাটা কোথায়। পড়াশুনা করতে গিয়ে যদি এমন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাবো। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি আমরা।
আন্তর্জাতিক রাসায়নিক গবেষণা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় শাবিপ্রবির রিফাত
আন্তর্জাতিকভাবে কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিযোগতাগুলোর অন্যতম 'সামার ইন্টার্ন কম্পিটিশন অব রিসার্চ এ্যাবস্ট্রাক্ট সাবমিশন'। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ার্স (এআইসিএইচই) আয়োজিত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত আব্দুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সময় ৮টায় প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিফাত আব্দুল্লাহ।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
প্রতিযোগিতায় মেন্টর হিসেবে ছিলেন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ।
গেল বছর ১২ ডিসেম্বর 'চিটাগুড় থেকে ইথানল উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ' বিষয়ক রিসার্চ পেপার জমা দিয়েছিলেন রিফাত। এরপর এটি কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হলে রিফাতকে ফাইনালে অংশ নেয়ার জন্য মনোনীত করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
রিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। রিফাতের বাবার নাম মো. রফিক ঘরামী ও মা শিউলি বেগম। তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের ক্রোকিরচর গ্রামে।
দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি
উন্নত জীবন ধারণের জন্য প্রথমেই যে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হয় তা হচ্ছে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া। প্রতিটি মানুষের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য সময় কাটে শিক্ষাজীবনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার বাকি জীবনের সার্বিক অবস্থা ঠিক করে দেয় এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি। বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যে কোন পরিবেশে মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি মুখ্য হয়ে দাড়ায়। ব্যক্তি বিশেষে প্রকৃতিগত দিক থেকে মানুষে মানুষে বৈচিত্র্য থাকার কারণে প্রয়োজন পরে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলার। আজকের ফিচারটিতে এমনি কিছু অভ্যাসের কথা বলা হবে যেগুলো দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য অতীব জরুরি।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু অভ্যাস
নতুন কিছু শিখে নেয়া
নতুন দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি জীবন যাত্রার নিত্য চলাফেরায় এমন অনেক কর্মকাণ্ড থাকে যেগুলোর সাথে এ দেশের সচরাচর জীবন যাত্রার মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রায় ক্ষেত্রে নতুন ব্যাপারগুলোর সাথে মানিয়ে নেয়ার বাধ্য-বাধকতা চলে আসে। যে কোন পরিস্থিতিতে নতুন কিছু শিখে নেয়ার অভ্যাস থাকলে এ অবস্থায় বড় ধাক্কা সামলে ওঠা যায়। স্কুল থেকে কলেজে এবং কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেয়ে নতুন বিষয়গুলো চর্চার ফলে ইতোমধ্যে সবার ভেতরেই এই দক্ষতার বীজটি রয়ে যায়। এরপরেও ব্যক্তি বিশেষে এই দক্ষতার প্রয়োগ দেখা যায় কারো কম কারো বেশি।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
তাছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, পরিবহণ ও আবাসন ব্যবস্থার খুটিনাটি প্রত্যেকের ভেতরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু প্রশ্নের দাবি রাখে। নতুন কিছু দ্রুত রপ্ত করে নিতে পারা শিক্ষার্থীদের ভেতর এই প্রতিক্রিয়াটি স্বত্বঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে।
নিজের কাজ নিজে করা
এই দক্ষতাটি সবার জানা থাকা সত্ত্বেও এ দেশের তথাকথিত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে জনসাধারণের ভেতর থেকে নিজের কাজ নিজে করার প্রবণতাটা আসে না। পাশাপাশি জন্মগতভাবে একটি নির্দিষ্ট অভ্যাসে নিজেকে নিয়োজিত রাখার বিষয়টিও কাজ করে। ফলশ্রুতিতে নিমেষেই বাধা পড়ে যেতে হয় চিরায়ত চক্রে। কিন্তু দেশের বাইরে প্রতিটি কাজের জন্য আত্মনির্ভরশীল হওয়া অনস্বীকার্য। যারা সেই চক্র থেকে বেরতে পারেননি তাদেরকে বেশ বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় এরকম পরিবেশে। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যারা এ দেশেই নিজের কাজটি খুব ভালোবেসে করেন।
পড়ুন: বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও খরচ
বিশেষ করে রান্নার ক্ষেত্রে অনেকে আছেন যারা নিজের বানানো খাবার ছাড়া বাইরের বা অন্যের রান্না একদমি খেতে পারেন না। এদের জন্য দেশের বাইরে টিকে থাকাটা খুবই সহজ। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ যারা নিজে নিজেই করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য পৃথিবীর কোথাও মানিয়ে নিতে বেগ পেতে হবে না।
নিয়মানুবর্তিতা
এ দেশে স্কুল থেকে নিয়মানুবর্তিতার প্রশিক্ষণ থাকলেও ব্যক্তি জীবনে প্রত্যেকে সেই প্রশিক্ষণের রেশ ধরে রাখতে পারেন না। যারা দেশের ভেতরে ক্যারিয়ার গড়েন তাদের জীবনেই নিয়মানুবর্তিতা বজায় না রাখার নেতিবাচক প্রভাব পরে। আর দেশের বাইরের ক্ষেত্রে এর প্রতিক্রিয়া আরো বিপজ্জনক হতে পারে। এই নিয়ম মেনে চলা বলতে শুধুমাত্র কোন একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা দেশের সরকারের প্রণীত বিধান মেনে চলা নয়। এটি মুলত প্রতি দিন প্রতিটি কাজের জন্য তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে প্রাসঙ্গিকভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজগুলো সম্পন্ন করা। আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে কি কি কাজ করা হবে তার কোন হদিস না থাকা বিশৃঙ্খল জীবন যাপনের লক্ষণ। দেশের বাইরে পড়াশোনার ক্ষেত্রে নিয়মানুবর্তিতার অভ্যাস গড়ে তোলা বাঞ্ছনীয়।
পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
সামাজিকতা
গল্প ও আড্ডাপ্রিয় বাংলাদেশিদের এই দক্ষতা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে বাইরের দেশে নেটওয়ার্ক তৈরি ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছু শিষ্টাচার মেনে চলা দরকার। খেয়াল রাখতে হবে যে, নতুন দেশটির কারো সাথে কথা বলার সময় প্রত্যেকেই বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাই কথা দেয়া বা নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে নিজের ভুল স্বীকার করা একটা বড় গুণ। আর উন্নত বিশ্বে ব্যাপক ভাবে এর চর্চা করা হয়। ‘আপনি তো আমাকে এটা আগে বলেননি’ এর জায়গায় ‘দুঃখিত! আপনার নির্দেশিত এই বিষয়টি হয়ত কোনভাবে আমার দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে।’ কথাটি উত্তম।
এছাড়া কথোপকথনের সময় কারো ব্যবহার নিয়ে বিচার করা যাবে না। এ ধরনের বিষয়ের বদলে সেই দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কিত এমন অনেক কিছু আছে যেগুলো নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা করা যায়। অবাঞ্ছিত প্রশ্ন জিজ্ঞাসা না করে এমন ভাবে কোন কিছু জানতে চাওয়া, যেন শুনে মনে হয়- এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে মোটামুটি কিছু জানা আছে। এর জন্য আগেই অজানা বিষয়টি নিয়ে গুগলে গবেষণা করে নেয়া যেতে পারে।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
পরিপাটি থাকা
প্রতিটি কাজ গুছিয়ে করলে ২৪ ঘন্টার ভেতর অনেক কাজ সমাধা করার সুযোগ পাওয়া যায়। বাসার পড়ার টেবিলটা যখন অযত্নে অগোছালো হয়ে পড়ে থাকে, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোন কাগজ খুঁজতে যেয়ে নষ্ট হতে পারে অমূল্য কিছু সময়। তাছাড়া আগে থেকে প্রতিটি জিনিসের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করে না রাখলে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হতে পারে। কেননা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন থেকে শুরু করে বিমানে ওঠা পর্যন্ত অনেক কাগজপত্রের কারবার থাকে। এগুলোর সযত্নে ব্যবস্থাপনার জন্যে প্রয়োজন প্রতিটি জিনিস পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নির্দিষ্ট জায়গায় গুছিয়ে রাখা। তাছাড়া দেশে এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা পাওয়ার অবকাশ থাকলেও দেশের বাইরে বাসা ভাড়া, ইউটিলিটি, ইনস্যুরেন্স, খাওয়া ও পড়াশোনার খরচ সব গুলিয়ে যেতে পারে।
পরিশেষে
সৃষ্টি জগতে যে কোন প্রাণী অপেক্ষা মানুষের অভিযোজন ক্ষমতা বেশি। এতক্ষণ ধরে যে অভ্যাসগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো সেগুলো মানুষের অভিযোজন ক্ষমতারই অংশ। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেকের ক্ষেত্রে এগুলোর ঘাটতি দেখা যায়। তাই দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার আগে এই অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা জরুরি।
পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ‘পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ (২০২১-২২)’-এ মনোনীত হয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফারুক মিয়া।
তার গবেষণার শিরোনাম ‘হিস্টোরিকাল অ্যারকিটেকচার ফর অভজারভিং টিস্যু ফিজিওলজি অব হিলশা স্বাদ, ট্যানুলোসা হিলশা ইন ডাইভারস হেবিট্যাটস অব বাংলাদেশ’। এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: শামসুল হক প্রধান।
সম্প্রতি ইউজিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১০ জন শিক্ষক এ ফেলোশিপে মনোনীত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
ফেলোশিপে মনোনীত অন্যরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সরোয়ার আলী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারাসিটোলজি সহযোগী অধ্যাপক ড. অনিতা রাণি দে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুমন গাঙ্গুলী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল হক, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো খালেদ হোসেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. কাওছার হোসেন এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. বকুল ভট্টাচার্য।
অনুভূতি প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক মিয়া বলেন, এটি গবেষণার একটি সর্বোচ্চ ধাপ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তথা গবেষকদের জন্য এটি একটি স্বপ্ন। তাই আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং আমাকে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো নির্বাচন করার জন্য ইউজিসিকে ধন্যবাদ। এই গবেষণার মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর গবেষণার আরেকটি যাত্রা শুরু হবে এবং গবেষণার ধারাবাহিকতায় একসময় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেষ্টত্ব অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে অনলাইনে ক্লাস শুরু
গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর সব পাবলিক/প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি কলেজের শিক্ষকদের কাছ থেকে ফেলোশিপের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এক মাস পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় এক মাস বন্ধ থাকার পর কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার দেশের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১ মার্চ থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যে সকল শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তারা সরাসারি শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন আর যারা শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের শ্রেণি কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৭ হাজার ২২২ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ এবং ৩৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৮ জন শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে। আশা করছি ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শেষ হবে।
মন্ত্রী বলেন, যাদের টিকা নেয়া শেষ না হবে তারা পূর্ণডোজ না নেয়া পর্যন্ত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তারা তাদের নিজস্ব সময়সূচি ঠিক করে নেবেন।
দীপু মনি জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে করোনা টিকার জন্য যোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ জানুয়ারি সরকার এক ঘোষণায় করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বৃদ্ধির কারণে থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয়। পরে ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য বিধিনিষেধ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
২২ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল ও কলেজের জন্য অনলাইন ক্লাস পুনরায় চালু সহ ১১-দফা নির্দেশনা জারি করে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের জোনাল অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, স্থানীয়দের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য নির্দেশিকা অনুসরণ করে করোনার বিরুদ্ধে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কওমি মাদ্রাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন: শিক্ষামন্ত্রী
৩৬ দিন পর ক্লাসে ফিরলেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
অচলবস্থা কাটিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও করোনাকালীন ছুটি শেষ করে টানা ৩৬ দিন বন্ধ থাকার পর বিভিন্ন বিভাগে ফের সশরীরে ক্লাস শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন বিভাগে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। এতে করে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ফের মুখরিত হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতে সরকারি বিধিনিষেধ উঠে গেলে সশরীর ক্লাস শুরু হবে। যেহেতু নতুন করে সরকার কোনো বিধিনিষেধ করেনি, তাই আজ (মঙ্গলবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের রুটিন অনুযায়ী সব পর্যায়ের ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির প্রক্টরিয়াল টিমে নতুন ৪ সদস্য
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফারজানা সিদ্দিকা বলেন, একমাস পর আবারও শিক্ষার্থীদের সাথে সশীরের ক্লাসে ফেরা হয়েছে। করোনা ছুটির পর শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা নিশ্চিত করেই ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হতে দেয়া হচ্ছে। ক্লাসগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ওইদিন জরুরি সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সবধরনের ক্লাস, পরীক্ষা, আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আরও পড়ুন: শতভাগ শিক্ষার্থী বান্ধব শাবিপ্রবি করার চেষ্টা করবো: উপাচার্য
এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে এতদিন আমরণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। ২৬ জানুয়ারি টানা সাতদিনের অনশন ভাঙলেও উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে ১২ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হয় এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার হামলায় আহত হয়েছেন নগর ছাত্রলীগের এক নেতা। সোমবার ভোররাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আহত এহসানুল হক ইয়াসির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এবং অভিযুক্ত বেনজির হোসেন নিশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। আহত এহসানুল হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে এহসানুলকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বেনজিরের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বাঁশের লাঠি হাতে কয়েকজন সদস্যের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেদির সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় জগন্নাথ হল ও শহীদুল্লাহ হলের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের ব্যানার বহনে ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি নিয়ে একে অপরের দিকে ছুটতে দেখা যায়।
এছাড়াও শহীদ মিনারের বেদির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
জুন-আগস্টে এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষা, সিলেবাস পুনঃসংশোধিত
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয়, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পাঠ্যসূচি পুনঃসংশোধিত করেছে। রবিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
এছাড়া ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা যথাক্রমে জুন ও আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুন থেকে আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন।
আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দু’দিন: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সঙ্গে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তারিখগুলো চূড়ান্ত হওয়ার পর বিষয়গুলো কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
সরকারের একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছরে এই পরীক্ষাগুলো যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস ১ মার্চ থেকে