শিক্ষা
এইচএসসির ফলাফল: কুমিল্লা বোর্ডে পাশের হার ৯৭.৪৯ শতাংশ
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে কুমিল্লায় পাশের হার ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ১৫৩ জন। মোট পাশ করেছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী। এ বোর্ডে ৪০৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৫১ হাজার ৬১৫ জন। আর ছাত্রী ৬২ হাজার ৯৪৪ জন। ৯৭টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাশ করেছে।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ বছরের তুলনায় গেল বছর ৪ হাজার ৭৮৯ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে এই বছরে কুমিল্লা বোর্ডে থেকে একজনও পাশ করেনি এমন প্রতিষ্ঠান একটিও নেই।
এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৯৫.২৬ শতাংশ
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, মাদরাসায় ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং কারিগরি পরীক্ষায় ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৯ হাজার ১১১টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মোট ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৬৮১ জন পরীক্ষার্থী অংশ অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৭১৮ জন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালেরএইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তুলে দেন।
এ বছর মোট ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে, এ সংখ্যা গত বছর ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭২২ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ৮৭২ জন বেং কারিগরি বোর্ডে ৫ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বিলম্বের পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও এর সমমানের পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী
এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
উন্নত ক্যারিয়ার ও উত্তম জীবনযাত্রার উৎকৃষ্ট নির্ণায়ক হলো বিদেশে উচ্চশিক্ষা। আর সেজন্যেই প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান তাদের স্বপ্নের দেশে। বিদেশি ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গনে প্রবেশের প্রথম দিনটির পেছনে থাকে শত প্রচেষ্টা। নূন্যতম এক বছরের একটি সুপরিকল্পিত কার্যকলাপের উত্তরোত্তর সফলতার চূড়ান্ত ফল হিসেবে পেরনো যায় যায় দেশের সীমানা। এই পরিকল্পনার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন সঠিক তথ্য ভান্ডার। এই জায়গাটিতে ঘাটতি থাকলে পুরো পরিকল্পনাটাই বিফলে যেতে পারে। আজকের ফিচাটি তেমনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে, যেগুলো সেই পরিকল্পনায় রশদ যোগাতে পারে।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?
সংকল্প এবং পরিকল্পনা
সবার আগে যে বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে তা হলো- দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনস্থির করা। সম্পূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক দিক হলেও পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের সময় এর প্রভাব পড়ে থাকে। যেহেতু এখানে নিজের যোগ্যতা প্রমাণের পরিক্ষা দিতে হয় তাই মানসিক ও শারীরিক শ্রমের পাশাপাশি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সময় ও অর্থের খরচ করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রথমেই যে কোন সম্ভাব্য কার্যক্রমের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার জন্য মনস্থির করাটা আবশ্যক।
আর এর মনস্থির হওয়া সামনের প্রতিটি কাজের জন্য পরিকল্পনা করতে সাহায্য করবে। অনেকের ক্ষেত্রে এই সংকল্প ও পরিকল্পনার যুগপৎ ক্রমবিকাশ ঘটে ব্যাচেলর ডিগ্রী নেয়ার শুরু থেকেই। জব মার্কেটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত বিষয়টি নির্বাচন সাধারণত এ সময়েই করা হয়ে থাকে। এর ধারাবাহিকতাতেই পরবর্তীতে ব্যাচেলর শেষ করে সেই বিষয়েই উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পড়তে যাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
আন্ডারগ্রাজুয়েশনের এই সময়টাতে উচ্চশিক্ষার পরিকল্পনায় রশদ যোগাতে সহায়ক হতে পারে ক্যারিয়ার ও বিদেশে উচ্চশিক্ষার উপর বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ অথবা কাউন্সিলিং। তবে দিন শেষে মনস্থির করতে হবে নিজেকেই।
ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা
ভাষা দক্ষতার ক্ষেত্রে বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা দক্ষতা যাচাই বিদেশে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা প্রমাণের প্রথম ধাপ। অধিকাংশ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজন হয় ইংরেজি ভাষার। ইউরোপের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অন্য ভাষাতে দক্ষ হওয়ার প্রয়োজন হয়। এগুলোর মধ্যে প্রধান ভাষাগুলো হলো- ম্যান্ডারিন চাইনিজ, জার্মান, ফরাসি, আরবি, জাপানিজ। ইংরেজি ভাষার শংসাপত্রগুলোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একাডেমিক আইইএলটিএস(ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম), টিওইএফএল(টেস্ট অফ ইংলিশ এ্যাজ এ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ) গ্রহণ করে থাকে।
যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইডিপি (ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট সেরা মাধ্যম।
পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
গবেষণা, বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন
পূর্বে পরিকল্পনার খসড়াটাকে পরিপূর্ণ রূপ দান করতে পারে এই বিশ্লেষণধর্মী গবেষণাটি। এটি মূলত কোন পর্যায়ক্রমিক ধাপ নয়; বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই গবেষণা প্রয়োজন। প্রাথমিকভাবে কোর্স, বিশ্ববিদ্যালয় এবং তাদের অবস্থানগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। কোর্সের ভেতরে কি কি অন্তর্ভুক্ত আছে, নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়ে গবেষণার সুযোগ, ক্যাম্পাস জীবন এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনাগুলো যাচাই করতে হবে। এর জন্য ক্যারিয়ার ও উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার, কাউন্সিলিং খুব কাজে লাগে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষকদের কাছ থেকেও পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
বর্তমানে তথ্য-প্রযুক্তি যুগে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সহজেই করা যায় ফেসবুকের মাধ্যমে। এখন বেশ কিছু ফেসবুক গ্রুপ আছে যেগুলোতে প্রায়ই উচ্চশিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার খরচ এবং বৃত্তির ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে জেনে নেয়া বাঞ্ছনীয়।
এসব দিক বিবেচনা করে ২ থেকে ৩টি আদর্শ গন্তব্য বাছাই করা যেতে পারে। অতঃপর প্রতিটির সুবিধা এবং অসুবিধা তুলনা করতে হবে।
পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন
শীর্ষ সিজিপি প্রাপ্তরাও এই কাজটি করে থাকে। এই একাধিক আবেদনের মূলে থাকবে চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষের থিসিস বা প্রোজেক্ট পেপারটি। এই গুরুত্বপূর্ণ নথিটির মাধ্যমে আরো ভালোভাবে অল্প কথায় পরিবেশন করতে হবে থিসিসের সম্ভাবনাময় দিকগুলো।
এই আবেদনের মুহূর্তে সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হবে ভর্তির প্রয়োজনীয় নির্দেশনাগুলো ঠিক ভাবে পড়া হচ্ছে কিনা। আবেদন সফল হওয়া এই নির্দেশনাগুলো সঠিকভাবে অনুসরণের উপর নির্ভরশীল।
এর জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটির আদ্যোপান্ত ভালভাবে দেখা উচিত। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আবেদনের জন্য সংগত কাগজপত্রের শুধুমাত্র ডিজিটাল কপি চায়; কিছু আছে ডিজিটাল স্ক্যান ছাড়াও পোস্টের মাধ্যমে ফিজিক্যাল কপি পাঠানোর নির্দেশনা দেয়। এই কাগজপত্রগুলোর ব্যবস্থা করা বিশেষ করে প্রতিটি সার্টিফিকেটে তথ্যের সামঞ্জস্যতা বিধান করতে হবে।
পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
ফান্ডিং-এর ব্যবস্থা
ইতোমধ্যে যে দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়টি পড়াশোনার জন্য ঠিক করার হয়েছে; এবার তার জন্য আনুষঙ্গিক খরচ যোগাড়ের পালা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর প্রভৃতি দেশগুলোতে টিউশন ফি’র পরিমাণ অনেক বেশি।
পড়াশোনা করার সময় কাজ করা যেতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র খণ্ডকালীন চাকরি করে পড়াশোনার খরচ বহন সম্ভবই নয়। তাছাড়া এটি পড়াশোনায় চাপের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের জন্য প্রতি সপ্তাহে সীমিত সংখ্যক ঘন্টা বরাদ্দ থাকে।
নরওয়ে, জার্মানি, চীনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের জাতীয়তা নির্বিশেষে সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডিগ্রি প্রদান করে। কিন্তু এর বাইরেও আছে জীবনযাত্রার বিশাল খরচ। তাই বৃত্তির জন্য আবেদন করা ফান্ডিং-এর সেরা উপায়।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
এছাড়া দেশের বাইরে যাবার পূর্বে সে দেশে থাকার যাবতীয় ব্যায়ভার বহনের জন্য ব্যাংক-ব্যালেন্স দেখানোর ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে।
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ
যে দেশে পড়াশোনার জন্য চেষ্টা চলছে সে দেশে যাবার জন্য এবার অনুমতি নেয়ার পালা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সংক্ষিপ্ত ভাষা কোর্সে কখনও কখনও ট্যুরিস্ট ভিসায় অধ্যয়নের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তিন মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় সমস্ত কোর্সের জন্য স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে হবে। সাধারণত স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করার আগে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির জন্য অফার লেটার পেতে হবে। প্রয়োজনীয় ভর্তি ফি প্রদানের পর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করবে।
ভিসা প্রক্রিয়া দেশ থেকে দেশে ভিন্ন হয়। তাই ভিসা আবেদনের মূহূর্তে প্রাসঙ্গিক নিয়মগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করতে হবে।
পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করার নিয়ম: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
আবাসনের ব্যবস্থা করা
কিছু কিছু বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রোগ্রামে ভর্তি বাবদ শিক্ষার্থীদের আবাসন সরবরাহ করে বা ভালো পরিমাণের বৃত্তি পাওয়া গেলে তাতে আবাসনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়। এর বাইরে বিভিন্ন ধরণের আবাসনের ব্যবস্থার সময় শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। তাই থাকার জায়গাটি নিজের দেশ থেকে ঠিক করে যাওয়াটাই উত্তম।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সময় স্টুডেন্ট ডরমিটরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি থাকার জন্য বেশ ভালো উপায়। সাধারণত সব ডর্মগুলোই আলাদা থাকে কিন্তু কখনো রান্নাঘর বা বাথরুম শেয়ার করতে হতে পারে।
স্থানীয়দের সাথে শেয়ার করে থাকাটা সাশ্রয়ের মধ্যে আরেকটি ভালো উপায়। এটি হতে পারে কোন একজন বা পুরো পরিবারের সাথে বসবাস করা; বাংলাদেশে যেটাকে সাবলেট বলা হয়।
পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
এগুলোর বিকল্প হিসেবে আছে অ্যাপার্টমেন্ট। এই মাধ্যমটিতে আলাদা ভাবে নিজের মত করে থাকা গেলেও একটু বেশি খরচ গুনতে হবে। অনেকে একসাথে কয়েকজন মিলে একটা অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে থাকে।
ভ্রমণ প্রস্তুতি
সবকিছুর প্রস্তুতি শেষ; এবার সময় হলো প্লেনে উঠার। যতটা সম্ভব আগে ভাগে প্লেনের টিকেট করে রাখাটা ভালো। এতে টিকেট খরচ বাঁচানো যায়। টিকিটের জন্য বাতিল বা পরিবর্তন নীতিগুলো যাচাই করে নিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কবে শুরু হবে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তার আগে যথেষ্ট সময় রেখেই সেই দেশে পৌছাতে হবে। কেননা পারিপার্শ্বিকের সাথে মানিয়ে নেয়ার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন।
লাগেজ গুছানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনের নির্দেশনাগুলোর দিকে যথাযথ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রত্যেকটি এয়ারলাইনেরই নির্দিষ্ট সীমারেখা থাকে। অতিরিক্ত স্যুটকেস বা লাগেজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হয়।
পড়ুন: ট্রেড লাইসেন্স করার পদ্ধতি: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, খরচ ও সময়
তবে গোছ-গাছের সময় যে জিনিসগুলো মনে রাখা অত্যন্ত জরুরি সেগুলো হলো স্টুডেন্ট আইডি, পাসপোর্ট এবং কিছু প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র। এর সাথে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের।
এই পদক্ষেপগুলোর সঠিক অনুসরণ বিদেশে উচ্চাশিক্ষার জন্য যাবতীয় পরিশ্রমকে সার্থক করে তুলতে পারে। এখানে বলা বাহুল্য যে, জীবনের প্রতিটি অর্জনের অন্তরালে নিজেকে প্রমাণের প্রানান্তকর প্রচেষ্টা অনস্বীকার্য। বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। শিক্ষাজীবনের প্রতিটি ফাইনাল পরিক্ষার মতই দেশের বাইরের বিদ্যাপীঠগুলোতে পড়াশোনার জন্য নিজের যোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষায় উতড়ে যেতে হয়। স্বভাবতই পরিক্ষার আগের দিনগুলোর প্রস্তুতির মত এখানেও উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া সম্পূর্ণ নির্ভর করে এই পূর্ব প্রস্তুতির উপর।
পড়ুন: স্মার্ট আইডি কার্ড: জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন
এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ
২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হবে।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের ইউএনবিকে বলেন, ‘রবিবার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বিলম্বের পর, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও এর সমমানের পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এরপর সরকার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
পড়ুন: এইচএসসির ফল প্রকাশ রবিবার
গত ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
অবশেষে, করোনা পরিস্থিতি উন্নতির পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়।
গত বছর পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।
পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৩ ফেব্রুয়ারি
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার: ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর আহ্বান
উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করেছেন। সঙ্গে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা এ ঘোষণা দেন।
আন্দোলনের মুখপাত্র মোহাইমিনুল ইসলাম রাজ বলেন, ‘আপনারা সবাই অবগত আছেন গতকাল (শুক্রবার) শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণে শাবিপ্রবিতে এসেছিলেন। মন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের সকল দাবি আন্তরিকতার সঙ্গে শুনেছেন এবং আমাদের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। এজন্য আমরা মন্ত্রীদ্বয়’কে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: অবশেষে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাবিপ্রবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা শুক্রবার তাদের ছয় দফা দাবি এবং সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বাত্মক উন্নয়নের কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে রবিবার থেকে আগের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি পদক্ষেপের জন্য উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি সেদিনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় আহত ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীসহ সকলের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা প্রকাশ করছি।
শুক্রবার শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে ভিসি পদে কাউকে নিয়োগ ও অপসারণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। তাদের দাবি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ‘দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও, আন্দোলনের সময় বন্ধ থাকা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট এবং নম্বরগুলো কয়েক দিনের মধ্যে পুনরায় সক্রিয় করা হবে বলে জানান তিনি।
দীপু মনি পুলিশের গুলিতে আহত সজল কুণ্ডের যথাযথ চিকিৎসা এবং তার জন্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগেরও আশ্বাস দিয়েছেন বলে ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা জানান।
এইচএসসির ফল প্রকাশ রবিবার
২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত হবে।
শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আনুষ্ঠানিকভাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের ইউএনবিকে বলেন, ‘রবিবার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি ভোকেশনাল, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এবং ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
করোনা মহামারির কারণে সাত মাস বিলম্বের পর, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও এর সমমানের পরীক্ষা ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এরপর সরকার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৩ ফেব্রুয়ারি
গত ১৪ নভেম্বর শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২৩ নভেম্বর এবং এইচএসসি পরীক্ষা ৩০ ডিসেম্বর শেষ হয়।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
অবশেষে, করোনা পরিস্থিতি উন্নতির পরে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সরকার স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়।
গত বছর পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন করা হয়েছিল। যদিও এই সিদ্ধান্তের ফলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বুধবার সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ ডিএমপির
আগামী বছরের মাঝামাঝি হতে পারে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
অবশেষে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাবিপ্রবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গত ১৬ জানুয়ারি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন।বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্য বলেন, আমাদের প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ যারা আহত হয়েছেন, তাদের সবার প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছি।বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। উক্ত ঘটনার ধারাবাহিকতায় সৃষ্ট অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের একদিন পর উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষা উপমন্ত্রী, সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম কর্মীদের ধন্যবাদ জানান, যারা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন।
ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশ ও স্বাভাবিক কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে সবাইকে ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানান ভিসি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ‘দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে সাক্ষাতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ‘দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে নিজ দায়িত্ব পালন করে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।শুক্রবার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন।সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য এবং অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনায় বসেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।ইশফাকুল হোসেন বলেন, মন্ত্রী আলোচনায় শিক্ষকদের প্রতি ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি উপাচার্যকে তার দায়িত্ব পালন করে যেতে বলেছেন।এ সময় কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রী বলেছেন, উপাচার্যের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যেসব অভিযোগ তুলেছে, তার তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতিই সব সিদ্ধান্ত দেবেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। দিবসটি যেন যথাথতভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।এর আগে বিকেলে সিলেট সার্কিট হাউজে বিশ্ববিদ্যালয়টির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসিকে অপসারণের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির ওপর নির্ভর করে: দীপু মনি
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। তবে ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আচার্য (রাষ্ট্রপতি)। এ বিষয়টি আচার্যের কাছে তুলে ধরা হবে। অন্যান্য দাবি পূরণ করা হবে পর্যায়ক্রমে।
তিনি বলেন, ‘তাদের (শিক্ষার্থী) যা যা বক্তব্য আছে, পুরো ঘটনা সম্পর্কে তাদের কী বলার আছে, তা সব বর্ণনা করেছে। তাদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের কথা বুঝতে চেষ্টা করেছি।এরপর মন্ত্রী উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষক ও উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে কিছুই বলেননি দীপু মনি। প্রায় ১৫ মিনিটের আলোচনা শেষে উপাচার্যের বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।এরপর মন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক বলে জানান। সেইসঙ্গে দাবি পূরণে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাসও দেন।বিকেলে সার্কিট হাউসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীরা মোট আটটি দাবি তুলে ধরেন।দাবিগুলো হলো- উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ, ক্লাস-পরীক্ষা চালু, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার, আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর বন্ধ থাকা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট চালু করা, পুলিশের গুলিতে আহত শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডকে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা দেয়া ও তার জন্য নবম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করা, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হককে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বাড়ানো, পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোডিং সিস্টেম কার্যকর করা, শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি এবং ডেমো ক্লাসের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির নতুন প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল
শাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু ১৩ জানুয়ারি। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ’ ছাত্রী।
১৬ জানুয়ারি থেকে উপাচার্য ফরিদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেন।
২৬ জানুয়ারি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের আশ্বাসে তারা এক সপ্তাহের অনশন ভাঙেন। সে সময় সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার জন্য জাফর ইকবালের কাছে তারা পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন।দাবিগুলো ছিল—উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগসহ ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমেদ ও প্রক্টরিয়াল বডির অপসারণ, ক্যাম্পাসের সব আবাসিক হল সচল রাখার বিষয়ে উদ্যোগ, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া, পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীর জামিন ও অজ্ঞাতনামা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং অনশনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের নির্দেশে পুলিশের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ভার বহন।এর মধ্যে সেদিনই জামিন পান গ্রেপ্তার সাবেক শিক্ষার্থীরা, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খরচও দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এরপর গত রবিবার ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সবশেষ প্রক্টর আলমগীর কবিরকে বৃহস্পতিবার রাতে অব্যাহতি দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি সংকট: সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী
শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।’
শুক্রবার সকালে সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সংকট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শাবিপ্রবির সমস্যা সমাধানে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্বও রয়েছে। সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি সংকট: সিলেটে পৌঁছেছেন শিক্ষামন্ত্রী
শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাবিপ্রবির চলমান সংকট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
শাবিপ্রবির মতো সমস্যা প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই হয় উল্লেখ করে জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এ সময় মতবিনিময় সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রী শাবিপ্রবি যাচ্ছেন শুক্রবার
শাবিপ্রবির সমস্যার শিগগিরই সমাধান হবে: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ২২ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘পূর্বের সূচি অনুযায়ী ওই দিন থেকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া আগের সূচি অনুযায়ীই সশরীরে (পূর্ব ঘোষিত) পরীক্ষা নেয়া হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে। একইভাবে পূর্ব ঘোষিত পরীক্ষাও সূচি অনুযায়ী নেয়া হবে।’
অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
এর আগে দেশব্যাপী করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবির 'ডি' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তে শিক্ষকদের ক্ষোভ: আদালতে যাওয়ার হুমকি
ঢাবিতে কমছে ভর্তির আসন সংখ্যা, থাকছে না ‘ঘ’ ইউনিটও