শিক্ষা
সরকারকে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান শিক্ষক সমিতির
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শিক্ষকদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষক সমিতি।সভায় চলমান সংকট নিরসনে চার দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। দাবির মধ্যে রয়েছে-শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে সরকার কর্তৃক নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি, উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়টি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। এক্ষেত্রে অতি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কোন ধরনের সহিংসতায় সম্পৃক্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হলো।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’: ঢাবিতে বিক্ষোভ
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী এই সমাবেশে যোগ দেন।
তথ্য ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আকিফ আহমেদ বলেন, ‘সাস্টের সাম্প্রতিক ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভাবলে ভুল হবে। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একই অবস্থা।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
তিনি আরও বলেন, ‘একজন ভিসি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসাবে বিবেচিত এবং বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ আক্রমণ থেকে তার ছাত্রদের রক্ষা করা তার কর্তব্য। তিনি যদি তার ছাত্রদের আইনসঙ্গত দাবি পূরণ করতে না পারেন, তবে তিনি এই পদে থাকতে পারবেন না।’
নৃত্য বিভাগের ছাত্রী লাবনী বন্যা বলেন, ‘আমরা অতীতেও দেখেছি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ছাত্রাবাসের সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি।”
তিনি আরও বলেন,‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলররা যেমন ফরিদ উদ্দিনকে সমর্থন করছেন, তেমনি আমাদের শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে ছাত্রদলের সমাবেশ
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
শাবিপ্রবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে নতুন কর্মসূচি নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা উপাচার্যের বাসবভন ঘেরাও করে রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় উপাচার্যের বাসভবন, গেস্টহাউজ, শিক্ষক ডরমিটরি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এতে ডরমিটরিতে থাকা শিক্ষকদের পাশাপাশি গেস্টহাউজে থাকা করোনা ল্যাবে কাজ করা ভলান্টিয়াররাও সমস্যা পড়েছেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ভবনের সামনে মানব-শেকল তৈরি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, পুলিশ ব্যতিত কাউকে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর আলোচনা, অচলাবস্থা কাটেনি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হওয়া পরীক্ষার দাবিতে সড়কে শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ হওয়া পরীক্ষার দাবিতে রাজশাহীতে সড়কে মানববন্ধন ও প্রতীকী পরীক্ষায় অংশ নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে খাতা কলম নিয়ে বসে প্রতীকী পরীক্ষা ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাত্র দুই থেকে তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে। এই পরীক্ষাগুলো আটকে যাওয়ার কারণে তাদের জীবনের চাকা আটকে গেছে। সেই পরীক্ষাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
এসময় পরীক্ষার্থীরা আরও জানায়- দেশে সব কিছুই যদি চলতে পারে। তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে ভবিষৎ নিয়ে সংকিত আমরা। পরীক্ষার্থী আব্দুর রহিম জানান, আমাদের কারও কারও দুটি, আবার কারও তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো দিতে চায়। এই পরীক্ষাগুলোর কারণে আমাদের ভবিষৎ চাকরি-বিয়ে সাদী আটকে আছে। একটি মাত্র সার্টিফিকেটের কারণে আমরা বছরের পর বছর আটকে আছি।
আরও পড়ুন:শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বসতে চান শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বসতে চান শাবিপ্রবির আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কথা বলতে চান সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রীর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। এক্ষেত্রে অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে আমরা বসতে চাই। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী সরাসরি সিলেট না আসলেও মন্ত্রীর প্রতিনিধি আসলে তাদের সঙ্গে বসতে রাজী আছি।
এ সময় তাদের পক্ষ থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে অনড় থাকার সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
টানা দশ দিনের আন্দোলনে শনিবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকায় মোমবাতি প্রজ্জলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন শিক্ষার্থীরা: শিক্ষামন্ত্রী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে এসে আলোচনায় বসুক। তারা চাইলে অনশনরত অবস্থাতেও আলোচনায় বসতে পারেন। আলোচনাই একমাত্র সমস্যা সমাধানের উপায়।’
শাবিপ্রবির চলমান সংকট নিরসনে শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে শাবিপ্রবির শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় দ্বার খোলা রয়েছে। তারা যখন চাইবেন তখন ই আলোচনা হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিক কাজের কারণে যেতে পারছি না। তবে প্রয়োজন হলে আমাদের প্রতিনিধি দল সেখানে যেতে পারেন।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনশনরত শিক্ষার্থীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখনই বসতে চায় তখনই যাবে প্রতিনিধি দল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছেন সেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। তখন বলেছি আলোচনার মাধ্যমে সব সমাধান করা যায়। তারা বললো আমরা আজকেই আসতে চাই। আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে জানাচ্ছি কারা কারা আসছি। কিন্তু তারা জানিয়েছে অনশনরত বন্ধুদের রেখে তারা আসতে চায় না।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শাবিতে পুলিশি আচরণ (অ্যাকশন) দুঃখজনক। কিন্তু শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করা হয়েছে। দুটোই অনভিপ্রেত।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ ও শাবিপ্রবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী সাহার নেতৃত্বে পাঁচ শিক্ষক এসময় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের দশম দিনেও অনশন চালিয়ে যাচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
শাবিপ্রবিতে কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৌন মিছিল
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে মৌন মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
শনিবার আন্দোলনের দশম দিনে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় এই মৌন মিছিল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মৌন মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে শুরু হয়ে চেতনা ৭১ প্রদক্ষিণ করে গোলচত্বরে এসে শেষ হয়। মৌন মিছিলে প্রতীকী লাশ হিসেবে এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
শাবিপ্রবি: অনশনের চতুর্থ দিনে ১৬ শিক্ষার্থী হাসপাতালে, বাকিরাও অসুস্থ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে করা অনশনের চতুর্থ দিনে ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের শরীরে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।
শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় ৬৯ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত উপাচার্য পদত্যাগ না করায়, শিক্ষার্থীরা অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এই তারা অনশন ভাঙবেন না।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানা যায়, ২৪ জন অনশনে বসলেও বাবার অসুস্থতাজনিত কারণে একজন বাসায় চলে গেছেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত বাকি ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া হাসপাতাল ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রায় সবার শরীরে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।এদিকে, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
জাবিতে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ
সারাদেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতির জেরে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কর্তৃপক্ষ। তবে এসময় অনলাইন ক্লাস চলবে এবং আবাসিক হলসমূহ খোলা রাখা হবে।
শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এসময় সবধরনের শিক্ষাগত কার্যক্রম যেমন- ক্লাস, টিউটোরিয়াল, অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশন অনলাইনের মাধ্যমে চলবে। তবে ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
যাদের রুটিন হয়েছে, তাদের জন্য পরীক্ষার নতুন তারিখ পরে জানানো হবে।
এই সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনলাইন নীতিমালার মাধ্যমে ফাইনাল পরীক্ষা নেয়া হবে বলেও এসময় জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর
ঢাকায় নয়, আলোচনা হবে সিলেটে: শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে তাদের ঢাকায় আসার প্রস্তাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে শাহরিয়ার নামে এক ছাত্র বলেন, ‘ঢাকায় নয়, সিলেটেই হবে সে আলোচনা। সে জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেট আসতে হবে অথবা আলোচনা ভিডিও কলে হবে।’
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে তারা চলমান আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের মধ্যস্থতায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে সমাবেশ
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন। শিক্ষার্থীরা চাইলে তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি আছেন।
শিক্ষামন্ত্রীর এমন প্রস্তাবের পর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে আলাপ করতে ঢাকায় যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের অনশন ভাঙবেন কি না, জানতে চাইলে তারা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এক মুখপাত্র তখন বলেছেন, ‘আমাদের যারা অনশনে আছেন তাদের একটাই কথা ভিসির পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন ভাঙবেন না।’
এ দিকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত ২৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর