শিক্ষা
উপাচার্যের অপসারণ চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের খোলা চিঠি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আব্দুল হামিদ বরাবর খোলা চিঠি লিখেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এ খোলা চিঠি পাঠ করেন এক শিক্ষার্থী।
চিঠিতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য সাংবিধানিক বিধি মোতাবেক প্রতিনিধিস্বরূপ উপাচার্য নিয়োগ করে থাকেন। দেশের কল্যাণে নিজেদের প্রস্তুত করার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নে নিবেদিত আছেন।
এতে আরও বলা হয়, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের সামনে নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর বিনা উস্কানিতে ও সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে পুলিশের নিষ্ঠুর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
'জনগণের টাকায় ক্রয়কৃত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশের নির্বিচার লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডের শিকার হন নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী যার মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ এর অধিক। এর মধ্যে কারও মাথা ফেটেছে, কারও রাবার বুলেট বা সাউন্ড গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষত হয়েছে। ছাত্রীদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে পুরুষ পুলিশ সদস্যরা লাঠিচার্জ করেছে,' চিঠিতে বলা হয়।
খোলা চিঠিতে বলা হয়, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ ডেকে এনে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নৃশংস হামলার ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। দাবি না মেনে পুলিশি হামলায় শিক্ষার্থীদের মৃত্যু ঝুঁকিতে ফেলায় শাবিপ্রবি উপাচার্য যেভাবে মূল কুশীলবের ভূমিকা পালন করেছেন, তা সরাসরি সংবিধান বিরোধী এবং আপনার কর্তৃক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের ওপর অর্পিত দায়িত্বের বরখেলাপ।'
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার দুপুর ১টায় ক্যাম্পাসের গোল চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সভায় তারা এ ঘোষণা দেয়। এ সময় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ ও হল ত্যাগের নির্দেশনাও প্রত্যাখ্যান করে।
‘পুলিশি হামলা’র ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ভেতর থেকে বন্ধ করে অবস্থান করছে তারা। উপাচার্য ভবনসহ প্রশাসনিক ভবন-১, প্রশাসনিক ভবন-২ ও একাডেমিক বিল্ডিং-ডি’তে তালা দিয়েছে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।
সকাল থেকেই ‘যে ভিসি গ্রেনেড ছুঁড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘যে ভিসি ছাত্র মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যে ভিসি গুলি ছুঁড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’ স্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’: ঢাবিতে বিক্ষোভ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্মম হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সাজোয়া যানসহ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।
রবিবার শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে সোমবার বেলা ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, রবিবার রাতে জরুরী সিন্ডিকেট সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদারকে সভাপতি ও রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেনকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি গঠন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, এপ্লায়েড সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, এগ্রিকালচার অ্যান্ড মিনারেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোমেল আহমদ, লাইফ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল ইসলাম ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক দিলারা রহমান।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
পুলিশি হামলার ঘটনায় উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন তারা। এর আগে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
সকাল থেকেই ‘যেই ভিসি গ্রেনেড ছুঁড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘যেই ভিসি ছাত্র মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি গুলি ছুঁড়ে, সেই ভিসির পদত্যাগ চাই’, ‘শিক্ষার্থীর ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাস্টিয়ান সাস্টিয়ান এক হও এক হও’ স্লোগানে ক্যাম্পাস উত্তাল করে তোলেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের নির্মম হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে জবাবদিহি করতে হবে। তার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া সব হলের শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমান প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা স্বাস্থ্যগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন বলেও জানা গেছে।
এর আগে রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
বৃহস্পতিবার থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগসহ তিন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা চালায়।
তিন দাবি আদায় এবং চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় চান। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
এক পর্যায়ে বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করেন।
শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, আহত ৩০
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে উপাচার্যকে মুক্ত করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ।
জানা যায়, রবিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যকে মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম,শিক্ষক সমিতির নেতারা, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করলেও তারা রাজি হননি।
এ সময় কোষাধ্যক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, ভেতরে অবরুদ্ধ থাকায় উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ উপাচার্যকে মুক্ত করতে গেলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীর বাগ বিতণ্ডা বাঁধে এবং এক পর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করলে পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় ২৫ মিনিট উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল, রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে তালা ভেঙ্গে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের (উত্তর বিভাগ) উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, উপাচার্যকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে পুলিশের ১০ সদস্য রয়েছেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ কমিটির পদত্যাগসহ তিন দাবি আদায় এবং চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।
পরে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাত দিনের সময় চান। কিন্তু তিন দফা দাবি না মানায় শিক্ষার্থীরা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
এর আগে বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান করে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ এবং হল প্রাধ্যক্ষ দলের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে রাত আড়াইটার দিকে উপাচার্যের আশ্বাসে হলে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
এরপর শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এ সময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় পাল্টা অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করলে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করেই টিকা নিতে পারবে: শিক্ষামন্ত্রী
সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র ব্যবহার করে করোনার টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে টিকা নিতে পারবে। টিকা কেন্দ্র থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদানের চলমান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
রবিবার সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নবীন কর্মকর্তাদের দুই মাস মেয়াদী প্রথম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের এখনই টিকা দেয়া হবে না। তবে তাদের শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ জন্য কঠোর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অনুষ্ঠানে বিপিএটিসির রেক্টর রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কোর্সের উপদেষ্টা মহসীন আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স নবীন কর্মকর্তাদের জন্য আবশ্যিক, গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক একটি প্রশিক্ষণ। এবার বিভিন্ন জেলায় কর্মরত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ২৯ জন নবীন কর্মকর্তা এ কোর্সে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শাবিপ্রবির উপাচার্য অবরুদ্ধ
তিন দফা দাবি আদায়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করেছে।
রবিবার বিকেল তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি শিক্ষা ভবনে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী ছাত্রী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিসহ তিন দফা দাবি আদায় এবং ছাত্রীদের চলমান আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগে রবিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে রাখে।
পরে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে গোল চত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মহিবুল আলম।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন হলের গুণগত মান উন্নত এবং অব্যবস্থাপনার সঠিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে সাত দিনের সময় চান। কিন্তু শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বর্ধিত সময় দিতে রাজি হননি।
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
হামলার সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরে যায় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পরেও শিক্ষার্থীরা ফের সংঘঠিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন। আমরা চাইবোনা কোনো শিক্ষার্থী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক। তাদের সকল ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি বলে মন্তব্য করেছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বার্তা সংস্থা ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। কোনো শিক্ষার্থীর অধিকার খর্ব না হয় সে বিষয়ে আমাদের নজর আছে। আমি শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানাই যে তারা তাদের সমস্যার কথা আমার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। আমরা সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো সিদ্ধান্তই শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বাইরে যাবেনা। এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থী বান্ধব হবে।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
নারী শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আবাসিক হল নিয়ে যে সমস্যাটা তৈরি হয়েছে এর আগে আমাকে জানানো হয়নি। শুক্রবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান রাখবো তোমরা আবেগ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিবেনা। উপাচার্যের জায়গা থেকে তোমাদের সকল সুযোগ-সুবিধায় আমি পাশে আছি। ইতোমধ্যে আবাসিক হলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খানকে ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়া প্রভোস্ট অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্যই কাজ করবেন। আমরা সকলেই তোমাদের পাশে আছি।
করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যে নতুন করে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে ১১টি বিধি-নিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সকলকেই এই বিধি-নিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্তও হয়েছে। সবাইকে বলবো সবসময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিয়ম-নীতিগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে শাবিপ্রবিতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী