শিক্ষা
এবার ঢাবির গণযোগাযোগের ১২ শিক্ষার্থী পেলেন ‘সিতারা পারভীন’ পুরস্কার
এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২জন শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় তাদের এই পুরস্কার দেয়া হয়।
রবিবার ঢাবির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ ) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- মিলি আক্তার, রিতু কর্মকার, জান্নাতুল ইসলাম রিয়া, তহুরা তাবাসসুম তরি, সুমাইয়া জাহিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সাইদুল ইসলাম, তানহা তাসনিম ইতি, ফারহানা আক্তার, মোছা. নুসরাত জেবিন বিভা এবং সুমাইয়া আরেফিন অর্নি ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান রবিবার অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
এসময় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম বক্তব্য দেন। অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। তাঁর আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অর্ন্তভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। কোভিড-১৯ থেকে সুরক্ষা পেতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদের কন্যা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক ড. সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে শাটল বাস পুনরায় চালু
ঢাবিতে বিবাহিত ছাত্রীদের হলের সিট বাতিলের বিধান বাতিলে লিগ্যাল নোটিশ
একমাস পর কুয়েটে ক্লাস শুরু
প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্লাস শুরু হয়েছে। রবিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ক্লাস শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজ নিজ বিভাগে উপস্থিত হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সাতটি হল খুলে দেয়া হয়।
এদিকে, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলা বিধি মেনে চলতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কুয়েট প্রশাসন।
কুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রবিবার সকালে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ভালো।
আরও পড়ুন: শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট সেলিম হোসেন ক্যাম্পাসের কাছের ভাড়া বাসায় মারা যান। শিক্ষক সেলিমের মৃত্যুর পর অভিযোগ ওঠে মৃত্যুর দিন দুপুরে বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তার কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তার ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়।
তিনি বলেন, কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ কয়েকজন ছাত্র তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ডাইনিং ম্যানেজার করার জন্য হল প্রভোস্ট সেলিম হোসেনকে নিয়মিত চাপ দিয়ে আসছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে।
ওই শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই ছুটি দুই দফা বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি হল ও ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। বুধবার (৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েট ছাত্রলীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান রাজ্জাক ও রিয়াজ খান নিলয়কে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটি। এছাড়া আরও ৪০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন শাস্তি দেয়া হয়।
কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন সুপারিশের জন্য স্বাধীন বিশেষজ্ঞ ও সরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০২০ সালের এপ্রিলে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি গঠন করে সরকার।
শনিবার রাজধানীর ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মার্চ-এপ্রিলে করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছিলাম। কিন্তু শনাক্তের সংখ্যা জানুয়ারির শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। তাই আগের পরিকল্পনার সঙ্গে কিছু সমন্বয় করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, সরকার করোনার টিকাদানের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে যাতে শিক্ষার্থীরা টিকা নিয়ে ক্লাসে যোগ দিতে পারে।
প্রথম হয়েও মিলছে না স্বর্ণপদক!
অনুষদে প্রথম হয়েও প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী। সময়মতো সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ফল প্রকাশে ব্যর্থ হওয়ায় এমনটি ঘটেছে।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ’মেধার মূল্যায়নে আমরা অনুষদে প্রথম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক আমাদের প্রাপ্য। কিন্তু সেশনজট ও ফলাফল প্রকাশে বিভাগের ব্যর্থতায় আমরা এ পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যা কাম্য নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনুষদে সর্বোচ রেজাল্টধারীদের প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দেয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ফলাফলের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি। সেই বিজ্ঞপ্তির আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা আবেদন করে। ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা ২০১৮ সালে। কিন্তু বিভাগগুলো সেই ফলাফল প্রকাশ করে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে। এদিকে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে। একই বছরে দুই শিক্ষাবর্ষের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় পদকের তালিকা থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে বাদ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
৪ জানুয়ারী ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে পদকের জন্য ইউজিসি বরাবর চূড়ান্ত চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি শাখা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এবছরে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে আইন অনুষদ থেকে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন আইন বিভাগের রুবাইয়া ইয়াসমিন। ২০১৯ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত ফলাফলে তার সিজিপিএ ৩.৫৯। অপরদিকে একই অনুষদের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল ইসলামের ফলাফল প্রকাশিত হয় একই বছরের শুরুর দিকে। তার মোট সিজিপিত্র ৩.৫৯। ফলাফল একই হলেও ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আশরাফুল।
একইভাবে ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ইলিয়াস আলমগীরের প্রাপ্ত সিজিপিত্র ৩.৬২। কিন্তু তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০২০ সালে। যা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালে। বিভাগের ভুলে তিনিও পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একইভাবে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের একজন, জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একজনসহ ধর্মতত্ত্ব অনুষদের একজন শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। এভাবে মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী পদক থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ’শিক্ষা জীবনের সবথেকে বড় অর্জন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক। সেশনজটের কবলে পড়ে আমরা মেধাবী হয়েও এই পদক থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। বিষয়টি আমি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভাগকে অভিহিত করেছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আমাদের মেধার মূল্যায়ন করা হোক।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি শাখার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দীন বলেন, ’ইউজিসির নীতিমালা অনুযায়ী আমরা প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের তালিকা পাঠিয়েছি। নীতিমালা অনুযায়ী, একই বর্ষে একাধিক ফলাফল প্রকাশিত হলে সর্বোচ্চ রেজাল্টধারীকে মনোনীত করা হয়। সেই হিসেবে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থীর নাম বাদ গেছে।’
এ বিষয়ে আল ফিক্হ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি আনোয়ারুল ওহাব বলেন, ’করোনাকালীন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণের কারনে ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে তাতে কোনোরকম ভুল নেই। বিভাগুলোকে যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের জন্য আমরা বলেছি। যাতে সেশনজট না হয়।’
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে ইবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ
জাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা
দেশের করোনা পরিস্থিতি অবনতি ও বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সশরীরে তাত্ত্বিক ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এ সময়ে অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং একাধিক কক্ষে সশরীরে ব্যবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ সময়ে আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকবে।
এছাড়া, ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ, মাস্ক পরিধান বাধ্যতাকরণসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে। এছাড়াও ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য পাখি মেলা স্থগিত করা হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি হলে একই সময়ে চার জন শিক্ষার্থীর জন্য আইসোলেশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী উপভোগ করলেন ‘মিশন এক্সট্রিম’
জাবিতে দিনব্যাপী প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পাচ্ছেন শাবিপ্রবির ৬০ শিক্ষার্থী
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সহযোগিতা প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ অর্থবছরে 'জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ' পাচ্ছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ৬০ শিক্ষার্থী।সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত পৃথক তিনটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এই তিন ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট দুই হাজার ৪৪৬ জন শিক্ষার্থী। এছাড়া নবায়ন ক্যাটাগরিতে পাচ্ছেন ৪২ জন শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবির ২২ শিক্ষকএর মধ্যে শাবিপ্রবি থেকে ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৭ জন, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ৯ জন এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ২৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ৬০ শিক্ষার্থী ফেলোশিপের জন্য মনোনীত হয়েছেন।ফেলোশিপ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি এমএস শিক্ষার্থী ৫৪ হাজার টাকা, এমফিল গবেষক ৬৮ হাজার চারশ টাকা এবং পিএইচডি গবেষক তিন লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন।উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের এই অনুদান দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কাউনের চালের তৈরি নুডলস নিয়ন্ত্রণ করবে ডায়াবেটিস: শাবিপ্রবির গবেষণা
ইবির ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি ড. মেহের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মেহের আলী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আগামী তিন বছরের জন্য তাঁকে এ পদে নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আতাউর রহমান।
শনিবার দুপুর ১২টায় বিভাগীয় সভাপতির কক্ষে অনুষ্ঠিত এক দায়িত্ব-হস্তান্তর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় ও সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. সালমা সুলতানার সভাপতিত্বে দায়িত্ব হস্তান্তর ও গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান, বিভাগের অধ্যাপক ড শাহাদাৎ হোসেন আজাদ, অধ্যাপক ড. মিয়া মো. রাশিদুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ড. মেহের আলী এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এ্যান্ড রির্সাচের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয়দের হামলায় ইবির সাত শিক্ষার্থী আহত, প্রতিবাদে বিক্ষাভ
ইবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর
ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন: ১৫ পদের ১৪টিতে নীল দলের প্রার্থী নির্বাচিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২২ সালের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে ১৪ পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ পন্থী নীল দল ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দল নির্বাচনে অংশ নেয়।
নির্বাচনে নীল দল কার্যনির্বাহী কমিটির ১৫ পদের মধ্যে ১৪টি এবং সাদা দল একটি পদে জয় লাভ করেছে।
নির্বাচনে আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ ৯৪৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের ড. ইয়ারুল কবীর পেয়েছেন ৩৯২ ভোট।
অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া ৯৭০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদা দলের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৩৮১ ভোট।
সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক পদে ড. আব্দুর রহিম নির্বাচিত হয়েছেন।
নীল দল থেকে নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- ড. শফিউল আলম, ড. ইশতিয়াক মঈন সৈয়দ, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, ড. জিনাত হুদা, ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক লাফিফা জামাল, অধ্যাপক নাসিরউদ্দিন মুন্সী ও ড. ফিরোজ আহমেদ।
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক লুৎফর রহমান ৮০৬ ভোট পেয়ে সাদা দল থেকে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন।
র্যাগিংয়ের দায়ে খুবির ৫ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
আবাসিক হলে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের রাতভর শারীরিক নির্যাতন ও গালাগাল এবং ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে পরস্পরকে উসকানি দেয়ার অপরাধে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইংরেজি বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের নির্যাতন ও গালিগালাজ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে দিয়ে মারধর করার অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজা ও রাজবর্মণ বিধানকে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলের তারিখ হতে ছয় মাস সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া, একই বিভাগের মিনহাজ উর রহমান ও সাবেরুল বাশার নিরবকে ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে নির্যাতনে পরস্পরকে উসকানি দেয়ার অভিযোগে ছয় মাস সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, একই অভিযোগে আরেক শিক্ষার্থী ফাহাদ রহমান অঝোরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শাস্তির বিষয়ে নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করতে পারবেন সাজাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব শরীফ হাসান লিমন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ওই পাঁচ শিক্ষার্থীর বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
সে সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মশিউর রহমান রাজা এবং রাজবর্মণ বিধানকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই ডিসিপ্লিনের মিনহাজ উর রহমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার, সাবেরুল বাশার নিরবের এক বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত এবং ফাহাদ রহমান অঝোরকে অভিভাবকসহ মুচলেকা দেয়ার শর্তে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ‘গত বছর ৩১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা আত্মপক্ষ সমর্থন করে যে জবাব দিয়েছিল তার প্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ড এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মো. শরীফ হাসান লিমন আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একাডেমিক কাউন্সিল বরাবর সাজাপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী আপিল করেনি।’
এদিকে সাজাপ্রাপ্ত ছাত্র মশিউর রহমান রাজা বলেন, ‘আমাদের পাঁচজনকে যে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে এটা আমরা গতকাল জানতে পেরেছি। এখনতো সবাই ক্যাম্পাসে নাই, সবাই আসলে আমরা একাডেমিক কাউন্সিলে আপিলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
আরেক সাজাপ্রাপ্ত ছাত্র ফাহাদ রহমান অঝোর বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ আমি ঘটনার দিন উপস্থিত ছিলাম না। আর এরই মধ্যে হলের ইন্টারনাল তদন্তে আমি নিরপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আমার হলের সিটও বাতিল করা হয়নি। আমি একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করব এবং আমি এর ন্যায়বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে হলে ফিরতে চায় খুবি শিক্ষার্থীরা
গলায় ফাঁস দিয়ে খুবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
এসএসসিতে চট্টগ্রাম বোর্ডে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা এগিয়ে
এসএসসিতে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ ৫ দুটোতেই ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা। এ বছর ছাত্র পাসের হার ৯০ দশমিক ১৪ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় পাঁচ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি এবং ছাত্রী পাসের হার ৯১ দশমিক ৯৯ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় সাত দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। তবে পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় এক দশমিক ৮৫ শতাংশ নিয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত এসএসসি'র ফলাফলের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১২ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৩৮২ জন। ছাত্রী সাত হাজার ৪০৯ জন এবং গতবারের তুলনায় দুই হাজার ৬৪৬ জন মেয়ে জিপিএ ৫ বেশি পেয়েছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, জিপিএ ৫ এর বাড়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অবদান রেখেছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা।অন্যদিকে, এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে গত বছরের তুলনায় ছয় দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে পাসের হার হয়েছে ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র পাস করেছে ৬৭ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ৭৭ হাজার ৩৭৯ জন। এখানেও এগিয়ে রয়েছে মেয়ে শিক্ষার্থীরা।এদিকে, বিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র পাসের হার ৯৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ছাত্রী ৯৭ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ছাত্র পাসের হার ৯০ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ এবং ছাত্রী ৯৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ। মানবিক বিভাগে ছাত্র পাসের হার ৮৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং ছাত্রী পাসের হার ৮৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এসএসসি ফলাফল: যশোরে বেড়েছে পাসের হার
বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ হাজার ২৯১ জন। তারমধ্যে ছাত্র জিপিএ ৫ পেয়েছে পাঁচ হাজার ছয় জন এবং ছাত্রী জিপিএ ৫ পেয়েছে ছয় হাজার ২৮৫ জন। এখানেও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা এগিয়ে।ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে মোট জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৩৪৪ জন। তারমধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ৩৩৮ জন এবং ছাত্রী এক হাজার ৬ জন। যেখানে ছাত্রের তুলনায় ৬৬৮ জন ছাত্রী বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।মানবিক বিভাগে মোট জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র মাত্র ৩৮ জন এবং ছাত্রী ১১৮ জন। এখানেও ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীরা বেশি জিপিএ ৫ পেয়েছে।এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘সকল সূচকেই এ বছর পরীক্ষার্থীরা বিগত বছরের তুলনায় ভালো ফল করেছে। তবে জিপিএ ৫ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অবদান রেখেছে ছাত্রীরা। যাকে মেয়ে শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য বলা যেতে পারে। কোভিড পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীরা অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ের আট মাস পর অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। যার কারণে এবারের পরীক্ষা নেয়া হয় সংক্ষিপ্ত আকারে এবং শুধুমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর। প্রতি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরিবর্তে পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের এবং পরীক্ষার সময়ও ছিল অর্ধেক। অর্থাৎ তিন ঘন্টার পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল দেড় ঘন্টায়। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয়ের যে পরীক্ষা নেয়া হয়নি সেসব বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও নবম শ্রেণির ফল মূল্যায়ন করেই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ৯৩.৫৮ শতাংশ
এসএসসির ফল প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী