শিক্ষা
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ২ ডিসেম্বর, কোচিং সেন্টার বন্ধ
আগামী ২ ডিসেম্বর সারাদেশে এইচএসসি শুরু হবে। এ কারণে ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি। বৃহস্পতিবার বিকালে এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ বিষয়ে আইনশৃংখলা সংক্রান্ত সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৯টি সাধারণ বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মোট ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী এবারে অংশ নেবে। এরমধ্যে ছাত্র সাত লাখ ২৯ হাজার ৭৩৮ জন ও ছাত্রী ছয় লাখ ৬৯ হাজার ৯৫২ জন। মোট ৯হাজার ১৮৩ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা দুই হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিবে।
দীপু মনি বলেন, আগামী ০২ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে সারাদেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে এ পরীক্ষা শুরু হলেও বৈশ্বিক অতিমারি কোভিড -১৯ এর কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায়, এ বছর যথাসময়ে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে আক্রান্তের হার সহনীয় মাত্রায় উন্নীত হওয়ায় পুর্নবিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে
তিনি আরও জানান, সাধারন ৯টি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১লাখ ৩৮হাজার ১৭জন। এরমধ্যে ছাত্র পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ১১৩ জন এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৭৪ হাজার ৯০৪ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের মোট পরীক্ষার্থী এক লাখ ১৩ হাজার ১১৪ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৬১হাজার ৭৩৮ জন এবং ছাত্রী ৫১হাজার ৪০৬ জন। কারিগরি বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী এক লাখ ৪৮হাজার ৫০৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র এক লাখ চার হাজার ৮২৭ জন এবং ছাত্রী ৫৬হাজার ৯১১ জন।
আরও পড়ুন: আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
৮ টি কেন্দ্রে মোট ৪০৬জন বিদেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৩৩ হাজার ৯০১ জন। বৃদ্ধির শতকরা হার দুই দশমিক ৪৮ শতাংশ। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১২০ টি এবং মোট কেন্দ্রও বেড়েছে ২০ টি ।
মন্ত্রী আরও বলেন,এইচএসসি পরীক্ষার জন্য আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি রাখবে ।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনও পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করে ঐদিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে/সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করা হলো।
বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য গৃহীত বিশেষ ব্যবস্থাসমূহ- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব ( শ্রুতি লেখক ) সাথে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
ট্রেজারি থেকে নির্দিষ্ট তারিখের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সব সেট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে; ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে- পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পূর্বে এসএসএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে; ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না;শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ( তবে ছবি তোলা যায় না এমন ফোন )। এচাড়া পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
প্রতিবন্ধী(অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি)পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা সঠিক সময়ে নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষা সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য- ২০২১ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে ছয়টি পত্রে পরীক্ষা হবে
ক.বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ২৫ টির মধ্যে ১২ টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১৫ মিনিট, তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ৮ টি প্রশ্নের মধ্যে ২ টির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট।
খ. মানবিক ও ব্যবসায় শাখা পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ ৩০ টির মধ্যে ১৫ টির উত্তর দিতে হবে সময় ১৫ পূর্বে কক্ষ প্রত্যবেক্ষকগণ উচ্চস্বরে বিষয়টি পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই অবহিত করবেন। মিনিট, তত্ত্বীয় পরীক্ষায় ১১ টি প্রশ্নের মধ্যে তিনটির উত্তর দিতে হবে। সময় ১ ঘন্টা ১৫ মিনিট।
পরীক্ষা শুরুর পূর্বে কক্ষ প্রত্যবেক্ষকগণ উচ্চস্বরে বিষয়টি পরীক্ষার্থীদেরকে অবশ্যই জানাবেন।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসমূহ- তত্ত্বীয় পরীক্ষা ০২ ডিসেম্বর হতে শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শেষ হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড- তত্ত্বীয় পরীক্ষা ০২ ডিসেম্বর হতে শুরু হয়ে ১৯ ডিসেম্বর শেষ হবে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড- তত্ত্বীয় পরীক্ষা ০২ ডিসেম্বর হতে শুরু হয়ে ০৮ ডিসেম্বরশেষ হবে।
আসন্ন এইচএসসি/সমমান পরীক্ষা-২০২১ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগামী ২৫ নভেম্বর ২০২১ থেকে ০৩ জানুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে ।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকায় যানজট কারনে আগামী বছর পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি ও এইচএসএস পরীক্ষা হয়ত সময় পিছিয়ে দেয়া হবে। সকালে না করে ১/২ ঘন্টা সময় পেছানো হতে পারে। এ বিষয়ে বিষয় এখনো ভাবনা ।
আরও বলেন, আগামী ১ জানুয়ারী পাঠ্যপুস্তক উৎসব হবে না । স্কুল গুলোতে বই পাঠিয়ে দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমে গেলে ক্লাস বাড়ানো হবে: শিক্ষামন্ত্রী
পিরোজপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পেশ
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর বিল ২০২১’ সংসদে পেশ করা হয়েছে। দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক শিক্ষার প্রসারে নেয়া পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন।
এরপর পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়। আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটিকে এই বিষয়ের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের অন্যান্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে নির্মিত হবে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই রাষ্ট্রপতি এই বিশ্ববিদ্যালয়েরও চ্যান্সেলর হবেন।
আরও পড়ুন: কঠোর শাস্তির বিধান রেখে সংসদে ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিল’
সংসদে পেটেন্ট বিল পেশ
ডিজেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সংসদে বিরোধী নেতাদের অসন্তোষ
শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদন রবিবার থেকে শুরু
সম্প্রতি দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)। আগামী রবিবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে শাবিপ্রবির ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া। ওইদিন সকাল ১০টা থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলবে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ সেশনের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এবারের ভর্তি আবেদন ফি ইউনিট ভেদে ৬৫০ টাকা। তবে আর্কিটেকচার বিভাগে ভর্তিচ্ছুদের সাধারণ জ্ঞান পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অতিরিক্ত ৩৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা admission.sust.edu এই ওয়েবসাইটে থেকে আবেদন করতে পারবে। পূর্বে প্রকাশিত ভর্তি নির্দেশিকায় উল্লেখিত ভর্তির যোগ্যতা বিষয়ক শর্তাবলী আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের এনআইডি নিবন্ধনের তথ্য দেয়ার নির্দেশ
বাসে শাবিপ্রবি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
বিনা প্রয়োজনে ঢাবি ক্যাম্পাসে যেতে মানা
বিনা প্রয়োজনে নগরবাসীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না আসার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে অভিযানও পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসমাগম ব্যাপক হারে বেড়েছে। এতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল ও আড্ডায় বিধিনিষেধ আনার দাবি জানিয়েছে কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীদের ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করতে বিভিন্ন স্থানে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত তিন দিন অভিযান চালানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারের মালিককে জরিমানা করার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম।
ক্যাম্পাসের টিএসসি এলাকার পাশে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকের সামনের ভাসমান দোকানগুলোও উচ্ছেদ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সেখানে কোনো ভাসমান দোকান দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। এছাড়া ক্যাম্পাস আগের তুলনায় সংকীর্ণ হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়েছে। বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।
তিনি বলেন, যারা ক্যাম্পাসের না, তারা প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন। আমাদের অনেক সাবেক শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে আসে। তবে বিনা প্রয়োজনে বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে না আসাই ভালো। অতিরিক্ত জনসমাগমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র না। এটি মাথায় রাখতে হবে। সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ২.৫৬ শতাংশ
ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ায় ঢাবির দুই শিক্ষার্থীকে রাতভর নির্যাতন!
ঢাবির বর্তমান ও সাবেক ভিসিসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আগামী বছরের পাবলিক পরীক্ষা যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এখন যে পাবলিক পরীক্ষা নিতে দেরিটা হয়েছে, পরবর্তীতে তা সমন্বয় করা হবে। কাজেই কারও অসুবিধা হবে না ইনশাআল্লাহ। আগামী বছরের যে সব পাবলিক পরীক্ষা রয়েছে, সেগুলো একেবারে যথাসময়ে নেয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু এ বছরের মতো এত দেরি হবে না।’
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হবে এই সিদ্ধান্তটি হওয়ার পরে আপনাদের কী মনে হয়? আমাদের ২২ লাখ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার সুযোগ ছিলো। এখনও তো দেশের প্রতিটি জেলায় ফাইজারের টিকা দেয়ার মত অবস্থা নেই। কাজেই আমরা চেষ্টা করছি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে কিভাবে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে দিতে পারি। যেহেতু আমাদের সব জেলায় টিকা দেয়ার মত অবকাঠামো নেই, তারপরেও আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন পাটওয়ারী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা: আটক ৩
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে করোনার ফাইজার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরের বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান।
এই সময় সিভিল সার্জন মো. একরামউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে এইচএসসি শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেয়া শুরু
জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে প্রথম ডোজ ফাইজার টিকা দেয়া হবে। পরীক্ষার পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য: দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি সোমবার সংসদে বলেছেন, দেশের ৪৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় চার হাজার ১৫০টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪) এর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদে এ তথ্য জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বোচ্চ ৪১০টি শিক্ষকের পদ শূন্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৬টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১৪টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় ৩১০টি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০৩টি শূন্য পদ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) ২৪২টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১৩টি, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১টি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, ১৩১টি, চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩১, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৭ টি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১৪টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৬টি শূন্য পদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
৫০টিরও বেশি শূন্য পদে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ৪৬তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯ অনুযায়ী, দুই লাখ ৯৭ হাজার ৯৫৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৮ জন ছেলে এবং এক লাখ চার হাজার ৫৯৯ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সনদ কেন্দ্রিক ও নিরানন্দ শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছাত্র ও শিক্ষকের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫৭ এবং ২৩১ জন।
তবে ইউজিসি প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কোর হাই লেভেল স্টিয়ারিং কমিটিতে শিক্ষামন্ত্রী
ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার ২.৫৬ শতাংশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দুই দশমিক ৫৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করেন।
এ সময় চারুকলা অনুষদের ডিন ও ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটের ১৩৫টি আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ২৫৮ জন শিক্ষার্থী সমন্বিতভাবে (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) উত্তীর্ণ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাবির ‘চ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ রবিবার
শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার ফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ও ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস এর মাধ্যমেও জানতে পারবেন।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য জন্য শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে ১৬ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে চারুকলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করতে পারবেন।
এ বছর ‘চ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান পর্ব ৯ অক্টোবর এবং অঙ্কন পর্ব ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
জাবির ‘ডি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার শুরু হয়েছে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় বৃত্তিপ্রাপ্তদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় বিদায় সভা
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুবির ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
বিশেষ পরীক্ষার দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নীলক্ষেত অবরোধ
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু রবিবার
সারাদেশে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে রবিবার থেকে শুরু হবে এবং পরীক্ষার সূচি অনুযায়ী ২৩ নভেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে।
সাধারণত প্রতি বছর এ পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ বছর করোনা মহামারির কারণে সূচি অনুযায়ী এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলে সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় এবং ২৭ সেপ্টেম্বর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু
এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় প্রায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এর আগের বছর এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৭৯ হাজার ৩৩৪ জন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
গ্রুপ ভিত্তিতে তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা নেয়া হবে।
নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এসএসসিতে ১৮ লাখ ৯৯৮ জন, মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে দাখিলে তিন লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে কারিগরি পরীক্ষায় অংশ নেবে এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া বিদেশ থেকে ৪২৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। সারাদেশে প্রায় তিন হাজার ৬৭৯টি পরীক্ষার কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুয়েট, চুয়েট, রুয়েটের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা শনিবার
এ বছর প্রশ্নফাঁস রোধ করতে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নজরদারি করা হবে। যদি কোনো আইডিকে সন্দেহজনক মনে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।
১৩ অক্টোবর এসএসসি পরীক্ষার নিরাপত্তা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫