শিক্ষা
শাবিপ্রবিতে করোনার টিকাদান শুরু
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথমবারের মতো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হল খোলার আগেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, করোনা মহামারির কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় দুই বছর পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার উদ্দেশ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষার্থীদের বরণ করার প্রথম ধাপ হিসেবে শনিবার থেকে টিকা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো। চলতি মাসের ২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা হবে। সবাইকে এই সময়ের মধ্যে টিকা গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিলেট সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথম দিন স্নাতকোত্তর ও স্নাতক চতুর্থ বর্ষের নিবন্ধনকৃত শিক্ষার্থীদের তিনশ’ জন টিকা পাবেন। পরে কারা টিকা পাবে তা নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দিবে কর্তৃপক্ষ। টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের মূল কপি বা ফটোকপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইডি কার্ড এর সাথে নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
টিকা গ্রহণকারী প্রথম শিক্ষার্থী হাবিবুল হাসান রিজভী বলেন,করোনার শুরু থেকে উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম চালু, করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন, শিক্ষার্থীদের জন্য আইসোলেশন কেন্দ্রের ব্যবস্থাসহ সবশেষ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় করোনা টিকার ব্যবস্থা করায় আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। উপাচার্য স্যারের বিশেষ আন্তরিকতায় আমরা ফাইজারের টিকা নিতে পেরেছি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম , ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জহীর উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবীর, শাহপরান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, মেডিকেল সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমানসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ও সোনালী ব্যাংকের ১০০ কোটি টাকার এমওইউ স্বাক্ষর
করোনায় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২৫ অক্টোবর শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে। তার ১০ দিন আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিয়ানীবাজারে ঝরে গেছে ২ হাজার শিক্ষার্থী, ফিরিয়ে আনার চেষ্টা
করোনা সংক্রমণরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। এই সময়ে বিয়ে হয়েছে প্রায় শতাধিক ছাত্রীর আর কিছু ছাত্র প্রবাসে চলে গেছে। এছাড়া প্রাথমিক-মাধ্যমিকের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বিদ্যালয় খুললেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম। তবে কিছু দিন গেলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করছেন শিক্ষকরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বিয়ানীবাজার উপজেলায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক স্তরের কতভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, এ নিয়ে একটি বেসরকারি এনজিও জরিপ চালাচ্ছে। আপাতত তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই দুই স্তরের প্রায় ১২ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে দেড় বছরে ৩১৭৮ জন শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া জানান, বিয়ানীবাজারে করোনার পূর্বেই স্বাভাবিকভাবে ঝরে পড়ার হার ছিল ৩ ভাগ। করোনাকালে তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা টিটু দে বলেন, বিয়ানীবাজারে বাইরের জেলার যে সকল শিক্ষার্থী ছিল তারা এখান থেকে চলে গেছে। তবে বাল্যবিয়ের কারণে উপজেলায় ঝরে পড়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
বিয়ানীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম চন্দ তালুকদার জানান, তার বিদ্যালয়ের প্রায় ৩০ ভাগ শিক্ষার্থী আর আসছে না। বিদ্যালয়ে পুর পাঠদান হলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ২ শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মৌলুদুর রহমান বলেন, ‘সঠিক জরিপ এখনো পাওয়া না গেলেও প্রায় ১০ ভাগ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে অনুমান করছি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কারণে যারা বিদ্যালয়ে আসছে না, তাদের ফি মওকুফ করা দেয়া হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা সাধ্যমতো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবো।
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলে, ‘আমার অনেক সহপাঠির বিয়ে হয়ে গেছে। তারা খুব ভালো ছাত্রী ছিল। তাদেরকে খুব মিস করি।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে এক বিদ্যালয়ে ৮৫ শিক্ষার্থীর বাল্যবিয়ে!
বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে, কেউ আবার বিদেশ চলে গেছে। করোনা মহামারিতে শিক্ষাখাতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানকার অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।’
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুবি কোষাধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষক
অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত চলতি বছরের বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) কোষাধ্যক্ষসহ চার জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।
গত ১০ অক্টোবর (রবিবার) বিশ্বসেরা গবেষকদের ১২টি ক্যাটাগরি এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বাংলাদেশি গবেষকদের মধ্যে ১৭৯৩তম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষকদের মধ্যে ১৫৩ তম স্থান অর্জন করেছেন। অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষক।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে কুবির প্রশাসনিক ভবনে তালা
এছাড়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মো. তোফায়েল হোসেন মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিক স্থান পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আরও বেশি করে গবেষণায় মনোনিবেশ করার ইচ্ছে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন প্রজেক্টে গবেষণায় বরাদ্দ রেখেছেন। তার কারণে গবেষকরা উঠে এসেছেন। আগামীতে আরও বেশি বরাদ্দ প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: পরীক্ষার দাবিতে কুবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
উল্লেখ্য, তালিকায় ১২টি ক্যাটাগরিতে বিশ্বের ২০৬টি দেশের গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। মোট এক হাজার ৭৯৪ জন বাংলাদেশি গবেষক এতে স্থান পেয়েছেন। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ৫ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংটি প্রকাশ করেছে।
ইবিতে ১০ তলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক হলের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এ কাজের উদ্বোধন করেন। এ কাজের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৬ কোটি টাকা।
প্রকৌশল অফিস সূত্রে, ৫৩৭ কোটি টাকা মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুইটি ১০ তলা বিশিষ্ট আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। একটি আবাসিক হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি টাকা। কাজ সম্পূর্ণ হলে দুই হলে একইসাথে দুই হাজার শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড, আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হল উদ্বোধনের আগে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলের কাজের উদ্বোধন হওয়ায় আমি আজ আনন্দিত। একসময় আমরা বিশ্বের কাছে মিসকিনের দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলাম। কিন্তু আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে অবকাঠামো উন্নয়ন চলমান আছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। তবে দেশে বিশাল জনগোষ্ঠী ও সীমিত সম্পদ নিয়ে এবং রাজনৈতিক বৈরি পরিবেশে দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, এটা কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।’
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আগামী দুই বছরের মধ্যে এই দুই হলের কাজগুলো শেষ হবে। কাজ সম্পূর্ণ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সমস্যা অনেকটাই লাঘব হবে। এছাড়াও ক্যাম্পাসে ৩২ টি উন্নয়ন কাজের প্রক্রিয়া চলমান।’
আরও পড়ুন: বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ১৭ শিক্ষক
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা গবেষণা পুরস্কার পেলেন ইবি শিক্ষক
বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় ইবির ১৭ শিক্ষক
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স বিশ্বসেরা গবেষকদের নিয়ে র্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে। এ গবেষকদের তালিকায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিভিন্ন বিভাগের ১৭ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন। দেশে মোট এক হাজার ৭৮৮ জন গবেষক তালিকায় স্থান পেয়েছে।
তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষকরা হলেন, আতিকুর রহমান, এস এম মোস্তফা কামাল, এম মিজানুর রহমান, অশোক কুমার চক্রবর্তী, মো, আবুহেনা মোস্তফা জামাল, জি এম আরিফুজজামান খান, এম ডি রেজওয়ানুল ইসলাম, জালাল উদ্দীন, মিনহাজ-উল-হক, দীপক কুমার পাল, মো. মনিরুজ্জামান, কে এম এ সুবহান, মো. হেলাল উদ্দিন, মো. ইব্রাহীম আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া, আহসানুল হক ও এম মনজুরুল হক।
সারা বিশ্বের ২০৬ দেশের ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লক্ষাধিক বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এ র্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে।
এতে ৭ লাখ ৮ হাজার ৫৬১ জন গবেষক স্থান পেয়েছেন। সায়েন্টিফিক ইনডেক্স গবেষকদের গুগল স্কলারের রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত পাঁচ বছরের গবেষণার এইচ ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স ও সাইটেশন স্কোরের ভিত্তিতে র্যাংকিংটি প্রকাশ করেছে।
পড়ুন: ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
অস্ট্রেলিয়ায় সেরা গবেষণা পুরস্কার পেলেন ইবি শিক্ষক
ধান গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে শাবিপ্রবি গবেষকরা
ফুলেল শুভেচ্ছায় জাবি শিক্ষার্থীদের বরণ
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)আবাসিক হল। সোমবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬টি আবাসিক হলে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয়া হয়।
এ দিন সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা উঠতে শুরু করেছেন নিজ নিজ হলে। এ উপলক্ষে উৎসব মুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে হল প্রশাসন।
এ সময় উপহার সামগ্রী হিসেবে শিক্ষার্থীদের ফুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও স্ব স্ব হলের নাম সম্বলিত তিনটি করে মাস্ক, একটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, চকলেট ও কেক দেয়া হয়।এছাড়া হলে প্রবেশের সময় শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। করানো হচ্ছে স্যানিটাইজেশন। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ও গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে টিকা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে জাবিতে শুরু হচ্ছে প্রতীকী প্রতিবাদী ক্লাস
ঢাবিতে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে।
এই ট্রাস্ট ফান্ড গঠনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ রবিবার ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের কাছে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং দাতার বোন সফরুন আরা উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুদানের আয় থেকে প্রতি বছর ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কিছু মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণার জন্য বৃত্তি দেয়া হবে। এছাড়া, শ্রেষ্ঠ গবেষণাকর্মের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ‘আলী রীয়াজ স্নাতকোত্তর গবেষণা পুরস্কার’ প্রদান করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এই অনুদানের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। এই অনুদানের মাধ্যমে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আরও উৎসাহিত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. আলী রিয়াজ ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। তিনি এই বিভাগের সাবেক শিক্ষকও। ১৯৭৯ এবং ১৯৮২ সালে আলী রিয়াজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
চাকরি স্থায়ী হলো ৭৮৬ শিক্ষক-কর্মকর্তার
কারিগরি শিক্ষা ধারায় শিক্ষার্থীর হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় শিক্ষকের চাহিদা পূরণে ৭৮৬ (সাতশত ছিয়াশি) জন শিক্ষক-কর্মকর্তার চাকরি স্থায়ী করা হয়েছে।
দেশের টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজগুলোতে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ নিয়ে সন্তোষজনক কর্মদক্ষতা অর্জন করায় তাদেরকে চাকরিতে স্থায়ী করে রবিবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে এ খাতে শিক্ষক সংকট পূরণ করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি ৪০২৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক সংকট পূরণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৭৮৬ জনের চাকরি স্থায়ী করা হয়।
স্থায়ী হওয়া শিক্ষকরা ‘এসএসসি ও এইচএসসি ভোকেশনাল কোর্স প্রবর্তনের লক্ষ্যে ১৩টি নতুন ভোকেশনাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন এবং বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পে কর্মরত ছিল। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তাদের চাকরি স্থায়ী করা হলো।
আরও পড়ুন: গ্রামীণফোন ও এটুআই’র উদ্যোগে শিক্ষকদের স্বীকৃতি প্রদান
ছাত্রীর শিশুসন্তানকে কোলে নিয়ে শিক্ষকের পাঠদান: মিশ্র প্রতিক্রিয়া
গাজীপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিহত
সকল শিক্ষার্থীর জন্য খুলেছে ঢাবির হল, থাকবে না গণরুম
করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সকল বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠা শুরু করেছেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের হলে উঠার অনুমতি দিয়েছিল ঢাবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে সব বর্ষের শিক্ষার্থীর জন্য হল খোলার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে যে সকল নতুন শিক্ষার্থী গণরুমে থাকতেন তাদের হলে ঢুকার অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ. এফ. রহমান হল ও বিজয় একাত্তর হল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সব জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন তারা কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে তাদের আগে কিছুই জানায়নি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
বিজয় একাত্তর হলের সঙ্গে সংযুক্ত এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থীর জন্য হল খুলে দিবে শুনে আমরা এসেছি। গণরুম নেই বলে তারা আমাকে হলে ঢুকতে দিচ্ছে না। ১৭ অক্টোবর থেকে আমার সমাপনী পরীক্ষা। এখন আমি কোথায় যাব?’
স্যার এ. এফ. রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গণরুম প্রথা আর অনুমোদন করবো না। তাই নতুন শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিতে আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে।’
কর্তৃপক্ষের মতে, করোনার এক ডোজ টিকা নেয়া সাপেক্ষে শুধু নিয়মিত শিক্ষার্থীরা হলে থাকতে পারবেন। শিক্ষার্থীরা তাদের টিকা সনদপত্র ও বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে হলে ঢুকতে পারবেন।
শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে অধিকাংশ হলের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার বেসিন ও হলের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া হলের ডাইনিং কক্ষ, ক্যান্টিন, পাঠকক্ষ, অতিথিকক্ষও পরিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বিশিষ্ট নাট্যকার আফসার আহমেদ আর নেই
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট নাট্যকার ড. আফসার আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সোমা মুমতাজ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান শেষে শনিবার সকালে যশোর বিমানবন্দর থেকে বিমানযোগে ঢাকায় ফেরার পর তার হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) তাকে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।’
আরও পড়ুন: করোনায় মারা গেলেন কবরী
নাট্যকার ড. আফসার আহমেদের মৃত্যুতে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বার্তায় উপাচার্য বলেন, ‘অত্যন্ত গুণী এ অধ্যাপকের মৃত্যুতে বাংলা নাট্য অঙ্গনে যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
অধ্যাপক ড. আফসার আহমেদ ১৯৫৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার উত্তর জামশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬-৮৭ সালে যোগ দেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে। গুণী এই অধ্যাপক একাধারে কবি, নাট্যকার, অনুবাদক, গবেষক ও সাহিত্য সমালোচক ছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রের মৃত্যুর ৫ মাসের মধ্যে মারা গেলেন তার স্ত্রী দীপা
করোনায় মারা গেলেন সাবেক এমপি খুররাম খান