শিক্ষা
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সশরীরে ক্লাসে যোগদানের আগে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য যে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে নিতে পারবে। তবে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস সশরীরে নিতে হবে।
বিভাগ ও ইন্সটিটিউট নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন ঠিক করতে পারবে বলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবির আবাসিক হল খুলছে ২৫ অক্টোবর
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সব আবাসিক হল খুলবে আগামী ২৫ অক্টোবর। শুধু আবাসিক হলের বৈধ শিক্ষার্থীরাই হলে উঠতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া থাকতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬৭তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। ওইদিন হলে প্রবেশ করতে পারবে স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। ২৬ অক্টোবর স্নাতক চতুর্ষ বর্ষ, ২৭ অক্টোবর তৃতীয় বর্ষ, ২৮ অক্টোবর দ্বিতীয় বর্ষ এবং ২৯ অক্টোবর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। তবে অছাত্র বা ছাত্রত্ব নেই এমন কেউ হলে উঠতে পারবে না এবং শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা নেয়া থাকবে হবে।
ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে সকল শিক্ষার্থীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অক্টোবরের শেষে হল খুললেও নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কিছু কিছু বিভাগে সশরীরে ক্লাস শুরু হতে পারে। তবে অনলাইনে চলতে থাকা বিভিন্ন বিভাগের ক্লাসকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শাবিপ্রবিকে ‘শতভাগ ডিজিটাল’ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করব: উপাচার্য
খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ফুল ও ব্যানার টানিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন।
স্নাতকোত্তর ও স্নাতক শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে এক ডোজ করোনার টিকা নেয়ার প্রমাণপত্র ও বৈধ কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে হলে উঠতে পারবেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রফুল্ল মনে লাইনে দাঁড়িয়ে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হলে প্রবেশ করেন। এছাড়া হলের ভেতরে প্রাধ্যক্ষরা তাদের এক জায়গায় জড়ো হওয়া থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: তালা ভেঙে হলে উঠা শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবে ঢাবি
৯ অক্টোবর খুলছে ইবির হল
আগামী ৯ অক্টোবর থেকে খুলছে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হল। সোমবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টা থেকে শিক্ষার্থীদের হলে উঠাবো। শুধু আবাসিক কার্ডধারী ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা নেওয়া শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে। আপাতত গণরুম থাকছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সুবিধাসমূহও চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: ইবির ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২ নভেম্বর
সভায় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে প্রো-ভিসি ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্যরা ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মু. আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১ টায় আবাসিক হলগুলো খোলা ও ক্লাস যথারীতি চালু করার বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের ১২১ তম (জরুরি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে ভিসি হলগুলো পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের হল খুলছে ২২ অক্টোবর
এর আগে গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সাথে আবাসিক হলগুলো খোলার আগে এক প্রস্ততিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তোলা, হলে কোনভাবেই গণরুম না রাখা, যাদের শিক্ষা জীবন শেষ তারা কোনভাবেই যেন হলে থাকতে না পারে ও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা গ্রহণকারী শিক্ষার্থী নিশ্চিত করে হলে তোলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া হল খোলার আগে ও পরে সার্বক্ষণিক হলে প্রভোস্টসহ হাউস টিউটরদের অবস্থানের ব্যাপারে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৭ অক্টোবর
নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে: দীপু মনি
নতুন শিক্ষাক্রমে ছেলে-মেয়েরা আনন্দের মধ্যে পড়াশোনা শিখবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের বর্তমান কারিকুলামে যেগুলো আছে, সেগুলোও থাকবে এবং যেখানে যেটি ভালো কাজ করবে, সেটি আমরা গ্রহণ করছি। আর এ শিক্ষাক্রমে আনন্দের মধ্য দিয়ে ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা শিখবে। তারা কাজ করে করে শিখবে।’
শনিবার দুপুরে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এখানে শিক্ষকদের যেমন প্রশিক্ষণ দিব, আমাদের টিচার্স গাইড যেগুলো, সেগুলো তৈরি হবে। আশা করি শিক্ষকদের জন্য এটি তত কঠিন কিছু হবে না এবং শিক্ষকদের ব্যাপক প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নিয়েছি ও চলমান আছে। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।’
পড়ুন: এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সব কিছুই করা হচ্ছে। আপনারা জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছর সকল শিশুকে শিক্ষায় আনবার জন্য কাজ করে গেছে। এখন যখন আমরা সকলকে শিক্ষার আওতায় আনতে পেরেছি, এখন আমরা শিক্ষার মানটাকে উন্নত করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, আগেও শিক্ষার মানের দিকে আমাদের নজর ছিল, কিন্তু তখন সংখ্যাটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। আর এখন মানটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেজন্য কারিকুলাম সংশোধন, মূল্যায়ন পদ্ধতি পরিবর্তন আনা, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার, অবকাঠামোগত উন্নয়ন -এসবের মধ্যেই দিয়ে মান সম্মত শিক্ষা দেয়া সম্ভব। আর সে জন্য বই পড়ে শুধু পড়াশোনা নয়, বাচ্চারা খেলা-ধুলার মধ্যে শিখবে, আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখবে, কাজ কর্ম করে শিখবে এবং সমাজ অর্থাৎ কমিউনিটির বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে শিখবে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল- আলম হানিফ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের সঞ্চলনায় ড. মহিউদ্দন খান আলমগীর এমপি, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বক্তব্য দেন।
পড়ুন: প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এ মুহূর্তে ক্লাসে নয়: শিক্ষামন্ত্রী
এসাইনমেন্ট জমার সাথে টাকার কোন সম্পর্ক নেই: শিক্ষামন্ত্রী
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার দেশের আটটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই ইউনিটের ২ হাজার ৩৭৮ আসনের বিপরীতে ৪৭ হাজার ৬৩৯ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর ঢাকা এবং সাতটি বিভাগীয় শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী ইউএনবিকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, প্রো ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সামাদ, প্রো ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল ঢাকার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আটটি বিভাগে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে পড়ার স্বপ্নভঙ্গ তিথির
চবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
চবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা। শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২টায়।
ঢাবির পরীক্ষার্থীদের নিয়ে সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর বটতলী স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে শাটল ট্রেন। করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে দীর্ঘ ১৮মাস পর আজ প্রথম শাটল ট্রেন চলাচল করেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রদচারণায় দীর্ঘ দিন পর চবি ক্যাম্পাস হয়ে উঠে উৎসবমূখর।
সকাল সাড়ে ৯টায় পরীক্ষার্থীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছে চবির শাটল ট্রেন। ট্রেনে চড়ে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসে।
এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে শুরু করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১২টায় শেষ হয় প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা।
পড়ুন: প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
প্রথমবারের মতো বিভাগীয় শহরে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের অর্থ ও সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ঢাকা এবং সাতটি বিভাগীয় শহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী ইউএনবিকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে যে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে চলছে। শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
বরিশালে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
রাজধানীর বাইরে অন্য সাত বিভাগীয় শহরের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ‘ক’ ইউনিটে এই পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেষ হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে এবং সকাল ১০টার দিকে নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
এদিকে, শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের বিপরীত পাশে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে তথ্য সহায়তা বুথ খোলা হয়।
এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে স্কাউট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের (বিএনসিসি) তিনটি ইউনিট কাজ করেছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫টি ইউনিটের পরীক্ষা হয়েছে। করোনা সুরক্ষায় হলের প্রতিটি বেঞ্চে ২ জন করে শিক্ষার্থী বসানোর ব্যবস্থা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫টি ইউনিটের ৯ হাজার ২০৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। ‘ক’ ইউনিটে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৩ হাজার ৪২৫ জন শিক্ষার্থী। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বিভাগীয় শহরে ১ অক্টোবর থেকে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম জানান, মূলত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ, আর্থিক সাশ্রয়ের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা রাজধানীর বাইরের অন্য ৭ বিভাগে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভর্তি ফরম পূরণের সময় যারা বরিশাল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে পছন্দ দিয়েছেন তারাই মূলত বরিশাল ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। হলে প্রবেশে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীদের হাত ধোঁয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হিজাব পরলেও কান খোলা রাখতে হবে। প্রবেশপত্র, ট্রান্সপারেন্ট কভার এবং পেনসিল ছাড়া অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে হলে প্রবেশ করা যাবে না। কেন্দ্রের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য প্রতি বেঞ্চে দু’জন করে শিক্ষার্থী বসানো হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতেও নানা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামী ২ অক্টোবর ‘খ’ ইউনিটে পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৪১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। ২২ অক্টোবর ‘গ’ ইউনিটের ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী, ২৩ অক্টোবর ‘ঘ’ ইউনিটে ৩ হাজার ৭১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সরকারি মহিলা কলেজে। ৪৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণে ‘চ’ ইউনিটে পরীক্ষা হবে ৯ অক্টোবর।
শাবিপ্রবিতে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
শুক্রবার 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সিলেট বিভাগীয় কেন্দ্র হিসেবে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে মোট সাতটি ভবনে অনুষ্ঠিত হয় এ পরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি একাডেমিক ভবন, আইআইসিটি ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এন্ড কলেজ এই সাতটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এবারের পরীক্ষা।শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বেলা ১১টা থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলা ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিন হাজার ৩০৫ জন পরীক্ষার্থী। এছাড়াও ০২ অক্টোবর (শনিবার) খ-ইউনিটে ৯২১ জন, ২২ অক্টোবর (শুক্রবার) গ-ইউনিটে ৪২৮ জন, ২৩ অক্টোবর (শনিবার) ঘ-ইউনিটে দুই হাজার ১৮৩ জন এবং ৯ অক্টোবর (শনিবার) চ-ইউনিটে ২৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি: ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কারশাবিপ্রবিতে ভর্তি পরীক্ষায় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক শাবিপ্রবি প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। যে কয়দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি এড়াতে আমরা তৎপর আছি। এছাড়াও যেকোনো ভর্তি জালিয়াতি রোধেও আমাদের টিম সবসময় সচেতন আছে।সবধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিট প্ল্যানের ব্যবস্থার কথা জানিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আসন বন্টন কমিটির আহ্বায়ক শাবিপ্রবির ছাত্রকল্যাণ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষায় ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আসন বিন্যাস করা হয়েছে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখাসহ, প্রয়োজনীয় মেডিকেল সামগ্রী সরবরাহের বিষয়টিও থাকছে।
আরও পড়ুন: ৫ অক্টোবর খুলবে ঢাবির আবাসিক হলভর্তি কমিটির সিলেট বিভাগীয় অঞ্চলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। প্রতিটি দপ্তর নিরলসভাবে কাজ করছে। আশা রাখছি সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সবকয়টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এদিকে পরীক্ষা চলাকালে শুক্রবার সকাল সোয়া ১১টায় ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন করে শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। পরিদর্শন পরবর্তী উপাচার্য সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা বাংলাদেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে আজকের ভর্তি পরীক্ষায় সবধরনের নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসরোধে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতে পরীক্ষার হলগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। আসন বিন্যাসের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন না হয় সে বিষয়ে আমাদের সুনজর আছে।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণচূড়া গাছ কাটার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের নতুন গাছ রোপণ