শিক্ষা
সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ: দীপু মনি
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মাত্র একদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শনিবার বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।
জামালপুর সার্কিট হাউসে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে শিক্ষামন্ত্রী আজ জামালপুল সফর করেন।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ১৭-মাস বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলতে যাচ্ছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এরপরও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব এবং প্রয়োজনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করে দেয়া হবে।’
মন্ত্রী কোভিড -১৯ সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
কোনো শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবারের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে তাদেরকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না পাঠানোর অনুরোধ জানান দীপু মনি।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি মাসের শুরুতে ক্লাসরুমে পাঠদান পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
রবিবার থেকে খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
করোনা সংক্রমণের বেশ কিছু নিয়ম মেনে প্রায় ১৮ মাস পর আগামীকাল রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে সকল ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে চালু হতে চলেছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চলতি মাসের শুরুতে ক্লাসরুমের পাঠদান পুনরায় শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুল প্রাঙ্গণে স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করা ছাড়াও ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্লাসের রুটিন ও অন্যান্য নির্দেশনাবলী অনলাইনে প্রকাশ করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
দীপু মনি বলেন, শুরুতে ২০২১ সাল এবং পরের বছর ২০২২ সালের যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস এবং মাধ্যমিকের ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে একদিন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
এসএসসি, এইচএসসি ও ৫ম শ্রেণির ক্লাস প্রতিদিন, অন্যদের একদিন
মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির ক্লাস একদিন থেকে ২-৩ দিনে নেয়া হবে। পরে প্রতিদিন ক্লাস হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নেবে। তাদের সাথে আমিও বসবো। টিকার বিষয় আছে, হয়তো অক্টোবরে তারা শুরু করতে পারে।
দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়।
সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
দেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী গড়ে না উঠার কারণ খুঁজতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হচ্ছে। লাখ লাখ শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। কিন্তু সৃষ্টিশীল তেমন কিছু বেরিয়ে আসছে না। পাশ্চাত্যে শিক্ষার্থীদের বড় বড় আবিষ্কার পৃথিবীকে অবাক করে দিচ্ছে। চীন, জাপান, থাইল্যান্ডের শিক্ষার্থীরাও আমাদের চাইতে আবিষ্কারের দিকে এগিয়ে। বাংলাদেশে সৃষ্টিশীল শিক্ষার্থী কেন গড়ে উঠছে না সেই কারণ খুঁজতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের প্রতিকারমূলক পাঠদান করা হবে: মন্ত্রী
শনিবার বিকালে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমীতে এইচএসসি-আলিম ২০২০ পরীক্ষায় জিপি-এ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহ বরাবরই বেশি। শিক্ষা খাতে বেশি বরাদ্দ দেন। বাঙ্গালি জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশে শিক্ষার্থীরা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী দিনে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে প্রানপ্রণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
এসময় তিনি আগামী দিনে সারা বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে বিজ্ঞানমনস্ক শিক্ষার্থীদের গড়ে উঠার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, যোগেশ্বর দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্ত্রী পরে এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদান ও সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
রাবি শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের হলের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে সকল শিক্ষার্থীর নিকট ইতোমধ্যে এ দু’টি খাতে অর্থ আদায় করা হয়েছে তা যথাসময়ে সমন্বয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্য ভবনের লাউঞ্জে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাবি উপাচার্য ও সিন্ডিকেট সভাপতি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫০৬তম সভায় শিক্ষার্থীদের উপরোল্লিখিত ফি-সমূহ মওকুফ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
এ বিষয়ে রাবি জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ড. আজিজুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীদের লিখিত আবেদন বিবেচনা করে বুধবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ফাইন্যান্স কমিটির ৫৪৯তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এপ্রিল ২০২০ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত হলের ১৮ মাসের আবাসিক ও পরিবহন ফি মওকুফের সুপারিশ করা হয়।
আরও পড়ুন: রাবিতে ভিসি সোবহানের দেয়া ১৩৮ জনের নিয়োগ স্থগিত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেট সভায় তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
৪২তম বিশেষ বিসিএস: ৪ হাজার চিকিৎসককে নিয়োগের সুপারিশ
করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় ৪২তম বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে চার হাজার চিকিৎসককে সহকারী সার্জন হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। বৃহস্পতিবার পিএসসির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪২তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণদের মধ্যে সব মিলিয়ে সহকারী সার্জন পদে চার হাজার প্রার্থীর সুপারিশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক হাজার ৯১৯ প্রার্থী নন-ক্যাডার হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। পদ স্বল্পতার কারণে তাদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ৪ হাজার চিকিৎসক-নার্স নিয়োগ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে: www.bpsc.gov.bd. এছাড়া পিএসসি ৪২ রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে ১৬২২২ এ পাঠিয়েে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা যাবে।
করোনা সংকটের মধ্যে সহকারী সার্জনের দুই হাজার শূন্য পদ পূরণের জন্য পিএসসি ২০২০ সালের নভেম্বরে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল। পরে পিএসসি আরেকটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সহকারী সার্জনের আরও দুই হাজার পদ যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক নিয়োগে হস্তক্ষেপ করবেন না হাইকোর্ট
খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে তার এক নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে এক পক্ষের শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সব কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘নব্য জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে খুবির ২ ছাত্র আটক
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি করেন। পরে ঘটনার জন্য ছোটন দেবনাথ ওই নারী শিক্ষকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সম্প্রতি ঘটনাটি নিয়ে ছোটন ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টা করলে ওই নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ওই অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক করে ব্যাপারটি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছোটন দেবনাথকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই নারী শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে শিক্ষক ছোটন দেবনাথ দাবি করেন, ‘কী নিয়ে এবং কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তা এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। আমাকে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।’
চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচের ভর্তি শুরু হচ্ছে আগামী বছর
চাঁদপুর, ৮ সেপ্টেম্বর (ইউএনবি)- নবপ্রতিষ্ঠিত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চাবিপ্রবি) ভর্তি কাযর্ক্রম শুরু হচ্ছে ২০২১ এর এইচ.এস.সি পাশ করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে। আগামী বছর ভর্তি হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরাই হবে চাবিপ্রবির প্রথম ব্যাচ, যা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপে এ তথ্য নিশ্চিত করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন এবং প্রথম উপাচার্য ড. মো. মাছুম আখতার।
সরেজমিনে ইউএনবি প্রতিবেদক ঘুরে দেখেন, জেলা শহর থেকে চার কিলোমিটার দক্ষিণে চাঁদপুর সেঁচ প্রকল্প বাঁধের ভিতরে বন্যামুক্ত এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। চাঁদপুর-হাইমচর উপজেলা সড়কের ঠিক পূর্ব পাশেই মনোরম ও শান্ত পরিবেশে সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে ৬০ একরের জায়গার ওপর বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করা হচ্ছে। জায়গার অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে বেশ দ্রুত গতিতে।
আরও পড়ুন: জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
আপাতত ক্যাম্পাসের পাশেই ভাড়া বাসায় অফিসের ও ১ম বর্ষের ভর্তির কাযর্ক্রম চলবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের কাজ দ্রুত শুরু হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল নির্মাণের কাজও শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কাযর্ক্রমের জন্য ইতোমধ্যে একাডেমিক অনুমোদন পাওয়া গেছে বলে উপাচার্য জানান।
তিনি আরও জানান, ২০২১ এর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের শুভ যাত্রা ও প্রথম ব্যাচের শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়টি তিনটি বিভাগ নিয়ে প্রথম শিক্ষা বর্ষ শুরু করবে। বিভাগগুলো হল– কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। প্রতি বিভাগে ভর্তি করা হবে ৩০ জন করে মোট ৯০ জন। এর পরে ধাপে ধাপে বিভাগ এবং ভর্তির আসন বাড়বে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
উপাচার্য আরও জানান, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে ২০২২ সালে আরও একটি ব্যাচ ভর্তি করা যাবে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে সবাই এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারা মনে করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই জনপদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে এবং এই অঞ্চলে শিক্ষার হার আরও বৃদ্ধি পাবে।
চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপাল মাসুদুর রহমান জানান, ‘আমাদের সৌভাগ্য যে, বাড়িতে থেকেই আমাদের কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।’ পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য শিক্ষকেরাও এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নিজেদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালে চাঁদপুর সফরকালে জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় চাঁদপুরে একটি মেডিকেল কলেজ এবং একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: ৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
সেই বাস্তবতার আলোকে ২০১৯ সালে চাঁদপুর মেডিকেলে এমবিবিএস ১ম বর্ষে ভর্তি শুরু হয়। এরপরেই শুরু হয় প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্ধারণের কাজ।
এই এলাকারই সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ এগিয়ে নিতে খোঁজ খবর নিচ্ছেন ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে চলেছেন।
জবিতে ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত
আগামী ৭ অক্টোবর থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সশরীরে সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার পর কমপক্ষে দুই-তিন সপ্তাহ বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে। পাশাপাশি অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতিও থাকবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া হবে অনলাইনে।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.এ.কে.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে বিকল্প হিসেবে অনলাইনে পরীক্ষার প্রস্তুতিও থাকবে। যদি পরিস্থিতি অবনতি হয় তাহলে যেন আমরা ১০ তারিখের মধ্যেই অনলাইনে পরীক্ষা শুরু করতে পারি সেটিই চেষ্টা থাকবে। পরীক্ষার রুটিন ও আনুষঙ্গিক বিষয়সমূহ বিভাগ থেকে চূড়ান্ত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, আগেই বলা হয়েছিল পরীক্ষার কমপক্ষে ৪ সপ্তাহ আগে শিক্ষার্থীদের তারিখ জানানো হবে। সেই সুবাদেই আজকের মিটিংয়ে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যেই পরীক্ষার আনুষঙ্গিক সব প্রস্তুতি নেয়া হবে। যদি কোন শিক্ষার্থী টিকা নেয়ার বাকি থাকে তাহলে এক মাসের ভেতরেই তার টিকার ব্যবস্থাও করা হবে। তবে প্রয়োজনে কোন বিভাগ চাইলে ৭ অক্টোবর এর পর থেকেও পরীক্ষা শুরু করতে পারবে। কিন্তু এর আগে শুরু করতে পারবে না।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সশরীরে পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে সশরীরে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয় তাহলে ৭ অক্টোবর বা তার পর থেকেই অনলাইনে সেমিস্টার পরীক্ষা নেয়া হবে। সেজন্য অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার জন্যও সার্বিক প্রস্তুতি এই এক মাসের মধ্যেই নেয়া হবে। তবে আপাতত আমাদের মূল লক্ষ্য হল সশরীরে পরীক্ষা নেয়া। প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা আগে শুরু হবে। এরপর কমপক্ষে দুই বা তিন সপ্তাহ পর দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
সশরীরে পরীক্ষা নেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
জবিতে অনলাইন পরীক্ষার নীতিমালা পাশ
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা নেব। কাস্টমাইজ (সংক্ষিপ্ত) সিলেবাসে হবে পরীক্ষা। আমরা সিলেবাস দিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার মডার্নার টিকা
সোমবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন স্কুলে যাবে, তাহলে কি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে যদি ছয়টি বিষয়ে নিতে পারি তাহলে নেব। আমাদের রিকভারি পরিকল্পনা করা আছে। আমরা আগে স্কুলগুলো খুলে দেই। দেখি কি হয় না হয়।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষাগুলোও হবে। সশরীরে ক্লাস হলেও ওয়ার্কশিট চলবে।
৯ সেপ্টেম্বরের আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করার নির্দেশ
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। এজন্য ৯ সেপ্টেম্বরের (বৃহস্পতিবার) আগে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পাঠদান উপযোগী করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
রবিবার শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সার্বিক প্রস্তুতির ব্যাপার আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি থাকার কথা, সেটি আমরা তৈরি করছিও। যেখানে ছোটখাটো প্রস্তুতির ব্যাপার আছে, সেটাও আগামী ৯ তারিখের আগেই সব সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, অর্থাৎ ৯ তারিখে আমাদের একেবারে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান দেখবেন। পাঠদান শুরু করার প্রস্তুতি আছে কিনা, তা-ই দেখবেন তারা।
আরও পড়ুন: ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরু: মন্ত্রী
এ ইস্যুতে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাইকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরিধান করা ছাড়া কেউ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ঢুকবেন না। অভিভাবকদের এখানে বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদেরকে বাসা থেকেই মাস্ক দিয়ে দেবেন, যাতে করে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরিধান করেই আসে। শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
দীপু মনি বলেন, যত ধরণের গাইডলাইন আছে, সেগুলো শিক্ষকরা নিশ্চিত করবেন। সচেতনতা তৈরির প্রয়োজন আছে। এই রোগটি প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে!
১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলবে