%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-৩৬ অক্টোবর সেখানে অনুষ্ঠিতব্য ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’-এ যোগ দিতে বেলজিয়ামে তিন দিনের সরকারি সফরে মঙ্গলবার সকালে ব্রাসেলসের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন।
ইউরোপিয়ান কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেনের আমন্ত্রণে তিনি ব্রাসেলসে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সকাল ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।’
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ব্রাসেলস জাভেনটেম বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন।
২৫ অক্টোবর (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী ইসি প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এবং ইসির নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউরোপীয় বাণিজ্য কমিশনার ভালদিস ডোমব্রোভস্কিসের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষয়ি বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকের পর তিনি ইসি প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ও ইআইবির সঙ্গে ঋণচুক্তি সই করবেন। ইইউ বাংলাদেশকে ৪০৭ মিলিয়ন ইউরো রেয়াতি ঋণ ও অনুদানের আকারে দেবে। এর মধ্যে ৩৫০ মিলিয়ন ইউরো ছাড় দেওয়া হবে।
একই দিনে শেখ হাসিনা গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্বোধনী পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং তার বক্তব্য দেবেন।
বিকালে তিনি ইআইবি প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ার্নার হোয়ারের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
এছাড়া ইসি কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক এবং ইসি কমিশনার ফর ইন্টারন্যাশনাল পার্টনারশিপ জুট্টা উরপিলাইনেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে ইসি প্রেসিডেন্ট লেয়েনের দেওয়া নৈশভোজে যোগ দেবেন।
২৬ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) তিনি তার বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী লাক্সেমবার্গের প্রধানমন্ত্রী জেভিয়ার বেটেলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
বিকালে শেখ হাসিনা বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের দেওয়া এক কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।
২৭ অক্টোবর (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টায় ব্রাসেলস ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
সরকারি ক্রয়ের প্রতিযোগিতা আরও বেশি উন্মুক্ত ও অবাধ করতে চান প্রধানমন্ত্রী
সরকারি ক্রয়ের প্রতিযোগিতা আরও বেশি উন্মুক্ত ও অবাধ হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সেটি নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বৈঠকের বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে আমাদের পাবলিক প্রকিউরমেন্টে প্রতিযোগিতা আরও উন্মুক্ত ও অবাধ হয়।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, এখন এটি নিয়ে কাজ করবে আইএমইডি (বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ)। খুব দ্রুত তারা কাজ করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনবেন।
তিনি বলেন, ‘দেখা যায় অনেক কোম্পানির সামর্থ্য নেই, মানে কিছু কিছু কোম্পানির দেখা যায় সামর্থ্য না থাকার পরও তারাই কাজ পেয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।’
মাহবুব আরও বলেন, ‘বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধানে পরিবর্তন আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। যেন প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত হয়, ভালো হয় এবং আমাদের উন্নয়নমূলক কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন হয়।’
বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলতে বিনিয়োগের জন্য সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইস ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা জমি (এসইজেডে) সরবরাহ করব এবং তারা এখানে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড তৈরি করতে পারে।’
সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেংগলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড গড়ে তুলুন: সুইস বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদার করতে তিনি কাজ করে যাবেন।
রাষ্ট্রদূত গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে সুইজারল্যান্ড।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন করা। তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের মেরুদণ্ড হচ্ছে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, 'চরম দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোঠায় অন্তত এক শতাংশে নামিয়ে আনতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল।
শেখ হাসিনা স্মরণ করেন, লন্ডনে অস্ত্রোপচারের পর সুইস সরকারের আমন্ত্রণে বঙ্গবন্ধুর সুইজারল্যান্ড সফরকালে তিনি তার সঙ্গে ছিলেন।
কানেক্টিভিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে সেতুবন্ধন হতে পারে। সুতরাং, সরকার এখন এই লক্ষ্যে বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি বিস্তৃত অংশীদারিত্বে রূপান্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।’
রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে সুইজারল্যান্ডের স্বীকৃতির জবাবে সুইজারল্যান্ড সরকারের কাছে বঙ্গবন্ধুর পাঠানো একটি চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
চিঠিটি গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিঠিটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে সুইস মিশনের উপপ্রধান কোরিন হেনচোজ পিগনানি।
আরও পড়ুন: কিছু পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশে পুতুল সরকার বসাতে চায়: এএলপিপি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
কিছু পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশে পুতুল সরকার বসাতে চায়: এএলপিপি বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কিছু পশ্চিমা শক্তি বাংলাদেশে পুতুল সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যাতে তারা সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তারা যদি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে পারে, তাহলে তারা বাংলাদেশে পুতুল সরকার গঠন করতে পারবে এবং সহজেই তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।’
রবিবার (২২ অক্টোবর) সংসদ ভবনে ক্ষমতাসীন দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে (এএলপিপি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক সংসদ সদস্য এসব কথা জানান।
সংসদ নেতা ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ না দেখালেও শেষের দিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আসতে পারে, এটিকে বিতর্কিত করার জন্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের আরেক সংসদ সদস্য বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, বাংলাদেশে একটি পরাধীন সরকার আনতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়কেই নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) বলেছেন যে আমরা (আওয়ামী লীগ) ও বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসতে না পারি, সেজন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে।’
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক চেয়েছে ইসি
তিনি বলেন, আমাদের এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে এবং নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দল তাদের জরিপের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদের জন্য প্রার্থী বাছাই করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতি ছয় মাস পর পর জরিপ পরিচালনা করেছি এবং সেই জরিপের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
দলের নির্বাচিত প্রার্থীদের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘যারা দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের বিরোধিতা করবে, তাদের রাজনীতি শেষ হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বৈঠকে উপস্থিত অনেক সংসদ সদস্য হয়ত দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু আপনাদের মুখ দেখে মনোনয়ন দেবো না, আগামী নির্বাচনে যাদের জেতার সম্ভাবনা আছে তাদেরই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী নির্বাচনে কারো কোনো দায়িত্ব নেবেন না।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিজেদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং নির্বাচনে জিততে হবে।’
আর সে লক্ষ্যে তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সবাইকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন।
বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল উল্লেখ করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এটি নির্বাচনে তাদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল পরিহার করে আগামী নির্বাচনে দলের বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
বৈঠক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারে এবং এ কারণেই পাশ্চাত্যের অনেকেই নির্বাচন ছাড়া অনির্বাচিত সরকার চান। কারণ, অনির্বাচিত সরকার থাকলে তাদের প্রভাব বিস্তার করা সুবিধাজনক।
তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
হানিফ আরও বলেন, বিভিন্ন জরিপ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘যাদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আছে তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রার্থীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
সভায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, রাজবাড়ীর কাজী কেরামত আলী, লক্ষ্মীপুরের নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, চট্টগ্রামের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত ও সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীর অবস্থানবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্রাসেলস সফর বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে সবাই সমান ধর্মীয় অধিকার ভোগ করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুর্গাপূজার মণ্ডপে হিন্দু ভক্তদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম মুন্সীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল এবং তাই এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে।
‘আমরা সবাই এই মাটির সন্তান। আমরা এই ভূমিতে আমাদের নিজ নিজ অধিকার উপভোগ করে বসবাস করব।’
প্রধানমন্ত্রী হিন্দু সম্প্রদায়কে বাংলাদেশ ও এর অগ্রগতির জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আজকের বাংলাদেশের প্রতিটি বাড়ি বিদ্যুতের আওতায় এসেছে এবং প্রতিটি পরিবারে খাবার রয়েছে। সরকার জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রতিটি স্থান স্পর্শ করেছে।
তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের কাজ এবং একমাত্র দায়িত্ব। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা এবং আমরা সেই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হব।
শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে আনন্দও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে এবং উৎসব চলাকালে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশ ও তার দলের সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থা আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই এই পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক। সরকার শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, এবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ৩২ হাজারেরও বেশি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মণীন্দ্র কুমার নাথ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম, বিপিইউপির সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন মন্দির ও অস্থায়ী মণ্ডপে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব।
আরও পড়ুন: ইসলামে নারীর অবস্থানবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা
আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামে নারীর অবস্থানবিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সৌদি যাওয়ার সম্ভাবনা
আগামী ৬-৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইসলামে নারীর অবস্থানবিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরবের জেদ্দায় যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
সৌদি আরব ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে মৌরিতানিয়ায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের কাউন্সিলের ৪৯তম অধিবেশনে ইসলামে নারীর উপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানানো হয়। জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সঙ্গে সমন্বয় করে এটি আয়োজনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় সৌদি আরব।
ইসলাম অনুযায়ী শিক্ষা ও কাজের ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও দায়িত্ব স্পষ্ট করা সম্মেলনের লক্ষ্য। এতে ইসলামী পণ্ডিতরা অংশ নেবেন।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করেন বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান। তখন প্রধানমন্ত্রীকে ইসলামে নারীবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়ে একটি চিঠি দেন তিনি।
২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজনে তার দেশের আবেদনে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়ে আরেকটি চিঠিও তিনি হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
এদিকে, গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম ২০২৩-এ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের শেষের দিকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস সফর করবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং সারা বিশ্বের সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ, নেতৃস্থানীয় চিন্তাবিদ, অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে ২৫-২৬ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি দুদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৭ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি রবিবার গণমাধ্যমকে বিস্তারিত ব্রিফ করবেন।
মোমেন বলেন, ফোরামের সাইডলাইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলনে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।
টেকসই উন্নয়ন ও অনুশাসন, স্বচ্ছতা ও সমান অংশীদারিত্বের মতো ইউরোপীয় মূল্যবোধের উপর জোর দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশল। একই সঙ্গে পরিবহন ও সরবরাহ চেইন, গ্রিন এনার্জি, আধুনিক টেলিযোগাযোগ, শিক্ষা ও গবেষণার বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে সারা বিশ্বের দেশ ও অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করে এটি।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামের উদ্দেশ্য হলো সরকারি ও বেসরকারি খাতের চ্যালেঞ্জ, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং অভিজ্ঞতার আলোকে অবকাঠামোতে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিতর্কের জন্য নেতাদের একত্র করা।
এটি গ্রিন এনার্জি স্থানান্তর এবং সবুজ হাইড্রোজেন, শিক্ষা ও গবেষণা, জটিল কাঁচামাল, পরিবহন করিডোর, স্বাস্থ্যসেবা পণ্য উৎপাদন এবং ডিজিটাল পরিকাঠামো থিমের উপর গুরুত্বারোপ করবে।
এটি গ্লোবাল অবকাঠামো ও বিনিয়োগের জন্য জি-৭ অংশীদারিত্ব প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মও তৈরি করবে।
আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
আন্দোলনের নামে যেকোনো ধরনের নৈরাজ্য ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বরদাস্ত করবে না।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্রদের রাজপথে বিক্ষোভের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের আন্দোলন কর্মসূচি করতে দিন।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘কিন্তু যদি তারা আবার অগ্নিসংযোগ সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ শুরু করে; যদি কেউ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, আমরা তাদের রেহাই দেব না এবং এটাই বাস্তবতা।’
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫ তলা ভবন উদ্বোধনের পর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত আইনজীবীদের মহাসমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ পর্যন্ত ২৯ বছরে বাংলাদেশের মানুষ তাদের উন্নতির জন্য কোনো পরিবর্তন দেখেনি।
তিনি বলেন, ‘যারা ক্ষমতায় আছে তারা নিজেদের ভাগ্য বদলাতে ব্যস্ত ছিল। তারা দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই জনগণের অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি কখনো নিজের স্বার্থে রাজনীতি করেন না।
তিনি বলেন, আমি এদেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ অমি উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রেজাউর রহমান, আইনবিষয়ক সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সদ্য উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ভবনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবনের উদ্বোধন শনিবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২১ অক্টোবর) ঢাকায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করবেন।
১৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ১৫ তলা বার কাউন্সিল ভবনে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দুটি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, প্রদর্শনী স্থান এবং অন্যান্য অনেক সুবিধা রয়েছে।
ভবন উদ্বোধনের পর তিনি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা এবং সারাদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুসারী আইনজীবীরা অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ হত্যাকারী সন্ত্রাসী দল: প্রধানমন্ত্রী
একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি মানুষ হত্যাকারী সন্ত্রাসী দল: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপিকে 'মানুষ হত্যাকারী সন্ত্রাসী দল' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল এবং মানুষ হত্যাকারী দল। তারা প্রতিদিন আমাদের পদত্যাগ চায় এবং আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের উৎখাত করে। এটা ভালো। তাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে দিন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিএনপিকে বিরোধী দল বলতে চান না, কারণ তাদের সংসদে কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় বিরোধী দলই সংসদে আসন পায়।’
বুধবার (১৯ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবন থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ৩৯টি জেলায় নবনির্মিত ১৫০টি সেতু এবং ১৪টি নবনির্মিত ওভারপাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলনে সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে জনগণের সুরক্ষার স্বার্থে সম্ভাব্য অগ্নিসংযোগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, 'তারা আন্দোলন করলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তাদের জনগণের কোনো ক্ষতি করতে দেওয়া হবে না। আমি মনে করি এ ব্যাপারে আপনাদের সবার কিছুটা হলেও সজাগ থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন: নিরাপদ প্রস্থান চান নাকি ক্ষমতাচ্যুতি চান, সিদ্ধান্ত নিন: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, এটা ভালো যে বিএনপি-জামায়াত এখন আন্দোলন করছে। তিনি বলেন, ‘তারা যদি বাসে আগুন দিতে যায়, তাহলে আমি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেছি, যাতে তারা জনগণের কোনো ক্ষতি করতে না পারে এবং অগ্নিসংযোগ করতে না পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি বিএনপিকে বিরোধী দল বলতে চান না, কারণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংসদে বিরোধী দলের আসন থাকে।
তিনি বলেন, জনগণ ছাড়া তার আর কিছুই নেই। ‘আমি সব হারিয়েছি- বাবা-মা ও ভাইদের। আমার হারানোর আর কিছু নেই। আমার একমাত্র লক্ষ্য আমার দেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা। আমরা নিরলসভাবে তা করে যাচ্ছি।’
২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ২৯টি আসন এবং পরে উপনির্বাচনে আরেকটি আসন পেয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩০০ আসনের মধ্যে ৩০টি আসন জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতার করুণ অবস্থার প্রতিফলন।
তিনি বলেন, ‘এখন তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলে। তাদের কথা ও কাজ সবকিছুই ধ্বংসাত্মক। আমি এ বিষয়ে দেশের জনগণকে সতর্ক করতে চাই।’
আরও পড়ুন: অবরোধ করলে বিএনপি অবরুদ্ধ হবে: ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও অর্জন যেন নষ্ট না হয়।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ১১০০ মিটার কেওয়াটখালি সেতু ও ১ হাজার ৪৭১ মিটার রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের জন্য নবনির্মিত ডিটিসিএ ভবন উদ্বোধন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ অটোমেটেড মোটর ভেহিকেল ফিটনেস টেস্ট সেন্টার, বিআরটিসি বাস ডিপো ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অবকাঠামো উদ্বোধন করেন এবং রাজধানীর মিরপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠ ও বিআরটিএ অফিস থেকে দর্শকরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত: কাদের
ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
সম্প্রতি ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সারাদেশের সব মসজিদে জুমার এবং অন্যান্য নামাজের পরে নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের নৃশংস হামলার শিকার শুধু মুসলিমরাই নয়, খ্রিস্টান ও ইহুদিরাও এর শিকার।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সড়ক ভবনে একযোগে ৩৯টি জেলায় ১৫০টি সেতু এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: একদিনে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ পাশে থাকবে। কারণ ফিলিস্তিনের ওপর বারবার হামলা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের দখল করা ভূমি ফিলিস্তিনের জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনের জনগণকে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে।’
ঢাকায় অবস্থিত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। আমাদের লড়াই করতে হবে। তাদের ওপর বার বার হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।’
তিনি বলেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত বা আহত শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশ ওষুধ, শুকনো খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নারী ও শিশুদের জন্য ওষুধ, শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাব। আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের যা কিছু সম্পদ আছে আমরা সবসময় তা নিয়ে মানুষের পাশে আছি।’
প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ফিলিস্তিনিদের জন্য ওষুধ পাঠানোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
বিএনপিকে খোঁচা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষ্য করা গেছে এ ধরনের ঘটনার পেছনে যারা অসন্তুষ্ট হবেন তাদের ভয়ে অনেকেই এ ব্যাপারে এখনও নীরব রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যারা নির্যাতিত মানুষের পক্ষে আওয়াজ তোলার সাহস পায় না, তারা (সরকারের) পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে; যা দুর্ভাগ্যজনক।’
অনুষ্ঠানে তিনি ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ১ হাজার ১০০ মিটার কেওয়াটখালি সেতু এবং ১ হাজার ৪৭১ মিটার রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের জন্য নবনির্মিত ডিটিসিএ ভবন উদ্বোধন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ অটোমেটেড মোটর ভেহিকেল ফিটনেস টেস্ট সেন্টার, বিআরটিসি বাস ডিপো এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে এক অনুষ্ঠান থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব অবকাঠামো উদ্বোধন করেন। ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠ এবং মিরপুরে বিআরটিএ অফিস থেকেও ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দর্শকরা।
আরও পড়ুন: ওআইসি প্রতিবেশিদের সংলাপের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর