%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে আরেকটি মাইলফলক স্থাপনে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেললাইনের উদ্বোধন করেছেন।
'পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্পের' আওতায় ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা।
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য (মুন্সীগঞ্জ-২) সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলওয়ে সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথে চলল পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রেললাইন নির্মাণের কাজ উদ্বোধন করেন।
রেললাইনটি তিন ধাপে নির্মিত হচ্ছে (পাশাপাশি ঢাকা ও গেন্ডারিয়ার মধ্যে ৩ কিলোমিটার সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে): ৩৭ কিলোমিটার গেন্ডারিয়া-মাওয়া সেকশন, ৪২ কিলোমিটার মাওয়া-ভাঙ্গা সেকশন এবং ৮৭ কিলোমিটার ভাঙ্গা জংশন-যশোর সেকশন। প্রায় ৪৩ দশমিক ২ কিলোমিটার লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-সংযোগসহ মোট পথের দৈর্ঘ্য ২১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার।
ঢাকা-যশোর রেলপথের পুরো প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ২০টি স্টেশন থাকবে, যার মধ্যে ১৪টি নতুন ও ৬টি ইতোমধ্যে রয়েছে। পূর্ববর্তী স্টেশনগুলোরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কাজ শেষ হলে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জীবন-জীবিকার উন্নয়ন ঘটিয়েছে
ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রতিটি লেভেল ক্রসিংয়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে বলে ঢাকা-যশোর রেললাইনের কোথাও কোনো রেলক্রসিং থাকবে না।
ঢাকা থেকে ভাঙ্গার দূরত্ব প্রায় ৮২ কিলোমিটার। ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে কেরাণীগঞ্জ হয়ে পদ্মা সেতুতে যুক্ত হয়েছে নতুন রেললাইন।
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ দিয়ে কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১০০টি আধুনিক যাত্রীবাহী কোচ কেনা হয়েছে। এগুলোর সঙ্গে রেক সাজিয়ে নতুন ট্রেন চালু করা হবে।
২০১৬ সালের ৩ মে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২২ মে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করা হলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এতে ব্যয় আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জিটুজি (সরকার থেকে সরকার) ভিত্তিতে চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ (সিআরইসি) এই প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে। বাকি খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলুন: সরকারি চাকরিজীবীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সরকারি চাকরিজীবীদের জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিয়ে মানুষের সেবা করার মানসিকতা গড়ে তুলতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে জনগণের দোরগোড়ায় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে, জনগণের জন্য জনগণকে (এই প্রক্রিয়ায়) জড়িত করতে হবে।’
রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে ৬০২ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৩০ জন সেরা পারফরমারের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি নতুন বাস্তবায়িত প্রকল্পের উদ্বোধন করেন এবং অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) সফটওয়্যার উন্মুক্ত করেন।
শেখ হাসিনা সরকারি কর্মচারীদের সর্বদা জনগণের সেবক মনে করে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সেবাকে নিছক চাকরি মনে করবেন না, বরং দেশ সেবা করার সুযোগ। আপনাকে এই জিনিসটি সর্বদা মনে রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৮ সময়কে বাংলাদেশের ইতিহাসে দুটি কালো অধ্যায় বলে অভিহিত করেন কারণ ২৯ বছরেও দেশ এগিয়ে যেতে পারেনি।
আরও পড়ুন: কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
অর্থনৈতিক চাপ কমাতে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান অর্থনৈতিক চাপ এবং বৈশ্বিক উচ্চ মূল্যস্ফীতি প্রশমিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতির কারণে আজ আমাদের অর্থনীতি কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। সবাইকে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে সবাই উৎপাদন বাড়ায় এবং কোনো জমি অনাবাদি না থাকে।’
তিনি বলেন, সবার জন্য খাদ্য নিশ্চিত করে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারলে কোনো সমস্যা হবে না।
দেশে এখনও বিপুল সংখ্যক অনাবাদি জমি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি কর্মকর্তাদের তাদের সমস্ত অনাবাদি জমি উৎপাদনে আনতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে বলেন।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাংলাদেশ কিছু সমস্যায় রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকে অনেকে রিজার্ভ সম্পর্কে অনেক কিছু বলে। আমি বলেছি রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। দেশে যতক্ষণ খাদ্য থাকবে ততক্ষণ আমরা ভাবি না। আমরা ফসল চাষ করব এবং আমাদের খাদ্য তৈরি করব। যদি প্রয়োজন হয়, আমরা ব্যয় করব এবং কিছু পরিমাণে কম (আমদানি হ্রাস) ক্রয় করব।’
প্রধানমন্ত্রী খাল, বিল এবং অন্যান্য জলাশয় রক্ষা করে পরিবেশের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
তিনি তাদের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ফল সঠিকভাবে সঠিক সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাতে, শুধুমাত্র একক পণ্য- তৈরি পোশাকের উপর নির্ভরতা কমাতে রপ্তানি ঝুড়ির বৈচিত্র্যকরণ, নতুন রপ্তানি বাজার অনুসন্ধান এবং টেকসই উন্নয়ন কাজগুলি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করতে বলেন।
বিপুল জনসংখ্যার দেশে জমির অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশাল জনসংখ্যাকে সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জনগণের মধ্যে এই মনোভাব তৈরি করতে হবে যে জনসংখ্যা একটি মূল্যবান সম্পদ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ‘আমরা অন্তত দাবি করতে পারি যে আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ... বাংলাদেশ আর পিছিয়ে নেই।’
তিনি বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন দেশের অর্থনীতি, সরকার ও সমাজকে স্মার্ট করে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধান কারিগর ও সৈনিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে বলেন।
‘মাই ভিলেজ মাই টাউন প্রোগ্রাম’ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি গ্রামে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাতে গ্রামবাসীদের নাগরিক সুবিধা পেতে শহরে যেতে না হয়।
চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বর্তমান অবস্থান থেকে বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য সবাইকে কাজ করতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইভেন্টে তাহসিন বিনতে অনীশ সেরা পারফরমার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে রেক্টর পদক এবং সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করেন এবং সুমায়া জাহান ঝুলকা ও অঙ্কন পাল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা অভিনয়শিল্পী হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট গ্রহণ করেন।
ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সটি সর্বকালের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতে ১৯টি ক্যাডার সার্ভিসের ৬০২ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে পরিচালিত হয়।
পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি কর্মচারী হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করা (৪২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে), সরকারি কর্মচারী ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (জিইএমএস) প্রোগ্রাম, নবনির্মিত ১৫ তলা বিপিএটিসি ডরমেটরি (২০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে) এবং কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে দুটি নবনির্মিত সার্কিট হাউস।
বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি) গত ছয় মাসের কার্যক্রমের ওপর আলোকপাত করে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণকারী চারজন তাদের অনুভূতির কথা জানান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের ফলাফল উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।
পরে ৭৫তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের অংশগ্রহণকারীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: দেশের ভাবমূর্তি আরও উন্নত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় জাপান: প্রধানমন্ত্রীকে দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চায় জাপান।
রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার কোমুরা মাসাহিরো এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অবিরাম সহযোগিতার আশ্বাস জাপানি ভাইস মিনিস্টারের
তিনি বলেন, কক্সবাজারে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের কারণে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়া স্থানীয় বাংলাদেশিদেরও সহায়তা করতে চায় জাপান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, স্থায়ী ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের স্থায়ী সমাধানে অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন কারো জন্য সমীচীন নয়: জাপানি রাষ্ট্রদূতকে তথ্যমন্ত্রী
আঞ্চলিক সংযোগ বাড়িয়ে তৃতীয় টার্মিনালের মতো সুদৃঢ় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে জাপান: ভাইস মিনিস্টার
অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের কেন্দ্রে পরিণত হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের পর্যটননগর কক্সবাজার বা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শিগগিরই আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনার সফট ওপেনিং উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশের বিমানবন্দরগুলোর রূপান্তর করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সময়ে সময়ে বিমান পরিবহন হাব পরিবর্তন হয়। এক সময় ছিল হংকং, তারপর সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও এখন দুবাই।
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি একদিন বাংলাদেশ, আমাদের কক্সবাজার বা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হাব হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রমবর্ধমান যাত্রী ও ফ্লাইট নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন রানওয়ে প্রস্তুত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সেই পরিকল্পনা আছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আকাশপথের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সে কারণে সরকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অত্যাধুনিক রাডার ও নেভিগেশন ব্যবস্থা স্থাপন করতে যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এসব স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে।’ ফরাসি কোম্পানি থেলাস এই রাডার স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, পুরোনোটিও একই ফরাসি রাডার-উৎপাদনকারী সংস্থা ‘থ্যালেস এলএএস’-এর মাধ্যমে স্থাপন করা, যা পরে সংস্কার করা হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলা থেকে জেলায় বিমান যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে সরকার কিছু নতুন বিমান কিনতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে এয়ারবাসের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি।’
তিনি আরও বলেন, সরকার ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটনের যোগাযোগ সহজ করতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান যোগাযোগের উন্নয়ন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য বিমান যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়ের চাহিদা পূরণে তার সরকার এ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সিলেটের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং রাজশাহী ও বরিশাল বিমানবন্দরের মতো সব বড় বিমানবন্দর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
এভিয়েশন সেক্টরের আধুনিকায়ন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বিমানবন্দরে সরাসরি জেট ফুয়েল আনার জন্য পাইপলাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল: ৭ অক্টোবর উদ্বোধনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ
কয়েকটি দেশের চাঁদে অবতরণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ একদিন চাঁদ জয় করবে।
তিনি বলেন, সরকার লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি (বিএসএমআরএইউ) প্রতিষ্ঠা করেছে যা তা করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, তার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের মানুষ কিছু পেতে শুরু করেছে এবং বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নাগরিকদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার মাসাহিরো কোমুরা এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
টার্মিনালে পৌঁছালে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ঐতিহ্যবাহী নাচ ও বাংলা গানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানায় একদল ছোট ছোট শিশু। তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে তিনি তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন, যেখানে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান তৃতীয় টার্মিনালের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
তিনি তার লাগেজ চেক করে ইমিগ্রেশন পাস করার একটি ড্রেস রিহার্সালে অংশ নিয়েছিলেন এবং তাকে পরে বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে তৃতীয় টার্মিনালের উপর একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী একটি বর্ণাঢ্য বিষয়ভিত্তিক নৃত্য উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
ঢাকা বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল প্রত্যাশিত তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং (আংশিক উদ্বোধন) শনিবার সকালে করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য নতুন বিশ্বমানের টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন। দেশের এভিয়েশন সেক্টরের চেহারা বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখা এই প্রকল্প আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত সকল 'মেগা প্রকল্প' গুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত।
তিনি টার্মিনালে পৌঁছালে বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী তাকে অভ্যর্থনা জানান।
শিশুদের একটি দল ঐতিহ্যবাহী নাচ এবং বাংলা গানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানায়।
প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে ছবি তোলেন।
পরে তিনি টার্মিনালের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বিমানবন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শনিবার
তিনি তার লাগেজ চেকিংয়ের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন পাস করার একটি ড্রেস রিহার্সে অংশ নেন এবং তাকে একটি বোর্ডিং পাস দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর নবনির্মিত টার্মিনাল ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান ইউএনবিকে বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের (প্রথম পর্যায়) আওতায় টার্মিনাল-৩ এর নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।
মূল টার্মিনাল ছাড়াও আমদানি-রপ্তানি সুবিধা সম্বলিত কার্গো কমপ্লেক্সের কাজ প্রায় শেষ। কার্গো কমপ্লেক্সটির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং মার্চ বা এপ্রিলের মধ্যে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চালু হতে যাচ্ছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল
কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হয় সে বিষয়ে জ্ঞান দেওয়ার প্রয়োজন নেই: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিয়ে তাকে জ্ঞান দেওয়া উচিত নয়। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে তার দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে।
তিনি বলেন, ‘আমাকে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন শেখাতে হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রাম আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে করেছি এবং সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইউএনজিএ অধিবেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার
৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য তার সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরের ফলাফল সম্পর্কে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারপর সেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পেরেছে বলেই জনগণ আমাদের বারবার ভোট দিয়েছে এবং একটানা (টানা তিন মেয়াদে) ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে অর্থনৈতিক উন্নতিটা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখন এত প্রশ্ন কেন?
তিনি বলেন, ‘একটি দেশ এত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া কি সবার জন্য মাথাব্যথার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে কীভাবে এটা (এই অগ্রগতি) ধ্বংস করা যায়, তাই এমন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে?’
আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলেছেন যে বাংলাদেশে একসময় সেনাবাহিনীর জন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিচালিত জেনারেলদের সরকার ছিল। এটি এখন পরিবর্তিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরাই জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কেন সবাই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছে তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আমার সন্দেহ হচ্ছে। আসলে এটা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা।’
তিনি বলেন, যারা জানে নির্বাচনে তারা ভোট পাবে না তারা এখন সর্বত্র (বিদেশিদের সঙ্গে) তোষামোদি করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে যারা আছেন, তারা আসল বাস্তবতা বোঝেন কি না জানি না, তবে তারা বারবার এক কথা বলছেন এবং ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন।’
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষ করে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঞ্চে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি বর্জ্য ফেরত নেবে রাশিয়া: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে: প্রধানমন্ত্রী
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে ‘সফল’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: আপনার অর্জন খুবই আকর্ষনীয়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বাইডেন
তিনি বলেন, ‘বহুপাক্ষিক ফোরামে আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। আন্তর্জাতিক ইস্যু সম্পর্কে, আমি আশা করি এটি সহযোগিতার পরিধি প্রসারিত করবে। সামগ্রিক বিবেচনায়, আমি মনে করি এই অধিবেশনে (ইউএনজিএ) বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত সফল হয়েছে।’
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান ও সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ বছরের অধিবেশনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে উদারতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বাংলাদেশের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তার ভাষণ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে মানবতার অভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সম্মিলিতভাবে মোকাবিলায় বিভক্তি, বিচ্ছিন্নতা ও বিচ্ছিন্নতার ওপর ঐক্য, সংহতি ও বহুপাক্ষিকতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে উল্লেখ করেছেন যে, সরকার দেশের সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ও এটি অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধ, মহামারি ও রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব নিয়ে সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সন্ত্রাসী হুমকি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপব্যবহার, সহিংসতা উস্কে দেওয়া, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন। তিনি বলেন, তার সরকার সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতি অনুসরণ করে।
একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য মানবাধিকার ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করার দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে জরুরি পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক 'ফুড ব্যাংক' প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল ফসলের গবেষণা ও উন্নয়নে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
পাশাপাশি তিনি জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, মহামারি, এসডিজি অর্জনে খাদ্য সহযোগিতা এবং অন্যান্য ইস্যুতে অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে যোগ দেন।
কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস, ডিজিটাল ও আধুনিক ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার উপস্থাপন করেন।
এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কে ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিল চেম্বারে 'এসডিজি সামিট-লিডার্স ডায়ালগ-৪ (এসডিজি অর্জনে সমন্বিত নীতি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ) শীর্ষক আরেকটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাইড ইভেন্টে ভবিষ্যতে যেকোনো মহামারি মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি কাঠামো প্রণয়নের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ও প্রতিনিধিরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি আয়োজিত কমিউনিটি সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে গভীর সমুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে মাছ আহরণ রোধ এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষায় 'গভীর সাগর সম্পর্কিত জাতিসংঘের চুক্তি' সই করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ ছাড়া হাঙ্গেরির সঙ্গে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির বিষয়ে কাজাখস্তানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন এবং অন্যান্য কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ভয়েস অব আমেরিকাকে সাক্ষাৎকার দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গাবিষয়ক এপিপিজি'র সভাপতি রুশনারা আলীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় পার্লামেন্টারি গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসাবিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী এখন লন্ডনে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ইউএনজিএ অধিবেশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর বিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে বুধবার (৪ অক্টোবর) দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে ফ্লাইটটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন থেকে ঢাকার পথে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৬ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ঢাকার উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীসহ তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট (বিজি-২০৮) মঙ্গলবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় ফ্লাইটটির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করুন: লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ৩০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে লন্ডনে পৌঁছান।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সভাপতি রুশনারা আলীর (এমপি) নেতৃত্বে এপিপিজি’র একটি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ ও ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক ছায়ামন্ত্রীসহ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
১৭ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশন ও অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের পক্ষ ও দ্বিপক্ষীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষ হচ্ছে আজ
জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ঘটলে সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী