%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের সম্পূরক হিসেবে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তার দেশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জেয়া বলেন, ‘কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই; আমরা একটি নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান তার অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বিশ্বব্যাপী অংশীদারদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমরা ইতোমধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। আমরা সবসময় জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারের জন্য লড়াই করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিই দেশে ভোট কারচুপি শুরু করেছিল। এ ব্যাপারে নির্বাচনের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়।
শেখ হাসিনা ২০১৩-২০১৫ সালে বিএনপি ও তাদের মিত্রদের নৃশংসতা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করেন, যেসব ঘটনায় ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।
জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন এবং মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া ঢাকায় পৌঁছেছেন
তিনি মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা জোরদারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর কার্যক্রম পরিচালনাজনিত খরচ বাবদ যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।
তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন জেয়া।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে দেশের দুটি পৃথক অঞ্চলে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে।
এসব ক্যাম্পে মানব পাচার ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
দাশেরকান্দিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পয়ঃশোধনাগার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আফতাবনগরের কাছে দাশেরকান্দিতে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ একক পয়ঃশোধনাগারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন।
পয়ঃশোধনাগারটি দেশের প্রথম আধুনিক এসটিপি (স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট), যা ৫০০ মিলিয়ন লিটার পয়ঃনিষ্কাশন করার ক্ষমতাসম্পন্ন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিবেশ দূষণ রোধ এবং রামপুরা খাল, বালু নদী, শীতলক্ষ্যা নদীসহ অন্যান্য জলাশয়ের পানির গুণগত মান উন্নয়নে প্লান্টটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া
আফতাবনগর এলাকার পূর্বদিকে নির্মিত এই প্লান্টটি দেশের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থায় একটি মাইলফলক হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্লান্টে প্রতিদিন প্রায় ৪৫ মেট্রিক টন ছাই উৎপন্ন হবে, যা সিমেন্ট কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
দশেরকান্দি এসটিপি রাজধানীর তেজগাঁও, নিকেতন, বাড্ডা, বনানী, গুলশান (অংশ), বনানী, রমনা, ইস্কাটন, নয়াটোলা, মগবাজার, ওয়্যারলেস, মৌচাক, আউটার সার্কুলার রোড, মহানগর হাউজিং, হাতিরঝিল, কলাবাগান ও ধানমন্ডি (আংশিক) এলাকা থেকে আসা পয়ঃ প্রক্রিয়াকরণ করা হবে।
ঢাকা শহরে প্রতিদিন যে ২ হাজার মিলিয়ন লিটার বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তার ২০-২৫ শতাংশ শোধন করতে পারবে দাশেরকান্দি প্লান্ট।
মঙ্গলবার ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান সাংবাদিকদের বলেন যে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব উপায়ে ঢাকায় উৎপাদিত পয়ঃ শতভাগ পরিশোধনের জন্য পাঁচটি এসটিপি নির্মাণের জন্য ওয়াসার গৃহীত মাস্টার প্লানের অংশ হিসেবে এই প্লান্টটি নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে উদ্ভিদটি আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব। প্লান্টে পরিশোধিত পানির গুণমান যথেষ্ট ভালো।
২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা শহরের শতভাগ পয়ঃনিষ্কাশন সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে পাগলা, রায়েরবাজার, উত্তরা ও মিরপুরে আরও চারটি আধুনিক সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করা হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টটির সংস্কার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পাগলা সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি সম্পন্ন হলে ঢাকায় উৎপাদিত প্রায় ৪০ শতাংশ পয়ঃ শোধন করা যাবে।
৩ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬২ একর জমির উপর দাশেরকান্দি এসটিপি বাস্তবায়ন করা হয়। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে এসেছে ১ হাজার ১০৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা, ঢাকা ওয়াসা থেকে এসেছে ১০ কোটি টাকা এবং চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে এসেছে ২ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের ১ জুলাই চীনের অর্থায়নে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এক বছরের জন্য প্লান্টটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা করে এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাইড্রোচায়না করপোরেশন।
প্রকল্পের রূপরেখা অনুযায়ী, রামপুরা সেতুর পশ্চিম পাশে একটি বর্জ্য উত্তোলন স্টেশন, রামপুরা থেকে আফতাবনগর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ট্রাঙ্ক স্যুয়ার লাইন ও দশেরকান্দি প্লান্ট এবং দশেরকান্দিতে প্রধান শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত নৌঘাঁটি বিএনএস শের-ই-বাংলা এবং চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ)সহ আটটি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখার উপর আমাদের গুরুত্ব থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে; যাতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে হেলিকপ্টার ছাড়াও বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জাম সংগ্রহ ও নির্মাণের কাজ চলছে।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নৌ ঘাঁটি শের-ই-বাংলাদেশ এবং আটটি জাহাজের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় উল্লিখিত জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করার সক্ষমতা বাড়াতে এক সঙ্গে কাজ করা সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতিবিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে যে যতই বিচ্ছিন্ন বোধ করি না কেন, আমরা সবাই সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হতে পারি না যতক্ষণ না নিশ্চিত করি যে সবাই নিরাপদ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ ও লক্ষ্যমাত্রা-১৭ এ উল্লিখিত জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার এখনই সময়।’
তিনি আরও বলেন, এটি অর্জনের জন্য সব দেশের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পাওয়া এবং কেন্দ্রীভূত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কোভিড মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথমত, ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার জন্য বর্ধিত প্রস্তুতি এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে পদক্ষেপগুলো আরও সমন্বয় করা।
দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করা এবং ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের বোঝা মোকাবিলায় উন্নত অনুশীলন ভাগাভাগি করা।
তৃতীয়ত, জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যকে মূলধারায় আনার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং পানিতে ডুবে ও দুর্ঘটনার মতো মারাত্মক জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থত, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সম্মিলিত সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করা।
পঞ্চমত, এই অঞ্চলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারের লক্ষ্যে এসডিজি-৩ এর মাধ্যমে আমাদের অর্জনের মানদণ্ড হিসেবে মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একযোগে কাজ করি যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য প্রশাসন আগামী ৭৫ বছর এবং তার পরেও অর্থবহভাবে আমাদের সমগ্র মানবতার সেবা করা যায়। আসুন আমরা একে অপরকে সাহায্য করি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি।’
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
একসঙ্গে চার হাজার রোগীর চিকিৎসা দিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে আধুনিকায়নের জন্য সরকার নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালটিকে আরও বড়, আরও সুন্দর ও আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে একটি নতুন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা পরিকল্পনা তৈরি করেছি, যাতে একসঙ্গে চার হাজার রোগী সেখানে চিকিৎসা নিতে পারে।’
সোমবার ৭৮তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর তার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অনু্ঠানে।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যালামনাই ট্রাস্টের উদ্যোগে রাজধানীর শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'হাসপাতালের জন্য এই পরিকল্পনা যদি দ্রুত শুরু করা যায়, তাহলে স্বাস্থ্যসেবায় এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে।
চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় ব্যাপক মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণার সংখ্যা এখনও কম।
তিনি বলেন, ‘খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এখানে গবেষণা করেন। কিন্তু এই যুগে গবেষণা অপরিহার্য। গবেষণায় আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, তার সরকার চিকিৎসা গবেষণার সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। প্রয়োজন অনুযায়ী তহবিল সরবরাহ করা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিদেশি জ্ঞান প্রয়োগ করার আগে দেশকে জানুন: স্কলারদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
দেশীয় বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে দেশের শিক্ষা ও জ্ঞানকে গণমুখী ও টেকসই করতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য স্কলারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে প্রথমে দেশকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং অনুভব করতে হবে। এখান থেকে কিছু জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। অভিজ্ঞতা সম্পন্নরা যদি প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে অর্জিত জ্ঞান এবং উচ্চ শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের মধ্যে সমন্বয় করে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন তবে উন্নয়ন টেকসই হবে।’
‘এভাবেই দেশ এগিয়ে যেতে পারে।’
রবিবার বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য তার কার্যালয়ের শাপলা হলে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ-২০২৩-২৪ প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা সহ বিদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চতর পড়াশোনা করার জন্য বিভিন্ন সেক্টর থেকে ৪৮ জন স্কলার - ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো- ফেলোশিপ পেয়েছেন৷
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে সে অনুযায়ী কাজ করে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিটি সেক্টরে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি।
তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ফেলোদের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে তাদের জ্ঞানের বিকাশের সুযোগকে কাজে লাগাতে বলেন।
তিনি ফেলোদের দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশি মডেলের ওপর নির্ভর না করে তাদের নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা এবং চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করতে বলেছিলেন,
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের উন্নয়নে অন্যের মডেল থাকবে না... আমরা দেখব, অন্যকে জানব এবং এভাবে জ্ঞান অর্জন করব। কিন্তু আমাদের নিজেদের মেধা এবং চিন্তা ব্যবহার করতে হবে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বা বিবেচনার ক্ষেত্রে কোনটি। আমাদের জন্য অপরিহার্য।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের সময় দেশের ভৌগলিক অবস্থান, জলবায়ু, মানুষের মানসিকতা, তাদের সার্বিক অবস্থা এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ বিবেচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
২০১৮ সালে সিভিল সার্ভিস, একাডেমিয়া এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়েছিল।
ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে, প্রায় ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বের নামীদামী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তাদের উচ্চতর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশে রয়েছেন।
পিএইচডি-র বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব যোগ্যতায় বিশ্বের ১০০টি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আর স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য ফেলোশিপের ক্ষেত্রে একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই তাদের নিজ যোগ্যতায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি হতে হবে।
আরও পড়ুন: দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে: শেখ হাসিনা
একবার ভর্তি নিশ্চিত হয়ে গেলে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া।
স্বাগত বক্তব্য দেন জিআইইউ মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ।
দুই ফেলো-শিবলী ইসলাম ও আফিফা আঞ্জুমানের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব এ এম আলমগীর কবির ইতোমধ্যে এই বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করেছেন। যারা এই অনুষ্ঠানে তাদের অনুভূতি শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ীতে বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পের পানি কৃষকদের ব্যবহারের অনুমতি দিতে জাইকার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মাতারবাড়ীতে বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পের পানি কৃষকদের ব্যবহারের অনুমতি দিতে জাইকার প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে অপচয় করা সমুদ্রের পানি স্থানীয় কৃষকদের ব্যবহারের অনুমতি দিতে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতীয় সংসদ ভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, উদ্যোগের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হলি আর্টিজানের ঘটনায় প্রাণ হারানো জাপানি নাগরিকদের স্মরণ করেছে জাইকা
এ সময় প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী-মাতারবাড়ী ইন্টিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এমআইডিআই) উল্লেখ করেন এবং এ লক্ষ্যে একটি কর্তৃপক্ষ গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ইপিজেড সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেন, বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনো ঝামেলায় না পড়ে সেজন্য সেখানে ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট স্থাপন করা হবে।
শেখ হাসিনা জাইকার উদ্যোগে শাহবাগে শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের কথা বলেন এবং শিশুপার্কের কাছে এটি স্থাপন করা হবে বলে জানান।
বৈঠকের সময় জাইকার নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি মাতারবাড়ী, আড়াইহাজার ইপিজেড এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ তিনটি মেগা প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন।
প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে ইয়ামাদা জুনিচি বলেন যে গভীর সমুদ্রবন্দরে প্রবেশের রাস্তা এই বছরের শেষের দিকে খুলে দেওয়া হবে।
এছাড়া মাতারবাড়ী পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় আগামী বছরের শুরুতে চালু হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাইকা ও রাজউকের আয়োজনে টিওডি সেমিনারে ঢাকার ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়নের খসড়া উপস্থাপন
দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণতন্ত্র বজায় রাখতে হবে: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার আওয়ামী লীগ সরকার দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা চায়।
তিনি বলেন, আমরা চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকুক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া চলমান থাকায় আমরা দেশের উন্নয়ন করতে পেরেছি এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি।’
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন অফিস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক ধারা দীর্ঘ সংগ্রামের ফল এবং সকলকে মনে রাখতে হবে এটা রাতারাতি ঘটেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের পথে বারবার বাধার মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর এখন পর্যন্ত আমরা সরকারে রয়েছি। আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে পেরেছি। এর ফলে পুরো দেশ বদলে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র বিরাজ করায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।
অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে নিজেদের স্বতন্ত্রতা বজায় রেখে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটান: প্রধানমন্ত্রী
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অফিসের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নতুন অফিস কম্পাউন্ডে স্থানান্তর করা হবে।
এছাড়া আগামী অক্টোবরের মধ্যে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, কর্ম ও সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান স্পিকার।
এর আগে বিকালে ফিতা কেটে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের নবনির্মিত কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্পিকার, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ডেপুটি স্পিকার, চিফ হুইপ ও হুইপ, সংসদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী নবনির্মিত কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
নতুন কার্যালয় প্রাঙ্গণে পৌঁছালে স্পিকার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রমাণ দিয়েছে: ৫ সিটি মেয়রের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আমার লক্ষ্য: টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
চলতি বছরের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০২৩ সালের নভেম্বরে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংস্থাটির সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে, আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর পাশাপাশি ২৫ বছরের পুরনো সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উপায়গুলো নিয়ে মতামত বিনিময় করতে ১৭ জুলাই ব্যাংককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পশ্চাদপসরণ অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর এটি নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ হবে বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান এবং বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) পরবর্তী মহাসচিব হবে ভারত।
আরও পড়ুন: 'আপনি আর্জেন্টিনার জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন': এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে প্রধানমন্ত্রী
মাসুদ বলেন, ভারতের পরবর্তী চেয়ারের দাবির অগ্রাধিকার রয়েছে।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে বিমসটেক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মাও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ উল্লেখ করেন যে বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ বিমসটেকের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সব দিক দিয়ে সম্পর্ক গভীর করতে এবং এই আঞ্চলিক সংস্থার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমসটেক প্রক্রিয়ার একজন প্রবল সমর্থক, যা ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ পায়।
মাসুদ বিমসটেক সচিবালয়কে সম্ভাব্য সব উপায়ে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এমইএ-এর সচিব (পূর্ব) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলকে উদার আতিথেয়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন :কুয়েত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ
তিনি বিমসটেককে সবচেয়ে কার্যকর ও গতিশীল সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য ভারতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
উভয় পক্ষই বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে যৌথ শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বাস্তব অগ্রগতি অর্জনে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে।
উভয় পক্ষই বিমসটেক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং এটিকে একটি প্রাণবন্ত ও সফল সংগঠন করার উপায় ও পন্থা নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৈঠকের পর, পররাষ্ট্র সচিব ভারতীয় এমইএ-এর সচিব (পূর্ব) এর সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন। শুক্রবার সকালে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে বিমসটেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার ঢাকায় আসেন কুমার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ.টি.এম. ঢাকায় এস কুমারকে স্বাগত জানান রকিবুল হক।
আরও পড়ুন: ইউএন ফুড সিস্টেম সামিটে যোগ দিতে রোম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি ও অভিবাসন চুক্তির সম্ভাবনা
ইউএন ফুড সিস্টেম সামিটে যোগ দিতে রোম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী, জ্বালানি ও অভিবাসন চুক্তির সম্ভাবনা
দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এবং জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসের শেষের দিকে ইতালির রোমে যাওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৩ ইউএন ফুড সিস্টেম স্টকটেকিং মোমেন্ট ইতালির রোমে ২৪ থেকে ২৬ জুলাই জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
এটি রোম-ভিত্তিক জাতিসংঘ সংস্থা (এফএও, ইফাদ, ডব্লিউএফপি, ডব্লিউএফপি), ইউএন ফু সিস্টেমস কোঅর্ডিনেশন হাব এবং বৃহত্তর ইউএন সিস্টেমের সহযোগিতায় ইতালির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর রোমে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সফরকালে তার ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোমে ফুড সিস্টেম সামিটে বক্তব্য দেবেন এবং তার ইতালি সফরে জ্বালানি, অভিবাসন, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অর্ধ ডজন দ্বিপক্ষীয় নথি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নত বন্যা ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের নদী ড্রেজিংয়ে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
বাংলাদেশ এবং ইতালি নিয়মিত অভিবাসনকে উৎসাহিত করতে এবং অনিয়মিতদের প্রতিরোধ করার জন্য গতিশীলতা এবং অভিবাসনের বিষয়ে একটি সম্ভাব্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নিয়ে আলোচনা করছে।
‘আমরা অভিবাসন ইস্যুতে আমাদের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যেতে চাই। বিশেষ করে, অনিয়মিত একটি ঠেকানোর সঙ্গে সঙ্গে মাইগ্রেশনের জন্য বিদ্যমান আইনি চ্যানেল বা আইনি পথ তৈরি এবং বৃদ্ধি করা।
সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অনিয়মিত অভিবাসন, পাচার ইত্যাদি রোধে দুই দেশকে সহযোগিতা আরও গভীর করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত নুনজিয়াটা ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফরের সময় একটি বক্তব্যের কথা স্মরণ করেন- যে দেশের নাগরিকরা কাজের জন্য কোটা থেকে উপকৃত হতে পারে সেই দেশের তালিকায় বাংলাদেশের পুনঃপ্রবেশ।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, উভয়ের লাভের ভিত্তিতে সহযোগিতা এবং জ্ঞান হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। ‘সুতরাং এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত।’
আরও পড়ুন: জাতির সেবার মাধ্যমে অর্জিত মর্যাদা সমুন্নত রাখুন: সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠানের জন্য সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারকও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভাগ করে নৌবাহিনী বা কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ নির্মাণ শিল্পে সহযোগিতা করতে চান। ‘আমি বলতে চাচ্ছি যে বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণে এখনও সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি। একসঙ্গে আমরা জাহাজ নির্মাণের পাশাপাশি অন্যান্য খাতে এটিতে আরও বেশি কিছু করতে পারি।’
২০২১ ফুড সিস্টেম সামিটের ধারাবাহিকতায় ২০২৩ ইউএন ফুড সিস্টেম স্টকটেকিং মোমেন্ট আয়োজন। আগের শীর্ষ সম্মেলনের সময় নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রতিশ্রুতি পর্যালোচনা করার জন্য সাফল্যের গল্প এবং রূপান্তরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো ভাগ করে নিতে দেশগুলোর জন্য একটি অনুকূল স্থান তৈরি করবে। খাদ্য ব্যবস্থার সহনশীলতা আরও এগিয়ে নিতে সাহসী ত্বরণ এবং সাহসী পদক্ষেপের গতিবেগ, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাদের অভিযোজনের পক্ষে সমর্থন করা, তারা আরও ধাক্কা এবং সংকটের জন্য সম্প্রদায়ের সহনশীলতায় অবদান রাখে তা নিশ্চিত করে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনকে বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন: কুয়েত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ