%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
আসুন সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বলেছেন, ক্ষুধা, হৃদয়হীনতা, অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা ত্যাগের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা অর্থবহ হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির অর্থ বিসর্জন। ঈদুল আজহা অর্থবহ হয়ে ওঠে নীচতা, নির্দয়তা, অহংকার ও আত্মকেন্দ্রিকতা বিসর্জন দিয়ে।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
তিনি সকলকে ত্যাগের চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে মানবজাতির কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানান।
"তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঈদুল আজহার আনন্দ ভাগাভাগি করি।’
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
চীনের নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করতে আ.লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশের জনগণকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।
রবিবার সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদেরই প্রয়োজন।’
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা (আবার ক্ষমতায়)না এলে কে বাস্তবায়ন করতে পারবে? আমাকে এমন একজন ব্যক্তি দেখান যিনি এটি করতে সক্ষম হবেন। আমাকে এমন একজন লোক দেখান যে দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবে। আপনি যদি আমাকে এমন নেতৃত্ব দেখাতে পারেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।’
দেশের জনগণের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে বারবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নের পথে আনতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছে। আজ বেকারত্বের হার মাত্র ৩ শতাংশ।
গত ১ জুন সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতিবন্ধকতা, প্রতিরোধ ও সমালোচনার মধ্যেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ তার উন্নয়নের যাত্রায় অনেক এগিয়ে যেতে পারত।
তিনি অবশ্য বলেন, ভয়ের কিছু নেই, কারণ সময়ে সময়ে সমস্যা আসাটাই স্বাভাবিক।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমস্যা দেখে মন খারাপ করবেন না। বরং এর মুখোমুখি হতে হবে। আমরা অনেক কথা শুনি যে সরকার আজকে উৎখাত হবে এবং আগামীকাল অন্যান্য কিছু করা হবে।’
বাজেটের সমালোচকদের তিরস্কার করে তিনি বলেন, অনেকেই এই বাজেটকে উচ্চাভিলাষী বা অবাস্তবায়নযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন। ‘আমরা সবসময় এই ধরনের কথা শুনি।’
তিনি বলেন, কিছু লোক আছে যারা সবসময় নেতিবাচক মনোভাব দেখায় এবং তারা ইতিবাচক কিছুই দেখে না, যা দেশের জন্য সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমালোচকরা হয়তো কখনোই গ্রামীণ এলাকায় যাননি যেখানে শহরের তুলনায় দারিদ্র্যের হার অনেকাংশে কমেছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ জনগণের মধ্যে এমন কোনো দুর্ভোগ নেই।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে দেশে স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি যোগ করেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরের কারণে বিশ্বজুড়ে কঠিন সময়ের মধ্যে সরকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড বাজেট রাখতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতি যখন সংগ্রাম করছে, তখন আমরা এই বিশাল বাজেট দিতে পেরেছি।
বাজেট ঘাটতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রতি বছর বাজেট ঘাটতি ৫ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখে।
তিনি বলেন, ‘এবার বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হয়েছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।’
বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
আগামী ২০২৩-৩৪ অর্থবছরের মধ্যে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
সরকারি কর্মচারীরা বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে ৫ শতাংশ বেসিক পাবেন:
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি এই জরুরি সময়ে সরকারি কর্মচারীদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ বিশেষ বেতন হিসেবে দেওয়ার কথা বিবেচনা করুন। আশা করি অর্থমন্ত্রী বিষয়টি মেনে নেবেন। আমরা তাদের মূল বেতনের ৫ শতাংশ প্রদান করব। বিশেষ প্রণোদনা।’
প্রধানমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন খাতে তার সরকারের উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়: শেখ হাসিনা
আ. লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের আরও উন্নতি হবে।
গত ১৪ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার সরকারের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাপক পরিবর্তন এনেছি………আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে এই পরিবর্তন কখনোই হতো না। আওয়ামী লীগ (ক্ষমতায়) থাকলে জনগণের ভাগ্যের আরও পরিবর্তন হবে।’
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’কে ভোট দেওয়ার পর জনগণ পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।
বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য আ.লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবাইকে দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি এখন অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে জনগণ সুফল পায় এবং জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। এটি একটি প্রমাণিত সত্য’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জনগণের প্রতিটি মৌলিক চাহিদা- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা পূরণ করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য প্রতিষ্ঠিত। তাই জনগণের সেবা করাই এই দলের কাজ।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে: প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সরকার অনেক দূর এগিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের চূড়ান্ত মর্যাদা অর্জন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সাক্ষরতার হার বাড়াতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে’।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণের দুর্ভোগের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মানুষ এখন কঠিন সময় পার করছে। ‘আমরা জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য উন্মত্তভাবে চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী সমাজের বিত্তশালী অংশকে এই কঠিন সময়ে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জনগণের জীবনকে আরও উন্নত করতে তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কোন মানুষই অস্বাস্থ্যকরভাবে বাঁচবে না। আমরা সবাইকে একটি সুন্দর বাড়ি এবং একটি সুন্দর জীবন প্রদান করব। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই হবে অঙ্গীকার। আমরা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করব।’
আরও পড়ুন: সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর বহুমাত্রিক সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ ধ্বংস করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই তা সম্ভব।। কিন্তু যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে এবং বিএনপি-জামায়াতের মতো সন্ত্রাসী দল যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাস করে না তারা এ দেশকে ধ্বংস করে দেবে।’
আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
তার সরকারের অধীনে বিভিন্ন খাতে দেশের উন্নয়ন সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এ দেশ আরও উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ, একটি স্মার্ট জনসংখ্যা, একটি স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলব এবং দেশ এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের খাদ্য নিশ্চিত করেছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, প্রতিটি বাড়িকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করেছে, তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে, অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করেছে এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে।
তিনি বলেন, আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে এবং তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ওয়াইফাই সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং জনগণের হাতে এখন প্রযুক্তি ও মোবাইল ফোন রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার রাজা ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য শেখ হাসিনার আম উপহার
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯-২০২৩ সালে দেশের দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি আরও বলেন যে সাক্ষরতার হার বেড়েছে, মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে, শিশু মৃত্যুর হার কমেছে, গড় আয়ু বেড়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়নের অংশ হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে।’
কৃষি, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের জন্য অর্জিত মর্যাদা বজায় রেখে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে দেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা জনগণের কল্যাণে চিন্তা করে।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আসুন আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের অঙ্গীকার করি এবং দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
সরকারের পদক্ষেপে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কর্তৃক অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং রেমিট্যান্স আয়কে উৎসাহিত করার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ায় আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উন্নতি হতে পারে।
বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে নওগাঁর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং কোভিড-পরবর্তী চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়েছে, যা বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফলস্বরুপ, যদিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০২২ সালের আগস্টে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে পরবর্তীতে এই চাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে এটি হ্রাস পেতে শুরু করে।’
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান বজায় রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করলে রিজার্ভ হ্রাসের হার বাড়ে।
তিনি আরও বলেন, ‘৩১ মে এর সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে চার মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
লক্ষ্মীপুরের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ নূর উদ্দিন চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ খাতের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে তার সরকারের সাফল্য এখন সর্বজন স্বীকৃত ও প্রশংসিত।
তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ খাতে বিভিন্ন প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সেতু বিভাগ বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এর মধ্যে রয়েছে- ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা পূর্ব-পশ্চিম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, ঢাকা শহরে ২৫৮ কিলোমিটার সাবওয়ে নির্মাণ, ঢাকা শহরে ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা ইনার এলিভেটেড সার্কুলার রোড নির্মাণ এবং মেঘনা নদীর উপর প্রায় সোয়া ২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ। ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়ক।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে তৈরি কোস্ট গার্ডের অত্যাধুনিক ৫ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে: বরিশাল-ভোলা সড়কে তেঁতুলিয়া ও কলাবাদর নদীর ওপর প্রায় সাড়ে১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ; বরিশাল জেলার রহমতপুর-বাবুগঞ্জ-মুলাদী হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ সড়কে আড়িয়াল খা নদীর উপর ১ দশমিক ৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ।
চট্টগ্রাম থেকে আ.লীগের আরেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই জমি চাষের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর অব্যবহৃত জমি ইতোমধ্যেই চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
কৃষি খাতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, শাকসবজি ও ফলমূলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন বেড়েছে, ক্রমাগত বাড়ছে।
বিশ্বে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এছাড়া বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ২২টি কৃষিপণ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সরকার কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর বহুমাত্রিক সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর বহুমাত্রিক সম্পর্ককে ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড ও কাতার সফর শুধু এই দুই দেশের সঙ্গে নয় বরং আরও কয়েকটি বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ককে আরও বেগবান করবে।
বুধবার (২১ জুন) প্রধানমন্ত্রী গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করার আগে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, যা ২৩-২৫ মে কাতারে তার তিন দিনের সরকারি সফর এবং ১৩ জুন সুইজারল্যান্ডে চার দিনের সরকারি সফর সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেনেভায় অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে সুইজারল্যান্ড যান এবং এর আগে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ‘তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরাম: একটি নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’-এ যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী
তার সুইজারল্যান্ড সফরের সময়, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপো গ্র্যান্ডির সঙ্গে জেনেভায় ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন।
ওই দিন শেখ হাসিনা প্যালেস ডি নেশনস-এ সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেটের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বলেন, দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
একই দিনে, প্রধানমন্ত্রী প্যালাইস ডি নেশনস-এ ‘ওয়ার্ল্ড অফ ওয়ার্ক সামিট ২০২৩’ এর প্লেনারিতে তার ভাষণ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার সরকারের নেতৃত্বে শ্রম খাতের সংস্কারে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তুতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করেন।
শেখ হাসিনা মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন এবং একই স্থানে আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও মহাপরিচালকের সদর দপ্তরে আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয়ভাবে তৈরি কোস্ট গার্ডের অত্যাধুনিক ৫ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
১৫ জুন শেখ হাসিনা ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-ডব্লিউইএফ আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশে’ একটি ইভেন্টে ভাষণ দেন।
এছাড়াও, তিনি ডব্লিউইএফ অফিসে ডব্লিউইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। সন্ধ্যায় তিনি ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক ড. ওকোনজো-ইওয়ালা তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। একই দিন সন্ধ্যায় তিনি একটি কমিউনিটি সংবর্ধনাতেও যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ১৬ জুন সকালে ঢাকার উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেন এবং বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সহযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার কাতার সফরে তিনি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে তিন দিনব্যাপী কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেন।
এছাড়া তিনি সম্মেলনে যোগদানকারী রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সম্মানে আয়োজিত একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন।
শেখ হাসিনা তৃতীয় কাতার ইকোনমিক ফোরামের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে ভাষণ দেন এবং একটি মতবিনিময় অধিবেশনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের অগ্রগতি দেখিয়েছেন।
একই দিন প্রধানমন্ত্রী আমিরি দেওয়ানে গিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া র্যাফেলস টাওয়ারে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জেসিম আল থানি এবং দোহায় রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
শেখ হাসিনা দোহার কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে ভাষণ দেন।
এগুলো ছাড়াও কাতারের প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল-কাবি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন এবং একই স্থানে সৌদি বিনিয়োগ মন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহও তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: কোস্ট গার্ডকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এলএনজি সরবরাহকারী রাসগ্যাসের কাছ থেকে আরও এলএনজি সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সই করা পরবর্তী চুক্তির জন্য তার পার্শ্ব বৈঠকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়েছিল।
ঢাকার উদ্দেশে দোহা ছাড়ার আগে শেখ হাসিনা আওসাজ একাডেমি পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়ভাবে তৈরি কোস্ট গার্ডের অত্যাধুনিক ৫ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কমিশনিং করেছেন, যা সামুদ্রিক আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।
জাহাজগুলো হলো- 'বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা' ও 'বিসিজিএস জয় বাংলা' নামে দুটি টহল জাহাজ, 'বিসিজিটি প্রত্যয়' ও 'বিসিজিটি প্রমত্ত' নামে দুটি টাগবোট এবং 'বিসিজিএফসি শক্তি' নামে একটি ভাসমান ক্রেন।
প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের কোস্ট গার্ড পতেঙ্গা বার্থে জাহাজগুলোর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নারায়ণগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের তৈরি দুটি টহল জাহাজ এবং খুলনা শিপইয়ার্ড দুটি টাগবোট ও ভাসমান ক্রেনটি তৈরি করেছে।
নতুন জাহাজগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সেন্সর এবং নজরদারি রাডার সংযুক্ত রয়েছে। উপকূলীয় টহল জাহাজে তিনটি স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে, যা আমাদের নিজেদের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাহাজগুলোর নজরদারি ক্ষমতা ৯৬ নটিক্যাল মাইল এবং কামানের পরিসীমা চার কিলোমিটার। জাহাজগুলো এই পরিসীমার মধ্যে অন্যান্য জাহাজ, অপরাধী বা শত্রুদের মতো যে কোনো বিষয় শনাক্ত করতে সক্ষম এবং কামানগুলো কোস্ট গার্ডকে অপারেশনাল কার্যক্রম মসৃণভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ড সফর সম্পর্কে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন
ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণভাবে নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং এই নীতিকে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক জানিয়ে এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
সোমবার বিকালে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
ফোনালাপে সেমিহাল বাংলাদেশ ও ইউক্রেনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেন থেকে খাদ্য শস্যের নির্বিঘ্ন পরিবহনের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করে বলেন যে বাংলাদেশ চায় বিদ্যমান যুদ্ধ অতি দ্রুত অবসান হোক, যাতে পৃথিবীর ‘ব্রেড বাস্কেট’ খ্যাত ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য সহজেই খাদ্য ঘাটতির দেশগুলোতে পাঠানো যায়।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত রপ্তানি সুযোগ কাজে লাগান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে ‘কৃষ্ণ সাগর শস্য উদ্যোগ’-এর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান এবং এই উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি এই মহতী উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে; বিশেষ করে জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংগঠনে ইউক্রেনের পাশে থাকার জন্য অনুরোধ করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি অনুযায়ী সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি সমস্ত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিকে সমর্থন করেন এবং যা সকল ক্ষেত্রে সার্বজনীনভাবে পালিত হওয়া আবশ্যক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলমান যুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও শিশুদের মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরাও যুদ্ধ থেকে উঠে এসেছি। যুদ্ধ কোনো পক্ষের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে না। বাংলাদেশ শান্তির নীতিতে বিশ্বাসী।’
পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস সেমিহাল-এর সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং ইউক্রেনের জনগণের কল্যাণ প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানে মধ্যস্থতাকারী হতে পারে ভারত: ভারতীয় গণমাধ্যমকে মোমেন
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি
বাংলাদেশ বাইরের কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের কাছে বাংলাদেশ নতি স্বীকার করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা কারো হস্তক্ষেপে নতি স্বীকার করব না। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক বিশেষ দরবারে (সমাবেশ) ভাষণ দিচ্ছিলেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা একটি স্বাধীন জাতি। আমরা একটি যুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের দেশ অর্জন করেছি।’
বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথে বৈরিতা নয়’- নীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার প্রয়োজনীয় সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বারবার বাধা ও ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সফলভাবে এগুলো (বাধা) কাটিয়ে উঠেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি এখনও অনেক বাধা ও ষড়যন্ত্র চলছে। কারণ একটি দেশ যখন দ্রুত এগিয়ে যায়, তখন অনেকেই তা সহ্য করতে পারে না। তাই, তারা বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা শুরু করে।’
বিশ্ব মঞ্চে একটি স্বাধীন ও বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দেশের সকল মানুষকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।’
আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বিশেষ নজর দিতে বলেন।
আরও পড়ুন: জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের উন্নয়নের পথ খুলে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, যাতে এই প্রযুক্তিগুলো আমাদের দেশের মানুষের ক্ষতি করতে না পারে, যদি তারা এগুলো ব্যবহার করে।’
প্রযুক্তি অনেক শঙ্কা তৈরি করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমি মনে করি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের ধরন পাল্টে যাচ্ছে।'
প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য এসএসএফ সদস্যদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের সঠিক নেতৃত্ব, সঠিক নির্দেশিকা এবং পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার মাধ্যমে এসএসএফ দিনে দিনে উন্নতি করতে থাকবে।’
এসএসএফ প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা ব্যক্ত করেন যে বাহিনীটি শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও পেশাদার মানের দিক থেকে একটি আদর্শ নিরাপত্তা বাহিনীতে পরিণত হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান।
এসএসএফ এবং এর কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসএসএফ মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান কর্তৃক সংকলিত ও সম্পাদিত বঙ্গবন্ধুর ৭৫টি উদ্ধৃতির বাছাইকৃত ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর উক্তি’- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
১৯৮৬ সালের ১৫ জুন-এ রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী (পিএসএফ) গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে দেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পর ১৯৯১ সালে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) নামে নামকরণ করা হয়।
বাহিনীটি মূলত রাষ্ট্রপতি যেখানেই থাকুক না কেন এবং রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান বা সরকার কর্তৃক ভিআইপি হিসাবে ঘোষিত যেকোনো ব্যক্তি সহ ভিআইপি উভয়কেই 'শারীরিক নিরাপত্তা' প্রদানের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল।
সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের পরে থেকে এই বাহিসীর মূলকাজ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য ভিআইপিদের সুরক্ষা দেওয়া।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রীদের চমকে দিয়েছেন।
জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে তিনি বিমানটির ভেতরে ঘুরে দেখেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
যাত্রীতে পরিপূর্ণ বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিতে প্রধানমন্ত্রী যখন তাদের সিটের কাছে যান এবং কুশল বিনিময় করেন, তখন সবাই একদিনে বিস্ময় ও অন্যদিকে আনন্দ অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ফ্লাইটে আসনের পাশেই তাদের (যাত্রী) প্রধানমন্ত্রীকে দেখে অনেকেই অবাক ও বিস্মিত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা যাত্রীদের ছবি তোলার অনুরোধ গ্রহণ করেন।
তিনি খুব স্নেহ নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেশ কয়েকজনকে তার কোলেও নেন।
যাত্রীদের কেউ কেউ গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী