%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সোমবার (লন্ডন সময়) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রস্তাব টনি ব্লেয়ারের
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে সোমবার দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১১টা ২৫ মিনিটে) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সরকারি সফরে লন্ডন পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৪৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৪টা ৪৯ মিনিট) হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সফর শেষে পাঁচ দিনের সফরে লন্ডনে যান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
লন্ডনে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
৬ মে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে এটি অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজা, যিনি রানি কনসোর্টের সঙ্গে মুকুট পরবেন। তিনি ১০৬৬ সাল থেকে সেখানে মুকুট পরা ৪০তম রাজা হবেন।
৫ মে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রানি কনসোর্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে পারেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, লন্ডন পল মল-এ কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মার্লবোরো হাউসের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক কক্ষে দুই নেতা আলোচনা করতে পারেন।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর দায়িত্ব গ্রহণের পর এটাই হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিটিশ এই নেতার প্রথম বৈঠক।
তিন দেশের সরকারি সফরের তৃতীয় ও শেষ ধাপে শেখ হাসিনা লন্ডনে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে সফর করেছেন।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন পল মল-এ কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মার্লবোরো হাউসে কমনওয়েলথ নেতাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সম্পৃক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর উন্মুক্ততার প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
তিনি ডেলিগেট লাউঞ্জে কমনওয়েলথ প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং মার্লবোরো হাউসের গার্ডেনে কমনওয়েলথ যৌথ পারিবারিক ফটোসেশনে যোগ দেবেন।
রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট ও কমনওয়েলথ চেয়ার ইন অফিস পল কাগামে'র সভাপতিত্বে মূল সম্মেলন কক্ষে কমনওয়েলথ নেতৃবৃন্দের রুদ্ধদ্বার আলোচনায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যায় তিনি রাজা ও রানি কনসোর্টের রাজ্যাভিষেকের আগাম বাকিংহাম প্যালেসে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার ও বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য রাজার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে অধ্যাপক পায়াম আখাভান ক্লারিজের হোটেলের দ্বিপক্ষীয় কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আখাভান আন্তর্জাতিক আইনের অধ্যাপক এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাসি কলেজের সিনিয়র ফেলো, স্থায়ী সালিশি আদালতের সদস্য এবং প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অফিসের প্রাক্তন আইনি উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে দেখা করার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপি-জামায়াত বিক্ষোভকারীদের: কর্তৃপক্ষ
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হোটেলে দেখা করার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান বিএনপি-জামায়াত বিক্ষোভকারীদের: কর্তৃপক্ষ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন রিজ কার্লটন হোটেলের বাইরে ঠাণ্ডা ও বৃষ্টির মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের একদল সমর্থককে বিক্ষোভ করতে দেখেন, তখন তিনি তাদেরকে তাদের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য ভেতরে আসার আমন্ত্রণ জানান।
কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তার আমন্ত্রণ গ্রহণ না করে স্থান ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন হোটেল রিজ কার্লটনে নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দিতে যান, তখন তিনি দেখতে পান যে হোটেলের সামনে বিএনপি-জামায়াতের কিছু সমর্থক বিক্ষোভ করছে। প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে পান এবং সেই সময় বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল ও প্রচণ্ড ঠান্ডা ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু তারা (বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা) ঠাণ্ডায় বাইরে বিক্ষোভ করছে, তাই তাদের প্রতিনিধিদের ঢুকতে দিন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসন্ত্রাসী, খুনিরা যেন আর ক্ষমতা দখল না করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘তারা যা চায় তা বলার জন্য তাদের এখানে আসতে দিন।’
পরে প্রধানমন্ত্রী তার একান্ত সচিব-২ আল মামুন মুর্শেদ এবং বাংলাদেশ মিশনের একজন কর্মকর্তাকে তাদের হোটেলে নিয়ে আসতে বলেন।
নজরুল আরও বলেন, ‘কিন্তু এখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা প্রথমে হোটেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তাদের অনুমতি দিতে অস্বীকার করেন। পরে কর্মকর্তারা তাদের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নেন।’
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে তাদের কথা শুনতে চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: দণ্ডিত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসী, খুনিরা যেন আর ক্ষমতা দখল না করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি ও জামায়াতকে অগ্নিসন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে তাদের পুনরায় ক্ষমতায় আসতে না দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী বিএনপি-জামায়াত জোট, খুনি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীরা যেন এ দেশে (বাংলাদেশে) আর ক্ষমতায় আসতে না পারে।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রে রিজ কার্লটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: দণ্ডিত তারেক রহমানকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকারের ওপর নির্ভর করছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট তাদের শাসনামলে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, তার আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশকে 'উন্নয়নের মহাসড়কে' নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতার উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার দেশ হিসেবে গড়ে তোলা হবে এবং এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে তারা (বিএনপি-জামায়াত) আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। দয়া করে তাদের প্রচারণায় কান দেবেন না।’
আরও পড়ুন: পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে ডিএসএ অনেক ভালো: প্রধানমন্ত্রী
বহিরাগত চাপে পদ্মা সেতু থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক: ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থে নির্মিত আইকনিক পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক দশমিক দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ বাতিলের জন্য বহিরাগত চাপকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি দুঃখিত যে বহিরাগত চাপের কারণে বিশ্বব্যাংক এরূপ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে (পদ্মা বহুমুখী সেতু) অর্থায়ন থেকে সরে এসেছে।
সোমবার বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের শিহাতা সম্মেলন কক্ষে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ডের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা অবশ্য বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আমাদের অংশীদারিত্বের ভবিষ্যত দেখতে চাই।’
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী এখন যুক্তরাষ্ট্রে সপ্তাহব্যাপী সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসিতে রয়েছেন।
২০১২ সালে ব্যাংকের প্রতিশ্রুত ঋণ বাতিল করা হলেও, হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেতুটি স্ব-অর্থায়নে এগিয়ে যায় এবং গত বছরের ২৫ জুন এটি উদ্বোধন করে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে তার দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়ন অর্থায়নের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি মনোযোগী থাকতে বলেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাংক এখন বাংলাদেশে ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ৫৩টি বিভিন্ন প্রকল্পে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক বহুপক্ষীয় ঋণদাতা দ্বারা এ পর্যন্ত দেওয়া ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান এবং ঋণের অংশ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং শোষণ ক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ তার ঋণ পরিশোধে কখনোই খেলাপি হয়নি, বা তথাকথিত 'ঋণের ফাঁদে' পড়েনি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো মেগা-প্রকল্পে আমাদের বিনিয়োগে’ মানুষের পুঁজি গঠনে বাংলাদেশের শক্তিশালী পারফরম্যান্স মিলেছে।
তিনি গর্ব করে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সংস্থান দিয়ে ছয় দশমিক এক কিলোমিটার পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ আমাদের অর্থনৈতিক পরিপক্কতার লক্ষণ।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে কারণ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার মাধ্যমে জনগণের কাছে তার কথা রেখেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হওয়ার পরবর্তী লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন,‘আমি বিশ্বব্যাংকের মতো আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের আমাদের ডিজিটাল এবং ভৌত অবকাঠামোতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাণিজ্য বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ প্রচার এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন চাই।’
তিনি উল্লেখ করেন যে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান সহায়তা বাড়িয়েছে যখন তাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি দেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন,‘আমরা ভাসানচর দ্বীপে তাদের এক লাখের জন্য চমৎকার সুযোগ-সুবিধা তৈরি করেছি। মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবর্তন মুলতুবি থাকা, আমরা আশা করি বিশ্বব্যাংক তাদের মানবিক প্রয়োজনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।’
বিশ্ব যেন এই অসহায় মানুষদেরকে আর ভুলে না যায়, পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দেখিয়েছে যে তারা তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারে। ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের তরুণরা সঠিক রাজনৈতিক পরিবেশে আমাদের জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা জাতির সম্প্রদায়ের একজন দায়িত্বশীল এবং অবদানকারী সদস্য হিসাবে আমাদের ভূমিকা আরও প্রসারিত করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’ এই বৈদেশিক নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক কূটনীতি অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি যে আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা আমাদের অগ্রযাত্রার ইতিবাচক দিকগুলোতে মনোনিবেশ করবে এবং সামনে একটি প্রতিশ্রুতিশীল উন্নয়ন যাত্রায় আমাদের সাথে যোগ দেবে।’
হাসিনা বিশ্বব্যাংককে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বলেছেন কারণ বিশ্ব এই বছর ভূ-অর্থনীতিতে কিছু বড় পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছে যার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম সক্রিয় ব-দ্বীপ। এটি ইন্দো-প্যাসিফিক নামে পরিচিত এর কেন্দ্রস্থলে একটি অবস্থান।
‘আমরা এখন ৪৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি সহ বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং একটি উদীয়মান বৃদ্ধির চালিকাশক্তি। আমরা তিনটি মানদণ্ডে যোগ্যতা অর্জন করে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মর্যাদা থেকে উন্নীত হয়েছি।’
তিনি উল্লেখ করেছেন যে ২০২২ সালে, প্রধান গণনা দারিদ্র্য ১৮ দশমিক সাত শতাংশে নেমে এসেছে, চরম দারিদ্র্যের তীব্র হ্রাস পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশে নেমে এসেছে।
কোভিড-১৯ মহামারি, ইউরোপে যুদ্ধ এবং গভীরতর জলবায়ু সংকটের কারণে সৃষ্ট বহু-মাত্রিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এই সব ঘটেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো এর সহনশীলতা। ১৯৭১ সালে একটি গণহত্যার পরে স্বাধীনতা অর্জন করে এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি নিয়ে।
‘আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকও সাড়া দিয়েছে এবং এইভাবে আমাদের অংশীদারিত্ব শুরু করেছে,’ তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি স্মরণ করেন যে উন্নয়ন যাত্রা মসৃণ থেকে অনেক দূরে ছিল। বাংলাদেশ বারবার সামরিক শাসকের দখল, চরমপন্থী হুমকি এবং মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছে। গত দেড় দশকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে জাতি অবশেষে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিন দেশ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন সময় বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় অনুসারে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৫ মিনিট) ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা এর আগে শুক্রবার বিকালে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ২৫ এপ্রিল থেকে জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করে টোকিও ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও সমর্থন বাড়ান: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে দেশটিতে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তারা আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন।
এরপর ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুজান পি ক্লার্ক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
একই দিন তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়ালের আমন্ত্রণে মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের নির্বাহী গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং মূল বক্তব্য পেশ করবেন।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী দ্য ইকোনমিস্টকে সাক্ষাৎকার দেবেন।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
পরে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
তিনি বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এর আগে ৫ মে সকালে তিনি বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রানি কনসোর্টের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
একই দিনে কমনওয়েলথ মহাসচিবের আয়োজনে মার্লবরো হাউসে রাজার উপস্থিতিতে কমনওয়েলথ লিডারস ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। এসব অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
প্রায় ১৩০টি দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা (বেশিরভাগ কমনওয়েলথ দেশের সরকার প্রধানসহ) ৭০ বছর পর যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের একটি হোটেলে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রী ৯ মে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের দ্বিতীয় ধাপে শুক্রবার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার জাপানে তার চার দিনের সরকারি সফর শেষ করেছেন। তিনি জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে ২৫ এপ্রিল টোকিও এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ একাই গণতন্ত্র চর্চা করে ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন করে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শুক্রবার জাপান সময় বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১২টা ৫৫ মিনিট) হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করে।
ফ্লাইটটি ওয়াশিংটনের সময় বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ওয়াশিংটনের ডুলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
শেখ হাসিনা ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড আর ম্যালপাস তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরে আগামী ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে 'রিফ্লেকশন অন ৫০ ইয়ারস অব বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশিপ' শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বক্তৃতা করবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং বিগত পাঁচ দশকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম তুলে ধরা হবে।
এছাড়া 'বাংলাদেশ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৫০ ইয়ারস অব পার্টনারশিপ' শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।
একই দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ৯ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান মধ্যস্থতা করতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করতে পারে।
জাপানের সর্ববৃহৎ ইংরেজি দৈনিক দ্য জাপান টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘এখন তারা (রোহিঙ্গারা) বাংলাদেশ ও পুরো অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠছে। জাপান মধ্যস্থতা করতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে সহায়তা করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের জাপান সফরকালে গত ২৫ এপ্রিল 'জাপান হোল্ডস আ স্পেশাল প্লেস ইন আওয়ার হার্টস' শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে জাপান টাইমস।
শেখ হাসিনা বলেন, গণহত্যার মুখে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ছয় বছরে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ নাগরিকের যত্ন নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রাপ্য উপস্থিতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।’
তার সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেশ, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আমি আবার টোকিওতে এসেছি, যখন আমাদের দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। আমি সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি বাংলাদেশের মহান বন্ধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকেও শ্রদ্ধা জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান অন্যতম। এমনকি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও জাপান প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করেছিল, যা আমরা কখনও ভুলিনি এবং কখনও ভুলব না।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুল শিক্ষার্থীদের দাতব্য উদ্যোগ, যারা তাদের টিফিনের অর্থ সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ও আমাদের দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করার জন্য দান করেছিল। তারপর থেকে জাপান আমাদের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাপান আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ, ঠিক যেমন এটি আমার পরিবার ও আমাদের জনগণের জন্য। আমার বোন শেখ রেহানা ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আমাদের বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের কনিষ্ঠ ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে জাপানে তাদের প্রথম সফরে গিয়েছিলেন। আমার বাবা জাপানের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং দেশটিকে একটি মডেল হিসেবে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, জাপানি পতাকার নকশায় বঙ্গবন্ধুও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। উভয় পতাকাই আয়তক্ষেত্রাকার ও মাঝখানে লাল বৃত্ত, এর চারিদিকে বাংলাদেশের পতাকায় রয়েছে সবুজ ও জাপানের পতাকায় সাদা রঙ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ এর উন্নয়নের জন্য অবিচল সমর্থন পেয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে জাপানের কাছ থেকে সর্বাধিক সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওডিএ ঋণ প্যাকেজে জাপান বাংলাদেশকে দুই দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার সফট লোন দিয়েছে, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী