%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
মিরপুর-কালশী ফ্লাইওভার রবিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও বিমানবন্দরে যানবাহন চলাচল সহজ হবে।
এদিন সকাল ১০টায় রাজধানীর বালুর মঠ সংলগ্ন কালশী মোড়ে একটি অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
দুই হাজার ৩৩৫ মিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কয়ার থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে কালশী সার্কেল ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্প ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারে একনেকে অনুমোদন পায়।
এটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী পর্যন্ত তিন দশমিক ৭০ কিলোমিটার রাস্তা প্রশস্ত করেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) প্রায় এক হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।
প্রকল্পের তথানুযায়ী, ফ্লাইওভারটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ওয়াই’-এর মতো।
যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এর আগে চার লেনের রাস্তাগুলোকে ছয় লেনে প্রশস্ত করা হয়েছে।
প্রধান চার লেনের ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী এবং মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে সংযু্ক্ত হয়েছে এবং একটি দুই লেনের র্যাম্প কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত নেমেছে।
আরও পড়ুন: সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের মধ্যে একটি পিসি গার্ডার ব্রিজ সম্প্রসারণ, দুটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি সাত দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন এবং প্রসস্ত ড্রেন, একটি একহাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, তিন হজার ৩৮৩ মিটার যোগাযোগ নালা, ৮ লাখ-লিনিয়ার মিটার বালির কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন এবং ছয়টি বাস বে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
প্রধানমন্ত্রীর কোনো টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম. এম ইমরুল কায়েস ইউএনবিকে বলেছেন, এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট হিসাবে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, যা মোটেও সত্য নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
তাই এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বীর নিবাস: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে: মার্কিন কর্মকর্তাকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে, কারণ তিনি গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ এবং নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে-এর নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারা বিভ্রান্ত তাদের বাংলাদেশের ইতিহাস পড়া উচিত’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জনগণ যদি আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, তাহলে তার দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। ভোট কারচুপির মাধ্যমে আমি কখনোই ক্ষমতায় আসতে চাই না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটাধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। প্রথম নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন আইন সংসদে পাস হয় এবং তারপর আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে জাপানি রাষ্ট্রদূতের মন্তব্য ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’: পুলিশ সংগঠন
বীর নিবাস: অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ৫ হাজার বাড়ির চাবি তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিকভাবে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’-এর চাবি হস্তান্তর করেছেন।
বুধবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে পাঁচ হাজার বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িগুলো দেয়া হচ্ছে।
গত বছরের ২১ মার্চ একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদিত 'অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ' শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি তহবিল থেকে চার হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা ও সন্তানদের জন্য ৩০ হাজার 'বীর নিবাস' নির্মাণ করা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, বঙ্গভবনে বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
'বীর নিবাস' নামে পরিচিত প্রতিটি ৬৩৫ বর্গফুট বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, দুটি শৌচাগার, একটি খাবার ঘর ও একটি রান্নাঘর রয়েছে।
এই প্রকল্পটি আর্থিকভাবে প্রান্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ এলাকায় চাবি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন ডায়াবেটিক সমিতির নেতারা
সমু্দ্র অর্থনীতি ও নিরাপত্তা জোরদারে কোস্টগার্ড আরও শক্তিশালী হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রূপকল্প ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১-এর আধুনিকীকরণ পরিকল্পনা অনুযায়ী সমুদ্রে নীল অর্থনীতি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোস্টগার্ডের জন্য জাহাজ, সরঞ্জাম ও জনবল বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্রে টহল দেয়ার জন্য আরও চারটি ওপিভি, ৯টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ, দুটি মেরিটাইম সংস্করণ হেলিকপ্টার সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব শিগগিরই এই বাহিনীতে উন্নত প্রযুক্তির জাহাজ, মেরিটাইম সার্ভিলেন্স সিস্টেম, হোভারক্রাফট এবং হাইস্পিড বোট যুক্ত হতে যাচ্ছে।
তিনি উল্লেখ করেন, গভীর সাগরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সঙ্গে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপনেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কোস্টগার্ডকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে দেশের উপকূলীয় ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোস্টগার্ড স্টেশন ও ফাঁড়িতে কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন আকারের জাহাজ তৈরি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কোস্টগার্ড এলাকায় আবাসন, ব্যারাক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
বিসিজি বেস অগ্রযাত্রা' নামে পটুয়াখালীতে নিজস্ব প্রশিক্ষণ ঘাঁটি স্থাপনের মাধ্যমে কোস্টগার্ডের জনবলের প্রশিক্ষণ সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের জন্য অভ্যন্তরীণ টহল জাহাজ, ভাসমান ক্রেন, টাগ বোট এবং বিভিন্ন ধরনের হাইস্পিড বোট তৈরি করা হয়েছে।
‘সম্প্রতি বাহিনীটির জন্য যুদ্ধের ইউনিফর্ম চালু করা হয়েছে, যা আমার বিশ্বাস সকল সদস্যদের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, এই বাহিনীর মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতা বাড়াতে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ায় একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলসীমায় সামুদ্রিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোস্টগার্ড বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এই বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘গার্ডিয়ানস অ্যাট দ্য সি’। এর অর্থ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ইতোমধ্যে দেশের উপকূলীয় এলাকার নিরীহ-নিপীড়িত মানুষের কাছে অন্যায় ও অপকর্ম প্রতিরোধ করে নিজেদেরকে প্রকৃত বন্ধু হিসেবে দেখিয়েছে।
তিনি বলেন, এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্য এখন দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিষ্ঠ।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ঝুঁকির মধ্যেই কোস্টগার্ড সদস্যরা দেশের স্বার্থে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, এই বাহিনী সমুদ্র বন্দরের নিরাপত্তা, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচার, অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা, সমুদ্র ও নদী দূষণ ও জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কোস্টগার্ড সদস্যদের সাহসিকতা ও বিশেষ কৃতিত্বের জন্য পদক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
তিনি বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
আরও পড়ুন: আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন: আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনসার ও ভিডিপি’র সদস্যদেরকে বলেছেন, গ্রামের মানুষকে চাষাবাদের কাজে সাহায্য করুন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির ৪৩তম জাতীয় সম্মেলন-২০২৩-এ প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না এবং উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ, এ দেশ আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাবে না… আমাদের দেশ হবে 'স্মার্ট বাংলাদেশ'। আমরা ‘সোনার বাংলা'পাব।’
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
তিনি আরও বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে এবং আমরা আরও এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ কারও কাছে ভিক্ষা চাইবে না। করোনা মহামারি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনীতির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কেবল বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী মন্দা সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি সবাইকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি… আবাদি জমির এক ইঞ্চিও অব্যবহৃত রাখবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে জন্য আনসার ও ভিডিপি বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তারা গ্রামের লোকদের সাহায্য করতে পারে এবং তাদের ফসল উৎপাদন ও সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন চাষাবাদের কাজে নিযুক্ত করতে পারে। আমি আশা করি আপনারা অবদান রাখবেন।’
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান এবং বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ১৮০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু ফেডারেশন কাপ হ্যান্ডবল: টিম হ্যান্ডবল ঢাকাকে হারাল আনসার ও ভিডিপি
আরও বেশি সংখ্যক নারীকে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিন: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আরও বেশি সংখ্যক নারী ও মেয়েদের বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা লাভের সুযোগ দিতে সবার মানসিকতা পরিবর্তনে এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি দুর্ভাগ্যজনক যে বিশ্বব্যাপী মাত্র ১২ শতাংশ নারী বিজ্ঞানী এবং ২০ শতাংশ নারী গবেষকদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমাদের অবশ্যই মানসিকতা এবং শিক্ষার পরিবেশের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য কাজ করতে হবে, যাতে আরও বেশি নারী ও মেয়েরা বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান সমাবেশে অষ্টম আন্তর্জাতিক নারী ও বালিকা দিবসে প্রদর্শিত এক ভিডিও বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সেই নারী ও মেয়েদের নিয়ে গৌরব করি যারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
শেখ হাসিনা নারী ও মেয়েদের নিজেদের পরিবর্তনের এজেন্ট হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘ নারী ও মেয়েদের মনে রাখতে হবে যে তারা একা নন। তারা যে পদক্ষেপগুলো নেয়, তা তাদের সারা বিশ্বের বোনদের জন্য আরও দুয়ার (সুযোগ) উন্মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’
তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নে তার সরকারের পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের নারী ও মেয়েদের নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টিকে আমি অগ্রাধিকার দিয়েছি। গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের নারীরা খুব ভালো করছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি- সব ক্ষেত্রে গবেষণা করার জন্য মেয়েদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের উত্সাহিত করার জন্য সারা বাংলাদেশে ৫ হাজার ২৭৫টি ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ছেলে ও মেয়েদের জন্য সারা দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। হাই-টেক পার্কগুলো একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করেছে, যেখানে দেশের ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরাও উন্নতি করতে পারে।
শেখ হাসিনা বিজ্ঞানের উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতার সম্ভাবনাপূর্ণ নারী ও মেয়েদের দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তাদের জন্য থাকা সুযোগের অসামঞ্জস্যতাগুলো অবশ্যই আমাদের পূরণ করতে হবে। আমরা চাই আমাদের মেয়েরা স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে অংশগ্রহণ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী এই আন্তর্জাতিক নারী ও কন্যাশিশু দিবসে সকল নারী ও মেয়েদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রয়্যাল একাডেমি অব সায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট (আরএএসআইটি) এবং সহ-সংগঠক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বিজ্ঞানে নারী ও মেয়েদের আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করেছে।
এবারের সমাবেশের প্রতিপাদ্য হল- ‘ইনোভেট. ডিমোন্সস্ট্রেট. এলেভেট. এডভান্স. (আই.ডি.ই.এ.) টু ব্রিং কমিউনিটিস ফরওয়ার্ড ফর সাসটেইনেবল এন্ড ইকুইটেবল ডেভেলপমেন্ট।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারের দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
অনির্বাচিত সরকারকে যারা ক্ষমতায় আনার স্বপ্ন দেখছেন তাদের এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যারা অনির্বাচিত সরকারের স্বপ্ন দেখছেন, দয়া করে এই দুঃস্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা জীবনে কখনই ঘটবে না।’
বৃহস্পতিবার বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা তার সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু লোক বলছে যে একটি অনির্বাচিত সরকার যদি দুই থেকে তিন বছর ধরে দেশ চালায় তবে কোনও ক্ষতি হবে না এবং এটি মহাভারতকে অশুদ্ধ করবে না।
যারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা কি আসলেই এদেশের মানুষের কল্যাণ চান? তারা ব্যক্তিগত লাভকে অগ্রাধিকার দেয়। সুতরাং, দেশের জনগণকে তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু জাতির পরিবর্তন তাদের নজরে আসে না। এটিকে দুর্ভাগ্যজনক,’ বলে আখ্যা দেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনগণকে হয়রানি না করে কর দিতে উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী
‘এখন তারা অনির্বাচিত সরকার আনতে চায়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের ধ্বংস প্রত্যক্ষ করেছে, দেশের উৎপাদন ব্যাহত করেছে এবং অতীতে অনির্বাচিত সরকারের আমলে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা কি দেশের মানুষকে আবারও ভীতিকর পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। জনগণের ভাগ্য আবারও অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিতে চায়?
২০২৩ বর্ষপঞ্জির আলোকে বছরের প্রথম অধিবেশন ২৫টি বৈঠকের পর মূলতবি করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাষ্ট্রপতির মূলতবির আদেশ পাঠ করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া নববর্ষের প্রথম অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার ভাষণ দেন।
পরে, সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর ৪০ ঘন্টা ২৭ মিনিট আলোচনার পরে, রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে নবনির্মিত ৩ রেললাইনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রূপপুর, শশীদল ও জয়দেবপুর রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সহজ করতে নবনির্মিত তিনটি রেললাইনে একযোগে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ৬৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার লাইনের উদ্বোধন করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৩৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রূপপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণ করেছে।
নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের এপ্রিলে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মালামাল পরিবহনের জন্য এটি একটি ডেডিকেটেড রেললাইন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রকল্পের অংশ হিসেবে, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে একটি নতুন রেল স্টেশন নির্মিত হয়। এছাড়া ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন থেকে রূপপুর প্লান্ট পর্যন্ত সাইডিং ও লুপ লাইনসহ ২৬ দশমিক ৫২ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।
টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনটি ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রুটে ট্রেনের ট্রিপের সংখ্যা বাড়াতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবে। যা বাংলাদেশ রেলওয়ের সমগ্র পশ্চিম জোনকে সংযুক্ত করে।
ভারতের অর্থায়নে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দ্বিতীয় লাইনটি নির্মাণ করা হয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের সেকশনগুলো হলো কাশবা থেকে মান্দাবাগ এবং শশীদল থেকে রাজাপুর।
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষতা উন্নয়ন, বিশেষ করে আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ কর: এইচএসসির ফল প্রকাশকালে শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার বেলজিয়ামের রানী ম্যাথিল্ড মেরি ক্রিস্টিন তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘের এসডিজি’র ২০২১-২০২৩ সালের পরিকল্পনায় সংযুক্ত ম্যাথিল্ডকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০২১ থেকে ২০৪১ সালের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০৩০ এর বৈশ্বিক পরিকল্পনা ও এসডিজি’র লক্ষ্যগুলো দেশের বর্তমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।
বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, নারীর ক্ষমতায়ন, মেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত’
যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সারা বিশ্বে অস্থিতিশীলতা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি করেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।’
সফররত বেলজিয়ামের রানী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে অর্জিত বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ করে শিক্ষায় নারী ও শিশুদের উন্নয়নের প্রশংসা করেন তিনি।
ম্যাথিল্ড বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখে তিনি খুবই খুশি।
রাজনীতি, প্রতিরক্ষা ও বিচার বিভাগ নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নারীর কর্মসংস্থান এবং ক্ষতিগ্রস্ত নারী- বয়স্ক নারী, বিধবা এবং বিয়ে বিচ্ছেদ হওয়া নারীদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় আনার বিষয়ে তার সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে রানীকে অবহিত করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুরা মূলত সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে। ক্লিনিক থেকে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্য দেয়া হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হাজার হাজার গর্ভবতী মহিলার জন্য মাঠ হাসপাতাল স্থাপন করেছে যারা প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার থেকে ভাষানচর দ্বীপে স্থানান্তর করে তাদের জন্য উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগে হতাহতের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও টেকসই ঘর নির্মাণ করেছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য সারা দেশে ৮৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বাংলাদেশকে অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, সবুজ এলাকা তৈরি, বাঁধ নির্মাণ এবং উপকূলীয় এলাকায় টেকসই বাড়ি নির্মাণ।
বৈঠকে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম উপস্থিত ছিলেন।
বেলজিয়ামের রানী জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) প্রবক্তা হিসেবে তিন দিনের কার্যনির্বাহী সফরে সোমবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।
রানী সোমবার ঢাকার ইউনিসেফ স্কুল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন এবং মঙ্গলবার কক্সবাজারের কুতুপালং-এ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন, যেখানে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন রবিবার
বিরোধীরা আমার ব্যর্থতা খুঁজে পেলে সংশোধন করব: সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা