%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F
প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সাধারণ সভা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নিয়মিত সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্টের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন ও এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বৈঠকে ট্রাস্টের সদস্য নুর-ই-আলম চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
‘মেড ইন বাংলাদেশ সপ্তাহ ২০২২’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
চলমান অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করুন: সচিবদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিবদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান প্রকল্পগুলোর মূল্যায়ন এবং যা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে শেষ করা যেতে পারে তা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ করতে পারলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে।
প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সচিব কমিটির বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উন্নত দেশগুলোও যুদ্ধের কারণে সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
এই পটভূমিতে তিনি কঠোরতা এবং মিতব্যয়িতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী পাঁচ-ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে এবং বাংলাদেশ কোনও সংকটের সম্মুখীন হবে না।
শেখ হাসিনা অবশ্য বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট বিবেচনা করে রপ্তানি বহুমুখীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে, সেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব দরজায় কড়া নাড়ছে এবং বিপুল সংখ্যক যুবক এখন কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে এবং তাদের সম্ভাবনা ও সামর্থ্যকে কাজে লাগাতে হবে।
এক-চতুর্থাংশ ব্যক্তি স্বার্থে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সচিবদের সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে সর্বশেষ তথ্য আপলোড করতে বলেন, যাতে প্রত্যেকে সত্য তথ্য জানতে পারে।
তিনি বলেন, যোগাযোগের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, খাদ্য উৎপাদনসহ বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের বড় সাফল্যের গল্প রয়েছে।
তিনি দেশের নিজস্ব সম্পদে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা তুলে ধরে বলেন, এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মনোবল বাড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, জাতিসংঘের এসডিজি এবং ২০২১-২০৪১ পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দীর্ঘস্থায়ী বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশ যাতে দুর্ভিক্ষের শিকার না হয় সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে সচিবদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বেশ কয়েকটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের পরামর্শ দেন। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ব্যয়ে মিতব্যয়ী হওয়া, অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা এবং প্রতি ইঞ্চি পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য জনগণকে সচেতন করা। বিদ্যুৎ এবং গ্যাস ব্যবহারে মিতব্যয়ীতার অনুশীলন করা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বহুগুণ বেড়েছে। আমাদের দেশ তার বাইরে নয় এবং এটি আমাদের দেশেও আঘাত করেছে।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনের আগে কোনো সংলাপ না করার ইঙ্গিত প্রধানমন্ত্রীর
২৯ বছরেও বাংলাদেশ কেন উন্নয়নের মুখ দেখেনি: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের আংশিক সমাপ্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ঘোষণা দেবেন টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের কাজ শেষ করার।
টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আর টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সেতু বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার(২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘সেতু বিভাগ টানেলের দক্ষিণ অংশের সমাপ্তি উপলক্ষে একটি প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আমরা আশা করি যে আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ পুরো টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে।
টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।’
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল যা নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সরকারের লক্ষ্য হলো কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরীর দুই শহর’করা।
এ প্রকল্পে সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দু’টি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী টানেল দেশের পর্যটন ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার মালয়েশিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার বিন ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন: ‘এই উচ্চ পদে আপনার নির্বাচন একটি স্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আপনার দেশের জন্য আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দীর্ঘ সময়ের ত্যাগের প্রতি মালয়েশিয়ার জনগণের আস্থা ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। আমি নিশ্চিত যে আপনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আগামী দিনগুলোতে মালয়েশিয়ার আরও সমৃদ্ধির সঙ্গে উন্নতি করতে থাকবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির নেতা অ্যালবানিজকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, ২০২২ সাল বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া বন্ধুত্বের জন্য একটি বিশেষ বছর, কারণ উভয় দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
তিনি স্মরণ করেন যে ১৯৭২ সালের প্রথম দিকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মধ্যে একটি।
তারপর থেকে, দুই দেশ তাদের জনগণের ভাগাভাগি সমৃদ্ধির জন্য অভিন্ন বিশ্বাস, ভ্রাতৃত্ব ও সহযোগিতার ভিত্তিতে একটি চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে।
তিনি গভীর সন্তুষ্টির সঙ্গে উল্লেখ করেছেন যে মালয়েশিয়ার অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে এবং দুই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিককে আমন্ত্রণ জানায়।
তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, উভয় দেশ মানবসম্পদ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও পর্যটন ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক অংশীদারিত্বকে আরও সুসংহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আনোয়ার বিন ইব্রাহিমের গতিশীল নেতৃত্বে বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন।
তিনি মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের উপকারের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
এসময় শেখ হাসিনা মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সুখ-শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: কনজারভেটিভ পার্টির নবনির্বাচিত নেতা লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীতে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
আমার স্বপ্ন, একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি যখনই সময় পান ফুটবল খেলা দেখেন এবং স্বপ্ন দেখেন একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে।
তিনি বলেন, ‘এখন বিশ্বকাপ হচ্ছে, কিন্তু ফুটবলে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। এটা আসলে আমাকে কষ্ট দেয়।’ তিনি সেই দিনের স্বপ্ন দেখেন যেদিন ‘আমাদের ছেলেরা এবং মেয়েরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুটবল টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে’।
বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী ও পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয় বারের মতো ১২টি ইভেন্টে দেশের ১২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজার ৮৫০ জন মহিলাসহ প্রায় ছয় হাজার ৯৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
তরুণ প্রজন্মকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক চর্চার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মাদক, জঙ্গিবাদ বা সন্ত্রাস চাই না। আমরা শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাস করি। আমি জানি শিক্ষা, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য সরকারের সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চালু করা হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতার ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আরও ভালো করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, দেশের শিশুরা বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সুবাদে নিজেদের সাজিয়ে তুলছে। ‘শিশুরা যতটা খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করতে পারে ততই তাদের জন্য ভাল হবে।’
বাংলাদেশের শিশুদের অত্যন্ত প্রতিভাবান ও মেধাবী হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, একটু সুযোগ পেলেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণসহ খেলাধুলার উন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর আলোকপাত করেন।
ফুটবল, ক্রিকেট, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিস এবং ব্যাডমিন্টন, কাবাডি ও দাবাসহ ১২টি ইভেন্টের অধীনে সেরা পারফরমারদের মধ্যে প্রায় ৭২০টি পদক বিতরণ করা হয়।
প্রতিযোগিতার তৃতীয় আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আর ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেয়েছেন- যৌথভাবে সেরা পুরুষ অ্যাথলেট উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশিফ রেজা ও মাহমুদুন নবী এবং সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুষ্টিয়া) তামান্না আক্তার।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
এর আগে, গণবিশ্ববিদ্যালয় ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ৩-১ গোলে পরাজিত হলে নারী ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিভিন্ন ইভেন্টের অধীনে চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে পুরুষ ফুটবলে ড্যাফোডিলস ইউনিভার্সিটি, মহিলাদের হ্যান্ডবল, মহিলাদের ভলিবল এবং মহিলাদের কাবাডি; নারী ফুটবল, পুরুষ ভলিবল ও পুরুষ কাবাডিতে গণ বিশ্ববিদ্যালয়; পুরুষদের হ্যান্ডবল এবং পুরুষদের বাস্কেট বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়; মহিলাদের বাস্কেট বলে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি; পুরুষদের ক্রিকেটে এআইউবি এবং মহিলাদের ক্রিকেটে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৯ সালে প্রবর্তন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত যশোর
যশোরে প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান অতিথি রেখে বৃহস্পতিবারের জনসভার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। আশা করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভায় যোগ দিবেন।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলে ইতোমধ্যে নৌকা আকৃতির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডগ স্কোয়াড মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ প্রায় ‘দশ লাখ’ লোক সমাবেশে যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও মঞ্চ সজ্জা উপ-কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জানান, সমাবেশ সফল করতে তারা প্রস্তুত রয়েছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শোনার জন্য জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আগামীকাল যশোর স্টেডিয়াম জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা প্রকাশ করে মিলন বলেন, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে সমাবেশ করতে বাড়তি প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
আ.লীগের এই নেতা বলেন, ‘যশোরে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা প্রমাণ করবে আওয়ামী লীগ নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে। আর দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
সমাবেশ সফল করতে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবকের একটি দল গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা সমাবেশে আগতদের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এবং শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-পরিষদের আহ্বায়ক সুখেন মজুমদার।
যশোর স্টেডিয়ামে সমাবেশস্থলের সংযোগস্থলে আবদুর রাজ্জাক কলেজের মাঠে খাবার পানি ও স্যানিটেশনের প্রস্তুতিও যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ পারভেজ।
যশোর বিমানবন্দর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের দেয়াল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ও দলের বিভিন্ন স্লোগান ও রঙে রাঙানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের সংস্কার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
যশোর সদরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শুভেন্দু কুমার মুন্সি জানান, অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছতে ১২টি নির্দিষ্ট রুট দেয়া হয়েছে। সমাবেশের দিন শহরে কোনও যানবাহন প্রবেশ করবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রায় ২০টি পার্কিং এলাকা নির্বাচন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী বছর পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু হবে।
রবিবার তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে তেল আমদানি করতে চায় এবং আশা করছি আগামী বছর তা শুরু করা যাবে।’
আসাম বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দাইমারি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপিএল) প্রকল্পের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিলিগুড়ি মার্কেটিং টার্মিনাল থেকে বাংলাদেশে তেল পণ্য রপ্তানি করা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, মহামারি চলাকালীন বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন স্থানের সীমান্তবর্তী হাটগুলো পুনরায় চালু হবে।
আসাম প্রতিনিধিদলকে সফরে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী এবং বলেন, বাংলাদেশ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় এবং তা প্রচার করে।
ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিরোধের সমাধান করেছে।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন যে নেপাল, ভুটান এবং ভারতের আসাম ও ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো পারস্পরিক সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।
শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কানেক্টিভিটি রুটের কথা উল্লেখ করে বলেন, রুটগুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বৈঠকে আসাম বিধানসভার স্পিকার বলেন যে বাংলাদেশে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েচে এবং আসাম বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে উপকৃত হবে।
প্রতিনিধিদল এই অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি মানুষের মধ্যে যোগাযোগ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বিশ্বজিৎ দাইমারি বলেন, আসাম বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষি খাতে সহযোগিতা চায় কারণ দেশটির এ খাতে ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এখন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন প্রতিনিধি দল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫০ শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট ও অবকাঠামোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
রবিবার তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফলক উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
এর মধ্যে চারটি শিল্প ইউনিট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে এবং আটটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে উৎপাদন শুরু করেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী ড্রাইডক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের (বিএসএমএসএন) প্রশাসনিক ভবন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, ২০ কিলোমিটার শেখ হাসিনা সরণি, ২৩০ কেভিএ গ্রিডলাইন এবং বিএসএমএসএন-এ সাবস্টেশন খোলা হয়েছে।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর এবং বিএসএমএসএন-এ প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বিএসএমএসএন-এ যে চারটি শিল্প কারখানা বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করেছে সেগুলো হল ভারতের এশিয়ান পেইন্টস, জাপানের নিপ্পন স্টিল, বাংলাদেশের ম্যাকডোনাল্ড স্টিল ও টিকে গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সমুদা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার অঞ্চলগুলো থেকে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
পরিকল্পিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে সরকার ইতোমধ্যে ৯৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ চলমান।
অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে রয়েছে এবং অন্য ৬১টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এবং বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া সব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগকারী সমিতির সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
আরও পড়ুন: বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
সক্ষমতা বাড়াতে জনগণকে যুক্ত করুন: অগ্নিনির্বাপকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে তাদের কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ তিনটি লক্ষ্যে মনোযোগ দিতে বলেছেন।
তিনি বলেন,‘আপনাদের উচিত জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা, সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং এর সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নগরীর মিরপুর-১০ এলাকায় এফএসসিডি ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আয়োজিত ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (এফএসসিডি) সপ্তাহ-২০২২-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন।
অগ্নিকাণ্ড এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিরোধে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে এ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস সপ্তাহ ২০২২ পালনের সময় এফএসসিডি সদস্যদের এই লক্ষ্যগুলো মাথায় রাখতে বলেন।
তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের জীবন রক্ষার জন্য প্রত্যেকেরই অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায় সে সম্পর্কে শৈশবকাল থেকে আমাদের শিশু ও গৃহিণীদের প্রশিক্ষণ দেয়া খুবই জরুরি।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের আধুনিকায়নে তার সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময় অবহেলিত প্রতিষ্ঠানটিকে সময়ের দাবি অনুযায়ী আমরা এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি।’
বিলাসিতা পরিহার করে জনগণের সেবা করুন: নির্বাচিত জেলা পরিষদকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের উন্নতির জন্য একটি কল্যাণমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠাই তার সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
সোমবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি)দেশের ৫৯টি জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি জনকল্যাণমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এটাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য।’
এসময় নবনির্বাচিত ৫৯ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শপথবাক্য পাঠ করান শেখ হাসিনা।অপরদিকে এলজিআরডি মন্ত্রী মো, তাজুল ইসলাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ৬২৩ সদস্যকে শপথবাক্য পাঠ করান।
প্রধানমন্ত্রী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের উপায় ও প্রক্রিয়া নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অলস না রেখে জনকল্যাণে ব্যয় করা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হলেও তাদের সবাইকে তাদের নির্বাচনী এলাকার জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং আপনি ভোগবিলাসের জন্য নন। আপনি এখানে মানুষের সেবা করতে এসেছেন।’
তিনি বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নিবেদিতপ্রাণ সেবা দিয়েই জনগণের মন জয় করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি: রাষ্ট্রদূত নাওকি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সতর্ক করে বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যদি জনগণের সেবা করার নামে তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে, ‘এতেই তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দেখতে চান যে ভোটাররা তাদের প্রতি যে আস্থা রেখেছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে তা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
মশাবাহিত রোগ এখন দেশে বাড়ছে। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে তাদের এলাকা পরিষ্কার রাখতে বিশেষ যত্ন নিতেও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে উদার ও স্বচ্ছ সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী